নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তোমরা মানুষ, আমরা মানুষ, তফাৎ শুধু শিরদাঁড়ায়

যাযাবর চিল

i agree to disagree...

যাযাবর চিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের প্রাপ্তি

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৪৩



মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিসেব মতে স্বাধীনতাযুদ্ধে ১ হাজার ৯৮৪ জন ভারতীয় শহীদ হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১ হাজার ৭৬৯, নৌবাহিনীর ২০৪ এবং বিমানবাহিনীর ১১ জন। এই সংখ্যা ধরেই তাদেরকে ৫ লাখ রুপি করে সম্মাননা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই জীবন দানের মাধ্যমে ভারত তার চিরশত্রু পাকিস্তানকে দুর্বল করে মানসিক ভাবে, আর্থিকভাবে এবং চেতনার দিক থেকে এবং অর্জন করে বিজয়।
যুদ্ধ গবেষক এ এস এম সামছুল আরেফিন তাঁর বিখ্যাত ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তির অবস্থান’ বইয়ে উল্লেখ করেন ভারত সেই সময় বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে ১৬ কোটি ৮১ লক্ষ ৩ হাজার ৭শত ২৭ ডলার সাহায্য পায়।
পাকিস্তান যুদ্ধে হেরে যাবার পর আর্থিকভাবে ভারত সরকার পাকিস্তান থেকেও ক্ষতিপূরণ নেয়। ভারতীয় অফিসিয়াল হিসেবে মোতাবেক পাকিস্তানের কাছ থেকে ভারত সর্বমোট ৫৪৩ কোটি ৫১ লাখ ১৪ হাজার দুইশত চুরানব্বই রুপি ক্ষতিপূরণ আদায় করে
স্বাধীনতার পর ভারতীয় বাহিনী ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে মার্চ ১৯৭২ পর্যন্ত সময় বাংলাদেশে অবস্থান করে।এই সময়ে কি পরিমাণ লুটপাট তাঁরা করে তা বর্ণনাতীত।তাঁদের লুটপাট মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষদেরকে হতবাক করে দেয়। ২১ শে জানুয়ারি ১৯৭২ সালে ব্রিটেনের বিখ্যাত গার্ডিয়ান পত্রিকায় সাংবাদিক মার্টিন ঊলাকট (Martin Woollacott) Indians ‘loot whole factory ‘শিরোনামে লেখায় লিখেন ; “Systematic Indian army looting of mills, factories and offices in Khulna area has angered and enraged Bangladesh civil officials here. The looting took place in the first few days after the Indian troops arrived in the city on December 17” (Martin Woollacott, Indians ‘loot whole factory, The Guardian, Jan 22, 1972).
সে সময় খুলনার ডিসি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট সচিব ডক্টর কামাল সিদ্দিকী। তিনি সে সময় ভারতীয় বাহিনীর এই লুটপাটের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লিখে বলেন; কেবল খুলনা থেকে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন টাকার পরিমাণ লুটপাট করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।কামাল সিদ্দিকী পরবর্তীতে লন্ডন ইউনিভার্সিটিতে করা তার পিএইচডি থিসিসে বাংলাদেশের দরিদ্রতার কারণ হিসেবে বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। ভারতীয় সৈন্যরা পাকিস্তানীদের ফেলে যাওয়া সকল অস্ত্র এবং ৮৭ টি ট্যাংক নিয়ে যায় যার মূল্য ৭৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কামাল সিদ্দিকি আরো লিখেন ভারতীয় সৈন্যদের লুটপাটের মধ্যে অস্ত্র ছাড়াও ছিল মজুদকৃত খাদ্য শস্য, কাঁচা পাট,সুতা, গাড়ি, জাহাজ,শিল্প প্রতিষ্ঠানের মেশিন ও যন্ত্রাংশ এবং অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য। কামাল সিদ্দিকীর মতে সব মিলিয়ে কম করে ধরলেও এই লুটপাটের পরিমাণ ছিল তৎকালীন হিসেবে ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই লুটপাটের বাহিরেও ছিল চোরাচালান ও কালোবাজারের মাধ্যমে বাংলাদেশের সম্পদের পাচার।কামাল সিদ্দিকী তার থিসিসে দেখিয়েছেন কিভাবে বৈদেশিক সাহায্য, আমদানি-রপ্তানিতে, টাকার অবমূল্যায়ন করে ভারত বাংলাদেশকে লুট করে।লুটপাট ভারতীয় সেনাবাহিনী করলেও চোরাচালান ও কালোবাজারিতে যুক্ত ছিল ভারতীয় ব্যবসায়ী শ্রেণী এবং তাঁরা বাংলাদেশেরও কিছু দালাল জুটিয়ে নিয়েছিল।

