নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেইড ইন চিটাগং

মেইড ইন চিটাগং › বিস্তারিত পোস্টঃ

পর্ণোগ্রাফি এবং বাস্তবতাঃকিঙ্কর আহসানের বিশ্লেষণ

২০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:১৪

পোস্টটি লিখেছিলেন-কিঙ্কর আহসান



পর্ন এবং প্রেমিক/প্রেমিকা ছেলে/মেয়েদের (মেয়েদের

তুলনামূলক কম) ভেতর সবারই পর্নের

প্রতি কম অথবা বেশি কৌতূহল

থাকে, আছে এবং থাকবেও হয়ত।

কিন্তু

বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, পর্নে কারোর প্রাথমিক কৌতূহল

থাকা আর তাতে আসক্ত

হয়ে পড়া— দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন

ব্যাপার। আমার আশেপাশের এমন

অনেককেই জানি যাদের

মোবাইলে বা পিসিতে শুধু পর্নে ঠাসা; এবং, তাদের এই পর্ন

প্রিয়তা দু এক দিনের নয়,

দীর্ঘদিনের।



বাজারে দু ধরণের পর্ন পাওয়া যায়

আমার জানা-মতে:

১. পর্ন ফিল্ম

২. হ্যান্ড মেইড পর্ন ফিল্মের পর্নগুলো হয়

সাধারণত ইংরেজি, পাকিস্তানী,

ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, কোরিয়ান,

থাই, অ্যারাবিয়ান...

আর হ্যান্ড মেইড গুলো হয় বিশেষ

করে বাংলাদেশি আর ইন্ডিয়ান। অন্যান্য দেশেরও হয় কিন্ত আমার

আশেপাশের মানুষগুলোর ঝোঁক

থাকে বাংলাদেশি হ্যান্ডমেইডগুলো

র প্রতি। ফিল্মের পর্ন দেখতে দেখতে এক

সময় চোখ পচে যায়।

সবগুলো একি মনে হতে থাকে। তখন

মন চায় এমন কিছু যা রিয়েল।

তারা তখন

ঝুঁকে পড়ে দেশি হ্যান্ডমেইডগুলোর দিকে।



আর হ্যান্ডমেইডগুলোর

প্রতি বরাবরই বিশেষ একটা গোপন

আকর্ষণ থাকে সবারইঃ সেটা দুই

নর-নারীর গোপন ঘনিষ্ঠ মুহূর্ত

দরজার ফুটো দিয়ে দেখার

যে লোভ, সেই গোপন আকর্ষণ! পর্ন, সে যে ক্যাটাগরিইই হোক!

