![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজে নারীদের সাধারণত যৌনবস্তু ছাড়া আর কিছু ভাবা হয় না। নারীদেরকে নিন্ম স্তরের মানুষ হিসাবেই বিবেচনা করা হয়।নারীর উপর কোন আক্রমণ হলে তা হয় শরীর কেন্দ্রিক, যৌনতা কেন্দ্রিক। কোন নারী যদি তার লেখনীতে ভিন্ন ভাবনা চিন্তা প্রকাশ করে, তখনই তাকে আক্রমণ করার উপায় হলো যৌন হেনস্তার মধ্য দিয়ে। অশ্লীল বাক্য প্রয়োগের মধ্য দিয়ে। নারী লেখক হোক,রাজনীতিবিদ হোক মডেল হোক, সাংবাদিক হোক, সে যদি প্রচলিত মতের বাইরে যায় তো, তার প্রতি আক্রমণ হয় শরীর কেন্দ্রিক। তাকে বলে বেশ্যা, পতিতা, দুশ্চচরিত্রা!
এগুলো একটা বুলিং। নারীকে অমর্যাদা ও ছোট করে রাখার উপায়। কোন নারী একা থাকুক তাতেও সমস্যা, তাকে সর্বদাই যৌনতা কেন্দ্রিক চরিত্রের পবিত্রতা প্রমাণ করে যেতে হবে।
মডেল ও যৌন কর্মীদের তো মানুষ হিসেবেই বিবেচনা করা হয় না। তাদের প্রতি কোন অন্যায় এর প্রতিবাদ করতে গেলে, ন্যায় বিচার পেতে হলে আগে তাকে চরিত্রের পবিত্রতা প্রমাণ করতে হবে। তারপর ন্যায় বিচার পাবে। আর না হলে বিচার পাবার এখতিয়ার নাই। সব নিয়ম মেয়েদের বেলাতেই, ছেলেদের বেলায় পবিত্রতা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলে না। পুরুষের ন্যায়বিচার পাবার সাথে এর কোন সম্পর্ক নাই। এই ধরনের বুলিং পুরুষ তান্ত্রিকতার একটা প্রকাশ। এই বুলিং মানসিক নির্যাতন এর মতো। এর ভয়াবহতা অনেক বেশী।নারীর উন্নতি ও ব্যাক্তি স্বাধীনতাকে দমিয়ে রাখার জন্য এই বুলিং অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
নারীর প্রতি এই যৌনতাকেন্দ্রিক বুলিং বন্ধ হোক। নারী তার মানবিক মর্যাদা নিয়ে বেচে থাকুক।
©somewhere in net ltd.