আমার কিছু ভাবনা অথবা কল্পনা

১৪ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ৮:০৭

আজ আমি প্রথম ব্লগে লিখছি । আর যদি বলি এটা আমার জীবনে প্রথম ব্লগে লেখা তাহলে একেবারেই সত্যি কথাটা বলা হয় । আমি জানিনা কেউ আমার লেখাটা পড়বে কিনা আর যদি পড়েও তাহলে কোন মন্তব্য করবে কিনা আর যদি মন্তব্য করেও তাহলে না জানি কি মন্তব্য করবে। তাই এদিক দিয়ে বলা যায় আমি একটু ভয় নিয়েই লিখছি ।



আমি সত্যি খুব সাধারণ একজন মানুষ আর তাই হয়ত আমি সবসময় চেষ্টা করি আমার লেখাগুলো সহজ সাধারণভাবেই হোক । এটা অনেকটা কোন শিল্পীর আকাঁ ছবির প্রর্দশনীতে গিয়ে সহজেই ছবির বিষয়বস্তু বোঝতে পারার মত । অন্যদের ব্যাপারে জানিনা তবে আমি কিন্তু অনেক ছবিরই কোন অর্থ বুঝি না ।



আমি খুব ভাবতে ভালবাসি নিজেকে নিয়ে , দেশকে নিয়ে, দেশের মানুষকে নিয়ে । কখনও এ দেশের সুন্দর প্রকৃতিকে নিয়ে । আসলে আমার ভাবনাগুলোকে মনে হয় অসীম । এটা ঠিক যে আমার ভাবনার অনেকটা জুড়ে থাকে কল্পনা । সেই কল্পনায় আমি দেখি আমার দেশ পৃথিবীর উন্নত একটা দেশ হয়ে গেছে , এ দেশ দুর্নীতি নামের শব্দটাই উধাও হয়ে গেছে , পথের পাশে আর একটিও ক্ষুধার্ত মুখ নেই , আর একটা মানুষও বিনা চিকিৎসায় বা ডাক্তারের গাফিলতির কারণে মারা যায় না , কালোবাজারী আর অসৎ ব্যবসায়ী যারা মানুষের খাবারে ফরমালিন নামের বিষ মিশিয়ে দেয় তাদের হয়ে গেছে নির্বাসন, আর সেইসব অমানুষ জানোয়ার যারা এদেশের আলোবাতাসে বড় হয়ে একদিন বেঈমানী করেছিল এই দেশের মাটির সাথে, এই দেশের মানুষের সাথে তাদেরও কবর হয়ে গেছে অনেক আগেই ।



আমার খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় বাংলাদেশে এখনও এমন কিছু মানুষ আছে যারা ঠিক আমার মত করেই কল্পনা করতে ভালবাসে আর আমি সেইসব স্বাপ্নিক মানুষকে খুজেঁ বেড়াই ।





যা হোক আজ অদ্ভুত সুন্দর একটা দৃশ্য দেখে মনটা ভাল হয়ে গেল । তার বর্ণা দিয়ে আমি আমার লেখার ইতি টানছি। আমি একটা কাজে বাসার বাইরে গিয়েছিলাম ।রিকশায় করে যাচ্ছি হঠাৎ খেয়াল করলাম এক মা রাস্তার পাশে বসে পাখা বিক্রি করছে আর পাশে ছোট্ট একটা শিশু বসে খেলছে । খুব মায়াবী চেহারা শিশুটির । আমি দেখছি , হঠাৎ একটা গাড়ি জোরে হর্ণ বাজিয়ে গেল ।শিশুটি চমকে কেদেঁ উঠে ।তখন তার মা হাতের পাখাটি নিচে রেখে শিশুটিকে কোলে তুলে নেয় । মা কিছু একটা বলে আর শিশুটি তখন হেসে উঠে । কী অসাধারণ নিষ্পাপ হাসি । এক মা আর তার সন্তানের এমন অনাবিল হাসি দেখে মনের অজান্তে আমিও হেসে উঠি ।





আমি ভাবতে থাকি আমাদের অনেক ক্ষুধা আছে ,আমাদের অনেক দারিদ্র আছে , না পাওয়ার অনেক কষ্টও আছে তবু আমরাই এমন করে হাসতে পারি । আমি বিশ্বাস করতে শুরু করেছি আমরা সবাই একদিন এমন করে ভাবতে শিখে যাব ।আমরা দেশটাকে খুব ভালবাসতে শিখে যাব আর সেদিন সব কল্পনা বাস্তব হয়ে ধরা দেবে । সেদিনটা আসতে হয়ত খুব বেশি দেরি নেই । তাই আর একবার ডাক দিই " জাগো বাহে কোনঠে সবাই "

৩ টি +২/-০