ভারত ও ভারতীয়দের এসমস্ত কর্মকাণ্ডের কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশকে দেখতে হয় একটি ভয়ানক দুর্ভিক্ষ যেখানে ৫-১০ লক্ষ মানুষ খুন হয়। এরপরও বাংলাদেশীরা আজ ভারতীয় অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায্য অধিকারের দাবী জানাতেও শরমিন্দা অনুভব করে। অথচ ভারতের সাবেক সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল মানেক শ’ স্বীকার করে বলেন;
‘……আমাদেরকে সত্যাশ্রয়ী হতে হবে। বাংলাদেশীদের প্রতি আমরা সঠিক আচরণ করিনি। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের সব রকমের সাহায্য করা উচিৎ ছিল, কিন্তু আমাদের রাজনীতিবিদরা তা করেননি। তারা বেনিয়ার মতো আচরণ করেছেন’ (ফিল্ড মার্শাল মানেক শ’, স্টেটসম্যান, ২৯ এপ্রিল, ১৯৮৮।



মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৪

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: অত্যন্ত জরুরী ও ঐতিহাসিক তথ্যভিত্তিক লেখা,
খুবই ভালো লাগল । ধন্যবাদ আপনাকে ।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

হাবিব বলেছেন: নেয়া কি এখনো থেমে আছে?

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:




আপনি বানোয়াট ও আপনার পোষ্টও বানোয়াট।
ভারতীয় বাহিনী পাকীদের ফেলে যাও্য়া অস্ত্র নিয়ে গেছে; বাংলাদেশকে জেনেভা চুক্তি অনুসারে নতুন অস্ত্র দিয়েছে ফ্রি, এগুলো আপনার বুলশিট মগজে ঢুকবে না। ওরা পাকি সৈন্যদের ব্যক্তিগত লুটের স্বর্ণ ও টাকা কেড়ে নিয়েছে, যদি পাকীরা সেগুলো মাটির নীচে না লুকিয়ে থাকে।

কলকারখানায় হাত দেয়ার মতো কিছু ছিলো না; ভারতের কাছে আমেরিকান, বৃটিশ ও ফান্সের কলকব্জা ছিলো না; চুরি করে নিয়ে সেগুলো কাজে লাগানোর কোন উপায় ছিলো না।

ড: কামাল সিদ্দিকি সাহেবের সাথে ২০০৩ সালে ২ দিন কাটায়েছি, উনি ছিলেন বানোয়াট, আপার থেকে কোটীগুণ বানোয়াট।

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১০

চাঁদগাজী বলেছেন:



ড: কামাল সিদ্দিকি সাহেবের সাথে ২০০৩ সালে ২ দিন কাটায়েছি, উনি ছিলেন বানোয়াট, *আপনার থেকে কোটীগুণ বানোয়াট।

অকারণ জাতিকে নিজের লিলিপুটিয়ান মগজ দ্বারা বিভ্রান্ত করবেন না। আপনি এমন কিছু নিয়ে লিখছেন, যা দেখেননি, দেখলেও বুঝেননি।

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: উপযুক্ত তথ্য প্রমান না দিলে, এ ধরনের পোষ্ট ব্লগে শৃঙ্খলা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে।

৬| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাদাদের দেখি সেইরাম জ্বলছে ;)

