![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শ্রদ্ধেয় বশির ভাইয়ের কল্যাণে নারী বইটি পড়ার সৌভাগ্য হয়েছে।এই বইটি নারীজাতি সম্পর্কে আপনার ধ্যান-ধারণাকে পরিবর্তন করে দেবে গ্যারান্টি দিতে পারি।কয়েকটি উক্তি তুলে ধরা হলো--
*পুরুষ এমন একটি প্রাণী, যার
নিন্দায় সামান্য সত্য
থাকতে পারে; তবে তার স্তব
সুপরিকল্পিত প্রতারণা।
*পুরুষ নারীকে গৃহে বন্দী করেছে,
তাকে সতীত্ব শিখিয়েছে,
সতীত্বকে নারীর জীবনের মুকুট
করে তুলেছে, যদিও লাম্পট্যকেই
করে তুলেছে নিজের গৌরব।
*পুরুষ মনে করে নি যে তার
জীবনের সার্থকতা পুত্র, পিতা,
গৃহস্ত হওয়াতে; বরং এই
ভূমিকাগুলো পেরিয়ে যাওয়াকেই
মনে করেছে পৌরুষ।
*পুরুষ নারীকে দেখে দাসীরূপে,
করে রেখেছে দাসী;
তবে স্বার্থে ও ভয়ে কখনো স্তব
করে দেবীরূপে।
*বিয়ে, স্বামী, সন্তান, গৃহ, সুখ,
প্রেম এসব মধুর বাজে কথা;
এগুলাতে নারী মুক্তি নেই,
এগুলাতেই বন্দী নারী।
*পুরুষ
নারীকে সাজিয়েছে অসংখ্য
কুৎসিত অভিধায়;
তাকে বন্দি করার জন্য
তৈরি করেছে পরিবার, সমাজ,
রাষ্ট্র; উদ্ভাবন করেছে ঈশ্বর, নিয়ে এসেছে প্রেরিত পুরুষ।
*পুরুষের যৌথচেতনার
মহাজাগতিক ভীতির
মতো বিরাজ করে নারী।
* পুরুষ এমন এক
সভ্যতা গড়ে তুলেছে,
যা নারীকে সম্পূর্ণ
বন্দি করতে না পারলেও ধ্বংস
হয়ে যাবে বলে পুরুষের ভয় রয়েছে;
যার নাম পিতৃতান্ত্রিক সভ্যতা।
*পুরুষতন্ত্রে সূর্য পুরুষ,
নারী আঁধার।
*আদি থেকে পুরুষ সব কিছু
তৈরি করেছে নিজের
কাঠামোতে; তার বিধাতা পুরুষ,
তাঁর প্রেরিতদূত পুরুষ, প্রথম
সৃষ্টি পুরুষ; নারী ওই পুরুষের
সংখ্যাতিরিক্ত পুতুল।
*পুরুষের সভ্যত্যায় পুরুষ মুখ্য,
নারী গৌণ; পুরুষ শরীর,
নারী ছায়া; পুরুষ প্রভু,
নারী দাসী; পুরুষ ব্রাহ্মণ,
নারী শূদ্রী।
*বাঙলার সমাজে শয়তানের
চেয়েও নিন্দিত নারী
* বিত্তবান শ্রেণীর
নারী পরগাছার পরগাছা,
বিত্তহীন শ্রেণীর নারী দাসের
দাসী।
* শোষণে সব শ্রেণীর পুরুষই
অভিন্ন; শোষণে মিল
রয়েছে মার্কিন কোটিপতির
সাথে বিকলাঙ্গ
বাঙালি ভিখারির, তারা উভয়েই
পুরুষ, মানবপ্রজাতির রত্ন।
*পুরুষতন্ত্র শুধু বল প্রয়োগ
করে অধীনে রাখতে চায়
নি নারীকে, তাকে স্তবস্তুতিও
পান করিয়েছে।
*পুরুষ উদ্ভাবন
করেছে নারী সম্পর্কে একটি বড়
মিথ্যা,
যাকে সে বলেছে ‘চিরন্তনী নারী’
* পুরুষ নারীকে বলেছে দেবী,
শাশ্বতী, কল্যাণী গৃহলক্ষ্মী,
অর্ধেক কল্পনা; কিন্তু
চেয়েছে চিরন্তনী দাসী হিসাবে।
* বাঙলার নারীরা এখন পশুদের
দাসী।
*বাঙলায় নারীদের শিক্ষার
ধারা নারীকে স্বাধীন
এবং স্বায়ত্তশাসিত করা নয়,তার
লক্ষ্য উন্নতমানের
শয্যাসঙ্গিনী উৎপাদন।
* বাঙলায় নারীদের
পেশা বিবাহ।
* বাঙলায় যারা নারীদের কল্যাণ
চান, তাঁরা মনে করেন নারীর
কল্যাণ শুভবিবাহে, সুখী গৃহে;
স্বামীর একটি মাংসল পুতুল
হওয়াকেই তাঁরা মনে করেন
নারী জীবনের সার্থকতা।
* নারীর জন্যে ক্ষতিকর পুরুষ;
তারা পুরুষতন্ত্রের শিকার,
পুরুষরা নারীকে দাসীরূপে দেখে।
* নারীবাদীরা নারীকে মানুষ
হিসাবে বিবেচনা করে নারীর
অধিকার আদায়ে আন্দোলন করে না, তাঁদের আন্দোলন
হচ্ছে স্বামীতন্ত্রের
কাছে স্ত্রীতন্ত্রের আবেদন-
নিবেদন।
* পুরুষতান্ত্রিক সভ্যতার বয়স
কয়েক সহস্রক; তাই পুরুষতন্ত্র
শাশ্বত সভ্যতার ভবিষ্যৎ,
এটা ভাবার দরকার নেই।
*বাঙলায়
নারীবাদীরা নারী অধিকারের
কথা বলতে ভয় পান, নিজেদের
নারীবাদী বলতে নববধূর মত
লজ্জা বোধ করেন।
©somewhere in net ltd.