![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন স্বপ্নবাজ মানুষ আমি!!!
.
নবম শ্রেণীতে উঠার পর আম্মা ঠিক করলেন আর প্রাইভেট টিউটর এর কাছে আমাকে পড়াবেন না..কোচিং এ পাঠাবেন! ওনার কথা মতো আমাদের এলাকার একটা প্রাইভেট কোচিং এ ভর্তি হলাম সাথে আমার আরো কয়েকজন বন্ধু ও.... তবে সবাই একই ব্যাচে ভর্তি হতে পারলাম না,, কয়েকজন সকালে,,, আবার কেউ বিকেলে,,, তবে আমি সোহেল আর নিহি সন্ধ্যার ব্যাচে পড়তাম.... স্যার পড়া গুলো খুব ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিতো,,, তাই রেগুলার পড়া শিখে আসতে কোন সমস্যা হতো না। এভাবে দেখতে দেখতে দুই সপ্তাহ কেটে গেল.......
>
এর মাঝে নতুন একটা মেয়ে আসলো আমাদের ব্যাচে,, নাম পুর্বা!! নামটাও যেমন সুন্দর ও দেখতেও মোটামোটি অনেক সুন্দর ছিলো বিশেষ করে ওর ঠোট গুলো!!! স্যার ওর সাথে আমাদের পরিচয় করিয়ে দিলেন....সোহেল আর নিহি ওর সাথে কথা বললেও আমি কেন জানি পারতাম না...ঠিকমতো কথা বলতে... তোতলাতাম,,,, সেই সাথে বুকের হার্ট বিটাও বেড়ে যেতো যখন কথা বলতাম ওর সাথে!! ও মনে হয় ব্যাপারটা বুঝতে পারতো,,,তাই হয়তো মাঝে মাঝে আমাকে দেখে মুচকি হাসি দিতো।
>
তবে ভালো লাগতো দেখতে ওর মুচকি হাসি-গুলো,,, যখন ও স্যার এর লেকচার লেখতো খাতায়,, ও যখন ওর চুল গুলো সরিয়ে নিজের কানের কাছে গুজে দিতো,,,,আমি আড় চোখে খালি তাকিয়ে তাকিয়ে দেখতাম মেয়েটাকে!!! মানুষের এই সাধারণ ব্যাপার গুলো এতো সুন্দর হয় কিভাবে,,,, নাকি আমি ই পুর্বার প্রেমে হাবু-ডুবু খাচ্ছিলাম এজন্য হয়তো ওর সব কিছু ই ভালো লাগতো।
>
মেয়েটা দেখতে সুন্দরী হলেও পড়াশোনায় খুব একটা ভালো ছিলো না,,, আমরা রেগুলার পড়া শিখে আসলেও... ও তেমন শিখে আসতো না!! তাই স্যার এর কাছে প্রায়ই বকা খেতো,,,আসলে পড়াশোনার ব্যাপারে পুর্বা খুব একটা সিরিয়াস ছিলো না। একদিন স্যার ওকে অনেক বকা দিয়েছিলো.... তাতে মেয়েটা একেবারে কেদেই দেয়। খুব খারাপ লেগেছিলো আমার সেদিন,,,,, রাতেও ঠিকমতো ঘুমাতে পারিনি বার বার শুধু ওর কান্না ভরা চেহারটাই চোখের সামনেই ভাসছিলো...মনে হচ্ছিলো বকা গুলো স্যার আমাকে দিয়েছে!!!