সত্য আরো ভয়ানক। লেজকাটা শেয়ালের মতো জাতি যাতে সত্য জানতে না পারে, সুস্থ স্বাভাবিক জাতিগত বিকাশ হলেইতো ইতিহাসের এই সত্যের জন্য সুস্থ স্বাভাবিক গবেষনা হবে। থিসিস হবে। তাই তারা জাতিকে সবসময় ডিভাইড এন্ড হাইড পলিসিতে ব্যাস্ত থাকে।

আমরা আমাদের ইতিহাসের সত্য খোঁজার বদলে এ ওকে ও একে রাজাকার, পক্ষ- বিপক্ষ শক্তি বলে কাঁদা ছোড়াছুঁড়িতেই ব্যাস্ত! থােক। আর চোর ডাকাতেরা, সহযোগীরা মহা আনন্দে ইতিহাসের সত্যকে মুছে ফেলার চেষ্টায় রত।
মেজর জলিল এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় ভিলেন বানানো কত চেষ্টাই না হচ্ছে!
বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরো বিস্তারিত এবং তথ্যপূর্ন লেখা জাতিকে উপকৃত করবে।
লেখার অনুরোধ রইল ।

৭| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


@বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনি মেজর জলিল সম্পর্কে বলেছেন; কিন্তু আপনি মেজর জলিলে সাপোর্টার নন, তিনি মনেপ্রানে সোস্যালিষ্ট ছিলেন, আপনি সোস্যালিজম বিরোধী; উনার প্রতিবাদকে কাজে লাগান প্রোপাগান্ডায়, আমাদের মুক্তিযু্দ্ধের বিরুদ্ধে, ভারতের বিরুদ্ধে।

মেজর জলিল ছিলেন সোস্যালিষ্ট মনোভাবের লোক; উনি চেয়েছিলেন, যুদ্ধের শেষে দেশের ক্ষমতায় যাবে "বামপন্হীরা"; সেটা হলে খারাপ হতো না; কিন্তু ১৯৭১ সালে সেই পরিস্হিতি ছিলো না। মেজর জলিল আপনার মতো, আমার মতো, সব বাংগালীর মতো ভারত বিরোধী ছিলেন; উনি অকারণ, পুরান অস্ত্র নিয়ে যাওয়াকে নিয়ে ভারতকে দোষারোপ করেছিলেন; কিন্তূ ভারত পুরো যুদ্ধে ও পরে বাংলাদেশ বাহিনীকে নতুন ও আধুনিক অস্ত্র দিয়েছে ফ্রি। আপনি বরাবরই বৃহত্তর পাকিস্তানে বিশ্বাসী।

৮| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৩৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাযাবর চিল আর সাইবার মোজাহিদ কি একই ব্যক্তি

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: [link|https://www.cybermujahid.com/2016/12/blog-post_49.html| যাযাবর চিল আর সাইবার মোজাহিদ কি একই ব্যক্তি

