নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের সাথে চলি, সময়ের কথা বলি।

সমালোচনা অপছন্দ করি না। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি। গঠনমুলক সমালোচনাকে ভালবাসি।

সময়ের কন্ঠ

সত্য বলা পছন্দ করি। অন্যের কাছ থেকে শিখতে চাই। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি।

সময়ের কন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরআনে আজগুবী তথ্য ?

২৩ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩


১। লাঠি নিক্ষেপের পর সাপ হয় কিভাবে?
তখন তিনি নিক্ষেপ করলেন নিজের লাঠিখানা এবং তৎক্ষণাৎ তা জলজ্যান্ত এক অজগরে রূপান্তরিত হয়ে গেল। (৭:১০৭)
উত্তর: এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে যারা সম্যক ধারনা রাখেন, তারা এ ধরনের প্রশ্ন করতে পারেন না। আল্লাহর নবী মুসা (আঃ) একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। আজকালকার ডেভিড কপারফিল্ড বা ডেভিড ব্লেইনের মত যাদুকররা জ্যান্ত মানুষকে কেটে জোড়া লাগানোর মত চমক দেখাতে পারলে, আল্লাহর নবী হিসেবে মুসা (আ.) এর পক্ষে লাঠিকে সাপে পরিণত করা খুব কঠিন কাজ হবে কেন?

২। নবী ইউনুসের মাছের পেটে যাওয়া এবং প্রার্থনা করা :
অতঃপর একটি মাছ তাঁকে গিলে ফেলল, তখন তিনি অপরাধী গণ্য হয়েছিলেন।(৩৭:১৪২) যদি তিনি আল্লাহর তসবীহ পাঠ না করতেন,(৩৭:১৪৩)
তবে তাঁকে কেয়ামত দিবস পর্যন্ত মাছের পেটেই থাকতে হত।(৩৭:১৪৪)
উত্তর: সম্প্রতি ডিসকভারী চ্যানেলেই দেখা গেছে, সাপের পেটের ভেতর গিয়ে জ্যান্ত ফিরে এসেছে মানুষ। তাছাড়া নীচের লিংকটি দেখুন। অতি সাম্প্রতিক কালেও তিমির পেট গিয়ে বেঁচে ফিরে এসেছে এক মানুষ!
http://www.rockcitytimes.com/local-man-alive-swallowed-whale-shedd-aquarium/
তাহলে আল্লাহর নবী হিসেব ইউনুস (আ.) এর মাছের পেটে যাওয়া এবং সেখানে প্রার্থনা করা অযৌক্তিক বা আজগুবী হবে কেন?

৩। সালেমানের পিপড়ার সাথে কথা বলা :
যখন তারা পিপীলিকা অধ্যূষিত উপত্যকায় পৌঁছাল, তখন এক পিপীলিকা বলল, হে পিপীলিকার দল, তোমরা তোমাদের গৃহে প্রবেশ কর। অন্যথায় সুলায়মান ও তার বাহিনী অজ্ঞাতসারে তোমাদেরকে পিষ্ট করে ফেলবে।(২৭:১৮)
উত্তর: জ্ঞান-বিজ্ঞানের বদৌলতে মানুষ যে অদূর ভবিষ্যতে পশু পাখি বা কীট পতঙ্গের ভাষা বুঝবে না- এই গ্যারান্টি নাস্তিকদের কে দিল? ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন প্রাণীর আচরন দেখে তাদের ভাষা ও অভিব্যক্তি বুঝতে সক্ষম হয়েছেন। পিপড়ার সাথে সোলায়মান (আ.) এর কথোপকথন তাহলে অযৌক্তিক হবে কেন?

৪। দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ কতৃক মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান !! :
যেদিন প্রকাশ করে দেবে তাদের জিহবা, তাদের হাত ও তাদের পা, যা কিছু তারা করত;(২৪:২৪)
উত্তর: এই ঘটনাটি ঘটবে পরকালে। আর পরকাল যদি হয়েই থাকে তাহলে নাস্তিকের প্রশ্নটির যৌক্তিকতা কতটুকু থাকছে? কারণ,যিনি পরকাল ঘটাতে পারেন ঠিক তাঁরই আদেশে দেহের বিভিন্ন প্রত্যঙ্গ মানুষের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যদান করতে পারবে না কেন?

