![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবজীবন চলমান। পথচলা মৃতু্যর আগ পর্যন্ত থেমে থাকে না। এ ধারাবাহিকায় তাই হাইস্কুল পার হয়ে ভর্তি হয়ে গেলাম কলেজে। মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজ। উপজেলা লেভেল হিসেবে ক্যাম্পাস ভালই বড়। প্রিয় স্যার ছিলেন বাংলার আনিসুর রহমান স্যার। ইংরেজির বিষ্ণু স্যার। দুজনই ভালো পড়াতেন। তার কাছে ইংরেজিতে প্রাইভেট পড়তাম প্রথম দিকে। কিন্তু পরীক্ষার আগে আগে ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আসলে ছাড়া উচিত ছিল না। পরে বুঝতে পেরেছি। বিষ্ণু স্যার খুব ভালবাসতেন আমাদের। আনিসুর স্যার বাংলা পড়াতেন অসাধারণ। সুন্দর গোফ ছিল তার। মুখে মিষ্টি হাসি লেগেই থাকতো।
বাংলার আরেক স্যার ছিলেন আহাদ স্যার। ইয়ং হওয়ায় সবাই তাকে পছন্দ করতেন। কিন্তু স্যার ক্লাসে যখন তখন প্রশ্ন করে দাঁড় করিয়ে রাখতেন। এজন্য অনেকেই অপছন্দ করত আহাদ স্যারকে। তবে আমার ভাল লাগতো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের নানা কাহিনী তিনি ক্লাসেও শোনাতেন। অনেকেই তার কাছে বাংলা প্রাইভেট পড়তো। ২০০১ সাল তখন। বাংলা প্রাইভেট পড়তে হবে কল্পনায়ও ভাবতাম না। কিন্তু অনেকেই পড়তো। আমার অবাক লাগতো। যারা প্রাইভেট পড়তো তাদের চেয়ে আমি কম নাম্বার পেতাম তা কিন্তু নয়। এজন্যই আমার অবাক লাগতো। বাবার টাকা আছে, স্যার আছেন। ভালো রেজাল্ট হলে প্রাইভেট পড়তে দোষের কিছু নেই।
যারা প্রাইভেট পড়তো তাদের মুখে শুনতাম আহাদ স্যারের নাকি সুন্দরী এক শালি আছে। অনেকেই ওই শালিটা নিয়ে অনেকেই মুখরোচক অনেক গল্প করতো। আমি মজা পেতাম। যাই হোক আমাদের ক্লাসে মেয়েদের সংখ্যা একবারে কম ছিল। মনিরামপুর মহিলা কলেজ হওয়ার পর থেকেই কলেজে মেয়েদের সংখ্যা কমে যেতে লাগল। আমি যখন ভর্তি হলাম তখন দেখতাম মেয়েদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। এজন্য ছেলেরা ততটা জমাতো পারতো না। তবে ছাত্ররাজনীতি ছিল প্রবল। ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের মিছলি প্রতিদিন হতো। নেতাকর্মীরা ঝাঁকবেধে মহাড়া দিতো। এজন্য কলেজ জীবনটা ছোট গণ্ডির মধ্যে ছিল না। বলা যায় বিশাল ছিল। সব ধরণের চিন্তাভাবনার করার সুযোগ ছিল। পরে শুনেছিলাম ক্ষমতা পরিবর্তনের পর অর্থনীতির উত্তম স্যারকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল ছাত্রলদের নেতারা। স্যারকেও ছেড়ে দেয়নি ওরা। পিটিয়েছিল। শুনেছিলাম কলেজ ক্যাম্পাস থেকে উপজেলা শহরে যেতে দুই কিলো রাস্তা পেটানে পেটাতে নিয়ে গিয়েছিল। কলেজের প্রিন্সপালের কক্ষও ভাংচুর করেছিল তারা। বঙ্গবন্ধুর ছবিও ভাংচুর হয়েছিল বলে খবর পেয়েছিলাম।
আমার কলেজ লাইফের প্রিয় বন্ধু ছিল বিপ্লব। সম্পর্কে মামা হয়। পাশের গ্রামে বাড়ি। নিকটাত্মীয়। আর একজন ছিল আরিফ। চন্ডীপুর বাড়ি। ওদের বাড়িতে গিয়েছিলাম একদিন। মেধাবী ছেলেটা। পড়া তোতাপাখির মতো মুখস্ত করতে পারতো। বড় প্রশ্নের উত্তর অক্ষর বাই অক্ষর বলে দিতে পারতো ও। পড়তোও খুব। কলেজ পাস করার পর আরিফের সঙ্গে আর যোগাযোগ ছিলনা। যেহেতু তখনও মোবাইলের ব্যবহার ততটা ছিলনা। তবে আরিফের স্বপ্ন ছিল ডিগ্রি পাস করার পর এলাকায় চাকরি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হবে। এটা তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ছিল। জানিনা সে ইউপি মেম্বার হতে পেরেছে কিনা। হয়তো হয়েছে কে জানে।
০১ লা জুন, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫০
দূর পাহাড়ে বলেছেন: দূর পাহাড়ে বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই.............
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা জুন, ২০১৬ বিকাল ৫:০১
প্রামানিক বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে ভালো লাগল। ধন্যবাদ