![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মাইকে আযান দেওয়া হারাম, যারা মাইকে আযান দিয়ে নামাজ পড়েন তারা কাফির। তাদের জানাজার নামাজ পড়া হারাম। মুসলমান এরিয়ায় দাফন করা হারাম। সিলেটের বিশ্বনাথে এক বার্ষিক রিজভীয়া ওরস ও সুন্নী মহাসম্মেলনে- আকবর আলী রিজবী এ কথাগুলো বলেন। এটা কি সত্য। আকবর আলী রিজভীর কথা অনেক দিন থেকে শুনে আসতেছি। কিন্তু কোন দিন দেখিনি। তাই তাকে দেখার জন্য এই সভায় যাওয়া। রিজভী তার ভাষণ দানের এক পর্যায়ে মসজিদের মাইকে সুমধুর আযান শুনে তিনি একথাগুলো বলেন। তিনি আরোও বলেন আজ থেকে ৫ বছর আগে তিনি ঘোষনা দিয়িছিলেন যে মাইকে আযান দেওয়া হারাম। যদি মাইকে আযান দেওয়ার কথা কোরআনে থাকে তবে তাকে তার প্রমাণ দেওয়ার জন্য। কিন্তু কোন আলীম উলামা এর প্রতিবাদ করেননি। সুতরাই তার কথাটিই ঠিক। এটা কতটুকু সত্য তা আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। যদি এ বিষয়ে কারও জানা থাকে তবে জানালে খুশি হব।
২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১২
নাঈম বলেছেন: যদি মাইকে আযান দেয়া হারাম-ই হবে, তাহলে মক্কা শরীফে মাইক ব্যবহার করা হয় কেন?
৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২০
নাজির বলেছেন: শুভ ব্লগিং । আমার ব্লগে তোমাকে স্বাগতম।
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১২
সুরমান আলী সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ
৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৬
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: মাইকে আজান দেওয়া যদি হারাম হয় তাহলে মদ্রাসা শিক্ষাও হারাম। আসলে উনি সুন্ততে হাসনাকে হারাম বলেছেন। নবী (সাঃ) যামানায় মাইক ছিল না তাই খালি গলায় আযান দেওয়া হতো। তখন যদি মাইক আবিষ্কার হতো তাহলে নাবী (সাঃ) অবশ্যই মাইকে আযান দিতে বলতেন।
ওরসের মাংস খাওয়া নিয়েও দ্বিমত আছে। যদি পীর সাহেবের নামে জবাই করা হয় তাহলে এটা হবে মহা হারাম।
উনি ঘোষনা দেবার কে? বিশ্ব আলিম সমাজ কি মরে গেছে? স্বয়ং নবী (সাঃ) যে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং যেখানে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ হজ্ব করতে যায় সেখানে মাইকে আযান দেওয়া হয়। তাহলে মক্কা মদীনায় কি হারাম কাজ করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:২৬
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: মাইকে আজান দেওয়া যদি হারাম হয় তাহলে মদ্রাসা শিক্ষাও হারাম। আসলে উনি সুন্ততে হাসনাকে হারাম বলেছেন। নবী (সাঃ) যামানায় মাইক ছিল না তাই খালি গলায় আযান দেওয়া হতো। তখন যদি মাইক আবিষ্কার হতো তাহলে নাবী (সাঃ) অবশ্যই মাইকে আযান দিতে বলতেন।
ওরসের মাংস খাওয়া নিয়েও দ্বিমত আছে। যদি পীর সাহেবের নামে জবাই করা হয় তাহলে এটা হবে মহা হারাম।
উনি ঘোষনা দেবার কে? বিশ্ব আলিম সমাজ কি মরে গেছে? স্বয়ং নবী (সাঃ) যে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং যেখানে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ হজ্ব করতে যায় সেখানে মাইকে আযান দেওয়া হয়। তাহলে মক্কা মদীনায় কি হারাম কাজ করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩০