তাতে আসক্ত হয়ে পড়া যেমন

নিজের জন্য তেমনি অন্যের জন্যও

খুবই বিপদজনক। রুচি নষ্ট করে দেয়,

জীবনের স্বাভাবিক সহজ আনন্দময়

যৌনজীবন তখন আর তাদের কোনো আকর্ষণ করে না।



প্রথমেই আসা যাক ফিল্মীয় পর্নের স্বভাব

চরিতে,এই

পর্নগুলো তে আমরা কয়েকটা ব্যাপার

লক্ষ্য করি— তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে সেক্স করে।

সেক্সের প্রায় আরম্ভকাল থেকেই

মেয়েটি (পরে ছেলেটিও) উহ্ আহ্

নাহ্ ইত্যাদি প্রকার উত্তেজক সব

এমন শীৎকার জুড়ে দেয়,

স্বাভাবিকভাবেই বাইরে থেকে মনে হতে পারে,

তারা যেন

প্রতি মুহূর্তে অর্গাজমের (চুড়ান্ত

পুলক) সুখে বিভোর হয়ে আছে।

এসব পর্নে নারী-পুরুষ উভয় স্টারই

হয় দেখতে সুন্দর, সুঠাম দেহের এবং ছেলেটির শিশ্ন

থাকে বিশাল মোটা আর বেশ

দীর্ঘ। এই ক্যাটাগরির পর্ন আমাদের

যেভাবে প্রভাবিত করে—

মনে মনে ছেলেটি চায় তার

পার্টনার হোক পর্ন স্টারের মত

সেক্সি যে কিনা সেক্সের শুরু

থেকেই উহ আহ না শব্দে রুম ভরিয়ে রাখবে। কিন্তু

বাস্তবে প্রেমিকা বা বউয়ের

সাথে সেক্স করার সময় হয়ত

দেখে মেয়েটি মোটেও ওমন আচরণ

করছে না, তখন হতাশ বোধ করে।

মেয়েটির প্রতি শুরুতে যে চঞ্চলতা আগ্রহ

দেখিয়েছিল,

তা কমতে থাকে ধীরে ধীরে।

আবার সে নিজেও অর্গাজমের

আগে এমন

কোনো আহামরি সুখোচ্ছ্বাসে ভাসে না যে পর্ন স্টারটির মত আহ উহ করবে— তখন

হয়ত ভাবে, হয় তার ব্যর্থতা নাহয়

মেয়েটির! তার ব্যর্থতা যে, তার

অত বড় আর মোটা শিশ্ন নেই, তাই

যে পরিমাণ সুখ-

উত্তেজনা সে প্রত্যাশা করেছিল, তা নিজেও পাচ্ছে না, সঙ্গীকেও

দিতে পারছে না। সে তখন

একি সাথে হতাশা এবং হীনমন্যতায়

ভোগে। পর্নে আসক্ত মেয়েটিও ভাবে, তার

সঙ্গীর অমন মোটা আর লম্বা শিশ্ন

না থাকাতে সে প্রতি মুহূর্তে অর্গাজমের

সুখ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সবচেয়ে যে বিষয়টি নিয়ে ছেলেটি হীনমন্যতায়

বেশি ভোগে তা হচ্ছে— বীর্যপাত

ঘটার স্থায়িত্বকাল। তারা ধরেই

নেয় আসল পুরুষ কখনো অন্তত ১৫

মিনিটের আগে কাইত হয় না! কিন্তু

বাস্তবে দেখা যায় মাত্র ৪০ কি ৫০ সেকেন্ডেই বীর্যপাত ঘটে গেছে।

সঙ্গিনীর সামনে এতো ঘোরতর

অপমানের বিষয়! ছেলেটি ভাবে,

মেয়েটি কি ভাবছে সে ‘পারে না'!

