নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জমে থাকা কথাগুলো থরে থরে সাজাতে চাই ব্লগে

দূর পাহাড়ে

দূর পাহাড়ে › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন প্রতিদিন : তারা ক্ষমতায় থাকবেন আজীবন!!

০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৭


খবরের কাগজে নানা খবর। পুতিন আজীবন ক্ষমতায় থাকার আশা প্রকাশ করেছেন। পুতিনের মতো রাষ্ট্রনায়কের কাছে এটা সোজাসাপটা ব্যাপার। পুতিনের কথা মনে হতেই মনে পড়ে গেল চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথা। তাকেও তার পরিষদ আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকার ক্ষমতা দিয়েছে। এশিয়ান বাংলা ডটকমে দেখলাম শিরোনাম করেছে ‌'তারা ক্ষমতায় থাকবেন আজীবন'। অন্যজন কে? নিউজটা পড়লাম। সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। তার দলের নেতাদের মাধ্যমে তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন। পড়ে ভালই লাগল। মনটা আজ ভাল না। ছেলের সঙ্গে কথা বললে মনটা অনেক ভাল হয়ে যায়। ও বলে বাবা আসো। আমি বলি এইতো বাবা আসব। বাসে চড়ে। প্রতিদিন জিজ্ঞাসা করি খেয়েছ বাবা? কি খেয়েছ? বই পড়েছ? সাইকেল চালিয়েছ? ওর সঙ্গে এসব কথাই হয়। বয়স চার বছর। পাচ বছরে পড়েছে। মাসে একদুবার বাবার সঙ্গে ঘুমানোর সৌভাগ্য তার হয়।
আজ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের বিরুদ্ধে সরকারি আপিলের শুনানি ছিল। কিন্তু আদালত শুনানি না শেষ করেই আগামীকাল (৯-৫-১৮) পর্যন্ত মূলতবি ঘোষণা করেছেন। অনেকেই মনে করছে কালই খালেদা জিয়ার জামিন হয়ে যাবে। আসলে আশান্বিত হয় কারা? এ প্রশ্নটা রাখা যায়। যারা রাজনৈতিক অঙ্গন সুশোভন দেখতে চায়, রাজনীতি জনকল্যাণের জন্য হোক দেখতে চায়, তারাই কিন্তু খালেদা জিয়া কিংবা শেখ হাসিনার কল্যাণ কামনা করে। তবে দলকানা লোকদের কথা আলাদা।
এদেশের সাধারণ মানুষ কি চায়? তারা চায় নিরাপদভাবে দুমুঠো ভাত, পরার কাপড়, মৌলিক চাহিদা পূরণ ইত্যাদি চায়। তারা লাঠি নিয়ে রাজপথে রাজনীতি করতে আর চায় না। এজন্য হরতাল অবরোধ ডাকলে তা আর সফল হয় না। বাংলাদেশে রাজনীতির ধরণ বদলে গেছে। এখন নেতাদের জন্য, দলের জন্য, দলের প্রতীকের জন্য কেউ জীবন দিতে চায় না? কেনই বা দেবে? কেন একজন মানুষ এতিম হবে? কে বাবাকে হারাতে চায়? কে স্ত্রীকে বিধবা করতে চায়? কেউ না।
আম্মার সঙ্গে , স্ত্রীর সঙ্গে কথা হল। বাড়ির শ্বশুরবাড়ির খোজ খবর নেয়া হল। প্রতিদিনের কাজ এটা। লন্ডন থেকে মাহবুব ভাইয়ের দেয়া কাজ করা হল। ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে কিছু টাকা জমা দিলাম। বাসা থেকে বেরিয়ে হাটা হল খানিক। তবে ডাচ বাংলার বুথে গিয়ে ব্যর্থ হলাম। নতুন এটিএম কার্ড এখনো একটিভ হয়নি। এজন্য আরো কিছু টাকা তোলা দরকার ছিল তুলতে পারলাম না। কাছে যা ছিল তাই অ্যাকাউন্টে জমা দিলাম। ডাচ বাংলার ওপর রাগই হল। স্যালারি একাউন্ট হিসেবে এটিএম কার্ডটা ১২ ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকটিভ করে দিতে পারত। কিন্তু তা দেয়নি। আজকে চারটা পর্যন্ত চা খাওয়া হয়নি। অফিসে নাসির আসেনি। ও পিয়নের চাকরি করে। চা তৈরি করে খাওয়ায়। প্রতিদিনের বিলটা দিয়ে দিই। কারণ ও কিছু নগদ টাকার জন্যই মূলত চা বিক্রি করে। ভাবছেন অফিসে চা কিনে খেতে হয় কেন? যুগান্তর অফিস। বিশাল অফিস। এত লোকের চা দিতে গেলে মালিক ফতুর হয়ে যাবে। এজন্য এখানকার পিওনরা ক্ষুদ্র ব্যবসা করে জনশক্তিকেন্দ্রিক। ভালই হয়। পিওন আল আমিনের চায়ের ব্যবসা ইদানিং জমে উঠেছে। (চলবে)

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার ভেতরে একজন ক্রীতদাস বসবাস করছে

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

দূর পাহাড়ে বলেছেন: ব্যাখা করুন প্লিজ

২| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:০০

মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: X(( X( :D

৩| ০৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: চলুক।
আপনার জীবনযাত্রা জানি। নিজের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি।

০৮ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২০

দূর পাহাড়ে বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.