![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন স্বপ্নবাজ মানুষ আমি!!!
শ্রবন্তীর সাথে আজকে দেখা হওয়ার কথা ছিলো,, গত ২ বছর ধরে ফেসবুকে চ্যাটিং হচ্ছে আমাদের,মেয়েটা একটু গম্ভীর টাইপের ,,কিভাবে যেন আমি,, ওর আইডিটা পেয়ে গেলাম "ফাইন্ড ফ্রেন্ডস " এ,তারপর
রিকুয়েস্ট পাঠানোর ৩ দিন পর এক্সেপ্ট করলো!!!তাই
আমিই আগে নক দিলাম,,
.
আমিঃ হাই
.
শ্রাবন্তীঃ হাই
.
আমিঃ কি করছেন?
.
শ্রাবন্তীঃ এইতো বসে আছি, আপনি?
.
আমিঃ আমিও। আচ্ছা এতো ফলোয়ার থাকতে আমার রিকুয়েস্ট এক্সেপ্ট করলেন যে?
.
শ্রাবন্তীঃ এমনি ইচ্ছা হলো তাই,,,
.
আমিঃ তো কিসে স্টাডি করছেন?
.
শ্রাবন্তী: অনার্স সেকেন্ড ইয়ার, আপনি?
.
আমিঃ বেকার!!
.
শ্রাবন্তীঃহা হা,,, ভালো,,,
.
আমিঃ ভালো কেন?
.
শ্রাবন্তীঃ এই যে কোন কাজ নেই সারাদিন শুয়ে বসে থাকা,, আড্ডা দেওয়া!!
.
আমিঃ এটা বুঝি ভালো?
.
শ্রাবন্তীঃ হুম,,
>
এভাবেই আমাদের ফেসবুক কথা বলা শুরু হয়,, আস্তে আস্তে আমরা আপনি থেকে তুমি তে পরিনত হই এবং একটা সময় ক্লোজ ফ্রেন্ড হয়ে যাই!!!,, নাম্বারো এক্সচেঞ্জ হয় ২ জনের মধ্যে!! কিন্তু ফোনে খুব একটা কথা হতোনা,,ওর বলে বাসায় সমস্যা হয়,,এজন্য ফোনে কথা বলাটা মোটামুটি ঝামেলার কাজ ছিলো,, যার কারনে ওর সাথে সপ্তাহে ২/১ বারের বেশি কথা বলতে পারতাম না,,,
>
মেয়েটা একদম অন্যরকম ছিলো,,, বলতে গেলে ৮/১০ টা মেয়ের মতো এতো ভাব ছিলো না,,, গম্ভীর স্বভাবের হলেও, আমার সব মেসেজ এর রিপ্লাই সাথে সাথে দিয়ে দিতো,,আমি অবশ্য সব সময় নক দিতাম আগে!! তবে মাঝে মাঝে ও আগে দিতো,
>
এভাবে আস্তে আস্তে আমরা আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে গেলাম, এবং ওর প্রতি স্বাভাবিক ভাবেই দুর্বল হয়ে পড়লাম!! কিন্তু আমি কনফিউশনে এ ছিলাম সেও আমাকে পছন্দ করে কিনা!!! তো অনেক চিন্তা করার পর শ্রাবন্তীকে বললাম দেখা করার জন্য,, প্রথমে রাজি না হলেও,, পরে আমার জোড়াজুড়িতে রাজি হলো!!,,
>
রেস্ট্রুরেন্ট এ বসে কথাগুলো ভাবছিলাম ! এমন সময় নীল শাড়ি পড়া একটা মেয়েকে ঢুকতে দেখলাম,,, হ্যা ওই যে শ্রাবন্তী, চোখে কাজল দিয়েছে,, ঠোটে হালকা লিপিস্টিক,,নীল কালারের চুড়ি,, ভালোই লাগছে মেয়েটাকে,,
>
টেবিলের কাছে এসে,,, বললো!!
.
----এই কি দেখছো এভাবে?
.
---- না একটা পরীকে দেখছি!
.
---- আমার তো পাখা নেই,,, পরীদের তো পাখা থাকে!!
.
---- তুমি যে ডানা-কাটা পড়ি!!!
.
---- হা হা
>
মেয়েটা হাসতে হাসতেই আমার সামনের চেয়ারে, বসে পড়লো!! কি নিস্পাপ তার হাসি,, আমি অবাক দৃস্টিতে হা করে তাকিয়ে থাকলাম ওর দিকে। আমাকে টোকা দিয়ে বললো,,,
.
---- এভাবে হা করে না তাকিয়ে না থেকে কিছু একটা
অর্ডার দাও!!
.
আমি ওর কথা শুনে একটু লজ্জা পেয়ে গেলাম!! তারপর ওয়েটার কে ডাক দিলাম,,ওয়েটার মেনু দিলো,, অর্ডার দিলাম,,খাওয়া শেষ করে বিলটা দিতে
যাবো,, সে মানা করলো,, তারপরেও যখন দিতে
গেলাম,,তখন ও রাগী চোখে আমার দিকে তাকালো, ওর চাহনি দেখে আমি মাথা নিচু করে ফেললাম,,ও বিল টা দিয়ে দিলো , তারপর দুজন রেস্ট্রুরেন্ট থেকে বেরিয়ে একটা রিক্সা নিলাম,,
>
পাশাপাশি রিক্সাতে বসে আছি ,, কোন কথা হচ্ছে না , তবে আমার কেন জানি মনে হচ্ছে,শ্রাবন্তী আমার দিকে বার বার আড় চোখে তাকাচ্ছে,, তবে আমার চোখ টা পড়লো, ওর নীল চুড়ি পড়া হাতের দিকে, কেন জানি খুব ইচ্ছা করছিলো ওর হাতটা আলতো করে ধরতে,, হঠাৎ ও আমার হাতটা ধরে ফেললো,, আমি ওর দিকে তাকালাম, ওর চোখে কি যেন একটা অদ্ভুত মায়া আছে, সেটা দেখে বুকের বাম পাশটা কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠলো,,,
>
রিক্সাটা ওর বাড়ির রাস্তার সামনে দাড়ালো,, ও রিক্সার হুটটা খুলে নেমে গেল,, কোন বিদায় না দিয়ে চলে যেতে লাগলো,, আমি ওর চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলাম,,,কেন জানি মনে হচ্ছিল ও ঠিকই আমার দিকে ফিরে তাকাবে,, এবং তাই হলো,, গেটে ঢুকার আগে শ্রাবন্তী পিছন ফিরে দিকে তাকালো,আর আমি আবার তার চোখে সেই অদ্ভুত মায়াটা দেখলাম! মনে হলো চোখগুলো কি জানি বলতে চাচ্ছে আমাকে!!!!
>
হলে চলে আসলাম,, রুমে ঢুকতে ঢুকতে সন্ধ্যা হয়ে গেল,, দেখলাম আমার রুমমেট কৌশিক শুয়ে শুয়ে ক্ল্যাশ অফ ক্ল্যান খেলছে,,,আমাকে দেখে মোবাইল
থেকে মুখ সরিয়ে নিলো,,,
>
----কিরে,, কি অবস্থা? ডেটিং কেমন হলো!(কৌশিক)
.
----এইতো,,,ভালো ই!
.
----এখন কি ডিসিশন নিলি?
.
----আসলে দোস্ত বুঝতেসি না,,, কি করবো!!
.
---- আচ্ছা দেখ,,,, সময় নেয় একটু
.
----হুম,,, আচ্ছা আমাদের এই সম্পর্ক কি,সমাজ মেনে নিবে?!!
.
---- জানি না মামা,, আল্লাহ যার সাথে তোর কপালে রাখছে, তার সাথেই বিয়ে হবে,
>
রাতে ডাইনিং এ খাওয়া-দাওয়া শেষ করে,, রুমে গেলাম, মোবাইল টা হাতে নিয়ে দেখলাম,, ৩ টা মিস কল!! শ্রাবন্তী কল দিয়েছে,,, কল টা ব্যাক করলাম
.
----কি করছো??
.
---- এইতো ভাত খেয়ে রুমে আসলাম,এখন তোমার সাথে কথা বলছি!!
.
----ও তাই!!,, আচ্ছা পরশু দেখা করতে পারবে?
.
---- হঠাৎ আবার দেখা!!
.
---- না এমনি,,, দেখা করতে ইচ্ছা করছিলো তাই বললাম!!!
.
---- ওকে কিন্তু তুমি বের হতে পারবে?বাসায় প্রবলেম করবে না তো আবার!!
.
----না আমি ভার্সিটি এর নাম দিয়ে বের হবো!!
.
----ওকে। ভাত খেয়েছো??
.
----না খাই নি, একটু পরে খাবো,, তুমি ঘুমিয়ে পড়ো,, আর বেশি রাত জেগো না
.
---- আচ্ছা ঠিক আছে,,
.
----হুম । বাই
.