সপ্নীল বলেছেন: এসব কাঠমোল্লারাই ইসলাম আর ধর্মটাকে জটিল করে তুলছে সাধারন মানুষের জন্য। উনি মাইকে ওয়াজ করতে পারবেন বাট মাইকে আজান দেওয়া হারাম!!!! উনারা হচ্ছে লুংগি খুলে পাগড়ী বানিয়ে নামাজ পড়ার ওয়াজ করার হুজুর....এসব কাঠমোল্লাদের মোকাবেলা করতে জনগণকে সঠিক ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩১
সপ্নীল বলেছেন: সত্য কথায় যত দোষ ! এর সংগে সহমত
৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৩২
সপ্নীল বলেছেন:
সত্য কথায় যত দোষ ! বলেছেন: মাইকে আজান দেওয়া যদি হারাম হয় তাহলে মদ্রাসা শিক্ষাও হারাম। আসলে উনি সুন্ততে হাসনাকে হারাম বলেছেন। নবী (সাঃ) যামানায় মাইক ছিল না তাই খালি গলায় আযান দেওয়া হতো। তখন যদি মাইক আবিষ্কার হতো তাহলে নাবী (সাঃ) অবশ্যই মাইকে আযান দিতে বলতেন।
ওরসের মাংস খাওয়া নিয়েও দ্বিমত আছে। যদি পীর সাহেবের নামে জবাই করা হয় তাহলে এটা হবে মহা হারাম।
উনি ঘোষনা দেবার কে? বিশ্ব আলিম সমাজ কি মরে গেছে? স্বয়ং নবী (সাঃ) যে মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং যেখানে পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ হজ্ব করতে যায় সেখানে মাইকে আযান দেওয়া হয়। তাহলে মক্কা মদীনায় কি হারাম কাজ করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
সত্য কথায় যত দোষ ! এর সংগে সহমত
৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫২
boipagol বলেছেন: আমি এক জায়গায় এক জন মুফতীর কথা দেখছিলাম।
কথাটি মোটামুটি এরকম আজমত ও রুসমত।
তার একটি হচ্ছে প্রয়োজনে খাতিরে ব্যবহার করা, আরেকটি হচ্ছে হুবুহু ব্যবহার করা অথ্যাৎ নবী যেরকম করছিলেন সেরকম করা।
কোথাও হারাম বলা হয়েছে এটা জানা নেই।
হুবুহু পালন করার স্বার্থে যতটুকু পারা যায় তাবলীগের মুরুব্বীরা মাইক নামাজে ব্যবহার করেন না।
১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:৫৩
পরান বলেছেন: রাসূল (সা এর সময় যা ছিল না তা বতমানে হারাম হবে এর কোন যুক্তিকতা নেই।
১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১১:০৩
পরান বলেছেন: (লেখায় বানানে ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রাথী । ) কেউ প্রতিবাদ না করলে, উনি যা বলেছেন তা সত্য হবে। এ ধারনা ভুল।
১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৯
শিমুল এলাহী বলেছেন: তখনকার দিনে একটি এলাকায় কতজন মানুষ ছিল যে আজান দিতে মাইকের দরকার হত?
প্রয়োজনই মানুষের সৃষ্টি চেতনাকে বাড়িয়ে দেয় ।
আজ যদি একটা বিশাল জনপদে মাইক ছাড়া আযান দেয় তাহলে কে কিভাবে তা শুনবে ?
জানিনা সে কোন দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকে কথাটা বলল । কিন্তু ইসলাম সবসময়ই যুক্তিসঙ্গত ও বৈজ্ঞানিক । সুতরাং তার বক্তব্য আযৌক্তিক ।
১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:১৯
শিমুল এলাহী বলেছেন: তখনকার দিনে একটি এলাকায় কতজন মানুষ ছিল যে আজান দিতে মাইকের দরকার হত?
প্রয়োজনই মানুষের সৃষ্টি চেতনাকে বাড়িয়ে দেয় ।
আজ যদি একটা বিশাল জনপদে মাইক ছাড়া আযান দেয় তাহলে কে কিভাবে তা শুনবে ?
