নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিন যাপন

দিন যাপন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশে শিল্প সাহিত্যের চর্চা

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৩১



বাংলাদেশে শিল্প সাহিত্যের দশা এমনই করুণ যে তা আর কি বলবো! শিল্প সাহিত্য বরাবরই জাতির রুচি ও শিক্ষার স্তরকে তুলে ধরে। এই শিল্প সাহিত্যই কিন্তু জাতির আত্নীক অবস্থাকে উজ্জীবিত করে। তাই এ ক্ষেত্রের উপর নজর দেয়া এতো জরুরী।

বাংলাদেশে শিল্প সাহিত্যের এই দূরাবস্থা নব্বই দশকের পর থেকে শুরু হয়। অর্থনীতির দুরাবস্থা ও দুর্নীতির গ্রাস যখন প্রবলভাবে জেঁকে ধরে, তখন এক তাল মাতাল অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশ যেতে থাকে। শিল্প সাহিত্যের চর্চা দিন দিন কমতে থাকে। যারা এই চর্চার সাথে জড়িত তারা জীবিকা নির্বাহ করতে না পারার কারণে এই চর্চা থেকে বিরত থাকছে।

বাংলাদেশ এক সময় যে সমৃদ্ধ লোকশিল্প ও কুটিরশিল্পের ধারা ছিল তা ক্ষীন থেকে ক্ষীনতর হতে থাকে। রিকশা পেইন্টিং এর কথাই যদি ধরি, যে রিকশা পেইন্টিং স্বকীয় ধারার জন্য পুরো পৃথিবী ব্যাপী বিখ্যাত সেই রিকশা পেইন্টিং, রিকশার শহর ঢাকাতে এখন আর তেমন দেখা যায় না। ঠিক হাতে গোনা দু'চারজন এই পেশার সাথে আছে। বাকিরা কবেই এই পেশা ত্যাগ করেছে! কুটির শিল্পের ও একই দশা। এই শিল্পের চাহিদা সব সময়ই থাকে। এই কুটির শিল্পীরা তাদের শিল্পচর্চা ত্যাগের পথে। এই শিল্পের সাথে জড়িত মধ্যস্বত্ত ভোগীদের বাড় বাড়ন্তের জন্য। আর এইসব দেখাশোনার জন্য কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে ও দুর্নীতিগ্রস্থতার জন্য ও এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

মুসলিম ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে এমনিতেই শিল্পচর্চায় অনুৎসাহিত করা হয়। তাই বাংলাদেশে যারা শিল্পচর্চার সাথে জড়িত তারা বেশির ভাগই হিন্দু ধর্মাবলম্বী। মুসলিম নারীদেরকে শিল্পচর্চায় দেখা যায় না।

তাই দেশের অর্থনীতি শক্ত করার সাথে সাথে রাস্ট্র পরিচালনায় বিজ্ঞান ভিত্তিক নীতিমালা চালু করা প্রয়োজন। আর শিল্পচর্চাকে ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাখার জন্য ও উৎসাহিত করা উচিত।




মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.