![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পশ্চিমা বিশ্বে কাতালিলেনের একজন মানুষের সাফল্য হিসাবে দেখানো হচ্ছে। কারণ লিঙ্গীয় সমতা এইখানে অনেক বেশি। কিন্ত আমাদের এইখানে নারীর এই সাফল্য অচিন্তনীয়, কেননা নারীদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের ও উপায় নেই। কাতালিনের এই সাফল্য তাই অনুপ্রেরণার আমাদের দেশের মতো নারীদের জন্য। তাই দিনশেষে কতালিনের এই সাফল্য নারী পাতাতেই ঠাই হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানে দুই বিজ্ঞানীকে যৌথ ভাবে নোবেল দেয়া হয়, যাদের গবেষণায়, যা পৌঁছে দিয়েছিল প্রথম m RNA ভ্যাকসিন যা খুব দ্রুততার সাথে covid ১৯ ভ্যাকসিন হিসাবে আসে। কভিদ১৯ যা সেপ্টেম্বর ২৩ পর্যন্ত ৭মিলিয়ন লোকের প্রাণ নিয়েছিল । তাদের গ্রাউন্ড ব্রেকিং ফাইন্ডিং, যা mRNA আমাদের ইমিউন সিস্টেমের সাথে কিভাবে interect করে তার ধারণা মৌলিকভাবে পরিবর্তন করে দেয়। তাদের এই প্রযুক্তি অন্যান্য রোগ যেমন RSV , HIV এই ভাইরাস গুলোর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভবনা খুলে দেয়। ক্যান্সারের বিরুদ্ধে ও নতুন সম্ভবনা খুলে দেয়।
কাতালিন একজন হাঙ্গেরিয়ান আমেরিকান বায়োকেমিস্ট্র। ৬৮ বছর বয়সী কাতালিন তার ক্যারিয়ার শুরু করে ১৯৭০ সালে তার নিজের দেশ হাঙ্গেরিতে। তখন mRNA গবেষণা ছিল নতুন। সে,তার স্বামী ও কন্যা, ফেলেদেলফিয়ার টেম্পল ইউনিভার্সিটিতে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর ইউএসএ তে চলে আসে। সে তার গবেষণা অব্যাহত রাখে upenn এর স্কুল অফ মেডিসিন তে যোগদানের পূর্বে। সে তার গ্র্যান্ট এর জন্য হন্যে হয়ে খুঁজেছে ,কিন্তু রেজিকশন এই ছিল। এমনকি ডিমোশন হয়েছিল পদবী থেকে। সে নিজেও ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিল সেই সময়ে। কিন্তু ধৈর্য্য ও একাগ্রতার সাথে লেগেছিল তার গবেষণার সাথে। ফাইজার ও ম্যাডোনার ট্রায়ালের সফলতা নিয়ে সে মোটেও আশ্চর্য্য ছিল না।সে জানতো সেটা ঠিক ভাবেই কাজ করবে কারণ তাদের যথেষ্ট পরিমাণ এক্সপেরিমেন্ট ছিল। সে তার ট্রায়ালের সফলতা উৎ যাপন করেছিল এক্ ব্যাগ গুবারস, চকলেট কভার পিনাট, ও প্রিয় ক্যান্ডি দিয়ে।
অন্যান্য গতানুগতিক ভ্যাকসিন টেকনোলজি র ভিত্তি ছিল দুর্বল ভার্সনকে ব্যবহার করা, ক্ষুদ্র ফ্রাগমেন্ট এর উপর ভিত্তি করে। তার বিপরীতে mRNA টেকনোলজির ছিল সম্পূর্ন ভিন্ন অ্যাপ্রোচ। এই টেকনোলজির সবচেয়ে বড় আইডিয়া ছিল খুব দ্রুততার সাথে ভ্যাকসিন ডেভেলপ করা যায় যতক্ষণ পর্যন্ত জানা যায় কিভাবে সঠিক জেনেটিক নির্দেশনা ব্যবহার করা যায়। এটার জন্যই খুব দ্রুততার সাথে এই ভ্যাকসিন ডেভেলপ করা যায়। কোভিডের সময় ম্যাডোনা, ফাইজার এই mRNA টেকনোলজির উপর ভিত্তি করে তৈরী করে।
কারিকো আর উইনসন ১৯৯০ সালের শুরু তে সাক্ষাত হয়, যখন তারা ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়া তে আমেরিকা তে কাজ শুরু করেন। কাটালিন এখন szeged university তে শিক্ষকতা করেন এবং drew উইনসোন এখন ও universtity অফ পেনসিলভানিয়া ইউনিভার্সিটি তে কাজ করেন।
নারীদের প্রগতি নিয়ে যাদের সন্দেহ তাদের এই ধারণার বিপরীতে সেটা আরো এক ধাপ বিজয়। শুধু তাই নয় এই সাফল্য সবার জন্যই অনুপ্রেরণার, যাদের একাগ্রতা সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে হার মানে। পৃথিবী কে পরিবর্তন করতে বিজ্ঞানের সম্ভাবনার উপর যাদের আজও আস্থা আছে। নারীদের এখনও নানা কৌশলে সব সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়। তাদের যদি এইভাবে বঞ্চিত করা হয় কাতালিনের মত প্রতিভাধররা আতুর ঘরেই শেষ হয়ে যাবে, যাদের সফলতা পুরো মানব জাতির জন্যেই কল্যাণ বয়ে আনতো!
©somewhere in net ltd.