নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতার এই কঠিন বেড়াজালে আমি স্বপ্নের মধ্যে থাকতে ভালোবাসি। স্বপ্ন গুলো অনেক বড় হলেও মানুষটা আমি খুবই সাধারন।

সাকিন সিকদার (জেন)

একজন স্বপ্নবাজ মানুষ আমি!!!

সাকিন সিকদার (জেন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালোবেসে শুধুই যে বেধে রাখে!!!

০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫২




চারু চুপচাপ দোলনায় দোল খাচ্ছে আস্তে আস্তে,, ও আবার বেশি জোড়ে দোল খেতে পারে নাহ!! মাথা চক্কর দেয়। আর অপেক্ষা করছে শুভ্রর জন্য!! সেই সাথে মনে রয়েছে একরাশ অভিমান। কারন শুভ্রর জন্য অনেকক্ষন যাবত চারু অপেক্ষা করছে। দেরী করার অভ্যাসটা শুভ্রর শুরু থেকেই!! প্রথম যখন চারুর সাথে এই পার্কে দেখা করতে এসেছিলো,, সেদিনো ছেলেটা পাক্কা পনে এক ঘন্টা লেট করে আসে। কিন্তু চারুর তখন বিন্দু মাত্র রাগ হয়নি, কারন শুভ্রর চোখের মধ্যে অন্যরকম কিছু একটা দেখেছিলো,, যেটা বার বার চারুকে আকৃস্ট করে।

শুভ্রর সাথে চারুর প্রথম দেখা হয় সাকিনের বার্ডেতে! সেখানেই শুভ্রর সাথে পরিচয়। মুলত সাকিন ই পরিচয় করিয়ে দেয় ওদেরকে। প্রথম দেখায় চারু ক্রাশ না খেলেও,, একরকম ভালো লাগা জন্মে শুভ্রের প্রতি,, ছেলেটা কেমন জানি!! অল্পতেই মায়া জন্মিয়ে দেয় চারুর উপর। মুখে হালকা দাড়ি! চুল গুলো গোছানো,, পড়নে সাদা রং এর পাঞ্জাবি, হাতের নক কাটা, আর বিশেষ করে শুভ্রর পা অনেক ফর্সা! যতটা না ওর চেহারার। মাঝে মাঝে অবাক লাগে মানুষের পা এতো পরিস্কার হয় কিভাবে!!শুভ্র কে ব্যাপারটা জিজ্ঞেস করাতে অট্টহাসি দিতো। এমনভাবে হাসতো মনে হয় যেন আশ-পাশের লোকজন ওর দিকে তাকিয়ে থাকবে। যার দরুন চারুকে প্রায়ই বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। শুভ্রর এই একটা ব্যাপারই চারুর অসম্ভবরকমের বিরক্ত লাগে। কথা নেই- বার্তা নেই হঠাৎ করে উচ্চ স্বরে হেসে ফেলা। বিরক্ত হয়ে চারু জিজ্ঞেস করেই ফেলে,,,
.
" এতো হাসার কি আছে!! "
.
প্রতিউত্তরে শুভ্র মুচকি হেসে বলে,,,,
.
"চারু কি করবো বলো!! তোমার প্রতিটি কথা যে আমায় অনেক মুগ্ধ করে,, অনেকটা কবিতার মতো"
.
"মুগ্ধ করে তো সেটা মনযোগ দিয়ে শুনবা, এতে এতো হাসার কি আছে হাদারামের মতো"
.
এরপর শুভ্র,, চারুর চোখের দিকে তাকিয়ে বললো,,,
.
"আচ্ছা ঠিক আছে!! এরপর থেকে মুগ্ধ হয়ে শুনবো তোমার কথা"
.
শুভ্ররর নরম সুরের কথা শুনে চারু কেমন জানি লজ্জা পেয়ে গেলো।

চারু ভেবে পায় নাহ,, হয়তো ও শুভ্রকে বোকা বোকা প্রশ্ন করে এজন্য শুভ্র মনে হয় ওর কথায় বেশির ভাগ সময় হাসে!! কিন্তু প্রশ্ন না করেও চারু থাকতে পারে নাহ!! কেমন যেন অস্থিরতা কাজ করে ওর মাঝে। সম্পর্কের শুরুর পর থেকে শুভ্রর ব্যাপারে কৌতুহুল যেন আরো বাড়তে থাকে চারুর! শুধু এটুকু জানে শুভ্র এতিম খানায় বড় হয়েছে এবং একটি মাদ্রাসার টিচার যেটা সাকিনদের বাসার পাশে। চারুর এখন একটাই ইচ্ছা শুভ্রকে ওর ফ্যামিলির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়া এবং বিয়ের দিন-তারিখ ঠিক করা। তারপর বিয়ে হওয়া!! এই ভেবেই চারু নিজের মাঝেই আত্নহারা হয়ে উঠে।

