নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের সাথে চলি, সময়ের কথা বলি।

সমালোচনা অপছন্দ করি না। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি। গঠনমুলক সমালোচনাকে ভালবাসি।

সময়ের কন্ঠ

সত্য বলা পছন্দ করি। অন্যের কাছ থেকে শিখতে চাই। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি।

সময়ের কন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম বুখারি এবং তার সাগরেদদের হাদিস লেখার পারমিশন কে দিলো?

০৯ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১


যারা কোরআন মুসহাফ (সংকলিত/ লিপিবদ্ধ) করেছিলেন তারা সবাই উচ্চস্তরের সাহাবী ছিলেন। সেই সময় শত শত সাহাবীদের বুকে কোরআন টাটকা মুখস্ত ছিল। ছিল নানা জায়গায় লিখিত আকারেও। হযরত আবু বকর, উমার এবং সর্বশেষ হযরত উসমানের আমলে তা চূড়ান্তভাবে লিপিবদ্ধ হয়ে যায়। কোরআন লিপিবদ্ধ করনে সাহাবীরা ছিলেন অথেনটিক পারসন। তাদের সামনেই কোরআন নাজিল হয়েছে, তারা রাসুলের মুখ থেকে শুনেছেন এবং বুকে ধারন করে নিয়েছেন। কাজেই তারাই হলেন অথেনটিক পারসন। কোরআনের কোন আয়াত অমুক তমুক থেকে শুনে শুনে লেখা হয়নি। খোদ সাহাবীরাই লিপিবদ্ধ করেছেন।
কিন্তু মহানবীর মৃত্যুর ২৫০-৩০০ বছর পরে অমুক তমুক থেকে সেই তমুক আরেক তমুক থেকে শুনে শুনে রাসুলের নামে লেখা হাদিসগুলো বুখারি এবং তার সাগরেদরা লিপিবদ্ধ করেছেন। বুখারি-মুসলিম গং তাদের নিজেদের মাপকাঠিতে তাতে সহীহ সীলও মেরে দিয়েছেন। উমাইয়া-আব্বাসীয় শাসকেরা তা নিজেদের রাজতন্ত্রের স্বার্থে মানুষকে গিলিয়েছে কখনো জাহান্নামের ভয় দেখিয়ে, কখনো কাফের হবার ভয় দেখিয়ে। এই হাদিস দ্বারাই ইসলাম থেকে বিচ্যুত এবং আহলে বাইত বিদ্বেষী মুয়াবিয়াকে উচ্চস্তরের সাহাবীতে পরিণত করা গেছে। মানুষকে নানা বিধি নিষেধের খড়গে বেঁধে রাখা গেছে। মানুষের স্বাধীন চিন্তার শক্তি কেড়ে নেয়া গেছে। ইসলামকে নানাভাগে বিভক্ত করা গেছে। শাসকদের ইচ্ছেমত একটা ফরমেটের ভিতর জীবন যাপনে বাধ্য করা গেছে। রাজতন্ত্রকে ইসলামী মর্মে প্রমাণ করা গেছে। ব্যস। আর কি চাই, হাদিস সংকলন সার্থক। এটা ধরে রাখতে পারলে শাসকশ্রেনী এবং মোল্লাশ্রেনী উভয়েরই লাভ। তাই বলা হয় হাদিস না মানলে সে কাফের। মোক্ষম অস্ত্র। সাধারন মানুষ তো এতো কিছু আর বুঝেন না। আর এভাবেই হাদিসের ব্যবসা চলে এসেছে। একথা বলাই বাহুল্য যে, ১০% হাদিস কিন্তু সত্যিই রাসুলের হাদিস। কেননা তা কোরআন পরিপন্থী নয়। এই ১০% হাদিস দিয়েই ৯০% বানোয়াট হাদিসকে জায়েজ করা হয়েছে। উমাইয়ারা তাদের শাসনকে বৈধ করতে মহানবীকে কখনো শাসক, কখনো নিয়ন্ত্রণকারী, কথনো দয়ালু, কখনো ধর্ষক, কখনো কামুক বা শিশুকামী মর্মে চিত্রিত করা হয়েছে।
এবার আসা যাক, বুখারি গং কি সাহাবি ? উত্তর, না। তারা কি তাবেইন? উত্তর হলো, না। তারা কি তাবেতাবেইন? উত্তর হলো, না। তারা কি আরবের লোক? উত্তর হলো, না। তারা সবাই তৎকালীন পারশ্যের নাগেরিক। ইমাম বুখারির বাড়ি আজকের উজবেকিস্থানে। তো তাদেরকে হাদিস লিখতে কে বললো? উত্তর হলো, নিজেদের কৃতিত্ব দেখাতেই তারা সেযুগে এই কাজটি করেছেন। সাহাবী, তাবেইন বা তাবেতাবেইন না হলে তাদের লেখা হাদিস রাসুলের হাদিস বলে কেন মানবেন? তারা তো কোনমতেই অথেনটিক পারসন নয়। তাদের সামনে রাসুল হাদিস বলেননি। তারা রাসুলকে দেখেনওনি। ২০০-৩০০ বছরের পার্থক্য।
তারা কিছু লিখে বলে দিলন, এগুলো রাসুলের বানী। এগুলো মানা ফরজ। না মানলে কাফের। তখন তা যাচাই বাছাই না করেই মানা হয়েছিল। কিন্তু তারা সহীহ বললেই তো তা সহীহ হয়ে যায় না।
তাদের আনিত নবীর নামের এসব কিতাব কিছু মানুষ সহিহ বললো কিছু জাল বললো! মানুষই হলো রাবি, মানুষই তার সত্যয়নকারী ৷ যার সংরক্ষনের দায়িত্ব আল্লাহ নেননি ৷ আল্লাহর কোরআন বলছে, কোরআন আহসানাল হাদীস (উত্তম বানী) সম্বলিত কিতাব (৩৯:২৩) এর বাইরে সব লাহওয়াল হাদীস (অসার বানী, মানুষের মনগড়া বানী)৩: ১৬।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ৯:৩০