আর মেয়েটি যদি প্রেমিকা হয়

তাহলে হয়ত একটা স্বান্তনা পাওয়া যায় কিন্তু

নতুন বউ হলে প্রবল হীনমন্যতা বোধ

ঘিরে ধরে। এই যে উভয়ের

প্রত্যাশা তা তারা পায় ফিল্মীয়

পর্নের অভিনয় থেকে। কিন্তু সুস্থ

একটা রিয়েল সেক্সের

স্থায়িত্বকাল হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩

মিনিট। এর বেশি কেউ টিকলে তাকে অতি সত্বর যৌন

চিকিৎসকের সাথে দেখা করার

জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।



আরেকটা বিষয় মনে রাখা অত্যন্ত

জরুরি, সুস্থ আর বাস্তব সম্মত

অর্গাজমের জন্য লিঙ্গের আকার আকৃতি কোনোভাবেই প্রভাব

ফেলে না। উভয়েই সমান অর্গাজম

লাভ করে। আর, যেসব

মেয়েরা ভাবে পর্ন স্টারের

লিঙ্গেই সমস্ত সুখ, তারাও বোকার

স্বর্গে বাস করে। যেসব মেয়েরা স্বমেহন করে থাকে,

তাদের স্বহমেনের প্রধান

হাতিয়ার হচ্ছে হাতের

মধ্যমা আঙ্গুল।

এবং তারা তাতে পূর্ণ অর্গাজম

লাভ করে থাকে। এতেই বোঝা যায় অর্গাজমের জন্য লিঙ্গের আকার

আকৃতি দায়ী নয়।

ছেলে এবং মেয়ে— উভয়ই

যদি দাবি করে লিঙ্গের

আকৃতি তাদের অর্গাজমের পূর্ণ সুখ

থেকে বঞ্চিত করে, তাহলে নিশ্চিতভাবে বলা যায়,

সমস্যা আসলে লিঙ্গে না,

সমস্যা হচ্ছে তাদের মানসিকতায়।

আর এই মানসিকতা তাদের

তৈরি হয়েছে পর্ন দেখে।

মনে রাখা উচিৎ, সেক্স ৯০ ভাগ মানসিক, আর ১০ ভাগ শারিরীক।

কোথাও কোথাও এর পারসেন্টেজ

আরো কম পড়েছিলাম। পর্নে আসক্ত হওয়ার

আরো বাজে দিক হচ্ছে, এইসব

ছেলেরা পরে পৃথিবীর সমস্ত

মেয়েদের পর্ন স্টারের মত

সস্তা আর অশ্রদ্ধেয় ভাবে।

বন্ধুকেও একটানে বিছানায় নিয়ে যাবার কল্পনায়

মেতে থাকে।



এবার আসা যাক হ্যান্ডমেইড

পর্নের কথায়।

এইসব পর্নে কী থাকে?

থাকে আমাদেরই মত সাধারণ

ছেলে-মেয়ের গোপন মুহূর্তগুলো।

হয়ত স্বামী-স্ত্রী এবং বেশির ভাগই অবশ্য প্রেমিক-প্রেমিকা।

তাদের নিজস্ব রুমে একান্ত গোপন

মুহূর্তগুলো। এইসব পর্নে মানুষ মূলত

সেক্স দেখে কম; দেখে রাস্তায়

বেরুলে, বাসার পাশে বা স্কুল

কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব মেয়ের সাক্ষাৎ মেলে তাদের মত

অতি চেনা মেয়েদের

ন্যাংটো হওয়াটাকে।

দেখে সেক্সের পর্বটা মূলত

তারা কীভাবে শুরু করছে, কীসব

কথা বলছে, সেক্সের সময় মেয়েটির কী রকম এক্সপ্রেশন হয়, সেক্সের পর

কী করে— এইসব। সেক্স

এখানে উপলক্ষ্য, মূল আকর্ষণ

মেয়েটির এক্সপ্রেশন এবং তাদের

গোপন মুহূর্ত তাড়িয়ে ভোগ করা।

কেননা, এইসব রিয়েল, ফিল্মীয় পর্নের মত অভিনয় নয়। এইসব পর্নের আসক্ত যারা,

তারা মেয়েদের

প্রাইভেসিতে বিশ্বাস রাখে না।

রাস্তার মোড়ে মেয়ে দেখলেই

শিশ্ন উত্থিত হয়। সবচেয়ে ভয়ানক

যে ব্যাপারটা ঘটে তা হচ্ছে, ফিল্মীয় পর্ন দেখার সময় সেইসব

পর্ন স্টারকে ভোগ করার

ইচ্ছা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠলেও

সে জানে, তারা তার সাধ্যের

বাইরে; কিন্তু এইসব হ্যান্ড মেইড

পর্নের বাসিন্দারা তো তাদের অতি পরিচিত, তাই তীব্র এক

ঈর্ষায় ভোগে এইসব দেখার সময়।

আর সবাইকে তাদের কাছে এমন

এভেইলেবল মনে হয়। কিন্তু সে হয়ত

জানেই না, মেয়েটিকে বিছানায়

নেবার আগ পর্যন্ত ছেলেটিকে কী পরিমাণ চতুরতা,

অভিনয় আর বদমায়েশির আশ্রয়

নিতে হয়েছে। তাই আসক্তরা যখন

বাস্তবে মেয়েদের দিকে আগায়

তখন কল্পনা আর বাস্তবায় ক্রাশ

খায়, ব্যর্থ হয়ে খুঁজে শর্টকাট এবং গায়ের জোর দেখানো পথ:

মানে ইভ টিজিং আর ধর্ষণ।



হ্যান্ডমেইড পর্নের ভেতর আরেক

ধরণের পর্ন,

যেটা সবচেয়ে উত্তেজক পর্ন

হিসেবে আসক্তরা বিবেচনা করে,

বিভিন্ন ধরণে রেইপিং পর্ন।

মানে জোর করে সেক্সের সময় ভিড়িও কৃত পর্ন। এইসব পর্ন—

আসক্তদের

মাঝে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার

সঞ্চার করে। তারা মূলত এখানেও

সেক্স তেমন দেখে না,

যতটা দেখার প্রবণতা হচ্ছে ছেলেটির

পৈশাচিকতা এবং মেয়েটির

অসহায়ত্ব। এইখানে এইসব আসক্তদের মাঝে দুই

ধরণের প্রবণতা দেখা যায়। এক

ধরণের মাঝে ইল্যুশন ঘটে,

তারা নিজেদের সেইসব

রেপিস্টদের ভুমিকায়

কল্পনা করে বিকৃত আনন্দ লাভ করে। আরেক প্রকারের

আসক্তরা এই একি রেইপিং পর্ন

দেখে রেপিস্টটার প্রতি ক্ষিপ্ত

হয় আর মেয়েটার প্রতি আবেগ বোধ

করে। এখানে তাকে সাধু ভাবার

কারণ নেই। সে তখন ক্ষিপ্ত হওয়া আর আবেগ বোধ করার কারণ

হচ্ছে, সে আসলে নিজেকে বঞ্চিত

বোধ করে। ভাবে, এই বাঞ্চোত

রেপিস্টটার জায়গায় সে নিজেও

হতে পারত! এখন কথা হচ্ছে— পর্ন আসক্ত,

সে যে ধরণের পর্নেই আসক্ত হোক

না কেন, তারাও

ব্যক্তিজীবনে প্রেমিক/প্রেমিকা,

স্বামী-স্ত্রী, বাবা-মা বিভিন্ন

ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়। এদের ভেতর বাবা-মা অপশনটার ব্যাপারে চুপ