২য় বার শুভ্রর সাথে দেখা হয় বইমেলার একটা স্টলে,, চারু শুরুতে চিনতে না পারলেও পরে ঠিকই চিনতে পারে। বিশেষ করে শুভ্রর পড়নে সাদা পাঞ্জাবি দেখে!!
.
" আপনি শুভ্র নাহ!!"
.
চারুকে এরকম হঠাৎ স্টলে দেখে অনেকটা চমকে যায় শুভ্র এবং সেটা লুকানোর চেষ্টা করে বলে,,,
.
" হ্যা!! কেমন আছেন আপনি?"
.
" জি ভালো। এতোগুলো বই কিনে ফেলেছেনে একদিনে!!"
.
শুভ্রর হাতে তখন ১০/১২টার মতো বই!! চারুর প্রশ্নে কিছুটা বিব্রত হয়ে শুভ্র জবাব দিলো,,,
.
"আসলে মাদ্রাসা সপ্তাহখানিকের জন্য ছুটি দিয়েছে, তাই সময় কাটানোর জন্যই বই গুলো কিনা! আপনি কোন বই কিনেছেন?"
.
মুলত চারুর হাতে কোন বই না দেখেই শুভ্র প্রশ্নটা করে বসে। তারপর চারু কিছুটা মন খারাপ করে বললো,,,
.
"না কিনি নি!! আমি দুসপ্তাহ ধরে মেলাতে ঘুরছি। প্রায় সব লেখকের গল্পই ভালো লেগেছে কিন্তু এখন কোনটা কিনে কোনটা কিনবো বুঝতে পারছি নাহ!!
.
শুভ্র হাসিমুখে ওর ওখান থেকে দুটো বই চারুর সামনে দিয়ে বললো,,
.
" এগুলা পড়তে পারেন। আশা করি ভালো লাগেব!"
.
চারুর কেমন জানি ইতস্ত করতে লাগলো!! শুভ্র ব্যাপারটা বুঝতে পেরে বললো,,,
.
" সমস্যা নেই,, আপনার পড়া শেষ হলে বইগুলো সাকিনকে দিয়ে যাইয়েন। আমি ওর কাছ থেকে পরে নিয়ে নিবো। "
.
পরক্ষনেই চারুর চেহারায় একটা নিশ্চিন্তের ছাপ দেখতে পেলো শুভ্র! ওদিন চারুর ব্যবহারে যথেষ্ট অবাক হয়েছে শুভ্র। কারন এর আগে সে এরকম সোজা-ঝাপ্টা মেয়ে দেখেনি। বিশেষ করে সামান্য ব্যাপারেই ওর দ্বিধায় জড়িয়ে পড়া। মাঝে মাঝে শুভ্রর মনে হয় চারুকে চাইলে যেকোউ সহজেই বোকা বানাতে পারবে। ভেবেই শুভ্র আপন মনে হাসে!!

বইমেলায় শুভ্রর সাথে দেখা হওয়ার ১৫/১৬ দিন পরেই শুভ্রর মাদ্রাসার সামনের কয়েকটা বিলিডিং পরেই সাকিনের মাধ্যমে চারু একটা কোচিং সেন্টারে পার্ট টাইম টিচার হিসেবে জয়েন্ট করে। এবং একই এলাকায় চাকরি করার সুবাদে দুজনের যোগাযোগ স্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়!! যার ফলে চারু আরো জটিল ভাবে শুভ্রর মায়ায় আবদ্ধ হয়ে যায়। ইদানীং রোজ ই চারু অপেক্ষা করে শুভ্রর মাদ্রাসার সামনে, যে কখন শুভ্র বের হবে। তারপর দুজন একসাথে বাস স্ট্যান্ড থেকে বাস উঠবে। কিন্তু শুভ্রর বলতে গেলে এই ব্যাপারে তেমন কোন ফিলিংস নেই। বড্ড শান্ত রকমের ছেলে শুভ্র। কোন কিছুতেই যেন তার তেমন কোন প্রতিক্রিয়া নেই! একবারে শান্তশিষ্ট যাকে বলে। শুভ্রকে দেখে চারু যতটা নাহ উত্তেজিত হয়ে পড়ে,, শুভ্র ততটাই স্বাভাবিক থাকে! বিশেষ করে বাসে উঠার সময়। যখন ওরা দুজন একই সিটে বসে। ভুল করে যখন চারুর হাতটা শুভ্রের হাতের ছোয়া পায় চারুর ভিতরে ভিতরে কেমন যেন শিহরিত হয়ে পড়ে!! আর সেই সাথে অনেক লজ্জাও পেয়ে যায়। কিন্তু শুভ্রর সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। ছেলেটা যেন সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে দেখে। ব্যাপারটা চারুকে কেমন জানি অস্থির করে তোলে, কারন এতোদিনে অন্য যেকোন ছেলের বুঝে উঠার কথা, যে একটা মেয়ে তাকে কি বলতে চায়। অস্থিরতা কেমন জানি ছাড়তেই চায় নাহ, ঝড়ের গতিতে যেন বাড়তেই থাকে চারুর ভিতরে,, যখন সে শুভ্রর সাথে থাকে। এ কেমন অনুভুতি! চারু সেটা ভেবে কোন কুল-কিনারা পায় নাহ। নিজেকে একদিন ধরে রাখতে না পেরে সবকিছু বলে দেয় শুভ্রকে এবং হঠাৎ চারুর মুখ থেকে এরকম কথা শুনাতে শুভ্র যথেষ্ট হতভম্ব হয়ে পড়ে। কারন সে এরকম প্রতিক্রিয়া চারুর কাছ থেকে মোটেও আশা করেনি,, সে চারুকে শুধুই নিজের ভালো একজন বন্ধু ভেবে ছিলো!!

