![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বোরকা নিয়ে আরেকটি কথা বেশ শোনা যায়, বোরকা নিয়ে নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছার কথা।বোরকা নাকি নারী সইচ্ছায় পড়ে।নারীর ইচ্ছা অনিচ্ছায় বাধা দেবার অধিকার কার আছে? কারো ব্যক্তিগত পছন্দ বা অপছন্দে বাধা দেবার অধিকার আদতেই কারো নেই।অনেক ইসলামী ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ অনেক মিডিয়াতে বিষয়টা এই ভাবে উপস্থাপন করা হয়, নারী বলছে যে সে বোরকা স্বইচ্ছায় পড়েছে।সবাই নাকি বোরকা পরা নিয়ে নানা রকম অভিমত দেয়।কিন্তু যে বোরকা পড়ে তাকে কেউ জিজ্ঞাসা করে না। ভালো কথা, বোরকা নারী স্বইচ্ছায় পড়ে।
এখন যাচাই করতে হবে যে, নারীর স্বইচ্ছায় বোরকা পরার সত্যতা, বোরকা নারী স্বইচ্ছায় পড়ে, এটা একটা চাতুর্যপূর্ণ কথা।তাকে ছোট বেলা থেকেই শিখানো হয় যে, সে একটা যৌনবস্তু।তাকে নিজের দেহ ঢেকে রাখতে হবে। তবেই যে নিরাপদ।তাকে দেখেই সবার যৌন লালসা উদ্বুদ্ধ হয়, তো ঢেকে রাখো নিজেকে। নিজের শরীর উম্মুক্ত থাকলে পাপ হয়।মৃত্যুর পর অনন্তকাল আগুনে জ্বলতে হবে।আর আছে সামাজিক চাপ, বোরকা পর, পর্দা কর, তবে তাতে তোমারই মঙ্গল।লোকে ভাল বলবে পরকালে ভাল থাকবে। যার জীবন চারদেয়ালে বন্দী থাকে জগতকে সে কেমন করে বুঝবে।যে যেমন পরিবেশ থেকে জানবে, তেমনই ভাববে।তো এসব বিষয় তার চিন্তার কাঠামোকে নির্মাণ করে। তো তাকে জিজ্ঞাসা করলে এই উত্তর পাওয়া যাবে, যে সে স্বইচ্ছায় পড়ে।পরে স্বইচ্ছার কারন জানতে চাইলে দেখবেন, সে বলবে মৃত্যুর পর পরকাল এর কথা।বলবে বোরকা পরলে সে নিরাপদে থাকেবে, সবাই ভালো বলবে।তখন বোঝা যাবে যে স্বইচ্ছার কারন কি? যে স্বইচ্ছায় পরে তার মধ্যে কোন কারন থাকে না।সে মনের আনন্দে পড়ে।
তো যে চিন্তার কাঠামোর নারী বিষয়টা ভাবছে তা পুরোটাই পুরুষ তান্তিক তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।আর এ পুরুষতান্তিকতা নারী পরিবেশ থেকেই রপ্ত করে।কেউ নারী হয়ে জন্ম নিলেই পুরুষতান্তিকতার বিরুদ্ধাচারন করতে পারে না।তাকে প্রগতির সংস্পর্শে আসতে হয়।পুরুষরা এই পুরুষতান্তিক পরিবেশ তৈরী করে তাদের সুবিধার জন্য।এই জন্যই এটা জারী রাখার জন্য তাদের এত তোড়জোড়।
©somewhere in net ltd.