![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইদানীং ভাস্কর্য, মূর্তি, শিল্পচর্চা এইসব নিয়ে খুব বিতর্ক হচ্ছে। এইসব বিতর্কে জ্ঞানের বিকাশ তো হয় ই না বরং দম বন্ধ হয়ে আসে। কিভাবে ভাস্কর্য বা মূর্তি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয় তাই আমার মাথায় আসে না। যেন আমরা একবিংশ শতাব্দীতে বাস করছি না, করছি মধ্যযুগে। এইসব বিতর্ক আমাদের চিন্তার কাঠামোকে ইংগিত দেয়৷ তো কোন চিন্তার কাঠামো আমাদেরকে এই ধরনের বিতর্কের অবকাশ দেয়, যে চিন্তার কাঠামো হাজার বছর পূর্বে তাৎপর্যপূর্ন ছিলো, সেই কাঠামো দিয়ে জগতকে দেখার সুযোগ দেয়। ধর্মের তাৎপর্য একটা সময় ছিলো। ধর্ম আমাদের আদিমতম জিজ্ঞাসার সমাধান দেয়। আমরা কোথা থেকে আসছি, কি আমাদের জীবনের উদ্দেশ্য, এই জীবন কিভাবে চলা উচিত .... তার সরলতম সমাধান দেয়। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আমরা জেনেছি জগত এতো সরল নয়। আমরা জগতকে বোঝার যাত্রা শুরু করেছি। সেটা সবেমাত্র শুরু।
এই মহাবিশ্বে আমাদের অবস্থা অনেক নাজুক। জীবন অনেক সংগ্রামের। ধর্ম এখনো আমাদের সে নাজুকতা মোকাবেলা করতে সাহস যোগায়৷ তাই এখন পর্যন্ত ধর্মের এতোটা দাপট রয়েছে। কিন্তু জগতকে বোঝার এতো সরল সমাধান আমাদেরকে ক্ষতি করেছে। আমাদের জ্ঞানের যাত্রাকে ব্যাহত করেছে। কিছু কিছু কূপমন্ডুক সেই যাত্রাকে শুধু ব্যাহতই করছে না, সেই পথ রুদ্ধ করতেও সেইসব মানুষ তৎপর। যারাই প্রগতির কথা বলে তারাই রোষের শিকার হয়। হত্যা পর্যন্ত করতে দ্বিধা করে না। কিন্তু তাতে প্রগতির পথ বন্ধ হয় নি,বন্ধ হবেও না।যখন........ বলেছিলো, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘুরে, তখন সে রোষের শিকার হয়েছিলো। কিন্তু তাতে সত্য বলা থেমে থাকে নি। যে সত্য এখন প্রতিষ্ঠিত। তাদের প্রগতির পথ ধরেই আজ আমাদের এই পর্যন্ত অগ্রযাত্রা। কিন্তু সত্য বলার অপরাধে তাদেরকে দাম পরিশোধ করতে হয়েছিল। এখনো পর্যন্ত যারা সত্য বলে, প্রগতির কথা বলে, তাদেরকে ও সেই একই রোষের শিকার হতে হয়।সেই একই দাম পরিশোধ করতে হয়।
শুরু করেছিলাম ভাস্কর্য দিয়ে সেই প্রসঙ্গেই আসি।চিন্তার কাঠামোর কথা বলছিলাম। বিজ্ঞান নিয়ে তাদের যেমন অভিমত, শিল্পচর্চা নিয়েও তাদের একই রকম দৃষ্টিভংগী।
ইসলাম ধর্মে শিল্পচর্চার নানা ক্ষেত্র যেমন নাচ, গান, চিত্রকলা, ভাস্কর্য, মূর্তি নিষিদ্ধ। তাই এখন এই সব শিল্পচর্চা লোকজন করতে পারবে না। সব বন্ধ করে দিতে হবে। চিন্তা ভাবনা গুলো বড়ই অদ্ভুত! কূপমন্ডুকতার একটা সীমা পরিসীমা আছে। কিন্তু এইসব মানুষদের কূপমন্ডুকতার কোন সীমা পরিসীমা নেই।
তারা হাজার বছর পূর্বের ধ্যান ধারণায় প্রতিষ্ঠিত ধর্মের বিধিমতে চলতে আগ্রহী। হাজার বছর পূর্বের ধর্ম কি প্রেক্ষিতে, কি কি বিধি দিয়েছিল তা এই সহস্র বছর পরের প্রেক্ষিতে কিভাবে প্রাসঙ্গিক হয় তা অতি সহজেই অনুমেয়।
©somewhere in net ltd.