মেজর জলিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম গৃহবন্দি এবং খুব সম্ভবত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সেনা কর্মকর্তা, যাকে হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। একজন সেক্টর কমান্ডারকে কেন গৃহবন্দি করা হলো? কেন কেড়ে নেয়া হলো তাকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া সম্মান সূচক পদক? কি ছিল মেজর জলিলের অপরাধ?
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বজ্রকণ্ঠ। মুক্তিবাহিনীকে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতার নেপথ্যের কারণ জানতে পেরে মেজর জলিলের মধ্যে ক্ষোভের তীব্র আগুন জ্বলতে শুরু করে।পাকিস্তান আর্মির আত্মসমর্পণের পর মুক্তবাংলায় ভারতীয় বাহিনী লুটপাটে অংশ নিল। বাংলার সম্পদ পাচার শুরু করল। এ সময় ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রসহ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটে নিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এ লুটেরাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মেজর জলিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় বাহিনীর নানা ঘটনাসহ স্বাধীনতা-পরবর্তী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বাংলাদেশীদের সম্পদ লুণ্ঠনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাধা দেয়ায়ই তখনকার সরকার মেজর জলিলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। মেজর জলিল ভারতীয় বাহিনীর লুণ্ঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী এবং ভারতীয় পূর্বাঞ্চলের সর্বাধিনায়ক জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নিকট পত্র লিখেন, যা ১৭ ডিসেম্বর তাদের পৌঁছানো হয়। ভারতীয় বাহিনীর বেপরোয়া লুটতরাজের বিরুদ্ধে ক্রমেই ক্রোধে অগ্নিরূপ ধারণ করেন মেজর জলিল। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল দানবীর সিংকে বলতে বাধ্য হন, ‘দেখামাত্র গুলীর হুকুম দিয়েছি আমি, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লুটতরাজ করা থেকে বিরত রাখুন।’ মেজর জলিল পরবর্তী কয়েকদিন জাহাজে চড়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং ভোলার বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে জনসাধারণকে ভারতীয় বাহিনীর লুটতরাজ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন। ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ার, গোলাবারুদ, যুদ্ধ সরঞ্জাম, কলকারখানার মেশিনপত্র সবকিছুই লুট করে ভারতে পাচার করতে থাকে। এসব লুটপাটের বিরুদ্ধে মেজর জলিলের বিরোধিতা ও তার সাহসিকতা অন্যান্য সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ‘মিত্র বাহিনীর’ লুটপাটে বাধা প্রদানে উৎসাহিত করে তোলে। কিন্তু মেজর জলিল যদি জানতেন, যে দেশের জন্য তিনি রুখে দাঁড়ালেন, সেই দেশ তার সাথে কি ব্যবহার করতে যাচ্ছে! একসময় জরুরি ভিত্তিতে এক মিটিংয়ে তলব করা হয় সব সেক্টর কমান্ডারকে। সেই মিটিংয়ে যোগ দেবার পথে গ্রেফতার করা হয় মেজর জলিলকে। এভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক লুণ্ঠনের প্রতিবাদ করায় ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি হিসেবে মেজর জলিলকে বন্দি করে যশোর সেনা ছাউনির একটি নির্জন কক্ষে রাখা হয়। এ বিষয়ে তিনি এক আত্মকথায় বলেন, ‘আমারই সাধের স্বাধীন বাংলায় আমিই হলাম প্রথম রাজবন্দি।’

১০| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
যাযাবর চিল আর সাইবার মোজাহিদ কি একই ব্যক্তি

মেজর জলিল স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম গৃহবন্দি এবং খুব সম্ভবত স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সেনা কর্মকর্তা, যাকে হাইকমান্ডের নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে সেনাবাহিনী থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছিল। একজন সেক্টর কমান্ডারকে কেন গৃহবন্দি করা হলো? কেন কেড়ে নেয়া হলো তাকে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়া সম্মান সূচক পদক? কি ছিল মেজর জলিলের অপরাধ?
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতীয় বাহিনীর লুটপাটের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন বজ্রকণ্ঠ। মুক্তিবাহিনীকে ভারতীয় বাহিনীর সহযোগিতার নেপথ্যের কারণ জানতে পেরে মেজর জলিলের মধ্যে ক্ষোভের তীব্র আগুন জ্বলতে শুরু করে।পাকিস্তান আর্মির আত্মসমর্পণের পর মুক্তবাংলায় ভারতীয় বাহিনী লুটপাটে অংশ নিল। বাংলার সম্পদ পাচার শুরু করল। এ সময় ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানী বাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্রসহ প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুটে নিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। এ লুটেরাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন মেজর জলিল। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতীয় বাহিনীর নানা ঘটনাসহ স্বাধীনতা-পরবর্তী পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ফেলে যাওয়া অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বাংলাদেশীদের সম্পদ লুণ্ঠনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে বাধা দেয়ায়ই তখনকার সরকার মেজর জলিলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। মেজর জলিল ভারতীয় বাহিনীর লুণ্ঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এমএজি ওসমানী এবং ভারতীয় পূর্বাঞ্চলের সর্বাধিনায়ক জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার নিকট পত্র লিখেন, যা ১৭ ডিসেম্বর তাদের পৌঁছানো হয়। ভারতীয় বাহিনীর বেপরোয়া লুটতরাজের বিরুদ্ধে ক্রমেই ক্রোধে অগ্নিরূপ ধারণ করেন মেজর জলিল। তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল দানবীর সিংকে বলতে বাধ্য হন, ‘দেখামাত্র গুলীর হুকুম দিয়েছি আমি, ভারতীয় সেনাবাহিনীকে লুটতরাজ করা থেকে বিরত রাখুন।’ মেজর জলিল পরবর্তী কয়েকদিন জাহাজে চড়ে বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর এবং ভোলার বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে জনসাধারণকে ভারতীয় বাহিনীর লুটতরাজ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন। ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশ থেকে হাতিয়ার, গোলাবারুদ, যুদ্ধ সরঞ্জাম, কলকারখানার মেশিনপত্র সবকিছুই লুট করে ভারতে পাচার করতে থাকে। এসব লুটপাটের বিরুদ্ধে মেজর জলিলের বিরোধিতা ও তার সাহসিকতা অন্যান্য সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদেরও ‘মিত্র বাহিনীর’ লুটপাটে বাধা প্রদানে উৎসাহিত করে তোলে। কিন্তু মেজর জলিল যদি জানতেন, যে দেশের জন্য তিনি রুখে দাঁড়ালেন, সেই দেশ তার সাথে কি ব্যবহার করতে যাচ্ছে! একসময় জরুরি ভিত্তিতে এক মিটিংয়ে তলব করা হয় সব সেক্টর কমান্ডারকে। সেই মিটিংয়ে যোগ দেবার পথে গ্রেফতার করা হয় মেজর জলিলকে। এভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনী কর্তৃক লুণ্ঠনের প্রতিবাদ করায় ১৯৭১ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি হিসেবে মেজর জলিলকে বন্দি করে যশোর সেনা ছাউনির একটি নির্জন কক্ষে রাখা হয়। এ বিষয়ে তিনি এক আত্মকথায় বলেন, ‘আমারই সাধের স্বাধীন বাংলায় আমিই হলাম প্রথম রাজবন্দি।’আপনার মন্তব্য লিখুন

১১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২০

সুপারডুপার বলেছেন: Click This Link
-এই লিংকে তো এখনও ঢোকা যাচ্ছে। কিন্তু এতো কিছু পড়ে খবরের সত্যতা বের করার সময় নাই। যার সময় আছে , একটু দেখে বলেন , ব্লগার বানোয়াট বলছেন না ঠিক বলছেন ?

তবে স্বাভাবিক ভাবে, মহাপুরুষ ছাড়া এতো বড় সাহায্য এমনি এমনি কেউ করবে না। ভারত কিছু পেয়েছে বলেই বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে।

১২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেজর জলিল বলছিলো যে, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনী লুট করে সম্পদ নিয়েছে; কি সম্পদ?

১৩| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৩৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


মেজর জলিল কোন দেশে মারা গেছেন?

১৪| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫১

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
অনেকে বলে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় বাহিনী লুট করে অনেক সম্পদ নিয়েছে; কি সম্পদ? শুনি?

পরাজিত সেনাদের ব্যবহৃত পরিত্যাক্ত যুদ্ধাস্ত্র কোন কাজে লাগে না।
কোন দেশের নিয়মিত বাহিনী পরাজিত বাহিনীর ব্যবহৃত অস্ত্র ব্যাবহার করে না।
ভারতীয় সেনা, বিএসএফ, পুলিশ বেলজিয়ামের তৈরি আধুনিক 'এফএন রাইফেল' ব্যাবহার করে।
এজাবৎ কোন ভারতীয় বাহিনীর হাতে পাকি বাহিনির চাইনিজ রাইফেল দেখা যায় নি। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাতে কিছুদিন দেখাগেছে। ৭৩এর পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও রক্ষীবাহিনী ব্রিটিশ এসএলআর ব্যাবহার করে। ৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর পর রক্ষীবাহিনীর সবাইকে সেনাবাহিনীতে আত্নিকরন করে আমদানিকৃত আধুনিক চাইনিজ Type 58 রাইফেল ব্যাবহার শুরু করে।
কোন দেশের নিয়মিত বাহিনী পরাজিত বাহিনীর ব্যবহৃত/পরিত্যাক্ত অস্ত্র ব্যাবহার করে না।