---- গুড নাইট,,,
>
মোবাইল টা টেবিলের উপর রেখে,শুয়ে পড়লাম!! মেয়েটার চেহারাটা চোখের সামনে এখনো ভাসছে,, শরীরটা কেমন জানি শির শিরিয়ে উঠলো!! কেন জানি মনে হলো,, ও আমার পাশে শুয়ে আছে,,,,
>
আধাঘণ্টা হলো পার্কে বসে আছি,,শ্রাবন্তী এখনো আসে নি!!! কিছুক্ষন বাদাম চিবালাম,,, হঠাৎ দৃস্টিটা
গেল,,,পার্কের গেটের দিকে,, ওই যে শ্রাবন্তী আসছে,, আজকে ও তেমন সাজোগোজ করেনি,,খুব সিম্পল ভাবে এসেছে, পড়নে হালকা বেংগুনি রঙের সালোয়ার কামিজ,, মাথায় ওড়না দেওয়া, তবে মেয়ে টাকে আজকে আরো বেশি অন্যরকম লাগছে, দেখতে
দেখতে শ্রাবন্তী আমার কাছে চলে আসলো,,,
>
---- কখন এলে?(শ্রাবন্তী)
.
---- এইতো আধা ঘন্টা হলো!! এসেছি,,শ্রাবন্তী আমার পাশে বসতে বসতে বললো,,
.
---- সরি,,
.
---- ইটস ওকে,,,, তো তোমার আর কি খবর বলো?
.
----কোন খবর নেই,,, সেদিন তোমার সাথে দেখা হওয়ার পর থেকে,কেমন জানি অসস্তি লাগছিলো,, মনে হচ্ছিলো,,, তোমাকে আমি অনেক বছর ধরে চিনি!!!
.
ওর কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম!!!
.
----ফেসবুক এ চ্যাটিং,,, হওয়ার সময় এরকম কখনো ই অনুভব করিনি,, কিন্তু যখন তুমি দেখা করার জন্য বললে তখন,,, কেন জানি একটা অন্যরকম অনুভুতি কাজ করছিলো,,তোমার জন্য!!(শ্রাবন্তী)
.
আমিঃ------
.
---- বাসার গেটে ঢুকার সময় মনে হচ্ছিলো,,, কি যেন একটা রেখে চলে আসতেছি!!!
.
আমিঃ------
.
শ্রাবন্তী কিছুটা উত্তেজিত হয়ে আমার দিকে তাকালো!!!
.
----কি হলো কিছু বলছো না যে!!!
>
আমি ওর দিকে তাকলাম,, হটাৎ বাতাসে ওর ওড়নাটা মাথা থেকে পড়ে গেল, দেখলাম ওর চুলগুলো উড়ছে!!আমি হাত দিয়ে কানের কাছে,,,ওর চুলগুলো
গুজে দিলাম। তারপর ও একটা মুচকি হাসি দিয়ে আমাকে বললো,,,
>
শ্রাবন্তীঃ এই কি দেখছো এভাবে,,,,
.
আমিঃ দেখছি,, আমার ডানা-কাটা পরীটাকে!!
.
মেয়েটা আমার কথা শুনে খিল খিল করে হাসতে থাকলো,,, যেটা ওর চেহারার সৌন্দর্যটা আরো বাড়িয়ে দিলো,,, আর আমি অবাক হয়ে দেখতে থাকলাম!! আমার ডানা-কাটা পরীকে,,,
>
শ্রাবন্তীর সাথে এখন প্রায় ই দেখা হয়!! অন্তত সপ্তাহে ২/৩ বার!!! আর ফেসবুক এবং ফোনে তো নিয়মিত যোগাযোগ তো আছেই,,, ভালো ই যাচ্ছিলো দিন
গুলো!! তবে মনের ভিতরে এক অজানা ভয় কাজ
করতো,,কেননা তাকে নিয়ে ঘেরা একটা স্বপ্ন সৃষ্টি হচ্ছিলো মনের ভিতরে,, যেটা হয়তো বাস্তবে, কোন দিন রুপ দেয়া সম্ভব হবে না,,,
>
ও প্রায় ই আমাকে বলতো,,, "যে ভবিষ্যৎ ভেবে কি হবে,,, এর থেকে বর্তমান সময়টা উপভোগ করি, আর ভবিষ্যৎ তো কারো,,নিয়ন্ত্রণ এ নেই,, একমাত্র বিধাতা
ছাড়া!!তো ওনার কাছেই ছেড়ে দাও না, আর সব সময় এতো টেনশন এর মধ্যে থাকোকেন?!!"
>
আমি হাসতাম,,, ওর কথা শুনে!!! মেয়েটা মুখে মুখে,, গম্ভীরতা দেখালেও,,ভিতরে ভিতরে অনেক চঞ্চল ছিলো,সব বিষয়ে আমাকে তার উপদেশ দেওয়া তার চাই ই চাই,, উপদেশ বানীর বেশিরভাগ গুলাই অবশ্য আমার জানা,,,তারপরেও ওর কাছ থেকে শুনতে ভালো লাগতো!!
>
একদিন শ্রাবন্তী বললো,,, "আমার যদি অন্য কারো সাথে বিয়ে হয়ে যায়,,, তুমি ভালো একটা মেয়ে দেখে বিয়ে করে নিও"
.