জানিনা সে কোন দৃষ্টিভঙ্গীর আলোকে কথাটা বলল । কিন্তু ইসলাম সবসময়ই যুক্তিসঙ্গত ও বৈজ্ঞানিক । সুতরাং তার বক্তব্য আযৌক্তিক ।
১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:৪০
চাতক পক্কী বলেছেন: সুমন, ঐ ছাগলটার হারাম /হালাল এবং বিদাত সম্পর্কে কোন ধারনাই নাই। মাইকে আজান দেয়া টা কে যদি বিদাত বলত তাহলে হয়ত মানা যেত। কিন্তু ওটাতো বিদাত হলেও বিদাতে হাসানা হবে , যা পুরোপুরি হালাল।
আর ঔব্যাটা মাইকে যে ওয়াজ করছে,যে ড্রেস পরছে,তা কেমন করে হালাল ?! কারন এগুলো তো নবী করীম এর জামানায় ছিল না।
আমার মনে হয় এমন ছাগলদের ম্যাতকার পুর্ণ ওয়াজ শুনাই হারাম।
কারন এদের মুর্খতা এবং পান্ডিত্য জাহির করার বৃথা প্রচেষ্টার কারনে সাধারন মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৮:২৩
মেঘের পরে মেঘ বলেছেন: এ ব্যাপারে আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে, যে জিনিস ব্যবহার মানুষের ক্ষতি হবার সম্ভাবনা আছে, সেটা ব্যবহারে আমাদের সবার আরেকটু সচেতন হ্ওয়া প্রয়োজন। আমার বাসা যে জায়গায়, সেটা একটা ঘন বসতিপূর্ণ এলাকা। আমার বাসার ৫০০ মিটার সীমার মধ্যেই ৫ টি মসজিদ। যদিও তার কোন দরকার ছিলনা। কেবলমাত্র দলীয় কারনে এতগুলো মসজিদ বানানো হয়েছে। দল বলতে সুন্নী, তাবলিগ, কওমী মাদ্রাসা পন্থী,এসব। প্রতিটা মসজিদ মাইক ব্যবহার করে, যেটা শব্দদূষন ঘটাচ্ছে মারাত্মকভাবে। সো, এক্ষেত্রে উনারা কি আরেকটু সদয় হয়ে মাইকের সাউন্ড লো রাখতে পারতেননা? আমাদের সমাজে এমন অনেককিছুই যুগ যুগ ধরে চলছে, যেগুলো ধর্মের নামে অনাচার। উচ্চস্বরে মাইকে করে কোরান খানিকে কি বলবেন আপনারা??? তারপর, এইযে ওয়াজ মাহফিলের নামে যে তান্ডব চালানো হয়, এটা কি আদৌ ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে পরিচিত করে?
১৬| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ১১:১৩
সুরমান আলী সুমন বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে
১৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ বিকাল ৫:৩১
পরান বলেছেন: মেঘের পরে মেঘ এর সথে সহমত। ঢাকা মসজিদের শহর। শব্দদূষণ হ্রাস করার জন্য মাইকের ব্যবহার কমানো উচিত ।
১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৩:৩৫
মেনহোলের ভিতর বলেছেন: আল্লাহ পাক এখনো কিছু আলেমদের জীবিত রেখেছেন যাদের মাধ্যমে ইসলামে ঢুকে পড়া বিদআত মুক্তি পাবে। আল্লাহ এসব আলেমদের ইস্লামকে হেফাজত করার জন্য হায়াত দান করুক। আমিন ।
যারা মাইকে জায়েজ বলছেন কিংবা অবাক হচ্ছেন আপনারা কেউ কোরআন হাদিসের আলকে কথা গুলো বলছেন না। কারন আপনারা যা দেখছেন সেটায় বলছেন। আপনার পাশের মসজিদেও কখনো এই নিয়ে কথা হয়নি। তাই আপনি শুনে চমকে যাচ্ছেন।
