নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতার এই কঠিন বেড়াজালে আমি স্বপ্নের মধ্যে থাকতে ভালোবাসি। স্বপ্ন গুলো অনেক বড় হলেও মানুষটা আমি খুবই সাধারন।

সাকিন সিকদার (জেন)

একজন স্বপ্নবাজ মানুষ আমি!!!

সাকিন সিকদার (জেন) › বিস্তারিত পোস্টঃ

অব্যক্ত অনুভুতি

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০




তমা অনেকক্ষন ধরে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছে! আর বার বার ওড়না দিয়ে নিজের চোখের পানি মুছার চেষ্টা করছে। তমা জানে এতে কোন লাভ নেই! ওর কান্না সহজে থামবে নাহ। ব্যাপারটা আসলে সুমনকে নিয়ে! ছেলেটা যে এভাবে ওর মন ছুয়ে দিবে, সেটা তমার কখনো কল্পনাতেও আসেনি। বিশেষ করে সুমনের ডায়েরিটি পড়ার পর!!
২৫/০১/২০০৫
ছোট বেলা থেকেই ডায়েরী লেখার অভ্যাস ছিলো কিন্তু সেটা এসএসসির পর অনেকটাই থেমে যায়। মাঝখানে কলেজ লাইফে তেমন কিছু লিখা হয়নি ডায়রিতে। আসলে ওরকম বিশেষ কিছু ঘটেই নেই ডায়েরিতে নোট করার মতো।যেমনটি স্কুলে থাকাকালীন এক্সাইটমেন্ট কিছু একটা ঘটলেই ডায়েরিতে লিখে ফেলতাম। সেটা সিরিয়াস হউক কিংবা হাসির কোন ঘটনা। পরে সেই লিখা গুলো পড়ে নিজেই মনে মনে হাসতাম। কলেজ জীবনটা হঠাৎ করেই কিভাবে যেন শেষ হয়ে যায়! আর ওখানে তেমন কোন বন্ধুবান্ধবো হয়নি। তাছাড়া এসএসসি এক্সাম একটু খারাপ হওয়াতে ইন্টারটা নিয়ে বেশ সিরিয়াস ছিলাম। ক্লাস শেষ হওয়ার পর পরই টিচারের কাছে চলে যেতাম পড়তে। পড়া শেষ করে আবার বাসায় এসে বই নিয়ে বসতাম। এভাবে দেখতে দেখতে ইন্টার শেষ হয়ে যায় আমার। ইন্টারের পুরো দুটো বছর আমার কলেজ-কোচিং-বাসা এই চক্রের মধ্যেই কেটে যায়। তারপর ইন্টার পরীক্ষাটা দেই । আল্লাহর রহমতে রেজাল্টাও আশানুরুপ ভালো হয়। আজ ভার্সিটির প্রথম দিন। একটু পরেই ভার্সিটির দিকে রওনা দিবো। ভিতরে অনেক চাপা উত্তেজনা কাজ করছে। জীবনে আর একটি নতুন অধ্যায় শুরু হবে। আল্লাহর কাছে এই দোয়াই করি, অনার্সেও যেন ইন্টারের মতো ভালো রেজাল্ট করতে পারি। নিজের সপ্ন গুলো পুরন করতে যে আরো অনেক পথ পারি দিতে হবে!!
০৪/০২/২০০৫
প্রায় সপ্তাহখানিকের বেশি হয়ে গেলো ভার্সিটির ক্লাস করছি,, স্যার দুটা এসাইন্টমেন্ট দিয়েছে। যেহেতু প্রথম বর্ষের শুরু,, তাই সবাই একটু সিরিয়াস পড়াশোনা নিয়ে। সেই সাথে আবার ক্লাস টেস্ট শুরু হয়ে যাবে কিছুদিন পর। তবে ক্লাসে মোটামুটি এখন প্রায় সবার সাথেই পরিচিত হয়ে গেছি। আমার একটা অদ্ভুত রকমের স্বভাব আছে,, খুব সহজেই মানুষের সাথে মিশে যেতে পারি এবং সেটা অনেক দ্রুত। তাই বন্ধুমহলে পরিচিত হয়ে উঠতে খুব বেশি একটা সময় লাগলো নাহ। আর একমাত্র পড়াশোনার চাপ ছাড়া ভার্সিটিতে আমার সব কিছুই ভালোভাবে চলছে।
১৭/০৩/২০০৫