৫। ভূগর্ভ থেকে নির্গত জীবের সাথে কিভাবে মানুষ কথা বলবে?
যখন প্রতিশ্রুতি (কেয়ামত) সমাগত হবে, তখন আমি তাদের সামনে ভূগর্ভ থেকে একটি জীব নির্গত করব। সে মানুষের সাথে কথা বলবে। এ কারণে যে মানুষ আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস করত না। (২৭:৮২)
উত্তর: এই ঘটনাটি ঘটবে ভবিষ্যতে কেয়ামতের পূর্বে। তাহলে ঘটনাটি ঘটার পূর্বেই এটিকে অযৌক্তিক আখ্যা কেন? ঘটনাটি যে ঘটবে না তা এখুনিই নিশ্চিত হলেন কীভাবে?
(নেট থেকে সংগৃহীত)

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:১৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন মহাজ্ঞানী ও পরাক্রমশীল

إِنَّ اللَّهَ لَا يَخْفَىٰ عَلَيْهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ ( 5 ) আন-নিসা - Ayaa 5
আল্লাহর নিকট আসমান ও যমীনের কোন বিষয়ই গোপন নেই।
هُوَ الَّذِي يُصَوِّرُكُمْ فِي الْأَرْحَامِ كَيْفَ يَشَاءُ ۚ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ ( 6 ) আন-নিসা - Ayaa 6
তিনিই সেই আল্লাহ, যিনি তোমাদের আকৃতি গঠন করেন মায়ের গর্ভে, যেমন তিনি চেয়েছেন। তিনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তিনি প্রবল পরাক্রমশীল, প্রজ্ঞাময়।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২১

টর্চ বলেছেন: আমাদের নবীদের সাথে কোন সাধারন মানুষের তুলনা করা চলেনা কারন নবীরা যা করতেন তা সবি ছিলো আল্লাহ্‌র নিরদেশে। কোন কিছু নিশ্চিত করে কেউ যদি বিশ্বাশ না করে সেটা আকান্তই তাদের ব্যপার দেখলে বিশ্বাশ করবে না দেখলে করবে না। বিশ্বাশে মিলায় বস্তু তরকে বহুদুর।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:০১

বুকা ছেলে বলেছেন: আল্লাহ ও পরকালের ওপর ঈমান এনেছে এমন কোনো সম্প্রদায়কে তুমি কখনো পাবে না যে, তারা এমন লোকদের ভালবাসে যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচরন করে, যদি সে লোকেরা তাদের পিতা, ছেলে, ভাই, আত্মীয় কিংবা নিজেদের জাতি গোত্রের লোকও হয়; এ ব্যাক্তিরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের অন্তরে আল্লাহ ঈমান একে দিয়েছেন এবং তাদের শক্তি বৃদ্ধি করেছেন; কেয়ামতের দিন তিনি তাদের এমন এক জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যার তলদেশ দিয়ে ঝর্নাধারা প্রবাহিত হবে, তারা সেখানে চিরকাল থাকবে; আল্লাহ তাদের ওপর খুশী হবেন এবং তারাও আল্লাহর ওপর সন্তুষ্ট হবে; এরাই হচ্ছে আল্লাহর বাহিনী, আর আল্লাহর বাহিনীই সফল হয়। (সূরা আল মোজাদালাহঃ ২২)

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২২

আনোয়ার আলী বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। নেটে আগেই পড়েছিলাম। শেয়ার করার জন্যে ধন্যবাদ।

৫| ২৪ শে জুন, ২০১৫ রাত ২:৪৬

ভয়ংকর বিশু বলেছেন: তোমার উন্নত মানের চিকিৎসা দরকার। আরব্য রজনী শুনতে ভালো লাগে কিন্তু বিশ্বাস করলে গুহা মানব হতে হবে।

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৪:২৪

আমি মিন্টু বলেছেন: অসাধারন ভালো লাগলো শেয়ারে ধন্যবাদ ।

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৪২

প্রামানিক বলেছেন: অসাধারণ পোষ্ট। ধন্যবাদ

৮| ২৪ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:২৫

মুসলিম মাহমুদ বলেছেন: খুব ভাল লাগছে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.