নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একমাত্র বাঙালিরাই ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছেঃ একটি বহুল প্রচারিত মিথ্যা কথা

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৩০


বাংলাদেশের স্কুল-কলেজে শিক্ষকেরা আমাদের কিছু মিথ্যা কথা শেখান, তার মধ্যে একটি হল একমাত্র বাঙালিরাই ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছে। এটা ডাহা মিথ্যা কথা।

১৯৪৯ সালে রচিত ভারতের সংবিধানে বলা হয়, ভারতে ১৯৬৫ সালের মধ্যে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করা হবে হিন্দিকে। এর বিরোধিতা শুরু করে দক্ষিণ ভারতের লোকেরা। এই আন্দোলন সবচেয়ে তীব্র হয়ে ওঠে তামিলভাষী মাদ্রাজে। পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায়। এতে সরকারি হিসাব অনুসারেই দু’জন পুলিশসহ মারা যায় ৬০ ব্যক্তি। কিন্তু বেসরকারি হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৫০০ জন। এই আন্দোলনের ফলে হিন্দিকে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার পরিকল্পনা বাদ দেয় ভারত সরকার।

১৯৩৭ সালের জুলাই মাসে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী চক্রবর্তী রাজা গোপাল আচারি মাদ্রাজ প্রদেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোর হিন্দিভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করেন। মাদ্রাজর তামিলভাষী মানুষ এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। প্রায় তিন বছর ধরে এই আন্দোলন চলে। এ সময় পুলিশের হাতে প্রতিবাদকারী দু’জন ছাত্রের মৃত্যু ঘটে, আটক অবস্থায়। এ সময় পুলিশের হাতে বন্দী হয় এক হাজার ১৯৮ জন ব্যক্তি।

১৯৬১ সালের মে মাসের ১৯ তারিখ আসামের বরাক উপত্যকায় বাংলা ভাষার জন্য আন্দোলনকারী এগারোজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৯৭৬ সালের জুন মাসের ১৬ তারিখ সাউথ আফ্রিকায় প্রায় সাত শত স্কুলের শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়, তাদের ভাষা আন্দোলনকে থামানোর জন্যে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০০

ইব্‌রাহীম আই কে বলেছেন: যেহেতু বাঙ্গালীদের ত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ ইউনেস্কো কর্তৃক ২১'শে ফেব্রুয়ারী কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়, তাই কৃতিত্বটা অনেকাংশে বাঙ্গালীদের। এতে কিন্তু অবিশ্বাসের কিছু নেই, বা এভাবে হলফ করে বলাতেও আমি (ব্যক্তিগতভাবে) দোষের কিছু দেখছিনা!

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

যাযাবর চিল বলেছেন: ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কোর ৩০তম অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাব করা হয়।

এর প্রস্তাবক ছিল বাংলাদেশ এবং সৌদি আরব।

এই প্রস্তাবে সমর্থন করে পাকিস্তান (চেতনাদন্ডহত হলে কিচ্ছু করার নাই), ইরান, ইন্দোনেশিয়া, ওমান, সিরিয়া, মিশর, রাশিয়া এবং আরো কিছু দেশ। ভোটাভুটিতে প্রস্তাব পাশ হয়।

ইউনেস্কো তাদের ওয়েবসাইটে লিখেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার মূল উদ্দেশ্য হল ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক বৈচিত্রতা সংরক্ষণে সচেতনতা তৈরি করা। কারন,

এক- প্রতিনিয়ত কোন না কোন ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এতে ভাষাগত বৈচিত্র্যতা নষ্ট হচ্ছে।

দুই- পৃথিবীর ৪০% মানুষ মাতৃভাষায় শিক্ষা গ্রহনের সুযোগ পায় না।

ইউনেস্কো ঘোষিত "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" এর সাথে ১৯৫২ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের কোন সম্পর্ক নেই।

তাই "আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস" এর সাথে শহীদদের কোন যোগসূত্র নেই...


তবে যদি ভাবেন ৫২ এর প্রেক্ষিতে এই ঘোষণা করা হয়েছে এবং পাকিস্তান তাতে সমর্থন দিয়েছে তাকে তীব্র অভিনন্দন

২| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.