নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

১৯৫২ সালের ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি নিহত শহীদদের পরিচয়

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৮


১. আবুল বরকতঃ নিহতদের মধ্যে একমাত্র আবুল বরকত ঢাবি শিক্ষার্থী। ২১ ফ্রেব্রুয়ারি কলা ভবনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে মিছিল দেখছিলেন আবুল বরকত। তখন পুলিশের গুলি লাগে। আবুল বরকত ভাষা আন্দোলনকারী ছিলো না, সে ছিল পুলিশের এজেন্ট। ঢাবির কিংবদন্তী অধ্যাপক আবদুর রাজ্জাক এই তথ্যটা প্রকাশ করে বেশ হৈ চৈ ফেলেছিলেন। বিশিষ্ট বাম রাজনীতিক, ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ তোয়াহাও ব্যাপারটি নিশ্চত করেন। বরকত ছিলো ভারতের আসামের অধিবাসী। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের সময় উগ্রবাদী হিন্দুদের আক্রমন থেকে বাঁচতে তার পরিবার পাকিস্তান চলে আসে।(১)

২. আবদুস সালামঃ ২২ শে ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদী একটি মিছিল থেকে বংশাল রোডে অবস্থিত নূরুল আমিনের ‘দৈনিক সংবাদ’ অফিসে আক্রমণ হলে পুলিশ গুলি করে। সেখানে রাস্তার পাশে রিক্সা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা রিক্সাচালক আবদুস সালাম মারা যান।(২)

৩. শফিউর রহমানঃ ২২ ফেব্রুয়ারি সকাল দশটার দিকে রঘুনাথ দাস লেনের বাসা থেকে সাইকেলে চড়ে অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা হন হাইকোর্টের কর্মচারী শফিউর। সকাল সাড়ে দশটার দিকে নওয়াবপুর রোডে , দৈনিক সংবাদ’ অফিসের সামনে ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়া মিছিল সংগঠিত হলে পুলিশ ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলি অফিস গমনরত শফিউর রহমানের পিঠে এসে লাগে। সরকারি এ্যাম্বুলেন্স যোগে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁকে ডা. এ্যালিনসন অপারেশন করেন। ঐদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার সময় তিনি মারা যান।(২)

৪. আব্দুল জব্বারঃ আবদুল জব্বারের পুত্র জন্ম হওয়ার কিছুকাল পরে তার শাশুড়ি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। শাশুড়িকে নিয়ে ১৯৫২ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারী গফারগাও থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে আসেন। ২১ তারিখ বাইরে মিছিল শুরু হলে, কি হয়েছে দেখবার জন্য তিনি রুম থেকে বের হয়ে আসেন। তখনই পুলিশ গুলি শুরু করে এবং জব্বার আহত হন। ছাত্ররা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা জব্বারকে মৃত ঘোষণা করেন। (৩)
রাষ্ট্র ভাষা আন্দোলনের সাথে তার কোন অংশগ্রহণ ছিল বলে মনে হয় না।

৫. রফিকউদ্দিন আহমদঃ সম্ভবত রফিকই একমাত্র নিহত হওয়া ভাষা আন্দোলনকারী। গুলি তার মাথায় লাগে। তিনি মানিকগঞ্জ জেলার দেবেন্দ্রনাথ কলেজের বাণিজ্য বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। কিন্তু বাবার ব্যবসার সুবাদে ঢাকায় এসে জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানা যায়।(৪)

তাই বলা যায় রফিকই সম্ভবত ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত শহীদ।

এছাড়া সালাহউদ্দীন নামে একজন ছাত্রের কথা জানা যায় বদরুদ্দিন উমরের লেখা 'পূর্ববঙ্গের ভাষা আন্দোলন ও ততকালীন রাজনীতি' বইয়ের তৃতীয় খন্ডে। তিনি এক ফুটনোটে এই নামটি উল্লেখ করেন, যার মাথার খুলি উড়ে যায়(পৃ.৪৬৩)। এই ছাত্রের বর্ণনা রফিকের সাথে মিলে যায়। সম্ভবত দুই জনই একই চরিত্র।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: জানলাম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.