![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
¬¬¬
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৩ তম জন্মদিন উদযাপন হল আজ । যে ভার্সিটি দেশের জন্মে অবদান রাখে সেখানে তার নিজের জন্মে তেমন অনুষ্ঠান পরিলক্ষিত হয়না ।অকৃতজ্ঞ জাতিসত্ত্বার এক চরম নিদর্শন হচ্ছে এটা । ‘জমিদার কবি’ রবিদার ‘মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়’ আজো মুক্ত হত পারেনি দলীয়করণের বেড়াজাল থেকে। শিক্ষার্থিদের নিরাপত্তা আজো নিশ্চিত করতে পারেনি ৫২ এঁর ভাষা আন্দোলনে অবদান রাখা এই বিশ্ববিদ্যালয়টি । লেখাপড়ার রাজনৈতিক পরিবেশ ছাড়া পড়াশুনার পরিবেশ তুলনামুলক কমই দেখা যায় । আল মাহমুদের ‘ডাকাতদের গ্রাম’ খ্যাত এখানেই আজো ঘটে ঢাকার সব সেরা চাদাবাজি। রাজধানীর বড় অস্ত্রের মজুদ পাওয়া যাবে এখানকার হলগুলোতে ।
গেস্ট রুমের নামে মুজিবীয় /জিয়া স্টাইলের শিক্ষা নবীন স্টুডেন্টদের মাঝে সর্বদাই আতঙ্কের । মাঝে মাঝে মাঝরাতে নির্জাতনে লুটিয়ে পড়া ভাইয়ের চিৎকারে ঘুম এখনো অনেকেরই ভেঙ্গে যায় । আকবর আলী খান স্টাইলে ‘শূয়রের বাচ্চা’ প্রক্টরিয়াল বডির ‘হিজড়া’ সদস্যরা ‘চেতনার’ পারমিশন ছাড়া অসুস্থ ছাত্রটিকে হসপিতালেও নিতে ভয় পায় । মেরুদণ্ডহীন প্রভোস্ট তার মোছ টানতে টানতে বলে কে তুমি? এত রাতে ফোন দিয়েছ ? বিষয়টা আমি দেখছি! দেখতে দেখতে কখনো কখনো গ্রামের কৃষক বাবার হাড়ভাঙ্গা খাটুনির টাকায় পড়াশুনা করতে আসা হতভাগ্য তরুণটির ঠিকানা শাহবাগের বন্দীশালায়। দুখী মায়ের নাড়িছেড়া ধনকে কেউ দেখতে গেলে ‘অজাইত্যা’ পুলিশ ঘেউ ঘেউ করে উঠে টাকার জন্য । এজন্যই বুঝিবা আমরা পুলিশ ফ্যামিলিতে কোন ভালো মানুষ খুঁজে পাইনা ।
‘এন্টি গোপালি’ কেউ ক্যাম্পাসের মল চত্বর দিয়ে হাঁটলে ‘ডেমাগগ’ নেতার উত্তরসুরিরা জানোয়ারের ন্যায় ঝাঁপিয়ে পড়ে । কখনো মামা হোটেল থেকে ধরে নিয়ে যায় । কখনোবা পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়ে বিরোধীদের উপর চালায় পাকিস্তানি অত্যাচার । সেন্ট্রাল লাইব্রেরী,শহিদ মিনার,টিএসসি,সেন্ট্রাল মসজিদ ,কলাভবন কোথাও নিরাপদ নয় সাধারণ ছাত্ররা । ঘুম থেকে হয়তো জেগে উঠে কোন এক ‘কাইল্যা’ বলবে এটা শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল ।
চাঁদাবাজি আর বিল বোর্ডের ব্যাবসা নিয়ে কখনো কাউকে অপহরণ, গুম করে হলে নিয়ে আসা , আভ্যন্তরীণ কোন্দলে চাপাতির চকচকানি, পা তুলে গুলি ভরতে থাকা কোন এক কুলাঙ্গার, শিক্ষকের উপর হামলা ,হল গেটে ইভটিজিং,কন্সার্টিং ব্যাবসা , হল এন্টি হল কোপাকুপি, দেড় হাতি রড নিয়ে মনুস্যত্তের উপর হামলা এসবই হয় ঢাবিতে।
