![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন স্বপ্নবাজ মানুষ আমি!!!
.
ভেজা রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি,,,হালকা দমকা হাওয়া বইছিলো,,, সেই সাথে ঝির ঝির বৃস্টি,,, আমি মনে মনে ঠিক করেছিলাম পিছনে ফিরে আর তাকাবো না,, কিন্তু ঠিকই পিছনে ফিরলাম,,, দেখলাম নিশাত এখনো ওর বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে হাসি-খুশি মেয়েটাকে আজকে প্রথম কাঁদতে দেখছি!আমি আর বেশিক্ষণ দাড়ালাম না,, চলে এলাম ওখান থেকে,,,বাসায় এসে রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম,, ভালো লাগছিলো না কিছু,বৃস্টিটা আরো বেড়ে গেছে,,
.
ঠিক এরকমই এক বৃস্টির দিনে নিশাতের সাথে আমার পরিচয় হয়!! আমি ছাতা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে বন্ধু একজনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম,,, হঠাৎ একটা মেয়ে আমার ছাতার নিচে এসে বললো "আমাকে একটু বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত এগিয়ে দিবেন"
>
আমিঃ ঠিক আছে চলুন,,,
>
নিশাতঃ ও হ্যা আমি নিশাত!!! আপনি?
>
আমিঃ আমি সাকিন!!,,,, কোথ থেকে আসছিলেন?
>
নিশাতঃজি!!! হল থেকে,,,
>
আমিঃ ও,, কিসে পড়েন?
>
নিশাতঃ এবার ইন্টারে ভর্তি হলাম,, আপনি?
>
আমিঃঅনার্স ২য় বর্ষ,,,, ইকনোমিকস নিয়ে পড়ছি!
>
নিশাতঃও ভালো,,,,
>
তারপর আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিলো,,,,আমি আরো কিছু জিগেস করতে যাবো তখন!!!
>
নিশাতঃ আচ্ছা আমি যাই,, আমার বাস চলে আসছে,, ভালো থাকবেন,, আর ধন্যবাদ!!
>
তারপর মেয়েটা হন হন করে বাসে উঠে গেল!!!প্রথম কোন মেয়ের সাথে এভাবে পরিচিত হলাম! ও চলে যাওয়ার পর মনের মধ্যে কেমন জানো অন্য রকম অনুভুতি কাজ করছিলো,,, জানি না সেটা কি!!
বাসায় গিয়ে,,,ওর কথাই মনে হতে লাগলো,, বিশেষ করে ওর ভয়েসটা অনেক সুন্দর , যেটা এক ধরনের রিনরিনে আওয়াজ! ওর সাথে আবার দেখা হবে কিনা, সেটাও জানি না!আর দেখা হলেও বা কি বলবো,,,,
.
এক সপ্তাহ পর- ভার্সিটিতে যাচ্ছিলাম,,,হঠাৎ পিছন থেকে কে জানি ডাক দিলো "এই যে শুনছেন!" পিছনে ফিরে দেখি নিশাত,,, পড়নে কলেজ ড্রেস ,,চুলের ২ পাশ বেনি করা,,কাধে ব্যাগ,, চেহারার মধ্যে একধরনের মিষ্টি মিষ্টি ভাব,,, তবে ওর হাসি-মাখা মুখে মিষ্টি ভাব টা আরো ফুটিয়ে তুলেছে!ওদিন অবশ্য ওকে অতটা খেয়াল করিনি,,
>
কাছে এসে বললো,,,
>
নিশাতঃকি চিনতে পেরেছেন?
>
আমিঃ হ্যা নিশাত!! এখানে কি করছেন?
>
নিশাতঃ আসলে এখানে আমার আপুর বাসায় উঠেছি! ৪ নাম্বার সেক্টরে,,,,,
>
আমিঃ ও,,, আমার বাসা ২ নম্বর সেক্টরে!! তো এখন কি কলেজে যাচ্ছেন?
>
নিশাতঃ হ্যা,, আপনি?
>
আমিঃ এইতো ভার্সিটিতে যাচ্ছি!!
>
নিশাতঃআমিও এদিক দিয়েই কলেজে যাবো,,, চলুন একসাথেই যাই!!
>
আমিঃও হ্যা,, চলুন,,,,
>
দুজন পাশাপাশি হাটাছি,,,কিছুক্ষন নিরবতা,তারপর আমিই নিরবতা ভেঙে বললাম..
>
আমিঃ আপনি না হলে থাকেন? তাহলে আপনার আপুর বাসায় উঠলেন যে!!