থাকব। আমাদের দেশে কম

করে ঘটলেও আরব দেশগুলোতে,

বিশেষ করে সৌদি আরবে এই

ব্যাপারটা খুব ঘটেঃ প্রায়ই

শোনা যায় বাপে মেয়েরে রেইপ করছে,

বাপে কিশোরী মেয়েকে এত দিন

আটকে রেখে যৌননির্যাতন

করেছে, বাপের ঔরশে কন্যার

গর্ভে সন্তান ইত্যাদি। এইসব খুব

সম্ভব আরবরা উত্তরাধিকার সূত্রে পাবার কিংবা তাদের প্রবল

পুরুষতান্ত্রিকতার

পাশাপাশি প্রচন্ড পর্ন আসক্তির

ফলাফল। এবার আসি প্রেমিক/

প্রেমিকা অথবা স্বামী-স্ত্রীর

ভুমিকায় তারা যখন—

এইসব প্রেমিকেরা তাদের

প্রেমিকাদের

ভাবে ‘একটা নিজস্ব সেক্স টয়'! মানুষ হিসেবে কোনো মূল্য

তো নেই-ই, মূল্য নেই বন্ধু হিসেবেও।

তাদের মনোভাব হচ্ছে,

‘তোমাকে অনেক কষ্ট করে অর্জন

করেছি, আর অর্জন করার মূলে ছিল

তোমাকে যখন তখন যেভাবে ইচ্ছে বিছানায়

শোয়ানো! আর

বেশি তেরিবেরি করবা তো, সব

ফাঁস করে দেব, বাজারে ছেড়ির

অভাব নাই!' কিন্তু যতটা তীব্র

আকর্ষণ আর দ্রুততার সাথে তারা সঙ্গীর দিকে আগায়,

ঠিক ততোটা দ্রুতটার সাথে মোহ

হারিয়ে ফেলে তারা সঙ্গী/

সঙ্গিনীর সাথে সেক্স করার পর।

পর্ন তাদের (মানে আসক্ত

প্রেমিক/প্রেমিকা অথবা স্বামী/ স্ত্রী) মাঝে যে অতৃপ্ত আর

আগ্রাসী মনোভাব

তৈরি করে দিয়েছিল,

তা পার্টনারের সাথে না পূরণ

হওয়াতে মন অতৃপ্তই থেকে যায়।

পার্টনারের গুরুত্ব কমে যায় তখন তাদের কাছে। তার অনুভূতির

কোনো মূল্য থাকে না সেই

আসক্তটির কাছে। বহুল আকাংখিত

সেক্স অতৃপ্তিতে সমাপ্ত করার পর

আসক্তটি পারলে পার্টনারটিকে শারীরিক/

মানসিক অত্যাচার থেকে শুরু করে খুন পর্যন্ত করতে পারে,

মানে অন্তত করার মনোভাব

তৈরি হয় তাদের মাঝে। আসক্ত

মেয়ের ক্ষেত্রে হয়ত শারীরিক

কোনো একশনে যাওয়া সম্ভব নয়

বাস্তবতার খাতিরে, কিন্তু তারাও রিএকশন

দেখাতে পারে মানসিক পন্থায়। তাই, প্রেমিক/

প্রেমিকা বা স্বামী/

স্ত্রী মানে এক কথায় জীবন-

পার্টার খুঁজে নেবার আগে তার

রুচি জীবন-যাপন

ইত্যাদি তলিয়ে দেখুন। শুধু বাইরের শরীর এবং ভেতরের

মেকি (যেটা সে আপনাকে ইমপ্রেস

করার জন্য সুকৌশলে ব্যবহার

করে থাকবে) আচার আচরণ হাব

ভাব

ফাঁকা বুলি ইত্যাদি দেখে ভাববেন না, এই তো সেই,

যাকে স্বপ্নে আপনি খুঁজছেন।

তাকে আপনার নিজের ভাবার

আগে ভাল করে তলিয়ে দেখুন,

সে আসলে কার? আপনার

না পর্নের! রিয়েল সেক্স আর পর্ন সেক্সের

মাঝে যে আকাশ পাতাল পার্থক্য

তা তারা না বুঝলেও

আপনি তো বুঝেন? ফিল্মীয়

পর্নে যা থাকে তার ৮০ ভাগ

অভিনয়। ওরা বুঝে বিজনেস, জীবন নয়। আর হ্যান্ডমেইড পর্ন বিজনেস

না করলেও আপনাকে রেপিস্ট

করে তুলতে সাহায্য করবে দ্রুত।

আর, ফিল্মীয় পর্নকে সত্য

ভেবে বিভ্রান্ত হয়ে রিয়েল

লাইফে সেরকম জীবন যাপনের আশা করা একান্তই বালখিল্যতা।

মাঝখান থেকে রিয়েল লাইফের

যে সহজ সুন্দর মাধুয্যপূর্ণ আর

কাব্যিক এক যৌনজীবন আপনার

জন্য অপেক্ষা করে ছিল, পর্নের

জাঁকজমকপূর্ণ ইল্যুশনে বিভ্রান্ত হয়ে তার স্বাভাবিকতাও

হারাবেন, নিশ্চিতভাবেই। পর্নে আসক্তরা কখনোই

জানবে না, মুখের ওপর

আছড়ে পড়া প্রেমিকার

শ্বাসপ্রশ্বাসের রং কেমন কমলার

গন্ধ ছড়ায়। প্রেমিকার চুলেরও

যে অনুভূতি আছে, সেটা উত্তেজনায়

বা আনন্দে চিকচিক করে,

বিষন্নতায় মলিন হয়ে ওঠে—

এবং সেইসব

বাহারি রং প্রেমিককে কখনো করতে পারে কামোত্তেজিত,

কখনো উদাস— তারা এইসব অনুভূতির খোঁজও পায় না!



প্রেমিকার শরীরের

প্রতিটা ভাঁজে ভাঁজে লুকিয়ে আছে যে কামোচ্ছ্বাস,

আসক্তরা সেসবের খোঁজ পায় না,

কেননা, তাদের শকুন চোখ রাত দিন

বিদ্ধ থাকে শুধুমাত্র ঊরুসন্ধির ছোট্ট ত্রিভুজে আর স্তনের মত

নিরীহ এক অঙ্গে। অথচ সমস্ত

শরীরের তুলনায় এগুলো খুবই অল্প

জায়গা। কারণ, পর্ন

কবিতা পড়াতে অভ্যস্ত

করে তোলে না, অবাস্তব এক মায়া- কল্পনার জগতের রেপিস্ট

হতে সাহায্য করে। এখন সিদ্ধান্ত

নিন, আপনি কাকে সঙ্গী করবেন,

কবি-কে

নাকি একজন রেপিস্টকে?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.