ইফতির সাথে আজকে বিকেলের দিকে ধানমন্ডি লেকে আমার একদমই যাওয়ার ইচ্ছা ছিলো নাহ কিন্তু বেটা এমন জোড়াজুড়ি করলো যে বাধ্য হয়ে যেতেই হলো। বিগত ৬ মাস ধরে ফেবিতে প্রেম করছে সে। আজকে ফাস্ট দেখা করেছে। মেয়েটির নাম শিরিন। ওর সাথে আর একটা মেয়েও ছিলো। একটু শ্যামলা করে দেখতে কিন্তু পরিচিত হয় নি। আমি একটু দূরে দাড়িয়ে ছিলাম। দশ-পনেরো মিনিটের মতো ওরা কথা বলে। অবশ্য একটা সময় শ্যামলা করে মেয়েটা একটু দূরে সরে আসে ইফতি আর শিরিনকে প্রাইভেসি দেওয়ার জন্য! অদ্ভুত লাগলেও ব্যাপারটা এরকম আমি আর মেয়েটা দুজন দুপ্রান্তের বেঞ্চিতে বসে আছি আর ইফতি ও শিরিন আমাদের থাকে একটু সামনের বেঞ্চিতে বসে কথা বলেছে! আরো ঘন্টাখানিকের মতো কথা বলে দুজন দুজনকে বিদায় দিয়ে আসার পর,, ইফতিকে শ্যামলা মেয়েটার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করাতে জানতে পারলাম, মেয়েটির নাম তমা এবং ও শিরিনের কাজিন। তবে মেয়েটার যেই ব্যাপারটা ভালো লেগেছে, সেটা হলো সাদা কালারের ড্রেসটা, যেটা মেয়েটার সাথে বেশ মানিয়েছে। ইফতি আর শিরিনিরে কথোপকথনের সময় প্রায়ই আড় চোখে একটু একটু করে তাকাচ্ছিলাম মেয়েটার দিকে। মেয়েটার আর একটা ব্যাপার আমার ভালো লেগেছে সেটা হলো,, এক দৃস্টিতে ওর আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকা,, মনে হয় তমার শেষ বিকেলের আকাশটা অনেক পছন্দের!!
১৫/০৪/২০০৫
মজার ব্যাপার হলো কাল নববর্ষে তমার সাথে আমার আবার দেখা হয়! আসলে শিরিনের একারই আসার কথা ছিলো ইফতির সাথে দেখা করতে কিন্তু ওর মা রাজি হচ্ছিলো না বলে শিরিনের সাথে তমাকেও পাঠায়। তবে দুজনই বেশে সেজেছিলো। ম্যাচিং করে লাল-সাদা শাড়িও পড়েছে। তবে শিরিন হিজাব পড়লেও, তমা খুব সুন্দর করে চুলে খোপা করেছে। অবশ্য কাল শুধু তমার সাথে দেখাও হয়নি বরঞ্চ পরিচিতও হয়েছি শিরিনের মাধ্যমে! কথায় কথায় জানতে পারলাম যে তমা এবার এক্সাম দিয়েছে ইন্টার। এখন সে কোচিং করছে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য!! তবে মেয়েটাকে প্রথম দেখাতে যতটা মিশুক ভেবেছিলাম, ততটা নয়... অনেকটা গম্ভীর স্বভাবের। যেটা আমার একদম অপছন্দ! কিন্তু শিরিন আর ইফতির সাথে খুব ভালোভাবেই কথা বললো। হয়তো ও মিশুক,, মনে হয় অপরিচিতদের সাথে সহজে পরিচিত হতে পারে নাহ!! বা চায় নাহ। আর আমি যখনই ওর সাথে কথা বলতে চেষ্টা করেছি, তখনই কেমন একটা গম্ভীর ভাব ধরে বসে,,,,
১৬/১২/২০০৫
