নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি গর্বিত আমি বাঙালি

একাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার

সালাউদ্দিন আহমেদ ভোর

আমি আবেগহীন এক মানব ।তবে আমার ও মাঝে মাঝে ভালো লাগে,ভালবাসতে ইচ্ছে হয়!সবাই আমাকে অনেক ভালোবাসে তাই সবার কাছে ঋণী । মাঝে মাঝে আমার প্রচণ্ড রাগ হয় আবার পরক্ষনেই সব ভুলে যাই @@@

সালাউদ্দিন আহমেদ ভোর › বিস্তারিত পোস্টঃ

কান্নাবিলাস

১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

কান্নাবিলাস



এস,আহমেদ,ভোর



নানাবিধ সংকট;উত্তরণের পথ বাতলে দিচ্ছে সবাই

আমি কেবল ভেবেই যাচ্ছি,অযাচিত সব ভাবনা-

কেউবা সুযোগ বুঝে শুনিয়ে দিচ্ছে নানান উপদেশ,

জীবনমুখী শ্লোগানে ভরে উঠেছে জীবন,কাটেনি সংকট!



আমার অতীত,বর্তমান,ভবিষ্যৎ মিলেছে একই মোহনায়-

যে মোহনার পানি কেবল শুধুই চোখের নোনাজল,

ব্যর্থতার চাদরে ঘেরা,অব্যক্ত আশার জীবন;নামেই জীবন-

তাতে দেখা মেলে না উদ্ভাসিত আলোকের পথ!



শুরু আর শেষের মাঝের বিন্দুভুল সিন্ধুর মনে হয়,

পাওয়ার আকুলতায় না পাওয়াটা যে চরম বঞ্চনা;

আমি বঞ্চিত সেই সব মানুষের দলে যারা-

জীবনকে করেছে রঙিন,নিজে পায়নি বর্ণিল ছোঁয়া!



আমি মিশে গিয়েছি,সেই সব অভাগাদের সাথে-

যারা জীবনের আতিশয্যে ভুলে গিয়েছে শৈশব;

ফিরে তাকাতে গিয়ে আমি,দেখেছি কেবলই দুরাশা-

হারানোর তালিকায় যোগ হয়েছে একের পর এক সপ্ন!



সাতকুল ভেবে আমি নোঙর ভিড়িয়েছি অদৃষ্টের পানে-

জীবনের গ্লানি তাতে বেড়েছে বৈকি একটুও কমেনি,

যা জেনেছিলাম তা নিরূপণের সময় হয়ে উঠেনি-

দীর্ঘশ্বাস কেবল বাড়িয়েছে জীবনের চরম দুর্দশা!



গৃহতর মন সাফল্যের আশায়,চেয়ে থাকে প্রতিক্ষণ-

বাধ সাধে কেবল অদৃষ্ট নামের এক ভাগ্য-লিখন;

অযথাই কেবল বকে যাই,সুন্দরতম কিছুক্ষণ-

মনের পায়ে শিকল গড়িয়ে সখ্য গড়ি সপ্নের দ্বোর!



ক্লান্ত বায়ু মরীচিকা খুঁজে ফিরে জীবনের প্রাপ্তি-

আমার কলকাঠি গুলো তাদের সাথে রয়েছে ব্যাপ্তি,

শূন্য হাড়ি আর মরুর বুকে পিষ্টে যাওয়া সুখকুমারি-

জীবনকে সেলাম জানিয়ে চলছে অবিরত ঘরছাড়ি!



আমি কেবল পুরনো তানপুরার ন্যায় রয়েছি একেলা-

এখন আর খোঁজ হয়না,বাতি জ্বলেছে কি সন্ধ্যাবেলা?

কেবল এটুকু বলা হয়,তোমরা নতুন খোঁজ করো-

পুরাতনে করনা ভরসা,ফেলে রেখে দাও তারে!