>
নিশাতঃআসলে হোস্টেল থেকে আমার কলেজ অনেক দূর হয়ে যায়,, তাই হোস্টেল ছেড়ে আপুর বাসায় উঠেছি,,এখান থেকে আমার কলেজ টা অনেক কাছে....
>
আমিঃ ও ভালো,,,,
>
আরো কিছু কথাবার্তা হলো। তারপর কিছুক্ষণ হাটার পর,,, ওর কলেজ মোড়ের সামনে চলে আসলাম,,,
>
নিশাতঃ আমি যাই,আবার দেখা হবে!!
>
আমিঃঠিক আছে,,,
>
নিশাত হেটে গেল ওর কলেজের গেটের দিকে,,, আমি দাঁড়িয়ে রইলাম,,, ওর হাটার ধরনটা আমার কাছে খুব ভালো লাগছিলো,,,কেন জানি মনে হচ্ছিলো ও ১ বারের জন্য হলেও পিছনে ফিরে তাকাবে,,,, ঠিকই গেটে ঢুকার আগে আমার দিকে তাকিয়ে একটা মুচকি হাসি দিয়ে ভিতরে চলে গেল! এভাবে প্রায়ই নিশাতের সাথে ভার্সিটিতে যাওয়ার সময় দেখা হতো,,, প্রায় বলতে রেগুলারই। একমাত্র শুক্রবার ছাড়া!! ভালোই লাগতো মেয়েটার সাথে হাটতে। আস্তে আস্তে আমরা ক্লোজ হয়ে গেলাম,, ফোন নাম্বার ও আদান-প্রদান হয়,,, তাই টুকটাক কথা হতো মাঝে মাঝে আমাদের মধ্যে!!মোটামুটি ওর সম্পর্কে সবই জানতে পারলাম,,, ওর বাবা নেই,, মারা গিয়েছে ২ বছর হয়েছে,,, আর ওর মা গ্রামের বাড়িতে থাকে,,,ভাই-বোন বলতে ওর শুধু এক আপুই আছে,,,তবে বাবাকে খুব ভালোবাসতো!! বাবা মারা যাওয়ার সময়ই বলে ও শেষবারের মতো কেঁদে ছিলো,, এরপর থেকে বলে আর কখনো কাঁদতে পারে নি,,,সব কান্না বলে ওইদিনই শেষ হয়ে গিয়েছিলো তারপর থেকে বলে ও এরকম হাসি-খুশি ই থাকে, মেয়েটা অনেক কথা বলতে পারতো,, কিছুতেই থামানো যেতো না,,, তাই বেশিরভাগ সময় আমাকেই চুপচাপ থাকতে হতো!! বলতে গেলে ওর বক-বকানি প্যাঁচাল গুলো শুনতে ভালো ই লাগতো,, একদিন আমাকে বললো- "শুক্রবার বিকেল ৫ টার দিকে আমাদের কলেজের মোড়ের সামনে দাড়াবা!!
>
আমিঃ কেন??
>
নিশাতঃ তোমার জন্য একটা সারপ্রাইজ আছে?
>
আমি একটু হেসে বললাম - ঠিক আছে থাকবো!!
>
নিশাতঃ সময় মতো চলে এসো,,, আবার দেরী করো না,,,
>
আমিঃ ওকে!!
>
বিকেল ৫ টার দিকে যথারীতি ওর কলেজের মোড়ে গেলাম,,দেখে মনে হচ্ছে কলেজে কোন ফাংশন হয়েছে,,, এবং শেষ ও হয়ে গিয়েছে,,, অভিভাবক ও ছাত্র-ছাত্রীদের বের হতে দেখলাম,,, হঠাৎ দেখি নীল শাড়ি পড়া একটা মেয়ে বের হচ্ছে !প্রথম প্রথম চিনতে পারলাম না, পরে ভালো ভাবে খেয়াল করলাম,, দেখি এটা নিশাত, একবারে চেনাই যাচ্ছে না মেয়ে টাকে, খোলা চুল! কপালে টিপ! ঠোটে গাড়ো লিপিস্টিক, বলতে গেলে অপুরুপ লাগছে মেয়েটাকে,, দেখলাম মেয়েটা আমার দিকেই আসছে ওকে দেখে লাল-টিপ ছবির একটা গানের কথা মনে পড়ে গেল,,,,
>
বাতাস বলে এসেছিলে স্বপ্ন ছুয়েছি তোমাকে
------------------------------
----------
তোমার স্পর্শ আছে ঘিরে অচেনা এই কোলাহলে
------------------------------
----------
পেতে চাই তোমায় নিরব ভোরে শিশির ভেজা সবুজ ঘাসে
------------------------------
----------
পেতে চাই তোমায় অস্থিরতায় অসম্ভবের শেষ সীমান্তে
------------------------------
----------
>
দেখতে দেখতে মেয়েটা একদম আমার কাছে চলে আসলো,,
>
----কি দেখছো এভাবে(নিশাত)
>
----না কিছু না,,, আজকে কি ফাংশন ছিলো তোমাদের?