রাত প্রায় ১ টার মতো বাজে! রুমের ঘড়ির কাটাটা টিক টিক করে হালকা শব্দ করছে। আমার কানে শুধুই এখন তমার গলার আওয়াজটা বাজছে। আজ বিজয় দিবসে আমি, ইফতি আর শিরিন, তমার কলেজের গানের প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম। সাধারনত এই ধরনের প্রোগ্রাম গুলো আমার কাছে অনেক বোরিং লাগে। শুধু ফর্মালিটি রক্ষা করতে যাওয়া আর কি! মুলত ইফতির জোড়াজুড়িতেই যেতে হয়েছে আজ! অবশ্য না গেলেও এরকম একটা ব্যাপার মিস করে ফেলতাম। আর সেটা হলো তমার কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীত শুনা! এতো সুন্দর গলার আওয়াজে রবীন্দ্রসংগীত শুনা,সেটা শুধু টিভিতেই দেখা হতো!! আজ সরাসরি দেখলাম। শুধু রবীন্দ্রসংগীত নয়, আরো কয়েকটা দেশাত্মবোধক গান গেয়েছে তমা আর সব গুলোই আমার খুবই ভালো লেগেছে। আমি শুধু মুগ্ধ হয়ে ওর দিকে তাকিয়ে গান শুনছিলাম। সত্যি কথা বলতে এই প্রথম কোন অনুষ্ঠানে আমার এতোটুকু বোর লাগেনি!!
২৮/১২/২০০৫
এমনটা কখনো হয়নি এর আগে কারো জন্য! এতোটা মায়া, এতোটা ভালো লাগা, অল্প কয়দিনে মানুষটাকে নিয়ে অনেক গুলো স্বপ্ন দেখা নিজের মনের আঙিনায়! নিজেকে আজকাল কেমন যেন কবি কবি লাগে। সবকিছু যেন কাব্যিক দৃস্টিতে দেখি আমি,, একটা অসম্ভব রকমের মায়ার জালে আটকে গেছি। স্কুলে-কলেজে অনেক মেয়ের সাথেই কথা বলেছি কিন্তু কারো প্রতি আমার মনের অনুভুতি গুলো এরকম ব্যক্ত হয়নি। তাহলে শুধু তমার ক্ষেত্রেই কেন হলো এরকম !ওর সাথে আমার পরিচয় মাত্র অল্প কয়দিনে আর মেয়েটা দেখতে আহামরি সুন্দরীও না যে চট করে প্রেমে পড়ে যাবো,,,,
১৩/০২/২০০৬
ভাবতেছি কাল ভ্যালেন্টাইন ডে তে তমাকে নিজের মনের কথা বলেই দিবো কিন্তু কি না কি মনে করে আবার! আর ওর সাথে তেমন ভালোভাবে কথাও হয়নি এখন পর্যন্ত আর সেরকম কোন সুযোগো পায়নি ।মাসখানিক হয়ে গেলো ওর কোচিং এর সামনে ঘোরাঘুরি করছি। ওর দেখা পেয়েও যাই কিন্তু সামনে গিয়ে কথা বলতে ইচ্ছা হয় নাহ! একরকমের লজ্যা কাজ করে ভিতরে। আর এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকি যেন তমার চোখে সহজে না পড়ি। চোখে পড়লেই হয়তো খারাপ ভাবতে পারে কিংবা ডেকে জিজ্ঞেস করতে পারে আমি এখানে কি করছি!! তাই দূর থেকে দেখে যাওয়াটাই আমার কাছে বুদ্ধিমানের কাজ বলে মনে হয়। ভিতরে কেমন যেন একটা স্বস্তি পাই যখন আমি তমাকে দেখি,,,
১৫/০২/২০০৬
সম্ভবত এখন মাঝ রাত হবে, ঘুম যেন কিছুতেই আসছে নাহ! বিছানাতে খালি এপাশ-ওপাশ করছিলাম। আর দেওয়াল ঘড়িটাও নষ্ট হয়ে গেছে, তাই সঠিক সময়টা এখন বলতে পারছি নাহ! বিশেষ করে কালকের দিনটাই একদম অন্যরকম কেটেছে আমার! আমি ১২টি তাজা লাল এবং মাঝখানে একটি সাদা গোলাপ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম তমার জন্য! কিন্তু ও যখন কোচিং সেন্টারে রিক্সা থেকে নেমে ঢুকলো, তখন মনে হচ্ছিলো আমার পা তে কেউ বরফের স্তুপ দিয়ে আটকে দিয়েছে যেন ওর সামনে না যেতে পারি। প্রায় পনে এক ঘন্টা পর আবার তমাকে বের হতে দেখলাম,, তখনো আমি দাঁড়িয়ে আছি এমন জায়গায় যাতে সহজেই তমার চোখে পড়ে যাই! কিন্তু ও আমাকে ঠিকমতো না দেখেই রিক্সা নিয়ে বাসার দিকে যেতে লাগলো। ভাবলাম আজ না হয় তো আর কোনদিন বলা হবে নাহ! তাই আমিও তাড়াহুড়া করে একটা রিক্সা নিয়ে ওর পিছু নিলাম। বার বার মনে হচ্ছিলো ওকে পিছন থেকে ডাক দেই, কিন্তু একদমই সেটা পারছিলাম না,, গলা আটকে যাচ্ছিলো এমন অবস্থা!! আর বুক ধড়ফড় এর ব্যাপারটা তো আছেই, যা হচ্ছিলো প্রতি সেকেন্ডে। কিন্তু তমাকে কেন জানি আর বলতেই পারিনি কাল, নিজের উপর আগে এতো প্রেসার যায়নি। তমাকে শুধু ওর বাসা পর্যন্তই ফলো করেছিলাম,,, ডাক দিবো ডাক দিবো বলে আর দেওয়া হয়নি!! মনে হচ্ছি খুব কঠিন প্রেমে পড়েছি মেয়েটার,,,,
০১/০৭/২০০৬
ইদানীং আর তমার কোচিং এর দিকে যাই নাহ! সত্যি কথা বলতে মন উঠে গেছে আমার!! কেমন জানি একটা বিরক্ত চলে আসছে নিজের উপর! মেয়েটার সামনে গেলেই যেন সব কিছু হুরহুরিয়ে গুলিয়ে ফেলি। এখন অনেকটাই হাল ছেড়ে দিয়েছি ,,, মনে হচ্ছে ওর সাথে আমার হবে নাহ!! যেই মেয়ের সাথে ঠিকমতো কথাই বলতে পারছি নাহ,, তার সাথে আবার পরে প্রেম করবোই বা কিভাবে!!!
১৬/০১/২০০৭
আজকে তমা আমাদের ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে!! প্রথমে বিশ্বাস করতে পারিনি, পরে নিজেই প্রথম বর্ষ ব্যচে খোজ নিয়ে জানতে পারি আসলেই মেয়েটা আমাদের এখানে ভর্তি হয়েছে। মাথার উপর যে বিশাল একটা চাপ ছিলো সেটা এখন অনেকটাই কম লাগছে!! নিজের ভিতরে অনেক শান্তি অনুভব করছি। এবার মনে হচ্ছে কিছু একটা হবেই,,বছরের শুরুতে এরকম ভালো কিছু যে একটা হবে সেটা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি,,,
১৯/০৯/২০০৭
একটু সময় লাগলেও তমার সাথে এখন আমার অনেক ভালো পরিচয় হয়ে গেছে। অবশ্য ও নিজে থেকেই আমার সাথে ফ্রি হয়েছে। প্রথম প্রথম ওর সাথে কথা বলার সময় কেমন তোতলা হয়ে যেতাম। তবে এখন আর অবশ্য সেটা হয় নাহ। তমার পরিচিত বলতে আমি আর ইফতিউ ছিলাম, আমি যতুটুকু জানি মেয়েটা সহজে কারো সাথে মিশতে পারে নাহ, একদম পরিচিত ছাড়া! ও বেশ সময় নিয়ে ফেলে মানুষের সাথে মিশতে। এতোদিন তমার সাথে কথা বলে যা বুঝতে পারলাম, আর ইফতি বেশির ভাগ সময় শিরিনকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতো, তাই সেই সুবাদে কোন দরকার পড়লে তমার আমার কাছেই আসা হতো! এবং এভাবেই আস্তে আস্তে, বলতে গেলে কছপ্পের গতীতে তমা আমার সাথে ফ্রী হয়, আর একটা ব্যাপার হলো, তমা সহজে কাউকে বিশ্বাস করতে পারে নাহ! তাই মনে হচ্ছে প্রোপজটা ওকে আরো পরে করতে হবে, তা না হলে যতটুকু কাছে আসতে পেরেছি ওর, ততটুকুতেই আমার থামতে হবে, আগাতে পারবো নাহ! আচ্ছা মেয়েটা এমন কেন,, আমি যে ওকে কত ভালোবাসি সেটা ওর একটু হলেও তো বোঝা উচিত,,,
১৫/০৪/২০০৮