আপনাদের একটা এড্রেস দিচ্ছি, চিটাগাং এ চত্রগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের পাশে বদনা শাহ মাজার মসজিদে [ besides chittagong medical college hospital, probortok mor} গিয়ে নামাজ পড়ে আসবেন। তিনতলা মসজিদ। এবং এইখানে ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞস করবেন। ইনশা আল্লাহ উত্তর পেয়ে যাবেন। এবং ওনারা মাইক না জায়েজ এই নিয়ে একটা ফতোয়া বই আকারে বানিয়েছেন। যা কোরআন হাদিস আলোকে। এবং আরও বলছেন, মাইক দিয়ে নামাজ, আযান কিংবা মাহফিল জায়েজ সেটা কোরআন হাদিস দিয়ে কেউ ব্যাখ্যা দিতে পারেন নাই। এবং পারবেনও না।
আল্লাহ হকদের বিজয়ি দান করবেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা সকম মুসলিম ভাই ভাই। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইস্লামের সঠিক আকিদা বুঝার বেবস্তা করুক। আমিন।
১৯| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৪
মুনতাসির আস-সানি বলেছেন: সিরাতুল মুস্তাকিম
“আমি আপনার উপর এ কোরআন অবতীর্ণ করেছি যেটি এমন যে, তা প্রত্যেক বস্তুর বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্ন সুসংবাদ”।(আল কোরআন, সুরা-নাহল, আয়াত-৮৯)। উক্ত আয়াতের তাফসিরে উল্লেখ রয়েছে, “ পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন বস্তু নেই যা আল্লাহর কোরআনে উল্লেখ করা হয় নি। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল সৃষ্টির জ্ঞানসমূহ পবিত্র কোরআনের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।(কানযুল ইমান খাযাইনুল ইরফান, পাতা-৪৯৮, উর্দু, বোম্বাই, ভারত)। উল্লেখিত আয়াতে নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হল যে, মাইকের তথা যান্ত্রিক ইবাদাত জায়েজ বা নাজায়েজ সম্বন্ধে অবশ্যই অবশ্যই থাকবে। চাই প্রত্যক্ষ ভাবে থাকুক আর পরোক্ষ ভাবে থাকুক।
“আর যখন কোরআন পাঠ করা হয় তখন তাতে কান লাগিয়ে শুন এবং নিশ্ছুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়”। (আল কোরআন, সুরা-আরাফ, আয়াত-২০৪)। উক্ত আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে, “ কোরআন পাঠ করার সময় দুটো কাজ ফরয, কান লাগিয়ে শোনা, এবং চুপ থাকা। যেখানে লোকজন শোয়ায় অথবা নিজ নিজ কাজকর্মে বেস্ত রয়েছে ওই সমস্ত স্থানে কোরআন তিলাওয়াত করবে না, কারন এতে লোকজনের কাজকর্মের ক্ষতি হবে উপরন্তু যারা চুপ রয়বে না তারা গুনাহগার হবে”। (তাফসির এ রুহুল মানি)। এই কারনে মাইকের সাহায্যে তারাবির নামায, সবিনা ইত্যাদি কখনও পড়া যাবে না। কেননা মানুষ নিদ্রা না যাওয়ার দরুন অসুস্ত হয়ে পড়বে। তা ছাড়া মাইকের ধ্বনি বিকৃত হওয়ার কারনে খারাপ আওয়াজের সৃষ্টি হয় (যা কোরআনের শানের বেইজ্জতি হয়)। মাইকের তিলাওয়াত সেজদার আয়াত সমস্ত শহরবাসি শ্রবণ করে কিন্তু কেও সেজদা আদায় করেন না। এই যে (আল্লাহর হুকুম) ফরয লঙ্ঘন করা হচ্ছে তা কত বড় জঘন্য গুনাহ চিন্তা করে দেখুন। (তাফসিরে নইমি, ৯ম খণ্ড, পৃষ্টা-৫১৬, লাহোর, পাকিস্তান)। ঠিক একই কথা সমর্থন করে তাফসিরে মারেফুল কোরআন লিখেছে, “নিরবতার সাথে কোরআন শ্রবণ করা ওয়াজিব, হৈ হুল্লোড় করা কাফেরদের অভ্যাস- আজকাল রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াত করা হয় এবং প্রত্যেক হোটেল ও জনসমাবেশে রেডিও খুলে দেওয়া