একটি মেশিনগান এক দেড় হাজার রাউন্ড গুলিবর্ষন করা হলে ব্যারেলের সেপ নষ্ট হয়ে যায়। ব্রাষ্ট ফায়ার বন্ধ হয়ে সিঙ্গেল শট করতে হয়।( একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে শোনা) ব্যবহৃত পরিত্যাক্ত যুদ্ধাস্ত্র অন্য কোন রাষ্ট্রের কাছে বিক্রিও হয়না।
ডাকাত দল বা সন্ত্রাসিরা ছাড়া এই অস্ত্র কেউ ব্যাবহার করে না। কারো কাজে লাগে না। (বর্তমানে অবস্য ইসলামিষ্ট সন্ত্রসিরা সর্বাধুনিক অস্ত্র ব্যাবহার করছে)
সবাই জানে পাকিস্তানিরা আত্নসমর্পনের আগে রিজার্ভ অস্ত্রসস্ত্র ও বিমানবন্দরে স্যাবরজেটগুলো বিষ্ফোরন করে উড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। এরপর ধংসস্তুপ থেকে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ জোড়া দিয়ে দুটি স্যাবরজেট ও একটি T 33 বিমান চালু করা সম্ভব হয়েছিল।

১৫| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে যা পাবার বাংলাদেশই পেয়েছে। বরং আমাদের পেতে সাহায্য করেছে ভারত।

১৬| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
@বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনি মেজর জলিল সম্পর্কে বলেছেন; কিন্তু আপনি মেজর জলিলে সাপোর্টার নন, তিনি মনেপ্রানে সোস্যালিষ্ট ছিলেন, আপনি সোস্যালিজম বিরোধী; উনার প্রতিবাদকে কাজে লাগান প্রোপাগান্ডায়, আমাদের মুক্তিযু্দ্ধের বিরুদ্ধে, ভারতের বিরুদ্ধে।

মেজর জলিল ছিলেন সোস্যালিষ্ট মনোভাবের লোক; উনি চেয়েছিলেন, যুদ্ধের শেষে দেশের ক্ষমতায় যাবে "বামপন্হীরা"; সেটা হলে খারাপ হতো না; কিন্তু ১৯৭১ সালে সেই পরিস্হিতি ছিলো না। মেজর জলিল আপনার মতো, আমার মতো, সব বাংগালীর মতো ভারত বিরোধী ছিলেন; উনি অকারণ, পুরান অস্ত্র নিয়ে যাওয়াকে নিয়ে ভারতকে দোষারোপ করেছিলেন; কিন্তূ ভারত পুরো যুদ্ধে ও পরে বাংলাদেশ বাহিনীকে নতুন ও আধুনিক অস্ত্র দিয়েছে ফ্রি। আপনি বরাবরই বৃহত্তর পাকিস্তানে বিশ্বাসী।
<<

আপনার কি তার ছেড়া?
মাথায় গন্ডগোল মন্ডগোল আছে! এরকম মানহানীকর মন্তব্যের জন্য সামুর মডু প্যানেলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সরাসরি নাম ম্যানশন করে ব্যাক্তি আক্রমন এবং মানহানীকর মন্তব্য করে জনাব চাঁদগাজী ব্লগ নীতিমালা লংঘন করেছেন।
আপনার মতো তারছেড়া কথা কইতে আমরা্ও জানি। বলিনা ভব্যতা সভ্যতার টানে।
আপনার অন্ধ চাটুকারীতা আর স্তাবকতা কুরুচিপূর্ণ দাম্ভিক মানসিকতাকে ঘৃনা করি বলেই আপনাকে এড়িয়ে যাই!
কিন্তু আপনি বারবার সুযোগ পেলেই মিথ্যা অপবাদ, স্বৈচ্ছাচারী ভাবনা অন্যের উপর চাপিয়ে দেন।