তমা খুব বিরক্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো আজ!! ও মনে হয় অনেকটা আচ করতে পেরেছিলো, যে ওকে এভাবে ফোন করে কেন ডেকে এনেছিলাম ধানমন্ডি লেকের দিকে। আমি বলেতে চেয়েছিলাম কিন্তু পরিনি, কারন ওর চেহারায় কেমন যেন একটা না সুচক জবাব পেয়ে যাই আমি। তাই শুধু এটুকু বলে চলে আসি 'বড্ড মায়াবী তুই, তোর মন, তোর চোখ, তোর লম্বা কালো চুল, যা আমার অনেক বেশি ভালো লাগে' । তবে আমি সিধান্ত নিয়েছি যে এরপর থেকে তমার সাথে নিজ থেকেই যোগাযোগ বন্ধ করে দিবো, ও যদি আমাকে সত্যিই ভালোবেসে থাকে,, তাহলে একসময় না একসময় আমার খোজ নিবেই!
২৯/১২/২০০৮
মা অনেকে কেদেছে এই কয়দিন, কান্না ছাড়া তার মুখ থেকে আর কোন কথাই বের হচ্ছে নাহ! যতই শান্ত করার চেষ্টা করি, ততই অস্থির হয়ে উঠেন। বিষয়টা যেন উনি কোনভাবে মেনেই নিতে পারছেন নাহ। তাই আমি প্রায় সময়ই বাইরে থাকি, ইচ্ছা করেই রাত করে বাসায় ফিরি, যাতে সহজে উনার চোখে না পড়ি, আগে একটু দেরি করে ফিরলেই আপু চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিতো! এখন ও চুপ করে থাকে, কিছু বলে নাহ। মাঝে মাঝে তমার কথা খুব মনে পড়ে যায়, আর শুধুই মনে হয় ওদিন যদি ওকে বলে দিতে পারতাম, তাহলে হয়তো অন্যরকম কিছু একটা হলেও হতে পারতো! মনে কিছুটা হলো স্বস্তি পেতাম, এখন যেটা পাচ্ছি নাহ। অবশ্য এখন প্রপোজ করে খুব একটা লাভ হবে নাহ বরঞ্চ আমি আরো বেশি কষ্ট পারো!!
০৬/১১/২০০৯
প্রায় বছরখানিক পর মনে হয় আবার ডায়েরী লিখতে বসলাম। এটাই হয়তো শেষ লিখা হবে। কলেজে উঠার পর থেকেই আমার সিগেরেট খাওয়া বেড়ে যায়, যাকে বলে নিকোটিনের নেশা এবং যেই নেশাটা অনেকটা মনো-মুগ্ধকর বলা চলে। ভেবেছিলাম হয়তো এটার প্রতিক্রিয়া বিশ/পচিশ বছর পড়বে কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি ফল ভোগ করতে হবে তা আমি দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি, অবশ্য এখন ভেবে লাভো নেই। আর কিছুদিন পর আমি নিজেই থাকবো নাহ। মা, আপু প্রায়ই দেখতে আসে আমায় হাসপাতালে কিন্তু এই সপ্তাহখানিকের জন্য তাদের আসতে মানা করে দিয়েছি! কি হবেই বা এসে শুধু শুধু কস্টটা বাড়িয়ে, তবে তমাকে বড্ড দেখতে ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে, ভার্সিটি ছেড়ে আসার পর মেয়েটার সাথে আর দেখাই হয়নি বলতে গেলে! জানি নাহ কেমন আছে তমা, মাঝে মাঝে ওর খোজ নিতে অনেক ইচ্ছা হয় কিন্তু..... পরে ভেবে দেখি কি দরকার, খালি খালি মায়াটা বাড়বে! এখন শুধু মনে মনে এই দোয়াই করি, আশ-পাশের মানুষ গুলা যেন ভালো থাকে।
*
বিঃদ্রঃ তমা ডায়েরিটা ইফতির মাধ্যমে পায় সুমনের মৃত্যুর কয়েকদিন পর। তবে আজো তমা সময় পেলেই ধানমন্ডি লেকে চলে যায় এই আশায়, যে সুমন আসবে বলে!!
.
সমাপ্ত
-------------------------------
লিখা:সাকিন সিকদার