হয়। হোটেলের কর্মচারীরা তাদের কাজকর্মে এবং গ্রাহকেরা খানাপিনাই মশগুল থাকে। ফলে দৃশ্যত এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে যাই যা কাফেরদের আলামত ছিল। (তাফসিরে মারেফুল কোরআনের সংখিপ্ত তাফসির,পৃষ্টা-৫১২ ও ১২০৪)। উল্লেখিত তাফসিরে নইমিতে স্পষ্টভাবে “মাইকের নামায ও তিলাওয়াতে কোরআনকে ফরয লঙ্ঘন এবং জঘন্যতম গুনাহ” এবং মারেফুল কোরআনে রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াতের সময় পরিবেশকে কুফরের আলামত বলে ঘোষণা করেছে।
ফতওয়ায়ে আলামগিরিতে বলা হয়েছে, “ হাটে বাজারে বেহুদা গালগল্পের মাজলিশে কোরআন তিলাওয়াত করাতে কোরআনের বেইজ্জতি হয়। জেনেশুনে শোরগোল বা পাপের মাজলিশে কোরআন শুনালে তিলাওয়াতকারী গুনাহগার হবে। (ফতওয়ায়ে আলামগিরি, ৫ম খণ্ড, পৃষ্টা-৩২৭)। আত তাহতাবিতে বলা হয়েছে,
“ কোরআন তিলাওয়াতকারীর জন্য কোরআনের সম্মান রক্ষা করা অবশ্যই কর্তব্য। অতএব বাজারসমূহ এবং এমন স্থানে উচ্চস্বরে কোরআন তিলাওয়াত করা সম্পূর্ণ অবৈধ, যেখানে লোকজন অন্য কাজে বেস্ত, এ সকল স্থানে কোরআন তিলাওয়াত করা হলে পাঠক কোরানকে বেইজ্জতি করার কারনে গুনাহগার হবে। কর্মবেস্ত লোকজন গুনাহগার হবে না কেননা কর্মবেস্ত লোকজন তাদের কাজকর্ম ত্যাগ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। (আত তাহতাবি, পৃষ্টা-১২৪, মিসর)। তাহলে সকালে রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াততের পর গীতা পাঠ করা আর টিভি তে আযানের পর উলঙ্গ নৃত্য প্রদর্শন বুঝি কোরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন নাকি বেইজ্জতি করা? অবশ্যই কোরানকে বেইজ্জত করা। আর ইস্লামের রায় হল কোরআনের বেইজ্জতকারি বেইমান কাফির। (তাফসির এ ইবনে কাসির, হিদায়া, ও রদ্দুল মুহতার)
“আর স্বীয় নামায খুব উচ্চস্বরে পড়বে না এবং চুপে চুপে পড়বে না, বরং উভয়ের মধম্পন্থা অবলম্বন করো। (সুরা-বনি ইস্রাইল, আয়াত-১১০)।
এ আয়াতের তাফসির করতে গিয়ে প্রখ্যাত তাফসিরে নুরুল ইরফানে স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা দিচ্ছে, “এ কারনে বা এ আয়াত দ্বারা মাইকে নামায পড়া নিসেদ। কেননা এ দ্বারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আওয়াজ বের হয় যা নামাজের মধ্যে নিষিদ্ধ। (কানযুল ইমান নুরুল ইরফান,পৃষ্টা-৪৬৭, ৫নং পার্শ্ব টিকা, উর্দু, লাহোর, পাকিস্তান)। বিশ্ব ইসলাম মিশন কোরআন সুন্নির প্রেসিডেন্ট সইয়েদ আহমদ চোঃ এ আয়াতের ব্যাখ্যাই লিখেছেন, “অতএব নামাযে মাইকের ব্যাবহার আল্লাহপাকের পরিষ্কার নির্দেশের বিরুদ্ধে আচরণ। এবাদাত কথাটির অর্থ হল দাসত্ব। দাসের কাজ হল মনিবের হুকুম তামিল করা। আল্লাহ বলেন, “হে আমার বান্দা চড়া আওয়াজে নামায পরিও না এবং স্বাভাবিক মধ্যম গলার আওয়াজে নামােযর কিরাত পড়বে। আপনি তা মানলেন না বরং একটা মাইক লাগিয়ে কেরাতকে অস্বাভাবিক ভাবে চড়িয়ে দিলেন। এখন আপনি কি এ কাজের দ্বারা আল্লাহপাকের হুকুম পালন করলেন, না বিরোধিতা করলেন? আপনি নিজেই বিচার করুন।