>
সেদিনের পর থেকে আমি নিজের জড়তা কাটিয়ে ওর সাথে নিয়মিত কথা বলা শুরু করলাম এবং পড়াশোনার ব্যাপারে হেল্প করতে লাগলাম,,, আমি একাউন্টিং এ ভালো ছিলাম,,,,তাই ওকে বুঝিয়ে দিতে খুব একটা সমস্যা হতো না... আর জেনারেল ম্য্যথ টা নিহির কাছ থেকে বুঝে নিতো!! তবে পড়াশোনার খাতিরে ওর সাথে আমার একটা ভালো সম্পর্ক হয়,,,, কিন্তু পড়াশোনা ছাড়া অন্য ব্যাপারে খুব একটা কথা হতো না আমাদের... আসলে সে সুযোগ ও ছিলো না!!! ও আর আমি আলাদা স্কুল এ পড়তাম,,, তাই কোচিং ছাড়া অন্য কোথাও দেখা হতো না,,, আর ও সব সময় নিহির সাথে আসতো. আবার নিহির সাথে চলে যেতো,,,যেদিন নিহি আসতো না ও আসতো না.......তাই ওকে একা পাওয়াটা অনেক মুশকিল ছিলো।
>
আমার ব্যাপার টা কেউ না বুঝতে পারলেও সোহেল ঠিক ই বুঝতে পেরেছিলো,,,,
----এভাবে আর কয় দিন মামা(সোহেল)
.
আমি একটু অবাক হয়ে বললাম
.
----কি কয় দিন?!
.
----এই যে লুকোচুরি খেলতেস!!
আমি চুপ হয়ে গেলাম ওর কথা শুনে....
.
----দেখ দোস্ত মেয়েটাকে যদি ভালোবাসস,,, তাইলে বলে ফেল নিজের মনের কথা,,, নাহলে দেখবি কয়েকদিন পর অন্য কারো একাউন্ট হয়ে যাবে!!
>
কথাটা শুনার পর আমার একটু চিন্তা হতে লাগলো,,সেই সাথে ভয় ও.... কেননা ওকে অন্য কারো সাথে দেখাটা হয়তো আমি সহ্য করতে পারবো না!!তাই সিধান্ত নিলাম যেভাবেই হোক পুর্বাকে প্রপোজ করতে হবে কিন্তু সে সুযোগ ও হচ্ছিলো না...এভাবে দেখতে দেখতে এস.এস.সি. পরীক্ষা সামনে চলে আসলো,,, আমি খুব ভালো করেই জানতাম এই কোচিং শেষ হয়ে গেলে ওর সাথে আমার আর দেখা হবে না। আর হলেও সেটার সম্ভবনা খুব কম,, কি করবো কিছু ই মাথায়া আসছিলো না... পরে কোন উপায় না দেখে নিহির সাথে ব্যাপারটা আলোচনা করলাম,,, যেহেতু নিহি ওর অনেক ক্লোজ ছিলো!!!
.
আমিঃ দোস্ত আমি মেয়েটা কে অনেক পছন্দ করি!!
.
নিহিঃসে তো অনেকেই করে,,,,
.
আমিঃ অনেকেই হয়তো ওকে পছন্দ করে,,, আর পছন্দ করতেই পারে!!!কিন্তু আমি যে মেয়েটাকে বড্ড বেশি ভালোবাসি,,, ওর ঠোট,, ওর চুল,, ওর চোখ,,, ও যখন কথা বলে,, ও যখন হাসে,,,সবকিছুই কেন জানি আমার অনেক ভালো লাগে!! আমি তোকে কি বলে বুঝাবো মেয়েটাকে ছাড়া যে আমার একদমই চলবে না!!(খুব অস্থির হয়ে কথা গুলো বললাম)
>
নিহি আমার কথা শুনে যথেষ্টই অবাক হলো...কেননা ও আমার কাছ থেকে এরকম রিএকশন কখনোই আশা করেনি,,,
.
----আচ্ছা ঠিক আছে,, আমি দেখবো কিন্তু তোর কথা তোকেই বলতে হবে...আমি তোকে বলার সুযোগ করে দিতে পারি!
.
আমি খুশিতে নিহির হাত ধরে বললাম,,,,,
.
----থ্যাংক উ দোস্ত!! তুই আসলেই অনেক ভালো।
.
নিহি অন্য দিকে মুখটা ঘুরিয়ে বললো,,,
.