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


কারো ভালো লেগে থাকলে জানাবেন।

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

সাকিন সিকদার (জেন) বলেছেন: আপনার ভালো লাগেনি!!

৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: ডায়েরির তারিখ গুলি ইন্টারের দিনের কথা মনে করিয়ে দিল।
আপনার লিখা ভাল লেগেছে

৪| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

চাঁদগাজী বলেছেন:


লেখার ১ লাইন পড়ার পর, অন্য লাইন পড়ার জন্য একটা টান থাকতে হয়; আপনার লেখার অনেক লাইনই একই রকম।

৫| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

সাকিন সিকদার (জেন) বলেছেন: সমলোচন করার জন্য ধন্যবাদ। আর তার চেয়ে বড় কথা আমি অতো ভালো লেখক নই!! #চাদগাজী

৬| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সাকিন সিকদার (জেন) বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে আমার লিখা পড়ার জন্য #ডার্ক ম্যান

৭| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৩৯

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: লিখা পট অনেক সুন্দর করে গুচিয়েছেন। যথেষ্ট চেষ্টা ছিল একটা আকর্ষিক লিখা করে তোলার জন্য। হয়তো তা পারেন নি। তাতে কি । লিখকরা একদিনে চূড়াতে উঠেনি। এবার ভাল লেগেছে আবার তা চেয়ে বেশি ভাল লাগবে। একদিন সেলিব্রেটি হয়ে যাবেন। চেষ্টা চালিয়ে যান। ভাল করবেন একদিন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৪১

সাকিন সিকদার (জেন) বলেছেন: অনেক সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ!!

৮| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:০৫

রায়হানুল এফ রাজ বলেছেন: লেখার পটভূমি ভালো ছিল, কিন্তু পড়ার জন্য যথেষ্ট আসক্তি ছিল না। এটা ভেবে দেখবেন।

২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৩৮

সাকিন সিকদার (জেন) বলেছেন: জি ধন্যবাদ ভাই!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.