নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রিফুজি, মুজিব এবং রোহিঙ্গা

১৮ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৫


১৯৪৬ সাল। আগস্ট মাস। সারা ভারতবর্ষে দাবানলের মত জ্বলে ওঠে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। বলা বাহুল্য এর মূল শিকার ছিল সংখ্যালঘু মুসলিমরা। সে সময়ে মুসলিম সরকার ছিল শুধুমাত্র একটা প্রদেশে, বাংলাদেশ। বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরয়ার্দী। তার দৃঢ়তায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ছোবল ভারতের অন্য অংশের অনেক কম পরে বাংলায়। বাংলার পাশের প্রদেশ বিহারের অবস্থা হয় ভয়াবহ। হাজার হাজার মুসলিমকে হত্যা করা হয়, জ্বালিয়ে দেওয়া হয় মুসলিম পাড়া, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রিফুজি হয়ে পরে লক্ষ লক্ষ মানুষ। ছাত্রদের দাবি এবং পরামর্শে শহীদ সাহেব, আসানসোল জেলায় রিফুজি ক্যাম্প খোলার সিদ্ধান্ত নেন। রিফুজিদের আনার জন্য ট্রেন পাঠান বিহারে। রিফুজি ক্যাম্পের কাজ মনিটর মরতে শহীদ সোহরয়ার্দী একজন তরুন ছাত্রনেতাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেন। তিনি [ছাত্রনেতা] রিফুজি ক্যাম্প এলাকার নাম রাখেন “হিজরতগঞ্জ”। তিনি তার ব্যক্তিগত ডায়রিতে রিফুজিদেরকে বোঝাতে “রিফুজি” শব্দটাই ব্যবহার করেননি। তিনি তাদের অবিহিত করেছিলেন “মুহাজির” হিসেবে। তিনি দিনরাত ক্যাম্পে কাজ করেন অত্যান্ত সুচারুভাবে। তিনি আশেপাশে আরও ২-৩ টি ক্যাম্প স্থাপনে উপদেষ্টা হিসেবে রাতদিন কাজ করেন। ফলাফল তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে পরেন। এতটাই বেশি অসুস্থ হয়ে পরেন যে কলকাতা ফিরে তাকে ১৫ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। সেই ছাত্র নেতার নাম শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশে যে দল এখন ক্ষমতায়, সে দল টিকে আছে ৪৬ এর সেই ছাত্র নেতার নামে। যার নাম একটা কলাগাছ দাঁর করিয়ে দিলেও বাংলার মানুষ ভোট দেয়। তার নাম ছাড়া সে দল একটা ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা রাখে না......।
৪৬ এ বিহারে মুসলিমদের উপর যেমন নির্যাতন হয়েছিলো আজ মিয়ানমারে তার চেয়েও সহস্রগুন বেশি নির্যাতন হচ্ছে। আজ শেখ মুজিবুর রহমান নেই। কিন্তু তার দল আছে। তার আদর্শে থেকে লক্ষ-যোজন দূরে.........
তথ্যসূত্রঃ অসমাপ্ত আত্নজীবনী, ৬৯-৭২ পৃষ্ঠা

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:১৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



ভারত বিভাগের সময় মুল দাংগা হয়েছে পান্জাবে; মোট ২ মিলিয়ন মানুষ নিহত হয়েছে; পান্জাব এলাকার মানুষ সব সময় অমানুষ ছিল।

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪১

যাযাবর চিল বলেছেন: পাঞ্জাবের মানুষের ব্যাপারে বিস্তারিত জানি না। তাই কিছু বলতে পারছি না.।.।.।।।

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ ভোর ৫:০০

কবি এবং হিমু বলেছেন: যার নাম একটা কলাগাছ দাঁর করিয়ে দিলেও বাংলার মানুষ ভোট দেয়। তার নাম ছাড়া সে দল একটা ইউনিয়নেও চেয়ারম্যান হওয়ার যোগ্যতা রাখে না......। জটিল বলেছেন ভাই।তার মানে কি হয়,বাংলাদেশটা এখন কলা গাছে ভরে গেছে!!

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩৫

যাযাবর চিল বলেছেন: হিমু ভাই সে ব্যাপারে আপনার কি কোন সন্দেহ আছে?

৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৭:১৭

শূণ্য পুরাণ বলেছেন: কবি এবং হিমু সত্য বলেছেন,তাই অাজকের ক্ষমতাসীনরা মুজিবের অাদর্শ হতে যোজন যোজন দূরে,কলাগাছের অাবার অদর্শ কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.