নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজান শেষ, ক্ষুধা না।

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ১:১৫



গত ২৭-২৮ তারিখ রামাদান মাস শেষ হল। রোজা মানে অনেকটা সারা দিন কিছু না খেয়ে থাকা। ক্ষুধা কি তা বুঝতে পারা। ১ মাস রোজা থাকার পর সারা পৃথিবীর মুসলিম রোজা শেষে, রোজা ভঙ্গের আনন্দ উদযাপন করলো। কিন্ত বাস্তবতা হল গড়ে মুসলিম দেশের ৩১.৮% মানুষকে পুরো বছরই রোজা থাকতে হয়। মানে না খেয়ে থাকতে হয়। তাদের ক্ষুধা শেষ হয় না। এবং গত ১২ বছরে এর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। নিচে দেশ ভিওিক পরিসংখ্যান।

Comoros=65.3%, Sudan=37.9 %, Palestine=31.8%, Tajikistan=30.2%, Chad=29.4%, Yemen=28.8%, Iraq=26.2%, Burkina Faso=25%, Djibouti=20.5%, Senegal=21.6%, Pakistan=17.2%, Bangladesh=16.3% Gambia=16%, Guinea=15.2%, Niger=13.9%

রোজার মূল উদ্দেশ্য হল তাকওয়া অর্জন করা। সারা মাস রোজা থেকে মানুষ ক্ষুধার কষ্ট বুঝতে পারে। আল্লাহ এর রহমত বুঝতে পারে। আরও বেশি আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হয়। আল্লাহর রহমতের জন্য বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করে। কিন্ত বাস্তবতা হল এই রমজানে প্রতি দিন ১.৩ বিলিয়ন খাবার নষ্ট হয়েছে। অর্থাৎ পৃথিবীর ৩ ভাগ এর এক ভাগ নষ্ট হয়। যখন সুদান এর লায়লা বলে, আমরা যে দিন ২ বেলা খাবার এর ব্যবস্থা করতে পারি সেই দিনটাকে আনন্দের দিন ভাবি। ঠিক সেই সময় তাদের থেকে একটু দূরে মক্কায় এই রমজানে ১৬৬৭ টন খাবার নষ্ট হয়েছে প্রতি দিন। দুবাইতে ১৮৫০ টন। কুয়ালালামপুর এ ৩০০০ টন। জানি না আমাদের প্রিয় শহর ঢাকায় কত। তবে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি মক্কার সাথে প্রতিযগিতা করতে পারবে।

এভাবেই রমজান আসে রমজান যায়। ক্ষুধার্থ মুখের সংখ্যা কমে না। বরং বাড়তেই থাকে। বাড়ে নষ্ট খাবারের পরিমাণ। সমাজে শান্তি আসে না। বোঝা যায় না রমজানের প্রভাব। । ।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২০

এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: ছোট কিন্তু কাজের কথা বলেছেন।

মুসলিম দের টাকার অভাব নাই। অভাব শিক্ষার, আর্থিক সংযমের, নৈতিকতার। নীতি কোরআন হাদিসে আছে, সেসব মানার বালাই নাই।

নিজেরা উৎপাদন করে না শুধু ভোগ করে, মুসলিম দেশ গুলা সব অমুসলিম দের বাজার।

সম্পদ কেন্দ্রীভূত, বন্টনের ইসলামী বিধানও মুসলমানরা মানে না। কি বেদনাদায়ক। সৌদির কাছেই সোমালিয়া, ক্ষুধায় হাজার হাজার লোক মারা যাচ্ছে হর্ন অব আফ্রিকায়। অথচ তারা ভোগে ব্যবস্ত। আমাদের দেশের ধনীদের ও একই দশা। কারে কি বলব। যার সাধ্য যত তার মধ্য বাহুল্য, অপচয় আর লোক দেখানো তত বেশী।

অনাড়ম্বর ইসলামী জীবনের ঠিক উল্টা জীবনযাপন করছে মুসলিমরা।


অর্থনৈতিক সংযম নিয়ে একটা লিখাঃ

Click This Link

২| ৩০ শে জুলাই, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪০

যাযাবর চিল বলেছেন: সহমত। ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.