>
----হ্যা,,আমি কবিতা আবৃতি করেছি!!
>
---- ভালো,, তোমার না কি জানি সারপ্রাইজ দেওয়ার কথা ছিলো!!!
>
----হ্যা!! দিঘির ওই পারটাতে চলো,,,,,
>
----হুম!! চলো
>
তারপর ২জন পাশাপাশি হাটতে থাকলাম,, কোন কথা হচ্ছিলো না!! ২ জনেই নিরবে হাটতে থাকলাম,,, হঠাৎ ও বলে উঠলো
>
----আমাকে শাড়িতে কেমন লাগছে আজকে?? এই প্রথম শাড়ি পড়েছি!!! তুমি মনে হয়ে অনেক অবাক হয়েছে,,, আমাকে দেখে!!!
>
----হ্যা!
>
এরপর আর কোন কথা হল না,,, হাটতে হাটতে ২ জন দিঘির পাড়ে চলে আসলাম,,, আমাদের এলাকায় ঘুরার মতো এই একটাই জায়গা আছে,,, তবে আজকের দিনটা অনেক সুন্দর,,, চারদিকে হালকা কুয়াশা,, মনে হচ্ছে মেঘ গুলো আকাশ থেকে নিচে নেমে এসেছে,,, পুরো আকাশ মেঘে ডাকা,,বৃস্টি হবে হবে এমন একটা ভাব.. বলতে গেলে আজকের পরিবেশ টা একদম অন্যরকম লাগছে!নিশাত আমাকে ইশারা করে দিঘি পাড়ের একটা জায়গায় বসতে বললো,,,আমার সাথে সাথে নিশাত ও বসে পড়লো,,২ জনেই আকাশ দেখছিলাম সূর্যটা হালকা হালকা দেখা যাচ্ছিলো মেঘের আড়াল থেকে,,,আর সূর্যের আলোতে আকাশটাতে একধরনের লালচে রঙ ছেয়ে গিয়েছে,,মনে হয় কে যেন ছবি একে দিয়েছে!! এরকম খুব কমই দেখা যায়,পাশাপাশি বসলেও কোন কথা হচ্ছিলো না দুজনের মাঝে,,,এভাবে প্রায় দশ মিনিট নিরব থাকার পর,, নিশাত আমার হাতে একটা চিরকুট ধরিয়ে চলে গেল,,আমি ওর চলে যাওয়া দেখছিলাম,তারপর চিরকুট এর দিকে তাকালাম
>
"জানি তুমি কখনোই মুখ ফুটে বলবে না যে তুমি আমাকে ভালোবাসো,, হয়তো আমাকে হারানোর ভয়ে যদি আমি তোমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেই!! কিন্তু বিশ্বাস করো আমিও যে তোমাকে এই কয়দিনে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি,,, খুব ভালো লাগতো যখন তুমি প্রতিদিন আমাকে কলেজ পর্যন্ত এগিয়ে দিতে,, আচ্ছা তুমি কি এভাবেই সারাজীবন আমার পাশে হাটবে!!! জানি না,,তবে এটুকু জানি আমি যতটুকু তোমার জন্য অনুভব করি,,,তার চেয়ে বেশি হয়তো তুমি আমাকে অনুভব করো,,, হয়তো এ ভালোবাসা কোনদিনই শেষ হবে না..........
ইতি, তোমারই নিশাত"
>
চিরকুট টা পড়ে আমার হাত কাপছিলো!! ভিতরের সব কিছু কেমন জানি থমকে গিয়েছিলো,,, অন্যরকম একটা অনুভুতি সৃষ্টি হচ্ছিলো মনের ভিতর হঠাৎ নিশাতের ডাকে হুশ ফিরে এলে,,,,,
>
----এই যে মিস্টার সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছে আমাকে বাসায় পৌছে দিবে কে?? হুম!! এভাবে বসে থাকলে চলবে!!
দেখলাম মেয়েটা হাসছে,, আর সেটা দেখে সেই অনুভুতিটা আরো বেশি বেড়ে গেল!!!
