নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি সামিয়া শিরুমনি।খুব সাধারণ একটা মেয়ে। বই পড়তে, লিখতে, ঘুরতে, আড্ডা দিতে খুব ভালো লাগে।

সামিয়া শিরুমনি

আমি চাই লিখার জন্য বাঁচতে আর লিখে বাঁচতে।(ডেল কার্ণেগী)

সামিয়া শিরুমনি › বিস্তারিত পোস্টঃ

জঙ্গল অভিযান

২৭ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৯


পর্ব--০১
অনেকদিনের ইচ্ছে ভ্রমনে যাবো। দুজন মিলে জঙ্গল ভ্রমনে। গাছের ডালে হেমক বানিয়ে থাকব আমরা। গাছের ডাল দিয়ে তাবু বানিয়ে তার সামনে আগুন ধরিয়ে দুজনে পাশাপাশি হাত ধরে বসে রাতের জঙ্গলের মঙ্গলময় পরিবেশকে উপভোগ করবো।
জঙ্গলের উঁচু উঁচু গাছের ফাকে সকালের সোনালি রোদ চিলিক দেবে। আর সেই রোদ তোমার মুখে এসে পড়বে, উফফ , কি সুন্দর লাগবে তোমায় ভাবতে পারছো?? তোমার সেই সৌন্দর্য দেখে আমি না আবার পাগল হয়ে যাই!!
আমিতো এখনই পাগল হয়ে যাচ্ছি,
তারপর ভাবো, তুমি একটা কোটি টাকা দামের ক্লোজ আপ ময় হাসি দিয়ে ঘুম থেকে উঠবে। দুজনে নির্জনে বসে অনেক গল্প করবো। তারপর আমরা বেড়ুব জঙ্গলকে পরিদর্শন করতে। অজানা পথে হাত ধরে হাটবো দুজন। একটা আতঙ্ক নিয়ে এগুব সামনে। কারন আমরা জানিনা সামনে আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে। হয়তো মন ভুলানো কোন সুন্দর পরিবেশ, যেখানে তোমাকে নিয়ে সব কিছু ভুলে কয়েকযুগ কাটিয়ে দেওয়া যায় । নয়তো এমন কিছু যেখান থেকে দুজনের একজন ফিরতে পারবো, তখন কিন্তু আমিই ফিরবো , আবার হয়তো এমন পরিবেশ যেখান থেকে কেউই ফিরে আসতে পারবো না, দুজনেই তলিয়ে যাবো অজানা কোন মৃত্যুপুরীর গভীরে।
প্রকৃতির সাথে শত সংগ্রাম করেও পরাজিত হতে হবে। মেনে নিতে হবে এই মৃত্যু।
তবে বিশ্বাস করো আমি এতো তাড়াতাড়ি মরবো না। আর তোমাকেও মরতে দেবনা। আরে আমি মরে গেলে তোমাকে জ্বালাবে কে?? আর তুমি মরে গেলে আমি জ্বালাবো কাকে?? আমি তোমার জীবন ত্যানা ত্যানা তেজপাতা করার পরেই মরবো।
যাই হোক, আমরা হাটবো, এগুবো, এগুতে থাকবো। খিদা পেলে কোন সাপ টাপ মেরে, বা পোকা টোকা খেয়ে নেবো!!
নাউজুনিল্লাহ, তুমি পারলেও আমি এসব খেতে পারবো না কিন্তু। এটা শুধু বিয়ার ই পারে। আমি এসব খাবে দূরের কথা ভাবলেই বমি আসে।গাছে ফলমুল থাকলে গাছ চড়ে ফল পেরে আনবো বা পানিতে মাছ থাকলে মাছ মেরে আগুন দিয়ে ঝলসে দুজন মিলে খেয়ে নেবো, কি বলো?।
জানি তুমি খেতে পারবে না। তুমি এসব পছন্দ করো না জানি, লবন হবেনা, ঝাল থাকবে না কিন্তু বিশ্বাস করো জানু, এটার কিন্তু আলাদা মজা আছে। একবার টেস্ট করলেই বুঝতে পারবে। তাছাড়া একটু না মানিয়ে নিলে কি করে হবে বলো??
তারপর আমরা আবার চলা শুরু করবো। ঘুরে ঘুরে দেখবো সব। বিপদ আসলে দুজন মিলে তার সামনা করব। সমস্যা হলে দুজন মিলেই সমাধান করবো। একজন আরেকজনের জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়াবো। সবসময় সাথে সাথে থাকবো। কখনো যদি কোন জন্তু-জানোয়ার আক্রমন করে তবে আমি তোমাকে পেছনে রেখে তার সাথে মোকাবেলা করবো। প্রয়োজনে তুমি আমায় নির্দেশনা দেবে আর আমি সেই মতে কাজ করবো।