মাসউদুর রহমান রাজন বলেছেন: ইসলামের ইতিহাস যে পরিমাণ বায়াসড, এমনটা আর কোন ধর্মের ইতিহাসে হয়েছে বলে মনে হয় না। কার জানি একটা কথা আছে, ইতিহাস বিজয়ীদের হাতে লিখিত হয়। সুতরাং সেটা তাদের মহত্বই প্রচার করে। ইসলামের ইতিহাসের বেলায় এ কথাটি খুবই সত্য। খেলাফতের পর একশ’ বছর উমাইয়াদের শাসন, তারপর আব্বাসীয়দের আর এরা ধর্মকে পুরোপুরি নিজেদের ক্ষমতার প্রয়োজনে ইচ্ছামতো ব্যবহার করেছে। এর একটা সহজ উদাহরণ হইলো মামুনুল হকের স্ত্রীকে খুশি করার জন্য তার সাথে মিথ্যা বলা জায়েজের ফতোয়া দিয়া নিজের অপকর্ম হালাল করতে চাওয়ার প্রচেষ্টা। ইসলামের প্রচলিত যে জ্ঞানকাণ্ড তার ভিত্তি মূলত ঐ উমাইয়া আর আব্বাসীয়দের সময়কালেই তৈরী করে দেওয়া।

২| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১০:০৯

আহমেদ জী এস বলেছেন: সময়ের কন্ঠ ,





আমাদের অবস্থা হলো পরীক্ষাকালে মূল পাঠ্যবই ( আল কোরান) বাদ দিয়ে "সিওর সাকসেস" জাতীয় নোটবই মুখস্থ করে প্রশ্নের উত্তর দেয়া । সেখানে মূল পাঠ্যবইটি গৌন হয়ে পড়ে থাকে আর নোটবইটি হয়ে ওঠে মূল বই। হায়রে..........

১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৮

সময়ের কন্ঠ বলেছেন: যাযাকাল্লাহ। সঠিক বলেছেন।

৩| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১০:৪৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: আপনিতো অনেক বোদ্ধা লোক আছেন। বুখারি গং ইত্যাদি তুচ্ছতাচ্ছিল্য শব্দ ব্যবহার করছেন।

হাদিস সংকলনের, হাদিস যাচাই বাছাই করতে যে প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হয়েছে, তা যদি জানা থাকে তবে আমাদের একটু জানান। আর জানা না থাকলে আমি আপনাকে কিছু সাহায্য করতে পারি। মনে রাখতে হবে এখন লোকদেরকে বোকা বানানো বা যা-তা কথা উত্থাপন করে কোন লাভ নেই।

আমাদেরকে হাদিস সংকলনের ইতিহাস বলুন। কিম্বা যদি জানা না থাকে বলুন, সাহায্য করতে পারব, ইনশাল্লাহ।

৪| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪৩

লোনার বলেছেন: দেখুন:
view this link

৫| ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ১১:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর একটি পোষ্ট দিয়েছেন।
আপনার সাথে আমি সম্পূর্ন একমত।

৬| ১০ ই মে, ২০২১ রাত ১২:৩৭

নতুন বলেছেন: অনেকেই বলে থাকে সেই সময়ের সাহাবা বা ততকালীন মানুষেরা খুবই ভালো মানুষ ছিলেন তাই হাদিস সংকলনে কোন ভুল নাই।

তারা ভুলে যায় সময়টা কেমন ছিলো।

রাসুল সা: এর দুই নাতীন কে হত্যা করা হয়েছিলো,
৩ খলিফাকে হত্যা করা হয়েছিলো।
রাসুল সা: এর স্ত্রীর সাথে মেয়ের জামাইয়ের যুদ্ধ
খলিফাদের শাসনের পরে ক্ষমতার লড়াই, রাজনিতিক পরিস্থিতি

ক্ষমতা,রাজনিতি ধর্মকে নিয়ন্ত্রন করেছে সব সময়।

৭| ১০ ই মে, ২০২১ রাত ১:৩০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি কি ছুপা ইসলামবিদ্বেষী? তাহলে পোস্ট ঠিক আছে। না হলে আগে ইসলামী শিষ্টাচার অনুযায়ী ইমাম বুখারিকে শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্বোধন করে তারপর তাঁর যৌক্তিক সমালোচনা করুন।

৮| ১০ ই মে, ২০২১ রাত ২:০৭

নেছার উদ্দিন ৬১ বলেছেন: সম্প্রতি কিছু কিছু গবেষণায় এটাও উঠে আসছে যে,ইমাম বুখারী সাহেব যে বুখারীর লেখক সেটাই প্রমাণ করা যাচ্ছেনা।

৯| ১০ ই মে, ২০২১ ভোর ৪:৩৭

ফকির আবদুল মালেক বলেছেন: শিরোনামটাতে দেখতে পারছি আপনি লিখেছেন, ঈমাম বোখারীকে কে হাদিস লিখার পারমিশন দিয়েছে?

শিরোনামই বলে দেয় যে এ বিষয়ে আপনি কতটা অজ্ঞ।
বই লেখা আর সম্পাদনার পার্থক্য বুঝেন?
ঈমাম বোখারী কোন হাদিস লিখেন নাই, তিনি হাদিসগুলি সংকলিত করেছেন। এক সাথে অধ্যায়ে বিন্যস্ত করে হাদিসগুলি গ্রন্থাবদ্ধ করেছেন।৷
সাহাবায়ে কিরাম (রঃ) মহানবী (সঃ)-এর প্রতিটি কথা মনোযোগ দিয়ে শুনতেন এবং তাঁর প্রতিটি কাজ ও আচরণ সুক্ষ দৃষ্টিতে লক্ষ্য করতেন। রাসুলুল্লাহ (সঃ) সাহাবীগণকে ইসলামের আদর্শ ও এর যাবতীয় নির্দেশ যেমন মেনে চলার হুকুম দিতেন, তেমনি তা স্মরণ রাখতেন এবং অনাগত মানব জাতির কাছে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীস চর্চাকারীর জন্য তিনি নিম্নোক্ত দু’আ করেছেনঃ

“ আল্লাহ সেই ব্যাক্তিকে সজীব ও আলোকোজ্জ্বল করে রাখুন, যে আমার কথা শুনে স্মৃতিতে ধরে রাখল, তাঁর পূর্ণ হিফাযত করল এবং এমন লোকের কাছে পৌঁছে দিল, যে তা শুনতে পায়নি।”( তিরমিযী, ২য় খণ্ড, পৃ ৯০)

মহানবী (সঃ) আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলকে প্রয়োজনীয় উপদেশ দান করে বললেনঃ “এই কথাগুলো তোমরা পুরোপুরি স্মরণ রাখবে এবং যারা তোমাদের পেছনে রয়েছে তাঁদের কাছে পৌঁছে দেবে”(বুখারী)। তিনি সাহাবীগণকে সম্বোধন করে বলেছেনঃ “ আজ তোমরা (আমার নিকট দীনের কথা) শুনেছ, তোমাদের নিকট থেকেও (তা) শুনা হবে” – (মুসতাদরাক হাকিম, ১ খ, পৃ ৯৫)।

রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর উল্লেখিত বাণীর গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তাঁর সাহাবীগণ হাদীস সংরক্ষনে উদ্যোগী হন। প্রধানত তিনটি শক্তিশালী উপায়ে মহানবী (সঃ)- এর হাদীস সংরক্ষিত হয়ঃ (১) উম্মতের নিয়মিত আমল, (২) রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর লিখিত ফরমান, সাহাবীদের নিকট লিখিত আকারে সংরক্ষিত হাদীস ও পুস্তিকা এবং (৩) হাদীস মুখস্থ করে স্মৃতির ভাণ্ডারে সঞ্চিত রাখা, তারঃপর বর্ণনা ও শিক্ষাদানের মাধ্যমে লোক পরম্পরায় তাঁর প্রচার।৷৷


উম্মতের নিরবচ্ছিন্ন আমল, পারম্পারিক পর্যালোচনা, শিক্ষাদানের মাধ্যমেও হাদীস সংরক্ষিত হয়। রাসুলুল্লাহ (সঃ) যে নির্দেশই দিতেন, সাহাবীগণ সাথে সাথে তা কার্যে পরিণত করতেন। তাঁরা মসজিদ অথবা কোন নির্দিষ্ট স্থানে একত্র হতেন এবং হাদীস আলোচনা করতেন। আনাস ইবন মালিক (রঃ) বলেন, “আমার মহানবী (সঃ)-এর নিকট হাদীস শুনতাম। তিনি যখন মজলিশ থেকে উঠে চলে যেতেন, আমরা শ্রুত হাদীসগুলো পরস্পর পুনরাবৃত্তি ও পর্যালোচনা করতাম। আমাদের এক একজন করে সবাই হাদীসগুলো মুখস্থ শুনিয়ে দিতেন। এ ধরনের প্রায় বৈঠকেই অন্তত ষাট-সত্তরজন লোক উপস্থিত থাকতেন। বৈঠক থেকে আমরা যখন উঠে যেতাম তখন আমাদের প্রত্যেকেরই সবকিছু মুখস্থ হয়ে যেত”- (আল-মাজমাউয-যাওয়াইদ, ১খ, পৃ ১৬১)৷৷

আবদুল্লাহ ইবন আমর (রঃ) আরও বলেন, “আমি রাসুলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট যা কিছু শুনতাম, মনে রাখার জন্য তা লিখে নিতাম। কতিপয় সাহাবী আমাকে তা লিখে রাখতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, রাসুলুল্লাহ (সঃ) একজন মানুষ, কখনও স্বাভাবিক অবস্থায় আবার কখনও রাগান্বিত অবস্থায় কথা বলেন।” এ কথা বলার পর আমি হাদীস লেখা থেকে বিরত থাকলাম, অতঃপর তা রাসুলুল্লাহ (সঃ)-কে জানালাম। তিনি নিজ হাতের আঙ্গুলের সাহায্যে স্বীয় মুখের দিকেইঙ্গিত করে বললেনঃ “ তুমি লিখে রাখ। যেই সত্তার কসম, যার হাতে আমার প্রান, এই মুখ দিয়ে সত্য ছাড়া অন্য কিছু বের হয় না” (আবূ দাঊদ, মুসনাদ আহমেদ, দারমী, হাকিম, বায়হাকী)। তাঁর সংকলনের নাম ছিল ‘সাহীফায়ে সাদিকা’ । এ সম্পর্কে তিনি বলেন, “সাদিকা হাদীসের একটি সংকলন – যা আমি নবী (সঃ)এর নিকট শুনেছি” –(উলূমুল হাদীস, পৃ ৪৫)। এই সংকলনের এক হাজার হাদিস লিপিবদ্ধ ছিল।


এসব রেফারেন্স প্রমাণ করে যে, ঈমাম বোখারী রঃ সহ আরো কয়েকটি হাদিস সংকলনের গ্রন্থ আকারে প্রকাশের পূর্বেই হাদিসের চর্চা অব্যাহত ছিল।

১০| ১০ ই মে, ২০২১ সকাল ৮:১১

ইনদোজ বলেছেন: * হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেসি (রহ), পৃষ্ঠা ২২ এবং তাযকেরাতুল হোফফায এর ১১২ পৃষ্ঠায় আছেঃ সাহাবাদের মধ্যে হাদিসের হাফেজদের সংখ্যা ২২ জন । প্রবীণ তাবেইদের স্তরে হাফেজদের সংখ্যা ৪০ জন । তাবেইদের মাধ্যমিক হাদিসের হাফেজদের সংখ্যা হল ৩০ জন । এ ছাড়া তাঁদের পরবর্তী যুগে বিভিন্ন সময়ে "হোফফাজে হাদিস" মানে যারা হাদিস মুখস্ত করে এদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেতে থাকে । ইমাম যাহাবি (রহ) নিজের "তাযকেরাতুল হোফফাজ" গ্রন্থে আগের বহু হাদিসের হাফেজদের নাম বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।

* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেসি (রহ), পৃষ্ঠা ৩০, হযরত সাদ বিন ইবরাহীম (রা) বর্ণনা করেছেন, হযরত ওমর বিন আব্দুল আযিয (রা) আমাদেরকে হাদিস সংগ্রহ করার জন্য আদেশ প্রদান করেছেন । তাঁর নির্দেশক্রমে আমরা স্বতন্ত্র দফতরে হাদিস লিপিবদ্ধ করেছিলাম । ঐ দফতরগুলো খলিফার আদেশে সাম্রাজ্যের প্রত্যেক প্রদেশে প্রেরিত হয়েছিল।

* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ), পৃষ্ঠাঃ ৪০, ইমাম মালেক (রহ) এক লক্ষ হাদিস থেকে বাছাই করে প্রথমে ১০ হাজার হাদিস সংকলন ও লিপিবদ্ধ করেন । অতপর এ বাছাই করা হাদিস থেকে ছাটাই করতে করতে বর্তমানের বইয়ের রুপ ধারন করে তথা "মুয়াত্তা ইমাম মালেক" গ্রন্থ । ইমাম মালেক (রহ) তাঁর বইটি তিনি মদিনার ৭০ জন ফকিহদের নিকট পেশ করেন সম্পাদনা করার জন্য । তাঁরা সকলেই এই বইয়ের নির্ভরযোগ্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয় । এর জন্য ইমাম মালেক (রহ) নিজেই বলেছেনঃ হাদিসবেত্তাগন সকলেই এই বইটি সমর্থন করেছেন এই কারনে আমি এই বইয়ের নাম দিলাম মুয়াত্তা বা সমর্থিত ।

* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ), পৃষ্ঠাঃ ৫৩, হাদিস সংকলনের যুগ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যত নির্ভরযোগ্য হাদিসের কিতাব লেখা হয়েছে তার বিস্তারিত উল্লেখ আছেঃ "কাশফুয জুনুন" এবং "ইতেহাফুন নোবালা" ।

* হাদিস শাস্রের ইতিহাস, মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ), পৃষ্ঠাঃ ৫৭, ইমাম বুখারি (রহ) লিখিত "বুখারি শরীফ" এর পূর্ণ নাম হলঃ আল জামেউস সহিহ আল মুসনাদু মিন হাদিসির রাসুলে (সা) ওয়া আইমামিহি। ইমাম বুখারি (রহ) এর কাছে ৬ লক্ষ হাদিস সংরক্ষিত ছিল অর্থাৎ তিনি ৬ লক্ষ হাদিসের হাফেজ ছিলেন । তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর সময় ধরে বুখারি শরীফ লেখার কাজ সমাপ্ত করেন । "বুখারি শরীফে" হাদিসের সংখ্যা ৭০০০ এর অধিক ।

