নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সময়ের সাথে চলি, সময়ের কথা বলি।

সমালোচনা অপছন্দ করি না। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি। গঠনমুলক সমালোচনাকে ভালবাসি।

সময়ের কন্ঠ

সত্য বলা পছন্দ করি। অন্যের কাছ থেকে শিখতে চাই। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা করি।

সময়ের কন্ঠ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনি একজন মুসলমান হিসাবে যা বিশ্বাস করবেন-

১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৪৬


১। দুনিয়া এবং আখেরাতের একমাত্র গাইডলাইন আল্লাহর কোরআন। সর্বাধিক গুরুত্ব এই কোরআনকেই দিতে হবে। কোরআনের আলোকেই সত্যমিথ্যা যাচাই করতে হবে। কোরআনে যা করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা করতে হবে, যা নিষেধ করা হয়েছে তা থেকে বিরত থাকতে হবে।
২। আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলাম।
৩। আল্লাহ তার কোরআনে বলেছেন, এই ধর্ম সহজ সরল। কোন কঠিনতা এই ধর্মে নেই। কাজেই ধর্মকে কঠিন করে এমন সবধরনের নিয়ম বিধি কোরআন বিরুদ্ধ বিধায় তা পরিত্যাজ্য।
৪। মহান সৃষ্টিকর্তা কেবল ইসলাম ধর্মের লোকজনকে সৃষ্টি করেননি, দুনিয়ার তাবৎ প্রাণীজগত তারই সৃষ্টি। তাদের সকলের রিজিকের ব্যবস্থাও তিনিই করেন। তারা নাস্তিক হলেও বা মুর্তি পুঁজা করলেও আল্লাহপাকই তাদের রিজিকের ব্যবস্থা করেন। সকলের ভালমন্দের বিচার হবে শেষ বিচার দিনে। কাজেই আল্লাহর সৃষ্টিকে ভালবাসতে হবে। কারো প্রতিই অন্যায় বা অবিচার করা যাবে না। কেননা কোরআন তা অনুমোদন করে না।
৫। আপনার ভাগ্যের কারনেই আপনি মুসলিম হয়ে জন্মেছেন। আপনি হিন্দু ঘরে জন্মালে হিন্দুই হতেন, খৃষ্টানের ঘরে জন্মালে খৃষ্টান হতেন। আবার ভৌগলিকভাবে খেয়াল করুন, যদি আপনি ভারতে বা নেপালে জন্মাতেন, হিন্দু হয়ে জন্মাতেন এবং হিন্দু বলে গর্ব করতেন। বৃটিশ বা আমেরিকায় জন্মালে খৃষ্টান হয়ে গর্ববোধ করতেন। জাপানে জন্মালে বৌদ্ধ হতেন। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা আপনাকে মুসলিম বানিয়েছেন। কোরানে বলা হয়েছে, এটাই আল্লাহ অনুসরন করতে পছন্দ করেন। কাজেই আপনি সৌভাগ্যবান। এই সৌভাগ্যকে আজীবন ধরে রাখুন। মুসলিম না হয়ে মৃত্যু যেন না হয়।
৬। কোরআনের বানীই (হাদিছ) একমাত্র আহসানুল হাদিছ, বাকি সব লাহওয়াল হাদিছ (বানোয়াট)।
৭। অতীতে আল্লাহর কিতাবকে অবহেলা করে নবী-রাসুলের অনুসরন করতে য়ে অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই ইসলামের চার খলিফার মধ্যে হযরত আবু বকর তার সংগৃহীত পাঁচশতাধিক হাদিছ পুড়িয়ে ফেলেছিলেন। দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর কোরআন ব্যতীত আর কিছুই মানেননি। তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমানের সময়ে কেবলমাত্র কোরআনকেই পূর্ণাঙ্গ লিপি করা হয়। চতুর্থ খলিফা হযরত আলীর সময়েও কোরআনকেই আঁকড়ে ধরা হয়েছিল। যদিও শিয়া ধর্মের লোকজন তার বর্ণিত হাদিছ মর্মে বর্ণনা করে নিজেদের বক্তব্যকে জায়েজ করে নিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে হযরত আলীও কোরআনের আলোকেই জীবন যাপন করেছেন, যা রাসুল শিখিয়ে গেছেন। রাসুল কোরআনের বাইরে কিছুই বলেননি এবং করেননি। যদি কোরআনের বাইরে তিনি কিছু করে থাকেন, তাহলে সেটা তার জন্যেই প্রযোজ্য ছিল, সকল মুসলমানের জন্যে নয়।
৮। মনে রাখবেন, কোন আলেম ওলামা বা কোন ইমাম আপনাকে জান্নাতে নিতে পারবে না। জান্নাতে যেতে হলে জান্নাতের মালিকের গাইডলাইন মানতে হবে। রাসুলের বরাত দিয়ে অন্যের লেখা বই থেকে ততটুকুই মানতে পারবেন, যতটুকু কোরআনের সাথে মেলে। বাকি সবটুকুই পরিত্যাজ্য। বুখারি গং-এর সংকলিত গ্রন্থাবলী আপনাকে জান্নাতে নিতে পারবে না।
৯। আহলে বাইতের বিরুদ্ধাচারনকারীদের আপনি ভাল বলতে পারেন না। তাদের ভালবাসা তো দুরের কথা। হযরত মুয়াবিয়া প্রকৃতই সাহাবী কিনা, আপনার বিবেক দিয়ে বিবেচনা করুন। কেননা আল্রাহপাক কোরআনে ৭০ বারেরও বেশী বলেছেন, তোমরা কি চিন্তাম করো না? এ কোরআন তো চিন্তাশীলদের জন্যে। উমাইয়া-আব্বাসীয়রা তাদের সমস্ত অবৈধ কাজকে বৈধ করার জন্যে এবং রাজতন্ত্র বংশপরম্পরায় টিকিয়ে রাখতে তাদের বানানো কথাগুলোতে রাসুলের হাদিছ মর্মে প্রচার করে ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন। তারা একটা ছকবদ্ধ জীবনধারা চালু করে গেছেন। সেখানে মানুষকে চরমভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। থুথু ফেলার নিয়ম থেকে হাটা বসা এমনকি স্ত্রী সংগমের বিষয়গুলোও নির্ধারিত। তাদের অনুসারীদের এর বাইরে যাবার কোন উপায় নেই। তাদের চিন্তশক্তি রুদ্ধ, তারা অন্ধ, বধির। তারা কোরআনের ধার ধারে না। রাজতন্ত্রকে জায়েজ করতেই তারা ধর্মের নামে এইসব ফরমেট জারি করে ছড়িয়ে দিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় ছিলই না বলা যায়, যদিও মুখে আল্লাহ আল্রাহ জিগিরে ফেলা তুলেছে। সবই মেকিতা। কেননা, যার মধ্যে সামান্যতম ঈমানও থাকবে, তারা কখনো আহলে বাইতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারে না। বদরী সাহাবীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ তো দুরের কথা। কাজেই তাদের তথাকথিত উলামাদের বানানো ফরমেটের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে আল্লাহর কোরআন আঁকড়ে ধরুন। সত্যটা অনুধাবন করতে পারবেন।
১০। কোরআন বর্হিভূত কিছু আরবীয় আচার অনুষ্ঠান যা রাসুল(স) পালন করেছিলেন, তা পালন করতে কোরআনে নিষেধ নেই। সে সব আচার-অনুষ্ঠান পালনে কোন দোষ নেই। বরং তা সামাজিক ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্য বজায় রাখতে অবদান রাখে।

