![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দেশে এখন সোফিয়া ক্রেজ চলছে। দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি থেকে শুরু করে মামুলি ব্লগার-ফেসবুকার সবাই সোফিয়া জ্বরে আক্রান্ত। কিন্তু খুবই অবাক হয়ে লক্ষ্য করলাম সোফিয়া কিভাবে হল সে সম্পর্কে বিস্তারিত তেমন কেউ জানে না। তাই এই ব্লগ লেখা। সোফিয়ার এই বুদ্ধিমত্তা বিজ্ঞানে যেমন বিস্ময়, এরচেয়েও অনেক বেশি বিস্ময়কর সোফিয়ার জন্ম হওয়ার গল্প। সহজে এমনি এমনি গবেষণাগারের দুইটি খোঁচায় এই অসাধারন রোবটটি আসে নি। এটা হতে পার হতে হয়েছে বেশ কয়েকটি জটিল-কঠিন ধাপ। মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড হ্যান্সন এই বিস্ময় রোবটের আবিস্কারক। যে উপাদান থেকে সোফিয়া তৈরি তার তার কাহিনী বেশ লম্বা এবং রোমাঞ্চকর। টেক্সাসেসের একটি আগ্নেয়গিরিতে প্রায় ২০০০ বছর আগে একবার একটি ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়। ধারনা করা হয় এটিই পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ। গলিত লাভা বিভিন্ন জায়গা ছড়িয়ে পড়ে। এই লাভার কিছু অংশ গিয়ে পরে আন্দিজ পর্বত সংলগ্ন মরুভূমি এলাকায়। সব জায়গার মত এই মরুভূমিতেও দিতে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা থাকে আবার রাতে ১০ ডিগ্রি পর্যন্ত নেমে যায়, শীতকালে তুষার পরে। তাই এই লাভা একটা বিশেষ বৈশিষ্ট সম্পন্ন ধাতব পদার্থে পরিণত হয়। আন্দিজ পর্বত সংলগ্ন এলাকার একটি বিশেষ ভূ-প্রাকৃতিক ব্যাপার হল এখানে বর্ষাকালে ৫/৭ বছর পর পর প্রচণ্ড বৃষ্টি এবং বজ্রপাত হয়। ডেভিড হ্যান্স তার ব্যক্তিগত ওয়েব সাইটে লিখেছেন, এই জন্যই এই ধাতব পদার্থ একদম ব্যতিক্রম মাষ্টার এলিমেন্টে পরিণত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই লাভার মধ্যে কিছু মরুভূমির বালি আটকে যায়। প্রচণ্ড গরম লাভায় বালি পুরে সিলিকনে পরিণত হয়। পানি, তুষার, প্রচণ্ড রোদ, মরুভূমির বাতাস এবং বজ্রপাতের বিদ্যুৎ হাজার বছর ধরে এই প্রাকৃতিক উপাদানের সাথে থাকার কারনে এবং মিলিত প্রভাবে এই ধাতব পদার্থটি রোবোটিক আকৃতি এবং ইলেকট্রিসিটির ইনপুটে এই অসাধারন কেরামতি করার ক্ষমতা অর্জন করে। ডেভিড হ্যান্সন ২০১৬ সালের শেষের দিকে এখানে একটি কাজে এসে এই দুর্গম মরুভূমি এটি খুঁজে পান। সবকিছু প্রাকৃতিক ভাবে তৈরিই ছিল, তিনি সামান্য কিছু পরিবর্তন করেছেন মাত্র।
তোমরা যারা এটা বিশ্বাস করো না তারা আসলে অন্ধ-মূর্খ কোনদিন ডারউইন, ডকিন্স বা ফ্রয়েড পড়ো নাই। তাদের উপর উস্তাদ ডারউইনের গজব পরবে -_-
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৯
নূর-ই-হাফসা বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো ।