![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সদ্য বৃষ্টি ঝরা মেঘের
আড়াল থেকে, সূর্য উঁকি দেয়।
তাকিয়ে থাকি, মেঘের কোণে
জমে থাকা, আলোর দিকে।
যেমন তাকিয়ে দেখি, পায়েল জড়ানো
রঙিন পায়ের, হঠাৎ জেগে ওঠা।
তাকিয়ে দেখি গোছানো হাতদুটো।
চাই ছুয়ে যেতে, যেমন চাই,
মেঘের বুকে...
পৃথিবির প্রতিটি গল্পের শেষ আছে,
শুরুটা যেমন ধোঁয়াশা ভরা,
ভরা অনিশ্চয়তা আর সুখের আকাংখায়;
তেমনি সুখ দূ:খের টানাপোড়েন,
সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে,
গল্পগুলো ঠিক পৌছে যায়,
কাংখিত সুখের ঠিকানায়।
জীবনের টানা-পোড়েন, কিংবা
অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্তাশিত ঘটনার
মাঝে, গল্পের শেষ হয়না।
এমনকি ভীষন...
এত কিছু দাও,শুধু,তা
বুঝতে দিতে চাও না।
এত রঙের খেলাও খেলা,
জয়,তুমি তা চাও না।
দেখাও যত আজব বাহার,
বুঝতে দিতে চাওনা।
যাও হারিয়ে হৃদয় মাঝে,
খুঁজতে তোমায় হয়না।
সজল চোখের তারা দেখে
দাওগো নিজেই পথ দেখিয়ে;
নিজেই তুমি দাওগো...
তোমরা দেখ,একটা বাড়ি।
বাড়ির ভেতর,আমি দেখি,
চলা নানান হাসি,কান্নাকাটি।
তোমরা দেখ ঘাসেরই জঙ্গল।
আমি দেখি,তাহার ভেতর,
বসত করে, কিট-পতঙ্গের দল।
তোমরা দেখ দোষগুলো যার;
আমার কাছে দেয়গো ধরা,
জমাট বাধা মনের ব্যাথা তার।
তোমরা রাখ বাহিরটুকুর খোজ,
মনের ঘরে তাহার,আমার
সকাল-সন্ধা...
খুঁজতে জানিনা,
শুধু করি চেষ্টার বড়াই,
চালাই চলার লড়াই।
হারা মানে হারা নয়,
সম্ভাবনার সম্ভাবনার জন্ম কেবল;
কেবল অন্ধকার পাড়ি দিয়েই
আলোর কাছে পৌছনো যায়।
ঝড়ের পরের নি:স্তব্ধতা
আসবে কেমন করে,
যদি ঝড় না ওঠে?
যদি ঘর না ভাঙে,
তবে কি...
আমি যা খুশি তাই,
আমি নিজেকে ছাড়াই।
আমি দিকে দিকে দেই ডাক,
আমি প্রেম, আমি প্রভাত।
আমি অস্থীর, আমিই স্থীর।
আমি প্রেমহীন এক কল্পনা,
আমি পৃথীবির এক জল্পনা।
আমি অর্থহীনএক শব্দ,
আমি নিজেকে করি জব্দ।
আমি জীবনের প্রতিচ্ছবি,
আমি এদিক...
পৃথিবীর প্রতিটি জীবন আলাদা,
আলাদা প্রতিটা চাওয়া, প্রত্যেকটা সম্পর্ক।
প্রত্যেকটা দৃষ্টিভঙ্গি যেমন আলাদা,
তেমনি আলাদা, দৃষ্টির ভাজে
ছড়িয়ে থাকা, প্রত্যেকটা স্বপ্ন।
কোথাও স্বপ্ন আসে, মরুভূমির বুকে
যাযাবর জীবন কাটানোর,
কোথাওবা, কৃষ্ণচূড়ার লালের
মাঝে হারিয়ে যাওয়ার।
কোথাও পাহাড় চড়ে, কোথাও
সাঁতরে...
পৃথিবির সবথেকে ভারি জিনিস কি?
-পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ।
এ নির্মম সত্য কোন পাঠ্যেই পাইনি।যেনেছিলাম নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাসে। কত কত রাত বিছানায় শুয়েই তপ্ত রাজপথে হেটেছি খালিপায়ে, এমনকি তাপে পায়ে...
একদিন, হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেব,
একদিন, অকাল কুষ্মাণ্ড হব।
একদিন আকাশ ছোব খালিপায়ে,
একদিন দুপুর রোদে গাবো
ঘুমপাড়ানি গান।
একদিন, গানের হব সুর,
একদিন হব ভীম কিংবা অর্জুন।
একদিন বিকেল বেলা বেড়াতে যাব,
একদিন সন্ধ্যা হলেই
ঘরের কোনে লুকাব...
কাকের দল করে আন্দলন।
করমসূচী, হবে কাক-বন্ধন।
বৃদ্ধ কাকে জিজ্ঞাসিল \'ঘটনা কি?\'
আয়োজক কয়, \'আরে জানো না কি!
সে এক বিশাল ঘটনা,
এমন অন্যায় মানা যায় না!\'
\'তা বেশ বেশ,নাহয় নাইবা মানো,
তা কাক বন্ধন কেন তা...
এখন ধীরে ধীরে যাচ্ছে সরে ছায়াগুলো,মাথার ওপর থেকে।
এখন আমায় কেউ দেয় না খাবার মুখে তুলে।
এখন আমি নিজেই পারি নিজের খাবার খেতে।
এখন সন্ধ্যা হলে কেউ ভাবে না আর,
এখন আমি ঘরে ফিরি...
ক্যামনে কি,পান্তা ভাতে ঘি!
আমি উপলক্ষে বাঙালী!
আরে ভাই হইছেটা কি?
মাইক্রবাসে তাতে কি!
এইত্ত সেদিন,ভুইলা গেলি?
নতুন বচ্ছর শুরু করলি,
ব্যাকতে করলি খাছরামি।
রাস্তার মইধ্যে,করতে পারলি,
অক্ষন কছ ছি ছি ছি!
পাইয়া কটু কতা কওয়ার চান্স,
সব্বাই মিললা করলি...
সবাই যখন আমায় গেল ছেরে,
তুমি তখন রইলে আকড়ে ধরে!
যখন আমি পেলাম ফিরে সব,
কোথায় পালাও তুমি ওহে রব!
রয়েই যখন গেলাম সবার পর,
কেমনে তুমি শক্তি দাও আবার!
আবার যখন আধার পথে ছুটি,
কেমনে ছড়াও...
তখন ছিল কঁচি বয়স, আনন্দেতে ঠাঁসা,
মনের ভেতর ছিল যত আজব অভিলাষা,
এইত ভাবি গান গেয়ে মন করব সবার জয়,
আবার ভাবি, অন্তরীক্ষের হব এক দুর্জয়।
বাঁশের তৈরি তরবারিতে দিতাম কতো ধার,
দিতাম ছুড়ে অবহেলে...
এত কিছু দাও,শুধু,তা
বুঝতে দিতে চাও না।
এত রঙের খেলাও খেলা,
জয়,তুমি তা চাও না।
দেখাও যত আজব বাহার,
বুঝতে দিতে চাওনা।
যাও হারিয়ে হৃদয় মাঝে,
খুঁজতে তোমায় হয়না।
সজল চোখের তারা দেখে
দাওগো নিজেই পথ দেখিয়ে;
নিজেই তুমি দাওগো...
©somewhere in net ltd.