* এ ছাড়া আরও যেসব বিখ্যাত হাদিসের কিতাব আছে যেমনঃ
= সহিহ বুখারি = হাদিস সংখ্যাঃ ৭৫৬৩ টি হাদিস ।
= সহিহ মুসলিম = হাদিস সংখ্যাঃ ৭৪৫৩ টি হাদিস ।
= সুনানে নাসায়ি = হাদিস সংখ্যাঃ ৫৭৫৮ টি হাদিস ।
= সুনানে আবু দাউদ = হাদিস সংখ্যাঃ ৫২৭৪ টি হাদিস ।
= জামে আত তিরমিজি = হাদিস সংখ্যাঃ ৩৯৫৬ টি হাদিস ।
= সুনানে ইবনে মাজাহ = হাদিসের সংখ্যাঃ ৪৩৪১ টি হাদিস ।
= মুয়াত্তা ইমাম মালেক = হাদিসের সংখ্যাঃ ১৮৩২ টি হাদিস ।
= মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা = হাদিসের সংখ্যাঃ ৩৯ হাজারের বেশি হাদিস আছে এই গ্রন্থে ।

ইত্যাদি ইত্যাদি আরও বিশাল বিশাল কিতাব আছে যা এখানে উল্লেখ করলে লেখা আরও বেশি হয়ে যাবে তাই সেগুলা আর উল্লেখ করা হচ্ছে না । হাদিস সংকলন বিষয় আমার এই লেখাটি খুবই সংক্ষেপ করা হয়েছে কারন বিস্তারিত আপনাদের সাথে শেয়ার করতে গেলে আরেকটি বিশাল বই হয়ে যাবে তাই আমি এখানে আপনাদের সুবিধার জন্য খুবই সংক্ষেপে বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করেছি যাতে হাদিস সংকলন নিয়ে আপনাদের মনে কোন বাজে সংশয় না আসে । হাদিস সংকলন নিয়ে একটি সোজা কথা স্মরণ রাখুন তা হলঃ নবী মুহাম্মদ (সা) থেকে তাঁর সাহাবীরা হাদিস সংরক্ষণ করে লিখে অথবা মুখস্ত করে। এরপরে সাহাবীদের থেকে তাঁদের ছাত্ররা তথা তাবেইরা হাদিস শিক্ষা লাভ করেন এরপরে তাবেইদের ছাত্ররা ্‌............এভাবে এভাবে আমাদের পর্যন্ত .....................হাদিস সংকলন বিষয় বিস্তারিত জানতে যেই কিতাব গুলো আপনাদের পড়া উচিৎ তা হলঃ



১/ হাদিস শাস্রের ইতিহাস । লিখেছেনঃ মাওঃ আমিনুল ইহসান মুজাদ্দেদি (রহ) ।

২/ হাদিস সংকলনের ইতিহাস । লিখেছেনঃ মাওঃ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম (রহ) ।

৩/ রিজাল শাস্র ও জাল হাদিসের ইতিবৃত্ত । লেখকঃ ডঃ মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন ।

৪/ আসমাউর রিজাল (প্রসিদ্ধ কয়জন রাবির জীবনী) । লেখকঃ মুফতি গোলাম রব্বানি ভুইয়া (রহ) ।

৫/ ছিহা ছিত্তাহর রাবি পরিচিতি । লেখকঃ হাফেজ মুহাম্মদ উসমান গনি ।

৬/ হাদিস শরিফ শাস্র । লেখকঃ মুহাম্মদ আব্দুল হাই নদভি ।

৭/ হাদিসের তত্ব ও ইতিহাস । লেখকঃ মাওঃ নুর মুহাম্মদ আজমি (রহ) ।

৮/ হাদিস চর্চায় ইমাম আবু হানিফা (রহ)এর অবদান । লেখকঃ মোঃ আবুল কাসেম ভুইয়া ।

৯/ ইসলামী ফিকহের ঐতিহাসিক পটভূমি । লেখকঃ মাওঃ মুহাম্মদ তাকি আমিনি (রহ) ।

১০/ হাদিসের পরিভাষা । লেখকঃ ডঃ মুহাম্মদ আত তাহহান (রহ) ।

১১| ১০ ই মে, ২০২১ সকাল ৯:৪২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আপনি কি মনে করেন এসব লিখে হাসীস চর্চা বন্ধ করতে পারবেন। যে ঈমামকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তার সমতুল্য ঈমাম কি পরবর্তীতে কেউ এসেছেন ? আপনিকি অন্য ইমামপন্থী তাই ইমাম বুখারীর সমালোচনায় মুখর, তার সমালোচনার যোগ্যতা কি আপনার আছে ? উনিতো হাদিস সংকলন করেছেন, লিখেন নাই ?