আমি ঝঞ্ঝাট আর আশংকা বিলাস,খোঁজা বড় দায়-

একেই করেছি লালন,ছুটে চলেছি আদি-অন্তহীন;

সীমানা প্রাচীর বাধা তাই,দেয়াল টপকাতে পারিনি-

জীবনের পথচলায় যোগ হয়নি নতুন কোন কাহিনী!



আমি কল্পনাবিলাস এক বিকল মানব,খুঁজি অন্তহীন-

আশাগুলো বাঁচিয়ে রাখতে উপায় খুঁজি প্রতিটি দিন;

দোলনচাঁপা হতে গিয়ে হয়েছি আজ কান্নাবিলাস-

সুখের আশায় ছুটতে গিয়ে ছেড়েছি কেবল দীর্ঘশ্বাস!



আমি প্রাচীরভেদী এক মানব,যার নেই কোন কায়া-

ঊর্ধ্বপানে চেয়ে থেকে একে একে ছেড়েছি সব মায়া;

আমি দ্যুলোকে ভাসিনা,ভ্যুলোকে ডুবিনা তবুও অপয়া-

জীবন সায়াহ্নে রাখা আছে হয়তো আধারের কায়া!



আমি নোঙর ফেলি না মানবীর মায়ার সাগরে-

ভয় পাইনা চিরভয়ংকর কোন বিষের তরে;

আবেগের বাড়াবাড়িতে আমি খেই হারাই না-

ছুটে চলি না আশাজাগানিকা কোন দোলাচলে!



আমি নিরঙ্কুশ এক বিজয়ী,মানদণ্ড কেবলই আমি-

হাসি-কান্নাতে কোন তফাৎ নেই জানে শুধু অন্তর্যামী;

বিজয়ী তপস্বিনীর হাতে আছে মরন এটাও যে জানি-

আলোকের তরে অন্ধকারকে ধর্ষণ করতে দিব সম্ভ্রমহানি!



মনের সীমানাকে পদাঘাতে ভেঙে করেছি বিচূর্ণ-চুরমার-

নিজের ঘর ভেঙে গড়েছি হাজার ঘর,হয়েছে আকাশভার;

সন্ধ্যাতারায় মুখ লুকিয়ে খুঁজেছি কেবল সম্ভাবনার দ্বার-

ভাবিনি কখনো জীবনের তাতে হয়েছে কতটা জয় কিবা হার!



আমি কেবলই তার,শুধু তার,নাও মোর জীবনের ভার-

হৃদয়চুমে মিটিয়ে দাও চিরজীবনের ধরিত্রীর আধার;

সপ্নবিনোদিনীর মত জ্বালাও আমায়,সিক্ত করো মোরে-

আলো আধারের দূরত্ব ভুলে নাওনা তুমি আপন করে!



আমি পিপাসিত মরুর বুকে চলা উটের ন্যায়-

ভুমিষ্ট হওয়া শিশুর মত সিক্ত করো আমায়;

আলোকের ভুবনে বেশি করে তপনজ্যোতি ছড়াও

আজ,আগামীর সম্ভাবনায় আমায়,একটু ঠাই দাও!



আমি প্রেম পূজারি,শেষের কবিতার লাইন

রোপণ করেছি সুখের সপ্ন,ভালবাসার পাইন;

মন বসন্তের ফোঁটা ফুল অভ্যর্থনা জানাবে আমায়-

সাফল্যের ডালাখানি তোমার পানে হাত বাড়ায়!



আমি শিল্পীর শেষ তুলির আঁচরের একটুখানি ছোঁয়া-

ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ানো ইটের ভাঁটার কালো ধোঁয়া;

গ্রাম্য বধূর শাড়ীর আঁচলা জলে সিক্ত কর মোরে-

দুর্বার গতিতে আমায় নিয়ে চল তোমার সঙ্গী করে!



আমি তুচ্ছ,অবলীলাক্রুমে ভেঙে ফেলা বালুর তৈরি ঘর-

অতি সংকটময় আলাপনে দুঃখগুলো করেছে যে ভর;

সুদূর ভাবিনা,অদুর চাইনা,শুনি শুধু হাহাকারের ধ্বনি-

ক্রুমে ক্রুমে শেষ হচ্ছে,জীবনের স্বপ্নমাখা দিনগুলি!



আমি বৈষম্যের এক জলন্ত প্রতিচ্ছবি তাই প্রতিনিয়ত জ্বলি-

ক্ষুদ্রকায় দুঃখগুলো আপনাতেই সব কেমনে যেন ভুলি;

অনুভবেতে হার কাঁপানো শীতের ন্যায় অবিরত কাঁপি-

অনাচার গ্রাস করেছে আমার সামগ্রিক জীবন ব্যাপি!



আমি রৌদ্র ছায়া,রৌদ্র কায়া,তপ্ত বালুর কনা-

সুখ গুলো মোর হয়না যে আর নতুন করে বুনা;

নিরাশার সাঁজা স্বপ্ন খোঁজা,চোখ বুজা কল্পনা-

হায়েনারা কেন বারবার দেয়,আমার দেশে হানা!



আমি উদ্ভাসিত আলোক পানে চলছি ক্ষণে ক্ষণে-

নীহারিকা পুঞ্জের পিয়াসী এ মন নিশ্চয় তা জানে;

তিমির ভেদে গড়েছি এক ভালবাসার মায়াপুরি-

মায়ার জীবন পাহারা ভেদে সীমানা যাবো ছাড়ি!



আমি কখনো ভাসি,কখনো বা ডুবি,পাইনা কোন ভয়-

জানি একদিন হবেই হবে শোষিত বঞ্চিতের চূড়ান্ত বিজয়;

অনাচার,অনীহা,অনাদর তথা অনাহীন থাকবে জগৎময়-

আশা,স্বপ্ন,প্রতিক্ষা যাই বলিনা কেন হবে যে মোদের জয়!



আমি দুরবিত্তের মাঝেও বুপন করবো আশার বীজ-

মানুষ পারে না নেই যে কিছু,ভাবতে হবে নিজ নিজ;

আজকের পিয়াস কালকের আশ্ব গড়বে নিবাস-

গোলাপ কলি নয় গড়বে শুধু ভালোবাসার চাষ!



আমি রাখালিয়ার বাঁশি,নজরুলের অগ্নিবীণার সুর-

দূর কেবলি দূর,স্বপ্নলোকের মাঝে কেন সুরাসুর;

অর্বাচীন বানীর তরে খুঁজে চলি ময়ূরাক্ষীর তীর-

আজও তাই রবীন্দ্রের শান্তিনিকেতনে এত বেশি ভিড়!



আমি চিরসবুজ,জীবনানন্দের কবিতার প্রতিচ্ছবি-

স্বপ্ন মায়াজালে হারিয়ে যাওয়া বঞ্চিত এক কবি;

জীবন ছবি,আপন রবি,মনে আছে মোর সবি-

আপন ক্ষণকে আপনার করে গেছে যে রবি!



আমি সুকান্তের গদ্যময় কবিতার ঝলসানো সে রুটি-

জানিনা কখন ফটিকের ন্যায় জীবন থেকে নেব ছুটি;

প্রবহমান জীবনের হাজার বছরের যে প্রতিচ্ছবি-

কতটা আর কলম দিয়ে ধরে রাখবে মোর কবি!



আমি বয়ে চলা নদীর পাল তোলা এক,ছই বিহীন নৌকা-

শ্রমিকের ঘামে সিক্ত হওয়া পিচঢালা পথের মানব চাকা;

জীবনটা যে সত্যি বড়,নদীর মত খুবই আঁকাবাঁকা-

দুর্ভাবনার প্রতিটাক্ষণ থাকে শুধু কালো মেঘে ঢাকা!



আমি হলাম তাই প্রতিনিয়ত যা ভেবে ভেবে যাই-

মুক্তমনে এখনো যে স্বাধীনতা খুঁজে বেড়াই;

জোর গলায় সেই পুরনো দাবিটা,আবারো জানাই-

মুক্তি চাই,মুক্তি চাই,মুক্তি চাই।।।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.