আমিঃ এটা যে সম্ভব না শ্রাবন্তী,,, আমার অস্তিত্বটা তো এখন যে শুধু তোমাকে ঘিরে,,কিভাবে বসাবো অন্য কাউকে তোমার জায়গায়!!
.
শ্রাবন্তীঃসময় আস্তে আস্তে সব কিছু ভুলিয়ে দিবে,,
.
চুপ হয়ে গেলাম ওর কথা শুনে,,,,
.
শ্রাবন্তীঃ সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে,,বাসায় যাবো!!
.
আমিঃহ্যা চলো,,,
>
পার্ক থেকে বের হয়ে,, একটা রিক্সাতে উঠলাম,, আজকে শ্রাবন্তী, আমার হাতটা অনেক শক্ত করে ধরে আছে,,, আর আমার কাধে!! ওর মাথা,,, তবে আমার কেন জানি মনে হলো, শ্রাবন্তী কাঁদছে দেখতে দেখতে ওর বাসার সামনে চলে আসলাম,,,
>
রিক্সা থেকে নেমে বললো
.
----তুমি যাও,, তা না হলে আমি গেটে ঢুকতে পারবো না!!
.
---- হা হা! আচ্ছা ঠিক আছে,,,,ভালো থেকো!!
.
শ্রাবন্তীঃ নিজের খেয়ালা রেখো,,
.
আমিঃ তুমিও!!!
.
আমি রিক্সাওয়ালাকে যেতে বললাম, কিছুদূর যাওয়ার পর পিছনে ফিরে তাকালাম,,দেখলাম শ্রাবন্তী আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আর দেখে মনে হচ্ছে ওর চোখ
গুলো ছলছল করছে, তারপর আস্তে আস্তে ও অদৃশ্য
হতে থাকলো,,,
>
রুমে এসে খুব অস্থির লাগছিলো, আর মাথাটাও কেমন জানি ঝিম ঝিম করছিলো,,কিছু না ভেবেই কল দিলাম শ্রাবন্তীকে,,,ফোন বন্ধ!! আবার কল দিলাম সেই একই অবস্থা,, "আপনার কাংখিত নাম্বারটি
এই মুহুর্তে বন্ধ আছে" হঠাৎ এরকম ফোন বন্ধ!!ওর
ফোন এর আগে আমি কোন সময়ে বন্ধ পাইনি,,,
>
রাতে ফেসবুক নক দিলাম কোন রিপ্লাই আসলো না,,,
এভাবে দেখতে দেখতে ৭ দিন হয়ে গেলো কোন খোজ নেই,,,ওর বাসায়ও খোজ নিলাম,,বাড়িওয়ালার কাছে জানতে পারলাম ওরা বলে,১ সপ্তাহ আগেই
বাসা ছেড়েভচলে গেসে!!! নতুন ঠিকানা চাওয়াতে বললো- "ওনাকে কিছু বলে যায় নি,,,"
>
কিভাবে যেন গায়েবই হয়ে গেল মেয়েটা!! ফোন বন্ধ,, ফেসবুকে কোন যোগাযোগ নেই,বাসাও ছেড়ে চলে গেছে,আর আমাদের ভালোবাসাটা প্রকাশ করা না
হলেও দুজন ঠিকই বুঝতে পারতাম, যে আমরা একে-অপরকে কতটাভালোবাসি, ও ছিলো হিন্দু আর আমি ছিলাম মুসলিম,, তাই কোন সম্পর্কে জড়াতে পারিনি আমরা!! কেননা সমাজ আমাদের এই সম্পর্ক কখনোই মেনে নিবে না,,,,
>
১৫দিন পর ওর এক বান্ধবীর কাছ থেকে খবর পেলাম,যে শ্রাবন্তীর বিয়ে হয়ে গিয়েছে,,এবং সেদিন রাতেই সে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্নহত্যা করে,প্রথম প্রথম বিশ্বাস হচ্ছিলো না!! আস্তে আস্তে যখন বিশ্বাস
হতে শুরু করলো!!! তখন কষ্টটাও বাড়তে থাকলো,,,
>
একটা সময় ভিতরটা পুরে যাচ্ছিলো,,একা থাকতেই পারতাম না,, তাই বন্ধু-বান্ধব,, আড্ডা,,এগুলোতে বেশি সময় দিতাম,কিন্তু রাতের বেলাটা খুব খারাপ লাগতো, বিশেষ করে শোবার সময়,, মনে হতো ও
আমার পাশে শুয়ে আছে!! আর ওর চেহারটা আমার সামনে ভেসে উঠতো,, বিশেষ করে ওর চোখ গুলো.......
>
সমাপ্ত
.
written by sakin shikder(xen)
©somewhere in net ltd.