![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাঙালি জাতি একটা বায়বীয় ধারনা। প্রতিথযশা লেখক আবুল মনসুর আহমেদও তার "বাংলাদেশের কালচার" বইয়ে এমন মত দিয়েছেন। একটু চিন্তা করলেই আমরা অনুধাবন করতে পারবো বাঙালি জাতির কোন একক রুপ বা সাংস্কৃতি নেই। আছে দুইটি সম্প্রদায়। মুসলিম সম্প্রদায় এবং হিন্দু সম্প্রদায়। একই দেশে, একই পরিবেশে, একই মাটিতে হাজার বছর পাশাপাশি বসবাস করেও এই দুইটি সম্প্রদায়ই আলাদা মৌলিক সাংস্কৃতি বহন করে চলছে।
মুসলিম মহিলারা যেভাবে শাড়ি পড়েন, হিন্দু মহিলারা সেভাবে পড়েন না। মুসলিম পুরুষেরা পরে লুঙ্গি, হিন্দু পুরুষেরা ধুতি। একই ভাত, মাছ, তরকারি খায় এই দুই সম্প্রদায়ের মানুষ তবে, রান্না করার পদ্ধতি ভিন্ন, মশলাদি ভিন্ন, স্বাদ ভিন্ন, এমন কি খাবারের পাত্র যেমন প্লেট, গ্লাস ভিন্ন অাকৃতির। মুসলিমদের জাতীয় বীর আর হিন্দুদের জাতীয় বীর ভিন্ন। বাংলা ভাষায়ই কথা বলে, তবে দুই সম্প্রদায়ের আত্নীয়-স্বজন, খাবার, সম্মোধন-বাচক গুরুত্বপূর্ণ শব্দ সমূহ আলাদা। পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা সাল বাঙালির একতার প্রতীক বলে দাবি করার চেষ্টা করে মিডিয়া এবং মিডিয়ার কল্যানে বুদ্ধিজীবি বনে যাওয়া কিছু স্থুল বুদ্ধির মানুষ। কিন্তু এই বাংলা সালও ভিন্নমত মুক্ত নয়। কোলকাতার বাংলা ক্যালেন্ডার এবং বাংলাদেশের বাংলা ক্যালেন্ডার এক নয়। কোলকাতা একদিন পিছিয়ে বাংলাদেশের চেয়ে। বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায় তাদের পূজার হিসেব করে কোলকাতার ক্যালেন্ডার অনুসারে।
আব্দুর রাজ্জাক স্যার বলেছিলেন, ৪৭ এর পূর্বে মুসলিম এবং হিন্দুর এই পার্থক্য স্বীকার করা হয়নি ফলাফল ভারত ভেঙে দুই দেশ হয়ে গেছে। পাকিস্তান আমলে, বাংলা এবং পশ্চিম পাকিস্তানের মানুষ যে এক না এটা স্বীকার করা হয়নি ফলাফল ৭১।এই পার্থক্য মেনে নিলে গল্প হয়তো অন্যরকম হতো।
একই বাগানে বসারার গোলাপ আর কাশ্মীরি বেলি ফুটতে পারে। এতে বাগান নষ্ট হয় না বরং আরো সুন্দর হয়।
এত পার্থক্য থাকার পরও হাজার বছর আমরা একসাথে আছি। বিশ্বের সামনে এটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা অনুপম দৃষ্টান্ত হতে পারে।
আজ ২০১৭ সালে এসে কিছু স্থুল বুদ্ধির মানুষ এই পার্থক্য অস্বীকার করে বাঙালি জাতি তত্ত্ব প্রচার শুরু করেছেন। ফলাফল কি হবে?? সেটা ভবিষ্যতই বলে দেবে.....
তবে ভাল কিছু হবে ইতিহাস এই গ্যারান্টি দেয় না।
নোটঃ মুসলিম শাসন আমলে [১২০০-১৭৫৭] আমাদের দেশে একটাও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়নি। ব্রিটিশদের ঘৃণ্য 'divide & rule' নীতির কারনে ১৭৫৭-১৯৪৭ সালের মধ্যে কয়েকটা দাঙ্গা হয়। তবে দেশ স্বাধীনের পর দেশে কোন দাঙ্গা হয়নি। কিংবা তেমন সমস্যাও নেই। দু-একটা রাজনৈতিক দ্বন্দকে মাঝে মাঝে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোর চেষ্টা করা হয়। আমাদের দেশের মানুষ বা সরকার মোটেও সাম্প্রদায়িক না।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
রসায়ন বলেছেন: আরো লিখুন বিস্তারিত ভাবে ।
৩| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪০
চাঁদগাজী বলেছেন:
"প্রতিথযশা লেখক আবুল মনসুর আহমেদও তার "বাংলাদেশের কালচার" বইয়ে এমন মত দিয়েছেন। একটু চিন্তা করলেই আমরা অনুধাবন করতে পারবো বাঙালি জাতির কোন একক রুপ বা সাংস্কৃতি নেই। আছে দুইটি সম্প্রদায়। মুসলিম সম্প্রদায় এবং হিন্দু সম্প্রদায়। "
-লেখক আবুল মনসুর আহমেদ কি সাহিত্যিক, নাকি সোস্যাল সায়েন্স ও ইতিহাসের লোক? উনি ইতিহাস দেখলে বুঝতে পারতেন যে, ধর্ম অনেক জাতিকে বহু ধর্মীয় গোষ্ঠীতে বিভক্ত করেছে, নতুন কালচার যোগ করেছে; কিন্তু জাতির মৌলিক কালচার এক রয়ে গেছে; আপনি সেইদিক থেকে অনুধাবন করতে পারেননি। আরবদের কালচারের মুল বৈশিষ্ঠ এক রয়ে গেছে, যদিও তারা মুসলিম, খৃস্টান ও ইয়াজিদির মত ধর্মীয় গোষ্ঠীতে পারিণত হয়েছে; বাংগালীদের মুল বৈশিষ্ঠ্যগুলো ঠিক আছে; সময়ের সাথে ধর্মীয় প্রভাবে হারিয়ে যাবে, মুল বৈশিষ্ঠ্য হারাবে না।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪২
যাযাবর চিল বলেছেন: আব্দুর রাজ্জাক স্যার ?
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:২৮
তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ধন্যবাদ।
আজকাল যে আকাল পড়েছে তাতে বুঝা যায়না কোনটা চুরি করা লেখা আর কোনটা নিজের লেখা। তাই, লেখকের প্রতি অনুরোধ রইলো লেখার শেষে যেন উল্লেখ করে দেওয়া এটি কোন জাতীয় লেখা