১১। গান শোনা, নারী শিক্ষার প্রসার, আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা ও ব্যবহার ইত্যকার বিষয়াদি সম্পূর্ণরূপে হালাল এবং বৈধ। মোল্লারা নিজেদের বিবেক বুদ্ধিকে ইসলাম হিসাবে গন্য করে ‘হারাম হারাম’ জিগির তুলে মুসলমানদের পিছিয়ে দিয়ে গেছে। কোরআনে যদি নিষিদ্ধ করা না হয়ে থাকে, তবে পৃথিবীর আর কোন গ্রন্থই তা নিষিদ্ধ করতে পারে না। একইভাবে কোরআনে যা হারাম তা কোনভাবেই হালাল করা যাবে না। অর্থাৎ মুসলমানেরা কোরআন ভিত্তিক জীবন যাপন করেন। কেননা আল্লাহ মুসলমানদের জন্যে যে গাইডলাইন দিয়েছেন, তার নাম ‘কোরআন’। হালাল-হারামের বিধান কেবল কোরআন থেকেই আসবে। এর বাইরে আর কিছুই গ্রহনযোগ্য নয়।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

নতুন বলেছেন: আপনি কোন ফেরকার অনুসারী?

শুনছি ৭৩/৭৪ ফেরকা তৌরি হবে ইসলামের অনুসারীদের মাঝে। :)

২| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৪:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমি মুসলমান হিসেবে দেশের সংবিধানে বেশী বিশ্বাস করি।

৩| ১০ ই মে, ২০২১ বিকাল ৫:০২

রাজীব নুর বলেছেন: মুসলমান হিন্দু বড় কথা না। আমি মানুষ। আমরা মানুষ। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। ধর্মে মানুষের পরিচয় না।

৪| ১০ ই মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি মনে হয় সামনে নতুন কোন ইসলামী ফিরকা নিয়ে হাজির হবেন।

৫| ১০ ই মে, ২০২১ রাত ১০:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: নতুন আর কোন ফিরকার সম্ভাবনা নাই।অলরেডি ৭৩ ফিরকা হয়ে গেছে।আপনাকে এর থেকেই যেকোন একটা গ্রহন করতে হবে।

৬| ১১ ই মে, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

ইনদোজ বলেছেন: আপনি হাদীসের পেছনে লেগেছেন কে? হাদিস না থাকলে ইসলামী বিধি বিধান অপূর্ণাংগ। তাই, পরিপূর্ণ দ্বীনি জীবন যাপন করতে হলে আপনাকে হাদীস মানতেই হবে।

৭| ১৬ ই মে, ২০২১ দুপুর ১:৪৮

অশুভ বলেছেন: আমাদের দেশের পীর-মুর্শিদের অধিকাংশই আহলে বাইতের অনুসারী। তাদের অনেকেই সঠিক (হক্কানী) নয় (হয়ত ভন্ড) বলে আমার মনে হয়েছে। আমি অনেকদিন ধরেই আহলে বাইত সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি। কিন্তু তেমন কোন রেফারেন্স (বই) পাইনি। সময় করে কোরআনের আলোকে আহলে বাইত সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনার অনুরোধ রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.