ঈদ কেন্রিেরক চাঁদাবাজি , নীলক্ষেতের ব্যাবসায়িদের সাথে মারামারি ,তোরণ –মুর্তি-গাছপালা ভাঙ্গা ঘটে অহরহ । অবশ্য সব ই যে একচেটিয়া তা আমি বলছিনা ।
অক্সফোর্ড স্টাইলে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানটি আজো পায়নি প্রযুক্তির দরকারি ছোঁয়া । এনালগ স্টাইলে চলতে থাকা , আর বৃদ্ধের মেন্টালিটি সম্পন্ন কর্মচারী , লাট সাহেবের ‘থার্ড ক্লাস’ পুত্র ক্যাম্পাসের সকল পর্জায়ের কর্মকর্তা , উড়ে এসে জুড়ে বসা মোসাহেবি কিছু চেতনাবাজ ক্যাম্পাসের তেরটা বাজিয়েছে ।
শিক্ষকের নামে ভোটার নিয়োগ , দরপত্র নিয়ে ‘একাত্তরীয়’ কামড়াকামড়ি , মাদারীপুরের কিছু মাদারী আর বরিশালের ‘আইক্কালা’ বাঁশ দিয়ে ক্যাম্পাস টাকে নাস্তানাবুদ করেছে। বখাটেদের বখাটেপনা ,রংবাজের রঙ্গিলা ঢং, সোহরাওয়ার্দির গাঞ্জাবাজি আর গাঞ্জাব্যবসায় অংশিদারিত্ত ঢাবির মর্জাদাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ।
দলবাজ ভিসি আর কর্মকর্তার ভারে ন্যুজ ভার্সিটির বেসামাল আর কুলাঙ্গার কিছু রথীদের ‘টিচিঙয়ে’ আমরা ছাত্ররা সদা সন্ত্রস্ত ।
পড়া আর পরানো বাদ দিয়ে শুকরের মত অন্য ভার্সিটি আর প্রাইভেটের দিকে নজর লেগেই আছে ।ক্লাসের নামে অনেকের চেতনার গালগল্প করে সময় কাটানো আর মাঝে মাঝে কলারটা ঝাকাইতে পারলেই মনে করে গঙ্গা পার।
রবীন্দ্রবাজিতে ব্যস্ত মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উলঙ্গ চশমা’ পরা আবুলরা নজরুল বা অন্যদের নাম শুনতে অনেক সময়ই চান না । ডাকসুর ছাতাপড়া আড্ডা ,মধুর গাঞ্জাবাজি, চিপাগলির অশ্লীলতা , কিসিং পয়েন্টের নির্লজ্জতায় মাঝে মাঝে হন্য হয়ে খুঁজি স্বপ্নের কবিয়ালদের ।
মাদ্রাসা ছাত্রদের সাবজেক্ট বৈষম্য , বন্দুক কোটায় আসা কিছু ‘ভোতা’ তলোয়ার কানা মিজানদের আবালপনায় লজ্জিত হয় জাতির চিন্তাশীল অংশ। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের চশমা পরা আরেক আবুল ‘বাকশাল হয়েছিল তিন বছরের জন্য’ থিউরি দিতে ব্যাস্ত ।
গাদাগাদি বসবাস, আরেক নেতা মন্ত্রিপারায় ঘুমায় সিঙ্গেল রুমে।ছারপোকার কামড় , ডাকসুর ডাইল, টিএসসির ছোট টুকরার লাইন দেখেই হয়তো শাহবাগের কোন রামছাগল ফকিন্নির পুত বলার সাহস করেছিল ।
আরিফ সাকী
[email protected]
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ১:৪৮
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান বাস্তবতার উপর এই সাহসী লেখাটি আসলেই ধন্যবাদ পাওয়ার উপযুক্ত। গ্রহন করুন।