![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ফতেহ উল্লাহ সিরাজি তারিখ ই ইলাহির মাসের নাম নেন হিন্দু মিথলজি থেকে। বৈশাখ মাসে নাম নেওয়া হয় বিশাখা নক্ষত্রের নাম থেকে [https://goo.gl/pt8s94]। পুরাণ মতে, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার পুত্র হলো দক্ষ, আর দক্ষের কণ্যা হলো বিশাখা। এছাড়া বিশাখা চন্দ্রের ২৭ জন স্ত্রীর অন্যতম। হিন্দু মিথ অনুযায়ি, ‘মাস হিসেবে বৈশাখের একটা স্বতন্ত্র পরিচয় আছে, যা প্রকৃতিতে ও মানবজীবনে প্রত্যক্ষ করা যায়। খররৌদ্র, দাবদাহ, ধু-ধু মাঠ, জলাভাব, কালবৈশাখীর ঝড় ইত্যাদি*। এ সকল অনিষ্ট থেকে বাঁচার জন্য হিন্দুরা মঙ্গল শোভাযাত্রা করতো ও মঙ্গলদ্বীপ জ্বালাত। বস্তুত মঙ্গল শোভাযাত্রা ও মঙ্গলদ্বীপ জ্বালানো হিন্দুদের একটি প্রধান আচার। আবহমান কাল থেকে তারা এটি পালন করে আসছে। হিন্দু মিথলজির অন্যতম প্রধান গ্রন্থ মহাভারতের দ্বিতীয় খণ্ডের ১০১ পৃষ্ঠায় মঙ্গলযাত্রা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে [https://goo.gl/1FIKjz]। বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হিন্দুরা মঙ্গল শোভাযাত্রা করে [http://bit.ly/2onYufv]
মঙ্গলশোভাযাত্রায় যে সব প্রতিকৃটি বহন করা হয় সেগুলো হিন্দুদের বিভিন্ন বিশ্বাসেরই অংশ। যেমন পেঁচা মঙ্গলের প্রতীক ও লক্ষ্মীর বাহন [http://bit.ly/2nvdaWk], হাতি হচ্ছে সমৃদ্ধির প্রতীক [http://bit.ly/2nsiHvU], ঈগল বিষ্ণুর বাহন, বাঘ দুর্গার বাহন, সূর্য দেবতা [https://goo.gl/1lvmhk] ইত্যাদি। আপনি বলতে পারেন যে না, এগুলা এমনিতেই আছে হিন্দু মিথকে বোঝানো হচ্ছে না। এর উত্তর খোদ মঙ্গলযাত্রা মূল আয়োজকই সমকালকে দিয়েছেন। তিনি হাতির মূর্তিকে সমৃদ্ধির প্রতীক বলেছেন [http://bit.ly/2nMISkj]
আধুনিককালে পহেলা বৈশাখের অনুষঙ্গ হিসেবে কোলকাতার হিন্দুরা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশদের বিজয় কামনা করে সে বছর পহেলা বৈশাখে হোম কীর্তন ও পূজার ব্যবস্থা করে। [https://goo.gl/VE0c9s] ।
ঢাকায় ১৯৬৭ সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট প্রথম পহেলা বৈশাখ পালন শুরু করে তবে তখনো মঙ্গলযাত্রা হতো না। ঢাকার মুসলিমদের মধ্যে ১৯৮৯ সালে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে সকালে মঙ্গল শোভাযাত্রার বের করা হয় [https://goo.gl/0oBCeH]।
*নওয়াজেশ আহমদ: রমনার বটমূলে জাতীয় উৎসবে, দৈনিক প্রথম আলো, ১৪ এপ্রিল ২০০৮ (৮)
#ইতিহাস_পাঠ ৩
#পহেলা_বৈশাখ ৩
#KnowYourHistory
২| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৫০
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তথ্যপুর্ণ লিখাটের জন্য ধন্যবাদ , সংস্কৃতি তার আপন বেগেই চলবে , বিজাতীয়রা হাজার বছরেও তাদের সংস্কৃতির বীজ তৃণমুল পর্যায়ে রোপন করে যেতে পারে নাই । অারবী ফারসি বয়ান ধারীরা নবাবী পরিবারের মধ্যেই তাদের সংস্কৃতি রেখে যেতে পেরেছে , ইংরেজরা জমিদারী অার তাদের নায়েব মোসাহেব ও সরকারদের মধ্যেই রেখে যেতে পেরেছে । বাংগালীর অাবহকালের সংস্কৃতি কালের আবর্তে চলতেই থাকবে তৃনমুল পর্যায়ে এবং তৃনমুল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের সাথে সাথে এর বিকাশ ঘটতেই থাকবে , এর গতি হবে অপ্রতিরোধ্য , কোন কিছুতেই এর অগ্রযাত্রা রোখা যাবেনা ।
৩| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৩:৫৬
সৌমিক আহমেদ খান বলেছেন: এসব বলে লাভ নাই, বাঙালির মিশ্র জাত। হিন্দু মুস্লিম সবাইকে সহকারে
শুভ নববর্ষ
৪| ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৪৮
আহা রুবন বলেছেন: বাঙ্গালির শরীর থেকে হিন্দুর রক্ত, জিন ফেলে দেয়ার পদ্ধতি বের করেন। তাহলে হিন্দুয়ানি ত্যাগ করা সম্ভব হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
হিন্দু থেকে মুসলমান হওয়ায়, কিছু হিন্দু ট্রেডিশান রয়ে গেছে; এজন্য কুর্দি মুসলমানেরা সুন্নী মুসলমানদের থেকে আলাদা; ইউক্রেনের তাতার মুসলমান ছেলে যে মেয়েকে চুরি করে নিয়ে যাবে, সেটাকে বিয়ে করবে, এটা ওখানকার আগের রীতি ছিল, এখনো আছে; সব মুসলমানের সংস্কৃতি এক হবে না কোনদিন।