শুভ্র সাফ মানা করে দেয় যখন চারু ওকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।এতে চারু অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়ে এবং কিছুক্ষন হা হয়ে শুভ্রর দিকে তাকিয়ে থাকে, ভাবতেই পারেনি চারু,, যে শুভ্র সরাসরি চারুকে মানা করে দিবে!!তাও আবার এতো দ্রুত!! তারপর জিজ্ঞেস করাতে শুভ্র বললো,,,
.
"এখন আমার হাতে কোন জমানো টাকা পয়সা নেই"
.
চারু কোমল কন্ঠে বললো,,,,
.
"দেখো আমার টাকা-পয়সার দরকার নেই, শুধু আমার জীবনে এখন তুমি থাকলেই হলো!!"
.
কথা শুনেই শুভ্রর মেজাজ চিরচিরে হয়ে গেল!!
.
" সিনেমার ডায়লগ মেরো না তো চারু! আমার এগুলা শুনতে অসহ্য লাগে।
.
"ও!! আমার কথা এখন সিনেমার ডায়লগ হয়ে গিয়েছে!!"
.
কথাটা বলার পর পরই চারুর চোখে পানি চলে আসলো। ব্যাপারটা দেখার পরই শুভ্র অনেকটা অস্থির হয়ে পড়লো চারুর কান্না থামতে!!
.
" আচ্ছা আমাকে কটা দিন সময় দাও চিন্তা করে বলি! বিয়ে-শাদির ব্যাপার হুট করেই তো করা যায় নাহ!!"
.
চারু কান্নাজড়িত কন্ঠে বললো,,,
.
" এখানে চিন্তা করার কি আছে!! তোমাকে আমার বিয়ে করতেই হবে শুভ্র নাহলে আমি তোমাকে ছাড়বো নাহ"
.
অনেকটা রেগে গিয়ে কথা গুলো শুভ্রকে বলে ফেললো। কান্না আর রাগ এই দুটো অনুভুতি চারুর সহজে আসে নাহ,, আর যদি আসে তাহলে বুঝতে হবে, চারু কোন ব্যাপারে ভিষন কস্ট পেয়েছে। ছয় মাসের পরিচয়ে এবং দুবছরের রিলেশনে শুভ্র এটা খুব ভালো করেই জানে। শুরুতে চারু একদমই মেনে নিতে পারে নি। অনেক কান্নাকাটি করেছে শুভ্রের কাছে। শেষে গিয়ে শুভ্র চারুর কাছে দুবছর সময় চায়,, সব কিছু গুছিয়ে নেওয়ার জন্য! কিন্ত তাতেও চারু একদম রাজি হচ্ছে নাহ। ও চায় ২/৩ মাসের মধ্যেই বিয়েটা হউক,,যেটাতে শুভ্রর একদম মত নেই। শুরুতে শুভ্রকে কেমন জানি প্রতারক মানুষ মনে হচ্ছিলো চারুর! কিন্তু পরে গিয়ে চারুকে বোঝাতে সক্ষম হলো শুভ্র কেন সময় চাচ্ছে। কারন শুভ্রর হাত খালি!! তার উপর শুভ্র থাকে মেসে। তাই বিয়ের আয়োজন ২/৩ মাসে সম্ভব নয়। মিনিমাম দেড় বছরের মতো সময় লাগবেই। একটা সময় চারুও ব্যাপারটা বুঝতে পেরে পরিস্থিতি মেনে নেয়!! মনে মনে বলে দুবছরই তো, সেটা নাহয় দেখতে দেখতেই চলে যাবে।