অতএব নামাযে মাইক ব্যাবহার করলে এবাদাত হয় না বরং আল্লাহ পাকের নাফরমানি হয়।কুফর কথাটির অর্থ হল নাফরমানি, আদেশ অমান্য, অবাধ্যতা যা ছিল ইবলিশের আচরন।আল্লাহ পাকের আদেশ হয়েছিল আদমকে সেজদা কর। সবাই করল কিন্তু ইবলিস তা করল না। তাই আল্লাহ পাক বললেন, সে অমান্য করিল এবং অহংকারি হইল- অতএব সে কাফেরদের অন্তর্গত হইল। (সুরা-বাকারা, আয়াত-৩৪)কুফরির মুল কথা হচ্ছে অবাধ্যতা। নামাযে মাইক ব্যাবহারে দেখা যাচ্ছে আল্লাহপাকের অবাধ্যতা। তাই বলছি নামাযে মাইক ব্যাবহার মুলত কুফরির শামিল। (নামায ও অন্যান্য ইবাদাতে মাইক ব্যাবহার, দ্বিতীয় সংস্করণ, ২৯ এপ্রিল, ১৯৮৪,পৃষ্টা-২১-২২)
মাসজিদের ভেতরে আযান দেওয়া মাকরুহ (ফাতহউল কাদির, ১ম খণ্ড,পৃষ্টা-৪১৪, মিসর। ফত্বাহে তাহতাবি, ১ম খণ্ড, পৃষ্টা-১৬৮। বাহ্রুর রাইক, ১ম খণ্ড, পৃষ্টা-৪৬৮, মিশর। ফতওয়াহে কাযি খান, ১ম খণ্ড, পৃষ্টা-৭৮, মিশর)
নামাযে কিভাবে আহবান করবে সেই সম্পর্কে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহুয়ানহু হতে বর্ণিত আছে- মদিনাই মুসলমানদের সংখ্যা বর্ধিত হলে নামাযের সময় জ্ঞাত করার আলোচনা হল, তখন সাহাবিগন রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম উচ্চস্থানে অগ্নি জ্বালানোর বা “নাকুস” (ঘণ্টা) বাজানোর প্রস্তাব করল, কেও কেও এ বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করল যে, এই সব তো ইয়াহুদি ও ক্রিস্তান্দের প্রথা!... (সাহিহ বুখারি সারিফ, বাবুল আযান, পৃষ্টা-৮৫), বুখারি শারিফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার বদরুদ্দিন আইনি রাদিয়াল্লাহুয়ানহু উল্লেখিত হাদিসের ব্যাখ্যা প্রদানে মন্তব্য করেছেন, আব্দুল ওয়ারিস এই হাদিসটিকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন, আবু শাইখ রাদিয়াল্লাহুয়ানহু এর মতানুসারে হযরত রুহ বিন আতা রাদিয়াল্লাহুয়ানহু হতে বর্ণিত রয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম বলেছেন, আমরা যদি নামাযের দিকে আহবান করার জন্য “নাকুস” ঘণ্টা ব্যাবহার করি? উত্তরে নবী কারিম সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, উহা ক্রিস্তান্দের জন্য। অতঃপর সাহাবাগন রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম বলেন, “আমরা যদি “বুক” (শিঙ্গা) ব্যাবহার করি? উত্তরে নবী কারিম সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, উহা ইয়াহুদিদের জন্য। অতঃপর সাহাবাগন রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম বলেন, “ আমরা যদি উচ্চস্থানে আগুন প্রজ্জলিত করি? উত্তরে নবী কারিম সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, “উহা অগ্নিপুজকদের জন্য। (আইনি শরহে বুখারি)।
১৯০০ সালে হরেস সর্ট দ্বারা আবিষ্কৃত মাইকে উপরোক্ত ঘণ্টি, শিঙ্গা, ও আগুন এই তিনটি জিনিসই বিদ্যমান রয়েছে যা বিশ্ব রাসুল সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ক্রিস্তান্দের, ইয়াহুদিদের, অগ্নিপুজকদের বলে তা ইবাদাতে অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ঘণ্টির কাজ করে প্রথমে মাইকের মাইক্রোফোনে আঙ্গুল ঠুকার মাধ্যমে, শিঙ্গার কাজ করে মাইক্রোফোনে ফু দিয়ে, এবং আগুন তো আছেই। অতএব, ভেবে দেখুন-
