নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মেইড ইন চিটাগং

মেইড ইন চিটাগং › বিস্তারিত পোস্টঃ

হুমায়ুন আজাদের "নারী" গ্রন্থ থেকে নেয়া কিছু উক্তি

২৩ শে আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫২

শ্রদ্ধেয় বশির ভাইয়ের কল্যাণে নারী বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে।এই বইটি নারীজাতি সম্পর্কে আপনার ধ্যান-ধারণাকে পরিবর্তন করে দেবে গ্যারান্টি দিতে পারি।কয়েকটি উক্তি তুলে ধরা হলো--



*পুরুষ এমন একটি প্রাণী, যার

নিন্দায় সামান্য সত্য

থাকতে পারে; তবে তার স্তব

সুপরিকল্পিত প্রতারণা।



*পুরুষ নারীকে গৃহে বন্দী করেছে,

তাকে সতীত্ব শিখিয়েছে,

সতীত্বকে নারীর জীবনের মুকুট

করে তুলেছে, যদিও লাম্পট্যকেই

করে তুলেছে নিজের গৌরব।



*পুরুষ মনে করে নি যে তার

জীবনের সার্থকতা পুত্র, পিতা,

গৃহস্ত হওয়াতে; বরং এই

ভূমিকাগুলো পেরিয়ে যাওয়াকেই

মনে করেছে পৌরুষ।



*পুরুষ নারীকে দেখে দাসীরূপে,

করে রেখেছে দাসী;

তবে স্বার্থে ও ভয়ে কখনো স্তব

করে দেবীরূপে।



*বিয়ে, স্বামী, সন্তান, গৃহ, সুখ,

প্রেম এসব মধুর বাজে কথা;

এগুলাতে নারী মুক্তি নেই,

এগুলাতেই বন্দী নারী।



*পুরুষ

নারীকে সাজিয়েছে অসংখ্য

কুৎসিত অভিধায়;

তাকে বন্দি করার জন্য

তৈরি করেছে পরিবার, সমাজ,

রাষ্ট্র; উদ্ভাবন করেছে ঈশ্বর, নিয়ে এসেছে প্রেরিত পুরুষ।



*পুরুষের যৌথচেতনার

মহাজাগতিক ভীতির

মতো বিরাজ করে নারী।



* পুরুষ এমন এক

সভ্যতা গড়ে তুলেছে,

যা নারীকে সম্পূর্ণ

বন্দি করতে না পারলেও ধ্বংস

হয়ে যাবে বলে পুরুষের ভয় রয়েছে;

যার নাম পিতৃতান্ত্রিক সভ্যতা।



*পুরুষতন্ত্রে সূর্য পুরুষ,

নারী আঁধার।



*আদি থেকে পুরুষ সব কিছু

তৈরি করেছে নিজের

কাঠামোতে; তার বিধাতা পুরুষ,

তাঁর প্রেরিতদূত পুরুষ, প্রথম

সৃষ্টি পুরুষ; নারী ওই পুরুষের

সংখ্যাতিরিক্ত পুতুল।



*পুরুষের সভ্যত্যায় পুরুষ মুখ্য,

নারী গৌণ; পুরুষ শরীর,

নারী ছায়া; পুরুষ প্রভু,

নারী দাসী; পুরুষ ব্রাহ্মণ,

নারী শূদ্রী।



*বাঙলার সমাজে শয়তানের

চেয়েও নিন্দিত নারী



* বিত্তবান শ্রেণীর

নারী পরগাছার পরগাছা,

বিত্তহীন শ্রেণীর নারী দাসের

দাসী।



* শোষণে সব শ্রেণীর পুরুষই

অভিন্ন; শোষণে মিল

রয়েছে মার্কিন কোটিপতির

সাথে বিকলাঙ্গ

বাঙালি ভিখারির, তারা উভয়েই

পুরুষ, মানবপ্রজাতির রত্ন।



*পুরুষতন্ত্র শুধু বল প্রয়োগ

করে অধীনে রাখতে চায়

নি নারীকে, তাকে স্তবস্তুতিও

পান করিয়েছে।



*পুরুষ উদ্ভাবন

করেছে নারী সম্পর্কে একটি বড়

মিথ্যা,

যাকে সে বলেছে ‘চিরন্তনী নারী’



* পুরুষ নারীকে বলেছে দেবী,

শাশ্বতী, কল্যাণী গৃহলক্ষ্মী,

অর্ধেক কল্পনা; কিন্তু

চেয়েছে চিরন্তনী দাসী হিসাবে।



* বাঙলার নারীরা এখন পশুদের

দাসী।



*বাঙলায় নারীদের শিক্ষার

ধারা নারীকে স্বাধীন

এবং স্বায়ত্তশাসিত করা নয়,তার

লক্ষ্য উন্নতমানের

শয্যাসঙ্গিনী উৎপাদন।



* বাঙলায় নারীদের

পেশা বিবাহ।



* বাঙলায় যারা নারীদের কল্যাণ

চান, তাঁরা মনে করেন নারীর

কল্যাণ শুভবিবাহে, সুখী গৃহে;

স্বামীর একটি মাংসল পুতুল

হওয়াকেই তাঁরা মনে করেন

নারী জীবনের সার্থকতা।



* নারীর জন্যে ক্ষতিকর পুরুষ;

তারা পুরুষতন্ত্রের শিকার,

পুরুষরা নারীকে দাসীরূপে দেখে।



* নারীবাদীরা নারীকে মানুষ

হিসাবে বিবেচনা করে নারীর

অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে না, তাঁদের আন্দোলন

হচ্ছে স্বামীতন্ত্রের

কাছে স্ত্রীতন্ত্রের আবেদন-

নিবেদন।



* পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতার বয়স

কয়েক সহস্রক; তাই পুরুষতন্ত্র

শাশ্বত সভ্যতার ভবিষ্যৎ,

এটা ভাবার দরকার নেই।



*বাঙলায়

নারীবাদীরা নারী অধিকারের

কথা বলতে ভয় পান, নিজেদের

নারীবাদী বলতে নববধূর মত

লজ্জা বোধ করেন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.