----হইছে,,, হইছে আর পাম দিতে হবে না..
>
আমি খুব খুশি হলাম,,, সেই সাথে অনেক এক্সাইটেড ও,, কি বলবো...কিভাবে বলবো..কেমনে বলবো,,, বার বার শুধু এই কথা গুলোই মাথার মধ্যে ঘুর পাক খাচ্ছিলো,,, রাতে ঘুম ও হতো না ঠিক মতো,,,, খালি ওর কথা ভাবতাম,,, জেগে জেগে শুধু ওকে নিয়েই অনেক স্বপ্ন দেখতাম.. বুঝতে পারছিলাম খুব কঠিনভাবে মেয়েটার প্রেমে পড়ে গেছি!!!
>
অবশেষে সে সুযোগ টা আসলো---এস.এস.সি এক্সামের আর ২ সপ্তাহ বাকি,,, স্যার ছোট-খাটো একটা বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন,,, এস.এস.সি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে,,, প্রতিবছর ই স্যার এরকম আয়োজন করে থাকেন। যারা এস.এস.সি পরীক্ষার্থী সবাই সকালের দিকে স্যারের কোচিং সেন্টারে পৌছালো !!আমার যেতে যেতে অবশ্য একটু লেট হয়ে গেল,,, গিয়ে দেখি প্রায় সবাই চলে এসেছে,,পুর্বাকেও দেখলাম নিহির সাথে এক কোনায় বসে গল্প করছে,,,,তবে আজকে অনেক বেশি কিউট লাগছে মেয়েটাকে,, লাল সালোয়ার কামিজ পড়েছে ,, ঠোটে লাল লিপস্টিক,, কপালে লাল-টিপ.. মনে হচ্ছে একটা লাল পরীকে দেখছি আমি...তবে ওর চোখে দেওয়া হালকা কাজল,,, ওর সৌন্দর্যটা যেন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে!!!
>
আমি ওর আশেপাশেই ঘুর ঘুর করছিলাম,,, নিহি ব্যাপারটা দেখে সরে যেতে চাইলো কিন্তু কেন জানি পুর্বা ওর হাতটা ধরে ইশারায় মানা করলো যেতে... ব্যাপারটা আমার কাছে কেমন জানি একটু খটকা লাগলো।স্যার অনেক টিপস দিলেন পরীক্ষার ব্যাপারে,, তারপর আমাদের কিছু নাস্তা-পানি করালেন..সবাই যে যার মতো কথা বলতে লাগলো তবে আমার নজরটা সবসময় পুর্বা আর নিহির দিকেই ছিলো,,,
>
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে নিহি আমাকে ইশারায় কোচিং থেকে বের হতে বললো.......আমি কোচিং থেকে বেরিয়ে রাস্তার পাড়ে ওদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম,,,কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর পুর্বা আর নিশিকে দেখলাম কোচিং থেকে বের হতে দেখলাম,,, তারপর আমি ওদের দিকে আগাতে থাকলাম,,, একটা সময় ওদের পথ রোধ করলাম,, নিহি আস্তে করে আমাদের কাছ থেকে সরে গেল,,,আমি গোলাপ ফুলটা পকেট থেকে বের করতে যাবো...তখনই পুর্বা আমাকে বললো,,,,
.
----দেখ আমি ভালো করেই জানি তুমি কি বলতে চাচ্ছো,,,তুমি যেটা চাচ্ছো সেটা কখনোই সম্ভব না!!
আমি হতবাক হয়ে ওকে বললাম,,,,,
.
----দেখ পুর্বা আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি। I love u,,,, তুমি আমাকে এভাবে ফিরিয়ে দিও না,, আর আমি তো খারাপ ছেলে না...তুমি আমাকে যেভাবে চলতে বলবে আমি সেভাবে চলবো,,
.
----কথা সেটা না,,, তোমাকে আমি নিজের বন্ধুর চেয়ে বেশি কিছু ভাবি না,,জানি কথাটা শুনে তোমার খারাপ লাগবে কিন্তু এটাই সত্য!!