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রাণকেন্দ্র ইস্তানবুল, তুরস্ক থেকে প্রকাশিত কিতাব ENDLESS BLISS এ উল্লেখ রয়েছে, As it is seen it is not permissible to say azan through radio or with loudspeakers on Minarats or to listen to it as Azan. It is not acceptable, plus the fact that it is sinful. It must be said again compatibly with its conditions.” Page-66. It is not compatible with the sunnah even if an “aqil” and “salih” muslim calls the Azan on the Minarat, but through the loud hailess.” Page-154. It is kafir to profane in this manner the Quranic recitationon Radio or through a loudspeaker. Page-156 (Endless Bliss (Second Edition) Page-154, Huseyn Hilmi Isik Kitabevi Istanbul. Turkey)
অর্থাৎ মাইকের সাহায্যে মিনারার উপর থেকে দাড়িয়েও আযান দেওয়া জায়েজ নয়। বস্তুত এরূপ শব্দকে আযান হিসেবে শ্রবণ করাও জায়েজ নয়। ইহা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। অধিকন্তু যন্ত্রের সাহায্যে আযান দেওয়া গুনাহের কাজ। কোথাও যন্ত্রের সাহায্যে আযান দেওয়া হলে অবশ্যই শারিয়াতের শর্ত মোতাবেক সঙ্গত ও শুদ্ধভাবে আযান দিতে হবে। এমনকি একজন আকিল ও ধার্মিক মুসলমান মাইকের সাহায্যে মিনারাই দাড়িয়ে আযান দিলেও তা শারিয়াত সম্মত হবে না। মাইকের সাহায্যে কোরআন তিলাওয়াত করা কুফরি কাজ। (endless bliss-page-66, 154, 156, Istanbul, turkey)
বলা বাহুল্য, যে বেক্তি কুফরি করে তাকে কাফির বলে।
প্রখ্যাত গ্রন্থ জাআল হক এর ২০৬ পাতায়-
বিদাতে সাইয়েয়াহ ওই সব কাজকে বলা হয় যা কোন সুন্নাতের বিপরিত বা সুন্নাতকে বিলুপ্তকারি হিসাবে প্রতিভাত হয়। যেমন জুম্মা ও উভই ঈদ এ আরবি ভাষাই খুতবা বাদ দিয়ে অন্য কোন ভাষাই খুতবা পাঠ করা বা মাইকের সাহায্যে নামায পড়া বা পড়ান। কেননা এর মাধ্যমে আরবি ভাষাই খুতবা পাঠ করা এবং তাকবির দেওয়া অর্থাৎ (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর প্রবর্তিত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তথা মুকাব্বির এর মাধ্যমে তাকবিরের সাহায্যে আওয়াজ পোঁছান যে সুন্নাত তা লুপ্ত হয়ে যাই। (জা আল হক, ২০৬ পাতা, উর্দু, দিল্লি,ভারত) এবং জা আল হক, ২২৯ পাতা ক্যাসেটের কোরআন তেলওাতকে বেহুদা ও হারাম ঘোষণা করেছে।
মিশকাত শারিফের বিখ্যাত শরাহ মিরাতুল মানাজিহ হাদিস গ্রন্থে মাইকের দরস (শিক্ষা) আত্বহনণকারী বিষের মত ইমান বরবাদকারি বলে বর্ণনা করেছেন। (মিরাতুল মানাজিহ মিশকাতুল মাসাবি, ১ম খণ্ড, ২২৯ পাতা, দিল্লি, ভারত)। এ কিতাব ও হাদিস গ্রন্থদ্বয় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা সহ অন্যান্য সুন্নি মাদ্রাসার পাঠ্য কিতাব ও হাদিস গ্রন্থ।