আপনার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়রে কারণে যথেষ্ট সহ্য আর সম্মান দেবার চেষ্টা করি।
কিন্তু আপনি সেটাকে সুযোগ ভেবে যদি বারবার ব্যাক্তি আক্রমন করেন - তা সহ্য করবো না।
আপনার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং মন্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।





১৭| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিদ্রোহী ভৃগু ভাই,

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ভাদাদের দেখি সেইরাম জ্বলছে ;)
সত্য আরো ভয়ানক। লেজকাটা শেয়ালের মতো জাতি যাতে সত্য জানতে না পারে, সুস্থ স্বাভাবিক জাতিগত বিকাশ হলেইতো ইতিহাসের এই সত্যের জন্য সুস্থ স্বাভাবিক গবেষনা হবে। থিসিস হবে। তাই তারা জাতিকে সবসময় ডিভাইড এন্ড হাইড পলিসিতে ব্যাস্ত থাকে।

আমরা আমাদের ইতিহাসের সত্য খোঁজার বদলে এ ওকে ও একে রাজাকার, পক্ষ- বিপক্ষ শক্তি বলে কাঁদা ছোড়াছুঁড়িতেই ব্যাস্ত! থােক। আর চোর ডাকাতেরা, সহযোগীরা মহা আনন্দে ইতিহাসের সত্যকে মুছে ফেলার চেষ্টায় রত।
মেজর জলিল এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় ভিলেন বানানো কত চেষ্টাই না হচ্ছে!
বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আরো বিস্তারিত এবং তথ্যপূর্ন লেখা জাতিকে উপকৃত করবে।
লেখার অনুরোধ রইল ।

চাঁদগাজী বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু,
আপনি মেজর জলিল সম্পর্কে বলেছেন; কিন্তু আপনি মেজর জলিলে সাপোর্টার নন, তিনি মনেপ্রানে সোস্যালিষ্ট ছিলেন, আপনি সোস্যালিজম বিরোধী; উনার প্রতিবাদকে কাজে লাগান প্রোপাগান্ডায়, আমাদের মুক্তিযু্দ্ধের বিরুদ্ধে, ভারতের বিরুদ্ধে।

মেজর জলিল ছিলেন সোস্যালিষ্ট মনোভাবের লোক; উনি চেয়েছিলেন, যুদ্ধের শেষে দেশের ক্ষমতায় যাবে "বামপন্হীরা"; সেটা হলে খারাপ হতো না; কিন্তু ১৯৭১ সালে সেই পরিস্হিতি ছিলো না। মেজর জলিল আপনার মতো, আমার মতো, সব বাংগালীর মতো ভারত বিরোধী ছিলেন; উনি অকারণ, পুরান অস্ত্র নিয়ে যাওয়াকে নিয়ে ভারতকে দোষারোপ করেছিলেন; কিন্তূ ভারত পুরো যুদ্ধে ও পরে বাংলাদেশ বাহিনীকে নতুন ও আধুনিক অস্ত্র দিয়েছে ফ্রি। আপনি বরাবরই বৃহত্তর পাকিস্তানে বিশ্বাসী।


বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনার কি তার ছেড়া?
মাথায় গন্ডগোল মন্ডগোল আছে! এরকম মানহানীকর মন্তব্যের জন্য সামুর মডু প্যানেলের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
সরাসরি নাম ম্যানশন করে ব্যাক্তি আক্রমন এবং মানহানীকর মন্তব্য করে জনাব চাঁদগাজী ব্লগ নীতিমালা লংঘন করেছেন।
আপনার মতো তারছেড়া কথা কইতে আমরা্ও জানি। বলিনা ভব্যতা সভ্যতার টানে।
আপনার অন্ধ চাটুকারীতা আর স্তাবকতা কুরুচিপূর্ণ দাম্ভিক মানসিকতাকে ঘৃনা করি বলেই আপনাকে এড়িয়ে যাই!
কিন্তু আপনি বারবার সুযোগ পেলেই মিথ্যা অপবাদ, স্বৈচ্ছাচারী ভাবনা অন্যের উপর চাপিয়ে দেন।