১২| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুখারি, মুসলিমের হাদিস মানেন না। আপনি সম্ভবত শিয়া বা অন্য কোন বাতিল ফিরকার অনুসারী। হাদিস ছাড়া ধর্মীয় বিধান পুরোপুরি মানা সম্ভব না। হাদিস অস্বীকারকারী মুসলমান না।

১৩| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৮

আমি সাজিদ বলেছেন: আপনার লেখা যুক্তিযুক্ত। তবে অনেকে আল - কোরআনের চেয়ে হাদীসকে নিয়ে বেশী মাতামাতি করেন।

১৪| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:২০

আমি সাজিদ বলেছেন: @সাচু ভাই, জাল হাদীস ও হাদীসের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললে যে মুসলমানিত্বের খারিজ হয়ে যায় এইটা এই প্রথম জানলাম।

১৫| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১২:৩২

নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বুখারি, মুসলিমের হাদিস মানেন না। আপনি সম্ভবত শিয়া বা অন্য কোন বাতিল ফিরকার অনুসারী। হাদিস ছাড়া ধর্মীয় বিধান পুরোপুরি মানা সম্ভব না। হাদিস অস্বীকারকারী মুসলমান না।

সমস্যাই এই রকমের বাড়াবাড়ীতে।

হাদিস অস্বীকার কেউই করছেনা। কিন্তু রাসুল সা: এর মারা যাবার ২৫০-৩০০ বছর পরে সংগ্রহীত ভীন দেশী, আরীবি ভাষাভাষী নয় এমন মানুষ সংকলিত করলো সেটার নিয়ে প্রশ্ন করলে মুসলমান থাকবেনা সেটা গোড়ামী।

১৬| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:০৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

কোরআন হাদিস মানেনা যে
তিরস্কারে বোখারী (রঃ)
বুঝবি সেদিন যাবি দিন
ছেড়ে দিয়ে ঘরবাড়ি।

সময় আছে তওবা করো
খোদার কাছে চাও মাফি।
তানা হলে কাজ হবেনা
পরকালে তার নাম জপি।

১৭| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪১

এ আর ১৫ বলেছেন: সব হাদিস বিশেষজ্ঞ এই ব্যাপারে একমত যে রসূল (সঃ) তার কোন কথা লিখিত ভাবে সংকলন করতে পরিষ্কার ভাবে নিষেধ করেছেন।
ফলে ইসলামের প্রথম কয়েক শতাব্দী আমরা কোন হাদিস বই দেখতে পাই না।

রসূলের (সঃ) এই নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতেন বলে, আমরা চার খলিফার শাসন আমল, উমাইয়া শাসন আমল এবং আব্বাসীয় শাসন আমলের প্রথম দিকে কোন হাদিস সংকলন দেখি না।

রসূলের (সঃ) মৃত্যুর ২৫০ বছর পরে একজন অ-আরব ব্যক্তি -বুখারী-প্রথম হাদিস সংকলন করেন।

১। আবু হুরায়রাহ বলেছেন :

আমরা রসূলের কাছ থেকে যা শুনছিলাম তা লেখে রাখছিলাম।
তিনি আমাদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন, "তোমরা কি লিখছ?"
আমরা বললাম, "আমরা যা আপনার কাছ থেকে শুনছি, তাই লিখছি। "
তিনি বললেন, "তাহলে আল্লাহর কিতাব লিখ, আল্লাহর কিতাবকে তুলে ধর, আল্লাহর কিতাব ছাড়া আর কোন কিতাব নাই, আল্লাহর কিতাবকে তুলে ধরো। "
তারপর আবূহুরায়রা বললেন, "এরপর আমরা যা যা লিখে ছিলাম তা একত্রে সংগ্রহ করে, পুড়িয়ে দিয়েছিলাম।" ......
(মুসনাদে আহমদ: হাদিস নং ১০৬১১)

২। রসূল (সঃ) বলেছেন, "কোরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে রাখবে না। যারা কোরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে রেখেছ তা অবশ্যই নষ্ট করে দিবে।" (সহীহ মুসলিম)

৩। রসূল (সঃ) বলেছেন, "কোরান ছাড়া আমার কাছ থেকে শুনা কোন কিছু লিখে রাখবে না। কেউ যদি কোরান ছাড়া আমরা কাছ থেকে শুনা কোন কিছু লিখে থাকো তা হলে তা মুছে দেও। " (সহীহ বুখারী, আবু সাঈদ আল-খুদরী এইটা বলেছেন)

৪। রসূল (সঃ) বলেছেন, "আমি তোমাদের জন্য শুধুমাত্র কোরান রেখে যাচ্ছি; তোমরা এটাকে মেনে চলবে। (মুসলিম ১৫/১৯; ইবনে মাজাহ ২৫/৮৪; আবু দাউদ ১১/৫৬)

৫। রসূল (সঃ) বলেছেন, "তোমরা কোরান ছাড়া, আমার কাছ থেকে শুনা কোন কিছু লিখে রাখবে না। কেউ যদি কোরান ছাড় অন্য কিছু লিখে থাকো তাহলে তা নষ্ট করে দাও। (মুসনাদ-আহমেদ ইবনে হান্বল)

৬। রসূলের (সঃ) কথা লিখে রাখার জন্য সাহাবীরা অনুমতি চেয়ে ছিলেন। তাদের এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা হয়। (তিরমিজি-দারিমীর বর্ণনা)

১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৫

সময়ের কন্ঠ বলেছেন: যাযাকাল্লাহ। সঠিক বলেছেন।

১৮| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:১৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
'হাদিস মানা না মানা' সেই প্রশ্ন পরে, বেশী মানতে গেলে বিপদ,
বেশিরভাগ হাদিস বিভ্রান্তিকর।
যেমন ইসলামে গানবাজনা, মুর্তি ভাষ্কর্য হারাম। সেটা একাধিক হাদিসে প্রমান করা যায়।
আবার গানবাজনা, মুর্তি ভাষ্কর্য হালাল সেটাও শতাধিক উপায়ে প্রমান করা সম্ভব।

হাদিস লেখা হয়েছিল মোহাম্মদ (স) মৃত্যুর ২০০ থেকে ৩০০ বছর পর। কোরানও লেখা হইয়াছে মোহাম্মদের মৃত্যুর বেশ পরে। একাধিক ব্যক্তির হাতে একেকভাবে ইহা সংকলিত হইয়াছে। মোহাম্মদের জীবদ্দশাতেই কোরানের অনেকাংশ হারাইয়া গিয়াছে। মোহাম্মদ নিজেও তাহার অতীতের কিছু আয়াতসমুহ স্মরণ করিতে পারিতেন না। সবচাইতে বেশি বিভ্রান্তি আছে হাদিস লইয়া।

মুলত রাজনৈতিক ইসলাম কায়েমের লক্ষ্যে, বিভিন্ন পক্ষ যার যার সুবিধা মত হাদিস তৈরি করে নিয়েছে বা করা হয়েছে।
তথা ধর্মের নামে ডাকাতি ক্ষমতা দখল, নগর দখল, গনিমতের মাল ভাগাভাগির। কিছু পাপিষ্ঠদের পলিটিক্যাল ইসলাম।
হজরত মোহাম্মদ (স) মৃত্যুমুখি অসুস্থা অবস্থায় ইসলাম ৭২ ভাগে বিভক্ত হয়েছিল, বর্তমানে দেড়শোর উপর।
রসুল (স) নিজে বলে গেছেন ৭২ ভাগে বিভক্ত ইসলামের শুধু একটিই সঠিক। বাকি ৭১ ভাগই ভুল জাহান্নামি।

১৯| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "ইমাম বুখারি এবং তার সাগরেদদের হাদিস লেখার পারমিশন কে দিলো?" - ভাই আপনার লিখার শিরোনামটাই চরম আপত্তিকর। আপনি একজন সম্মানিত মানুষকে এমনভাবে উপস্থাপন করতে চেয়েছেন যাতে মনে হচছে সে যদু-মদু টাইপ কেউ।আবার সে যদি যদু-মধু টাইপের কেউও হয় তবে কাউকে হেয় করা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ।

কেউ মুসলমান কিনা,হাদিস (ইসলামী শরীয়তের দ্বিতীয় উৎস ) মানেন কিনা এসব অনেক পরের কথা আগের কথা হলো আপনি -আমি মানুষ কিনা? মানুষ হতে হলে প্রথমেই কাউকে মানবিক হতে হবে এবং অন্য মানুষকে যথাযথ ভাবে সম্মান ও মুল্যায়ন করতে হবে।ধর্ম মানুষকে মানবিক হতে শিখায়।আর কেউ যদি মানবিকতা কি তাই না বুঝে বা না মানে তাহলে বুঝতে হবে সে যথার্থ ধার্মিক নহে।

আর কাউকে সম্মানিত করার মাঝে পরোক্ষভাবে নিজেকে সম্মানিত করা হয়।কাউকে অসম্মান করে নিজেকে সম্মানিত করা যায়না। আর ধর্মীয় ব্যাপারে তা আরো বেশী প্রযোজ্য।

২০| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:০৭

মরুর ধুলি বলেছেন: উদ্ভট ও বেয়াদবীপূর্ণ আচরণ প্রকাশ পেলো আপনার শিরোনামে।

২১| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৩:২৮

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখিত! প্রিয় ভাই, ক্ষমা করবেন, আপনি যে বিশ্বাস, মতাদর্শ বা মতবাদের লোকই হোন না কেন, আপনার প্রতি শুভকামনা রেখে বিনীতভাবে জানিয়ে যাচ্ছি, আপনার পোস্টের বিষয় এবং শিরোনাম প্রতিটিই সাংঘাতীকরকম আপত্তিকর। আপনার উদ্দেশ্য অবশ্যই পরিষ্কার করা উচিত। আপনার ধর্মীয় পরিচয়ও স্পষ্টভাবে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।

অন্যথায়, নিজের পরিচয় লুকিয়ে 'জাজাকাল্লাহ', 'মা-শাআল্লাহ', 'শুকরান' টাইপের কয়েকটি আপ্তবাক্য লিখে ইসলাম ধর্মের অন্যতম মৌলিক উপাদান হাদিস শাস্ত্র নিয়ে বিষোদগারমূলক মনগড়া এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে মানুষদের বিভ্রান্ত করার পরিণাম সম্পর্কে আমরা উদ্বিগ্ন। এ থেকে আপনাকে বিরত থাকার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।