পৃথিবীর সকল শীর্ষস্থানীয় ফিকাহের কিতাবসমুহে যথা মাজাবিহিল আরবাহা, দুররুল মুখতার ও ফাতওাহে শামিতে উল্লেখ রয়েছে যে, “প্রতিধ্বনি বক্তার মুল আওয়াজ নয়। কাজেই সেজদা ওয়াজিব হবে না” অতএব প্রতিধ্বনি শারিয়াতে কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। অপরদিকে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় প্রাই সকল ধ্বনি বিশেষজ্ঞগন একমত যে, মাইকের শব্দ বক্তার মুল শব্দ নয় বরং কৃত্রিম শব্দ, ইহা যন্ত্র কত্রিক নতুন করে সৃষ্ট সব্দ।সম্মানিত পাঠকবৃন্দ শারিয়াতে যেখানে প্রাকৃতিক প্রতিধ্বনি গ্রহন করে না শেখানে বৈদ্যুতিক মাইকের কৃত্রিম শব্দ কি করে গ্রহণযোগ্য হবে? মহান রাব্বুল ইজ্জাত আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন মাজিদে স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছেন,
সাবধান, একমাত্র আল্লাহরই দ্বীন (ইসলাম) খাঁটি (আল কোরআন, সুরা-জুমার, আয়াত-৩) আর মাইকের শব্দ হল নিঃসন্দেহে কৃত্রিম বা ভেজাল।
আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন-
“নুরের উপর নুর। আল্লাহ যাকে চান (নুরের মাধ্যমে হেদায়াত করেন তাঁর নুরের দিকে (সুরা-নুর, আয়াত-৩৫) আর মাইকের চালিকাশক্তি হল নিঃসন্দেহে আগুন বা বিদ্যুৎ। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত পবিত্র কোরআনে ঘোষণা দিচ্ছেন নুরকে নুরের উপর রাখার জন্য, আর আপনি রাকছেন আগুন তথা বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত মাইকের উপর। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন (নুরের মাধ্যমে) নুরের দিকে আর আপনি হিদায়াত করছেন আগুনের মাধ্যমে। অথচ বিশ্ব বিখ্যাত তাফসিরে রুহুল বয়ান ঘোষণা দিচ্ছে,
“নুর আর আগুন পরস্পর বিপরীতধর্মী। নুরের কাজ হল আল্লাহর একত্ব মেনে নেওয়া এবং আনুগত্য করা আর আগুনের কাজ হল শিরক করা এবং ইনকার করা (তাফসিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খণ্ড, সুরা-মারিয়াম, পাতা-৩৫৯, বৈরুত, লেবানন) সুতরাং পবিত্র কোরআন তথা মহান নুর আগুনেতে প্রবেশ অসম্ভব। অতএব নুরি আজান, নামায, খুতবা, মিলাদ ও ওয়ায মাহফিল ইত্যাদি বিদ্দুতের কারনে আগুনি ইবাদাতে পরিনত হচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ!নাউজুবিল্লাহ!!নাউজুবিল্লাহ!!!
২০| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৮
জাহিদ হাসান বলেছেন: এক ভন্ড কি বলল না বলল তা নিয়ে লাফান?
২১| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬
নতুন বলেছেন: এক ভন্ড কি বলল না বলল তা নিয়ে এতো আলোচনা?
চরম বিনেদন...
২২| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৯
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই সব হুজুররা যে আরো কত কি বলবে ? উনি যে কতগুলো বললেন সেগুলো কি মসজিদের মাইকেই বললেন ? এতো আজব আজব হুজুর হয় আমাদের !!
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১১
মঈনউদ্দিন বলেছেন: জানতে চাই আমিও অনেক দিন দরে শুনে আসতেছি কোন আলিম এর জবাব দেয় নাই
ব্লগে কোন আলিম থাকলে জানাবেন কতটুক সত্য