.
এভাবেই নিশাতের সাথে আমার রিলেশন শুরু হয়,,একসাথে ঘোরাঘুরি,,ফুচকা খাওয়া,,বৃস্টিতে ভেজা,,, সব কিছুই কেন জানি স্বপ্নের মতো চলতে লাগলো,,, ওর দিঘির পাড় টা অনেক বেশি পছন্দের ছিলো,,তাই সপ্তাহে অন্তত একবার হলেও ওকে নিয়ে ওখানে যাওয়া লাগতো। বাসায় স্পেশাল কিছু রান্না করলে আমার জন্য টিফিনে করে নিয়ে আসতো,,, আর যদি অসুস্থ হয়ে পড়তাম আমাকে জোড় করে ডাক্তার কাছে নিয়ে যেত,,, এমনকি সামান্য জ্বর হলেও!!! মাঝে মাঝে মনে হত নিশাত আমার বিয়ে করা বউ,,, প্রেমিকার চেয়ে ওর মধ্যে বউ বউ ভাব টাই বেশি দেখতাম!! হয়তো এটাই বুঝি ভালোবাসা.
মেয়েটা আমার চেয়ে অনেক বেশি স্বপ্ন বাজ ছিলো,,বিয়ের পর কি হবে না হবে,,, কোথায় সেটেল হবো আমরা,, কয়টা বাচ্চা-কাচ্চা হবে,, হানিমুনে কোথায় যাবো,,, দুই ফ্যামিলিকে কিভাবে মানাবো,,, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সে বেশি আলাপ করতে পছন্দ করতো বয়স কম ছিলো,, তাই হয়তো ওর ভালোবাসাতেও অনেক বেশী আবেগ ছিলো,,,তবে ভালো লাগতো ওর আবেগ মাখা ভালোবাসা গুলো!! যেটাতে ছিলো না কোন ছলনা,,, কিন্তু ছলনাটা করলো আমার ভাগ্য। হয়তো এতো সুখ সইছিলো না আমার কপালে,,,,,,
.
দুদিন হলো নিশাতের সাথে আমার কোন যোগাযোগ হচ্ছে না,,, ওর সেল নাম্বারো বন্ধ,,, কলেজেও আসতেও দেখছি না,,ওর জন্য প্রতিদিন ই সকাল বেলা ৪ নাম্বার সেক্টরে অপেক্ষা করতাম,,, এই হয়তো ও আসবে বলে... এভাবে দেখতে দেখতে ১ সপ্তাহ কেটে গেল,,ওর কোন নাম গন্ধ নেই! এক সপ্তাহ পর একটা অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজ আসলো-কালকে সকাল ১০ টার দিকে কলেজে মোড়ে থেকো(নিশাত)..... মেসেজ টা পড়ে বুকের ভিতর কেমন জানি ছেদ করে উঠলো,,, বুঝতে পারছিলাম.. এই কয়দিন ওকে কতটা মিস করেছি!! তাই নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না,, কল করেই বসলাম,,,নাম্বার টি বন্ধ পেলাম,,, এরকম ২/৩ বার কল করার পর সেই একই অবস্থা!মোবাইল টা টেবিলে রেখে বিছানায় শুয়ে পড়লাম... জানি ঘুম আসবে না!!! তারপরে চেষ্টা করতে থাকলাম ঘুমানোর,,,ওর চেহারা টাই বার বার মনে হতে থাকলো... কেন জানি এক অজানা ভয় কাজ করছিলো বুকের ভিতর!!!!
.
পরদিন সকাল- যথা সময় ওর কলেজের মোড়ের সামনে দাড়ালাম..প্রায় ১৫ মিনিট এর মতো অপেক্ষা করার পর দেখলাম নিশাত আসছে,,, তবে কলেজ ড্রেসে না.... নরমাল একটা সালোয়ার কামিজে তার উপর মাথায় এমনভাবে ওড়না দিয়েছে,,, মনে হচ্ছে কেউ জানি ওকে দেখে না ফেলে!!!!
>
আমাকে দেখে,,, আমার সামনে এসে দাড়ালো-
>
----কেমন আছো?(নিশাত)
>
আমি রেগে গিয়ে বললাম,,,,,,
>
----ভালো নেই,,, কিভাবে ভালো থাকবো বলো তোমাকে ছাড়া!!! আর এই কয়দিন কোথায় ছিলে?? এভাবে হুট-হাট করে কি কেউ যোগাযোগ বন্ধ করে..
>
দেখলাম নিশাত চুপ করে আছে.....
>
----কি হলো কথা বলছো না কেন???
>
ও মাথা নিচু করে বলল,,,,
>
----আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে,,,আর সম্বন্ধটা দুলাভাই এনেছে...ছেলেটা ওনার জুনিয়র কলিগ!!!
>
আমি হতবাক হয়ে ওর দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলাম,, তারপর জিগেস করলাম,,,,
>
----তুমি কি এই বিয়েতে রাজি?
>
ও হাত কচলাতে কচলাতে বললো,,,
>
----দেখ আমি আপুকে অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি,, এই বিয়েটা পিছানোর জন্য!! কিন্তু উনি কিছুতেই রাজি হচ্ছে না... ওদিকে মা অসুস্থ,,, ওনার হার্টের সমস্যা দেখা দিয়েছে। এখন এই মুহুর্তে মা কেও কিছু বলতে পারছি না!!!
আমি একরাশ দৃস্টিতে তাকিয়ে জিগেস করলাম,,,
>
----তুমি কি চাচ্ছো এখন?
>
নিশাত এবার আমার দিকে তাকিয়ে বলল....
>
----তুমি যদি কিছু চাকরি-বাকরি করতে,, তাহলে বাসায় তোমার কথা বলে বিয়েটা আটকানো যেত!!কিন্তু তোমার তো এখনো পড়াশোনাই শেষ হয় নি.....
.
কথাগুলো শুনে ইচ্ছা করছিলো,, মেয়েটার গালে ঠাটিয়ে দুটো চড় মারতে,,, কিন্তু পারলাম না...শুধু অবাক হয়ে ওর কথা গুলো শুনছিলাম,,,,,
>
----জানি তুমি অনেক রেগে আছো আমার উপর!! আমি তোমাকে অনেক স্বপ্ন দেখিয়েছি,,,কথা দিয়েছি তোমাকে দুজন দুজনে হাত ধরে একসাথে চলবো.....ছাড়ে যাবো না কোনদিন ও... কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে যে আজ আমি অসহায় আমার পরিবারের কাছে,,, সমাজের কাছে,,, নিজের কাছে...তাই ফিরতে যে পারছি না তোমাতে!!!
>
নিশাত খুব স্বাভাবিক ভাবেই কথা গুলো বলে গেল,,দেখলাম না ওর চোখে আমার প্রতি সেই আবেগ মাখা ভালোবাসা,,,আর হয়তো দেখেতেও পাবো না,,, কেননা কিছু দিন পর সে অন্য কারো হয়ে যাবে...আর তার ভালোবাসা গুলো সেই অন্য কাউকেই দেখাবে,,,,,আমি চলে আসলাম ওখান থেকে,,,,, পিছনে থেকে নিশাত আরো কি জানি বলতে লাগলো,,,কিন্তু শুনতে পেলাম না হয়তো শুনতে চাচ্ছিলামো না...খুব জিদ হচ্ছিলো আমার কিন্তু সেটা নিশাত কে দেখাতে পারছিলাম না,,, কেননা ওর উপর সব অধিকার যে আমি হারিয়ে ফেলেছি!!!!!
........
........
হঠাৎ বিজলী র আওয়াজে আমার হুশ হলো বাস্তবে ফিরে এলাম...আগের কথা গুলো মনে করছিলাম এতক্ষন,,, বাইরে তাকিয়ে দেখি প্রচণ্ড বৃস্টি হচ্ছে,,, নাহ আর ভালো লাগছে না বাসায়,,, এই বৃস্টির মধ্যেই বেরিয়ে গেলাম বাসা থেকে....হাটতে হাটতে দিঘির পাড়টাতে এসে দাড়ালাম...এক অতৃপ্ত শুন্যতা অনুভব করছিলাম বুকের ভিতর!!!বাস্তবতা সব ভালোবাসাকে পুর্নতা পেতে দেয় না... কিছু ভালোবাস যে অপুর্নই থেকে যায়,,,,,,,,,,,,,
.
সমাপ্ত
-----------------------------------
written by sakin shikder(xen)
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৬
সাকিন সিকদার (জেন) বলেছেন: জি ধন্যবাদ। এরপর থেকে চেষ্টা করবো ব্যতিক্রম কিছু লেখার।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৫
অঞ্জন ঝনঝন বলেছেন: কমন প্রেম কাহিনী। গতবাঁধা গড়া, ভাঙ্গার গল্প। এমন রোমান্টিক লেখা সাধারণত পুরোটা পড়তে পারিনা। আপনারটা পড়লাম। শুভকামনা রইল