আমি খুব অস্থির হয়ে ওর হাত দুটো ধরে বললাম,,,
.
----প্লীজ এভাবে বলো না,, আর দেখ আমি যতটুকু জানি তোমার তো অন্য কারো সাথে রিলেশন নেই,, তাহলে কেন তুমি আমাকে এভাবে ফিরিয়ে দিচ্ছো!!
পুর্বা এক ঝটকায় ওর হাতটা সরিয়ে নিয়ে বললো,,
.
----সেটার জন্য না,, তোমার প্রতি আমার ওরকম কোন ফিলিংস নেই তুমি যেটা ভাবছো।আর অন্য কারো সাথে রিলেশন নেই বলে,,, যে তোমার সাথে রিলেশন করতে হবে এমন তো কোন কথা নেই। I am really really sorry,,, আমি এটা করতে পারবো না।
>
এটা বলেই পুর্বা হন হন করে চলে গেল,, আমাকে আর কোন কথা বলার সুযোগই দিলো না!!!ভেবেছিলাম হয়তো পিছ ফিরে তাকাবে,,, কিন্তু মেয়েটা একটা বারো পিছ ফিরে তাকালো না,,হাতের গোলাপ টা যে কখন মাটিতে পড়ে গেল খেয়ালি করি নি,,,উঠাতে যাবো কিন্তু কি মনে করে যেন আর উঠালাম না...কি হবেই বা উঠিয়ে যার জন্য এনেছিলাম সে তো গ্রহনই করলো না... খুব খারাপ লাগছিলো তখন। নিজেকে অনেক শুন্য মনে হচ্ছিলো,,,,আর এই শুন্যতা মনে হয় কখনোই কাটিয়ে উঠতে পারবো না।
>
আমাদের এস.এস.সি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেল,,,খুব অস্থিরতায় কাটছিলো দিন গুলো,,,তাই যতটা সম্ভব পড়াশোনায় মন দিচ্ছিলাম,,, এতে কিছুটা হলেও ওকে ভুলে থাকতে পারতাম কিন্তু রাতের বেলায় ওর কথা অনেক বেশি মনে পড়তো...খুব কান্না পেতো তখন কিন্তু কেন জানি কাঁদতে পারতাম না,,,তবে নিহির কাছ থেকে একটা খবর পেয়ে একটু স্বস্তি পেলাম!!! যে ওর আর আমার পরীক্ষার হল একই স্কুলে পড়েছে,,,, অবশেষ ওর সাথে আর একবার দেখা হওয়ার একটা সুযোগ হলো কিন্তু ও কি কথা বলবে আগের মতো আমার সাথে!!
>
পুর্বার সাথে প্রথম পরীক্ষার সময়ই দেখা হয়ে গেল,,,দেখলাম নিহির সাথে কি একটা ব্যাপার নিয়ে কথা বলছে,,,মেয়েটাকে দেখে কেন জানি খুব মায়া হল.. ওর সাথে কথা বলতে যাবো....ঠিক তখনই পুর্বা অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে স্কুলের গেটের ভিতর ঢুকে গেল,,, ও ঢুকার পাচ মিনিট পর আমি ঢুকলাম,,,,,
>
পরীক্ষা শেষে স্কুল গেটের বাইরে পুর্বার জন্য অপেক্ষা করছিলাম,,, কিছুক্ষন পর ওকে বের হতে দেখলাম। আমার সাথে চোখা-চোখি হলো,, তারপর পুর্বা ওর বাসার দিকে যেতে লাগলো...কেন জানি আমিও ওর পিছু নিলাম,,, এভাবে ওর পিছু পিছু হাটতে ওর বাসার কাছে পৌছে গেলাম,,,গেটে ঢুকার আগে পুর্বা আমার দিকে তাকালো। তারপর বাসার ভিতরে চলে গেল। আমি প্রায় ২/৩ ঘন্টা অপেক্ষা করলাম,, তারপর ওখান থেকে চলে আসলাম।
>
এভাবে প্রায়ই প্রতি পরীক্ষা শেষে ওর পিছু নিতাম এবং ওর বাসার সামনে ২/৩ ঘন্টার মতো অপেক্ষা করতাম,,, এই আশায় ও হয়তো বাসা থেকে নেমে আমার সাথে দেখা করবে বা জানলা খুললে আমাকে দেখতে পাবে কিন্তু কিছুই হলো না,,, তেমন কোন প্রতিক্রিয়াই দেখতে পেলাম না,,তাই প্রতিদিন অপেক্ষা করার পর চলে আসতাম এক বুক হতাশা নিয়ে!!!
>
শেষ পরীক্ষার দিন পুর্বা নিজেই আমার কাছে এসে বললো....
.
----দেখ এভাবে আমার পিছু নিয়ে কোন লাভ নেই,, আমি আমার জবাব দিয়ে দিয়েছি,,,তুমি যেটা করছো সেটা এক তরফা ভালোবাসা হয়ে যাচ্ছে,, যেটা বাস্তবে সম্ভব না।
.
আমি মাথা নিচু করে ওর কথা গুলো শুনছিলাম,,, আমার কোন জবাব না পেয়ে ও আবার বললো...
.
----আমি পরশু দিন ফ্যামিলি সহ ঢাকা চলে যাবো,,,আর ওখানেই সেটেল হবো। তুমি ভালোথেকো এবং নিজের খেয়াল রেখো!!!
.
কথাগুলো বলেই ও চলে গেল আর আমি ওর চলে যাওয়া দেখছিলাম,,,ওদিন আমি আর ওর পিছু নেই নি,, কেন জানি ইচ্ছা করছিলো না!! কেমন জানি এক ধরনের চাপা কষ্ট বুকের ভিতর কাজ করছিলো।
>
নিহির মাধ্যমে জানতে পারলাম ওরা কাল সকাল ৬ টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ড এ থাকবে এবং ৬ঃ৩০ এর দিকে ওদের বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিবে,, আমি সময় মতো কাউন্টারে পৌছে গেলাম,,,এই টাইম টাতে কাউন্টারে খুব কম মানুষই থাকে তাই ওকে খুজে পেতে খুব একটা অসুবিধা হলো না,,, কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর পুর্বাকে দেখতে পেলাম ওর ফ্যামিলির সাথে,,,, দেখলাম ও এদিক-ওদিক তাকাচ্ছে,,, হঠাৎ ওর সাথে আমার চোখা-চোখি হলো,,, দেখে মনে হলো পুর্বা অনেকটাই অবাক হয়েছে আমাকে দেখে... আমি যে ওকে এখানে দেখতে চলে আসবো এটা হয়তো ও কখনো আশাই করে নি...আর না করাটাই অবশ্য স্বাভাবিক!!
>
১০ মিনিট লেট করে ৬ঃ৪০ এর দিকে বাস ছাড়লো,,,, বাসে উঠার আগে ও একবার আমার দিকে তাকালো,,,তারপর জানলার সিটে গিয়ে বসলো কিন্তু অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে,, যাতে আমার দিকে তাকাতে না হয় অথবা আমি ওর চোখের সামনে না পড়ি!!! বাসটা ঘুরে আস্তে আস্তে যেতে শুরু করলো আর আমি কাউন্টার এর সামনে দাঁড়িয়ে বাসের পিছন সাইড টা দেখছিলাম,,,হঠাৎ পুর্বা জানলা থেকে ওর মাথাটা বের করে আমার দিকে পিছন ফিরে তাকালো..তখন কেন জানি আমার মনে হলো এই ভালোসাটা একতরফা না, ওর তরফ থেকেও হয়তো কিছু একটা আছে!!!!!
.
সমাপ্ত
-------------------------------
written by sakin shikder (xen)
©somewhere in net ltd.