ওদিনের বাসের ঘটনার পর শুভ্র অনেকটাই বিব্রত হয়ে পড়ে চারুর ব্যাপার। আসলে চারুর পছন্দ যে শুভ্র হবে,,সেটা অনেকটাই চমকে দেওয়ার মতো বিষয় শুভ্রের কাছে। কেননা শুভ্রের মতে সে তেমন অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী নাহ! যে মেয়েরা তাকে নিজ থেকে প্রপোজ করবে। শুভ্র প্রথমে চিন্তা করলো ফিরিয়ে দিবে চারুকে। কিন্তু পরে চারু এমনভাবে শুভ্রকে তার মনের অনুভুতিগুলো প্রকাশ করলো,, যেখানে শুভ্রের মনটা কিভাবে যেন চারুর মায়াতে আটকে পড়ে গেল। বলতে গেলে শুভ্রর চারুকে ভালো লেগে যায়। বিশেষ করে চারুর অসম্ভব রকমের সরল চিন্তা-ভাবনাটা। যার মধ্যে কোন প্যাচ নেই। তবে শুভ্রর একটা ব্যাপার চারুর খুব ভালো লাগতো আর সেটা হলো শুভ্র খুব সুন্দর করে কুরাআন শরীফ তেলাওয়াত করতে পারতো। যেটা চারুর শুনতে বেশ ভালো লাগে। আর রিলেশনের পর থেকে শুভ্রই চারুর বেশি খোজ-খবর নেওয়া শুরু করে। বিশেষ করে নামাজের টাইমের ১০/১৫ মিনিট আগে। ফোন দেওয়ার মুল উদ্দেশ্যই থাকে, চারুকে নামাজ পড়ার জন্য তাগিদ দেওয়া,, যাতে চারু রেগুলার নামাজ পড়ার ব্যাপারটা মেইনটেইন করে। রিলশনের শেষের দিকে দুজন-দুজনকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছিলো, যদিও দুজনের ভালোবাসার ধরন ছিলো ভিন্ন। তারপরেও তারা বেধে রাখতো তাদের সম্পর্ককে নিজেদের ভালোবাসা দিয়ে!!

সুর্যটা আস্তে আস্তে ডুবছে এবং সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। চারু এখন দোলনা থেকে উঠে, পশ্চিমের দিকে তাকিয়ে রইলো। হঠাৎ করেই চারুর চোখে পানি জমতে শুরু করলো। সেদিন শুভ্রর সকালের দিকে চারুর বাসায় যাওয়ার কথা ছিলো। চারুর বাবা-মার সাথে নিজেদের বিয়ের ব্যাপারটা নিয়ে কথা বলার জন্য। সত্যি কথা বলতে শুভ্রর মনেও অনেক আনন্দ হচ্ছিলো, যে সে তার প্রথম ভালোবাসার মানুষটাকে পেতে যাচ্ছে। যেটার সৌভাগ্য পৃথিবীর খুব কম মানুষেরই হয়!!বাস স্ট্যান্ডের দাঁড়িয়ে সকাল ১১ টার বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলো শুভ্র। হঠাৎ!! বিকট শব্দে পুরো এলাকা কেপে উঠলো। লোকজন ছোটাছুটি করতে থাকে এদিক-ওদিক এবং তাদের মুখে শুনতে পাওয়া যায় বোম-ব্লাস্ট হয়েছে বাস স্ট্যান্ডে। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে বাসস্ট্যান্ডে যারা দাঁড়িয়ে ছিলো তারা সবাই মারা যায়। পুলিশ এসে পুরো এলাকাটা ঘিরে ফেলে এবং লাশ গুলো সনাক্তের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। সেদিন চারু সারাটাদিন শুভ্রর জন্য অপেক্ষা করে। শুভ্রকে অনেকবার ফোন ও করে চারু কিন্তু ফোন বন্ধ! পরের দিন পত্রিকাতে শুভ্রের ছবি দেখে চারু মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যায়। টানা দুদিন হাসপাতালে বেহুশ থাকার পর চারুর জ্ঞ্যান ফিরে কিন্তু পরক্ষনেই মনে পরে যায়, যে শুভ্র আর এই পৃথিবীতে নেই। চলে গেছে না ফেরার দেশে!! প্রতিদিন শুক্রবার চারু এই পার্কটাতে এসে দোলনায় বসে শুভ্রের জন্য অপেক্ষা করে, এই বুঝি শুভ্র আসবে বলে!! জায়গাটা দুজনেরই খুব পছন্দের ছিলো এবং প্রতি শুক্রবার চারু আর শুভ্র পার্কের এই দোলনার এখানেই দেখা করতো। তবে আজো চারু ভালোবেসে বেধে রেখেছে শুভ্রকে ওর হৃদয়ে!!!!
-------------------------
(সমাপ্ত)
..............
লিখাঃ সাকিন সিকদার

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৩০

অবনি মণি বলেছেন: :``>>

২| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:০২

সাকিন সিকদার (জেন) বলেছেন: হা হা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.