রাতে চাঁদের আলোময় পরিবেশ দুজনে মিলে উপভোগ করবো। চাঁদের জ্যোৎস্না গায়ে মাখতে মাথতে রচনা করবো শত উপন্যাস, লিখে ফেলবো কবিতা তোমায় আর আমায় নিয়ে।
যখন খুব শীত লাগবে তোমার তখন দুজনে পরস্পরকে জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়বো।
আর তখন যদি কোন নিশাচর আমাদের উপর আক্রমন করে তখন নিশাচরদের আক্রমন থেকে বাঁচার জন্য প্রাণপন চেষ্টা চালাবো। ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবো তবুও আর একবার বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো।হয়তো শেষ পর্যন্ত বেঁচে যাবো। নইলে নিশাচর শীকারীর শিকারে পরিণত হব। তবে আমার সামনে তোমার ক্ষতবিক্ষত শরীর আমি সহ্য করতে পারবো না।
যখন দেখব আর পেরে উঠছি না, পরাজয় নিশ্চিত তখন তোমাকে একটু সেইফ রাখার ব্যবস্থা করে আমি পরাজয় মেনে নেব। কারণ, আমি যদি জানতে পারি আমি আর ২৪ ঘন্টা বাঁচবো, তখন আমি আমার জীবনের শেষ ২৩ ঘন্টা তোমার সাথে কাটাবো। আর বাকি ১ঘন্টায় তোমার জন্য একটা সুরক্ষিত জীবনের ব্যবস্থা করে তারপর চলে যাবো"
-- আরেহ আরে গেল কই??
ওপস দুঃখিত, পরিচয়ই করাইনি তো!!
আসলে মনে ছিলো না। থাকবে কি করে ও যখন আমার সাথে থাকে তখন আমি সব ভুলে যাই। আসলে ও মানুষটাই এমন। যার কাছে থাকলে যে কেউ সব ভুলে যাবে। যাই হোক, ও হচ্ছে অধরা। আর আমি নিঝুম। আমরা দুই বান্ধবী।আমরা দুজনে একই ভার্সিটিতে একই বিষয় নিয়ে অনার্স করছি। অধু শুধু আমার বান্ধবী নয়। ও আমার ভাল বন্ধু, প্রেমিক, প্রেমিকা, জানের বন্ধু সবই বলা যায়।সবসময় কাছাকাছি থাকি আমরা। এমনিতে তুই করেই বলি পরস্পরকে।
তবে যখন খুব ঝগড়ার মুডে থাকি তখন তুমি করে বলি। আর যখন তুমি করে বলি তখন অধু খুব রেগে যায়।আর সত্য বলতে ও যখন রেগে যায় তখনই আমার ওকে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।
হুমায়ুন আহমেদ একটা কথা বলছিলেন যে, "রূপবতীদের সব অভদ্রতা ক্ষমা করা যায়,রূপবতিরা অভদ্র হবে এটাই স্বাভাবিক, এরা ভদ্র হলে অস্বস্তি লাগে।"
তেমনি অধুর বেলায়ও, তবে একটু ব্যতিক্রম। কারণ অধু অভদ্র না, ও খুব রাগি। আর যখন ও রাগে তখনই ভালো লাগে, ও একশোবার রাগ করলে তা মানিয়ে নেয়া যায়। ও যখন রাগে না তখন অস্বাভাবিক আর অস্বস্তি লাগে।মনে হয় কিছু ঠিক নেই, রাগলে মনে হয়, এখন “সব ঠিক আছে” “All is well”।
তাই ওকে রাগানোর জন্যই এতো লম্বা একখানা কল্পনাময় গল্প বললাম। জঙ্গল ভ্রমনের গল্প। তবে সত্যি বলতে এটা শুধু গল্প নয় আমার ইচ্ছেও এটা। আমি চাই যেতে জঙ্গল ভ্রমণে উইথ আমার জানু অধু।
প্রত্যেকবারের মতই ও আজও রাগছে তবে এটাকে শুধু গল্প মনে করেই রাগছে।কিন্তু তারচেয়েও বড় কথা হচ্ছে অন্যবার যখন এমন কোন গল্প বলি তখন গল্পের সিচুয়েশন বুঝে ওর Expression পরিবর্তন হয়। তবে শেষে হেপী এন্ডিংই হয়। কিন্তু এবারে সব ঠিক থাকলেও গল্পের মধ্যেই গল্প ছেড়ে নায়িকার প্রস্থান!!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:২৭

সনেট কবি বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৫৯

সামিয়া শিরুমনি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.