আপনার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়রে কারণে যথেষ্ট সহ্য আর সম্মান দেবার চেষ্টা করি।
কিন্তু আপনি সেটাকে সুযোগ ভেবে যদি বারবার ব্যাক্তি আক্রমন করেন - তা সহ্য করবো না।
আপনার এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং মন্তব্য প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।



এবার এই তিনটি মন্তব্য পাশাপাশি দুবার করে পড়ুন। ব্লগে চাঁদগাজীকে গালী দেওয়ার এক রেওয়াজ চালু হয়ে গেছে। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সে কারণে সম্মান নয়। তিনি একজন ব্লগার সে করাণে যথেষ্ট অপমান অসম্মান পাচ্ছেন - কারা কাজটি করছেন তা বিবেচ্য।

প্রশ্ন হচ্ছে ব্লগার চাঁদগাজী লেখা বন্ধ করে দিলে কি সবাই ক্ষান্ত হবেন? তাহলে তাকে সরাসারি বলুন চাঁদগাজী আপনার লেখা আর চাইনা।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: - এই পোষ্ট টি যিনি দিয়েছেন তিনি যাযাবর চিল বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম ব্যক্তি, একখানা পোষ্ট দিয়ে তিনি নিখোঁজ হয়ে গেছেন, আমাদের নৈতিক দায়িত্ব তার খোঁজে অতিদ্রুত হাসপাতাল থানায় যোগাযোগ করা।

১৮| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই

ভারতরে লুটপাটের বিরুদ্ধে কিছু বললে ভাদাদের জ্বলে এ কথায় আপত্তি করার কিছু আছে কি?
আর মেজর জলিলের রেফারেন্স ইতিহাসে প্রতিষ্ঠিত।

এখন উনি কথা নাই বার্ত নাই বলে বসলেন আমি পাকিস্তান পন্থী!

এটাকি ব্যাক্তি আক্রমন নয়?

উনার সাথে মতভিন্নতা আছে বলেই পারত আমি এড়িয়ে চলি। সবার সব মতে সবােই একমত হবে বা হতেই হবেএমন কথা নেই। তাই আমি কর্তুপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছি। আর উনাকে অনুরোধ করেছি বক্তব্য প্রত্যাহারের।

উনাের আঘাত করার আগে ভাবা উচিত তা সীমা লঙ্ঘন করছে কিনা?
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মানে যা খূশি তাই বলা নয়।
আর আঘাত করলে প্রতিঘাত আসতেই পারে। আমি শুধু উনার ষ্টাইলেই উনার দৃষ্টি আকর্ষন করেছি।
কিন্তু চূড়ান্ত ফায়সালার জন্য কর্তৃপক্ষে কাছে আরজি জানিয়েছি।

উনারা সিনিয়র। সম্মানের পাত্র। উনাদের আচরণ দেখে নতুনেরা শিখবে। সেদিকেও একটু নজর দিয়েন।
মাথায় বাড়ি দিলো দোষ নাইক্যা! বিচার দিয়াই অপরাধী!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

১৯| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২২

অন্তরন্তর বলেছেন: @বিদ্রোহী ভৃগু ভাই, একটি পোষ্টের পক্ষে বা বিপক্ষে কমেন্ট থাকবে। যিনি পোস্ট দিয়েছেন তার দায়িত্ব উত্তর দেয়া। বিপক্ষে যারা লিখছেন তাদের আপনি ভাদা বলে ট্যাগ করেছেন প্রথম তাই আপনার উত্তর একজন দিয়েছেন। আপনারা সবাই দেখি ব্লগে ভাদা, পাকি এবং আরও কিছু ট্যাগ করেন যা খুব খারাপ। আমি সাধারণত এসব পোষ্টে মন্তব্য করি না। আমাদের সকলের উচিৎ একে অন্যকে সন্মান দেয়া।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.