শুভকামনা আপনার জন্য।

২২| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টে টি যুক্তিসংগত। এভাবে নিয়মিত পোষ্ট দিবেন। কে কি বলল, তাতে মাথা ঘামাবেন না।

২৩| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ আমি সাজিদ - আমি জাল হাদিসের কথা বলিনি। কোনটা জাল, কোনটা দুর্বল আর কোনটা সহি এই পার্থক্যগুলি হাদিস বিশারদগণ করে গেছেন। সাধারণ মানুষ খেয়াল খুশি মত কোন হাদিসকে জাল বা সহি বলতে পারে না। এর জন্য হাদিস বিশেষজ্ঞ আছে। সহি বুখারির হাদিসকে কোন হাদিস বিশারদ কখনও দুর্বল বা জাল বলেননি। শিয়া বা অন্যান্য বাতিল ফেরকা ছাড়া কেউ বুখারির হাদিসকে জাল বলার ধৃষ্টতা দেখায় না। সর্বসম্মত সহি হাদিসকে জাল বলা কুফরি। যাদের মনে সন্দেহ আছে তারা কোরআন নিয়েও সন্দেহ করতে পারে। কারণ কোরানের পূর্ণ সংকলন রসুল সা এর ওফাতের আগে হয়নি। হজরত আবু বকরের সময় প্রথম কোরআন সংকলিত হয়। কোরানকে রসূলের (সা) সময় ৭ ধরণের আহরুফে (ধরণ/ স্টাইল) নাজিল করা হয়েছিল। হজরত ওসমান (রা) যখন কোরআনের চূড়ান্ত সংকলন করেন তখন শুধু একটা আহরুফে সংকলন করেন। বাকি সব ধরণের আহরুফ বাদ হয়ে যায়। ঐ যুগে কোরআন বলেন আর হাদিস বলেন দুইটাই মুলত শ্রুতি নির্ভর ছিল। কোরআন লেখা হলেও এক সাথে ছিল না।

২৪| ১০ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রসূলের (সা) জমানায়ও কিছু হাদিস লিখে রাখা হয়েছিল। প্রথম দিকে রসুল (সা) হাদিস লিখতে নিষেধ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে কাউকে কাউকে অনুমতি দিয়েছিলেন। হযরত আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস, হযরত আনাস ইবনে মালিক প্রমুখ সাহাবীগণ কিছু কিছু হাদীস লিপিবদ্ধ করে রাখতেন। রসূলের (সা) ওফাতের পর হাদিস লেখার বাধা দূর হয়ে যায়। হিজরি দ্বিতীয় শতকের শুরু থকে কনিষ্ঠ তাবিঈ ও তাবিঈ-তাবিঈনের এক বিরাট দল সাহাবা ও প্রবীণ তাবিঈনের বর্ণিত ও লিখিত হাদিসগুলো ব্যাপকভাবে একত্র করতে থাকেন। এ সময় খলিফা উমর ইবনে আবদুল আজিজ (রাহ.) দেশের বিভিন্ন এলাকার প্রশাসকদের নিকট হাদিস সংগ্রহ করার জন্য রাজকীয় ফরমান প্রেরণ করেন। ফলে সরকারি উদ্যোগ সংগৃহীত হাদিসের বিভিন্ন সংকলন সিরিয়ার রাজধানী দামেশক পৌঁছতে থাকে। খলিফা সেগুলোর একাধিক পাণ্ডুলিপি তৈরি করে দেশের সর্বত্র পাঠিয়ে দেন।

ইমাম বুখারীর পূর্বে শুধু সহীহ হাদীস সমূহ একত্রিত করে কেউ কোন গ্রন্থ রচনা করেন নি। সহীহ বুখারী সংকলনের পূর্বে আলেমগণ সহীহ ও দুর্বল হাদীছগুলোকে এক সাথেই লিখতেন। কিন্তু ইমাম বুখারীই সর্বপ্রথম দুর্বল হাদীছ থেকে সহীহ হাদীছগুলোকে আলাদা করে লেখার কাজে অগ্রসর হন। তার স্মৃতি শক্তি ছিল অত্যন্ত প্রখর। সহীহ বুখারীর অন্যতম ভাষ্যকার কুস্তুলানীর বক্তব্য অনুযায়ী তিনি ছয় লক্ষ হাদীছের হাফেয ছিলেন। আলেমগণ তার জীবনীতে উল্লেখ করেছেন, যে কোন কিতাবে একবার দৃষ্টি দিয়েই তিনি তা মুখস্ত করে ফেলতে পারতেন। তার জীবনীতে আরও বর্ণিত হয়েছে যে,একদা ইমাম দাখেলি একটি হাদিসের সনদ বর্ণনা করবার সময় 'জুবাইর' এর স্থলে 'আবু জুবাইর' বলেছেন। ইমাম বুখারি নম্রস্বরে বললেন- এখানে আবু জুবাইর' এর স্থলে 'জুবাইর' হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.