![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাধারণ মানুষের মধ্যে ন্যুড পেইন্টিং বা ভাষ্কর্য একটা বিতর্কিত বিষয়। আর মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে, সেটা তো আরো বিতর্কিত। লোকজন ব্যাপারটিকে ঠিক বুঝে উঠতে পারে না। তারা পর্নের সাথে ন্যুড পেইন্টিং বা ভাষ্কর্যকে গুলিয়ে ফেলে। মুসলিম প্রধান দেশে নারী দেহকে পুরোপুরি ঢেকে রাখার চর্চা রয়েছে। যেখানে ফিগার ড্রইং বা ন্যুড শিল্পকর্ম চর্চার এই ধারাটি অনেক নিন্দিত। তাই এই শিল্প ধারার প্রেক্ষাপট জানানোর তাগিদেই এই লেখা।
পর্ন বা ন্যুড কোন ভাবেই এক না। দুইটার উদ্দেশ্য ভিন্ন। পর্নের উদ্দেশ্য অশ্লীল ভংগিমার মাধ্যমে প্রোভক করা। আর ন্যুডে দেহের সৌন্দর্যকে, শৈল্পিক ভাবে উপস্থাপন করে। মানুষের দেহের গঠন অনাবিল সৌন্দর্যের উৎস। একটা সময় এই ধরনের শিল্পচর্চার জোয়ার ছিল। অনেক বিখ্যাত শিল্পকর্মই এই ধারারই সৃষ্টি।
মুখের অবয়ব ছাপিয়ে শিল্পী পুরো শরীরকে বেছে নিলো তার অভিব্যক্তিকে আরো ভালোভাবে প্রকাশ করার জন্য। রাগ, ক্ষোভ, শোক ও ক্ষিপ্ততাকে আরো জোরালো ভাবে প্রকাশ করার জন্য, শরীরের পোশাক সেই অভিব্যক্তিকে কিছুটা আড়াল করে। তাই শিল্পী ন্যুড পেইন্টিং বা ভাষ্কর্যকেই বেছে নিলো।
শিল্পীর সত্যিকারের শৈল্পিক দক্ষতা ফুটে উঠে ফিগারের অংকন শৈলীর মাধ্যমে। শরীরের এনাটমি সহ শিল্পের নানা বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। তাই একাডেমিক শিল্পচর্চার শুরু থেকে শেষ অবধি ফিগার ড্রইং বিষয়টি থাকে। এই শৈল্পিক দক্ষতা অর্জন করতে শিল্পীকে অনেক চর্চার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ড্রয়িং এ ভালো হতে হলে ফিগার ড্রয়িং চর্চা করাটা অনেকটা বাধ্য বাধকতার মতো। এই শিল্পধারার তাৎপর্যটা এখানেই।
শরীরকে যৌন বস্তু হিসাবে বিবেচনা না করে রক্ত মাংসের মানবিক অনুভূতিসম্পন্ন দেহ হিসাবে বিবেচনা করার অবকাশ মানুষের মননে স্থান পাক!
©somewhere in net ltd.