![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।
মেয়েটি চলল প্রবাসের পথে - আগমনী বার্তা (সামু পাগলার নতুন সিরিজ )
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আহা! লম্বা একটা জার্নি করে, রাজ্যের যত ঘাম ময়লা শরীরে শাওয়ারের নিচে দাড়ানোর পরে যখন ঠান্ডা পানির ফোঁটা মাথায় পড়ে - মনে হয় জান্নাত এটাই! সব ক্লান্তি যেন এক নিমিষে পানির সাথে ধুয়ে মুছে যাচ্ছে। হাজারটা চিন্তা ভাবনা শাওয়ারের সময়েই মাথায় আসে। মাথায় শ্যাম্পু ঘষতে ঘষতে ড্রয়িং রুমে কি হচ্ছে সেটা মনে মনে ভাবছি।
বাব্বাহ বাড়িতে এসে যা দেখলাম! রঙিন ফুল যুক্ত সাদা চাদর বিছানো একটা ছোট খাট ড্রয়িং রুমের দেয়াল ঘেষে দাড়িয়ে আছে। সেখানে আমার দাদী ও ফুপি বসে আছেন। দাদা ও চাচা চাচীরা সোফায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছেন। দাদীর ফোলা ফোলা চোখমুখ দেখে মনে হচ্ছে অনেকক্ষন কেঁদেছেন।
আমরা বাড়িতে ঢোকা মাত্র ফুপি বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলেন, "তোমরা কি করলে বলতো, তোমাদের বিদেশ যাবার খবরে আম্মুর তো কাঁদতে কাঁদতে শরীর খারাপ! আমাদের সবারো মন খারাপ! দেশে থাকতে সমস্যা কি? হুট করে কি এমন হলো যে বিদেশে যেতে হবে!?"
এসব শোনামাত্র বাবা মার চেহারা রক্তশূন্য হয়ে গেল, আর আমি হলাম অবাক। বাবা মা তো বলেছিল দাদী খুশি আামাদের বিদেশে যাবার খবরে তাহলে বাড়িতে এমন শোকের পরিবেশ কেন? মনে হচ্ছে কেউ যেন মারা গিয়েছে! আমাদের বাড়ির পুরোন নিয়ম, বড়দের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় ছোটদের রাখা যাবেনা।
আমি জুতো খুলে ড্রয়িং রুমে ঢুকতে গিয়েছি কি মায়ের চোখ রাঙানি; "যাও আগে গোসল করে এসো, তারপরে দাদীর কাছে বসবে।"
আমি ইশারায় বোঝালাম দাদীর কাছে যাব, মাও ইশারায় বুঝিয়ে দিল জেদ করলে খবর আছে!
আর কি! এখন শাওয়ার নিয়ে চুল মুছতে মুছতে ভাবছি দাদী কি এখনো মুখভার করে আছেন? থাকলে ভালো, প্লিজ দাদী আমাকে যেতে দিও না বিদেশে, সাবানার মতো কান্নার এক্টিং করে আটকাও বাবা মাকে। বাড়ির সবাই না মানলে বাবা মা জীবনেও দেশের বাইরে পা রাখবেনা সে ব্যাপারে আমি শিওর। এতসব বিড়বিড় করতে জলদি করে ভেজা চুলের জট ছাড়াচ্ছি, গিয়ে দেখতে হবে তো এখন বাড়ির আবহাওয়া কেমন? উত্তেজনায় তর সইছেনা।
কোনমতে রেডি হয়ে ড্রয়িং রুমে পা দিয়েই কয়েক ভোল্টের ঝটকা খেলাম! দাদী হাসিমুখে চা খাচ্ছে আর মা হেসে হেসে লুটিয়ে পড়ছে দাদীর গায়ে!
আমার দিকে চোখ যেতে দাদী মিষ্টি হাসি হেসে ডাক দিল "আসো দাদুভাই বলে" আর পাশে বসিয়ে বলল "দাদু আমার বরফ দেশে যাব, বিদেশী মেমদের মতো লাল চুল করব!" হাহাহা।
দাদী হাসে, একটু আগে রেগে থাকা ফুপি সহ বাড়ির সবাই হাসে। সবার মনে যেন ঈদ লেগেছে!
আমি অবাক হয়ে একবার দাদীর দিকে আরেকবার মায়ের দিকে তাকাচ্ছি। তারপরে ড্রয়িং রুমের এককোণে টাঙানো ক্যালেন্ডারের দিকে তাকাচ্ছি। শাওয়ার করতে গিয়ে কি কয়েক মাস নিয়ে নিলাম যে দুনিয়াই পাল্টে গেল! শোকের বাড়ি হুল্লোরে বাড়ি হয়ে গেল? খোলাখুলি কিছু জিজ্ঞেসও করতে পারলাম না বড়দের সামনে।
রাতে মায়ের কাছে জানতে চাইলাম, তখন মা বলল,
"তোর দাদীকে কিছু হিংসুটে প্রতিবেশি আর আত্মীয়রা উল্টোপাল্টা বুঝিয়েছিল। বিদেশে গেলে নাকি তোর বাবা আর আমার গলার স্বরও শুনতে পারবেনা। ওখান থেকে ফোন করতে অনেক টাকা লাগবে। তুই একবার গেলে আর আসতে চাইবি না দাদীর কাছে, তোর চেহারা কখনো দেখতে পারবেনা। আমরা সবাই তাকে ভুলে যাব ইত্যাদি অনেককিছু। সরল মানুষ তো, তাই ঘাবড়ে আমাদেরকে আটকাতে চেয়েছিলেন!"
"মা! তুমি কিভাবে এত তাড়াতাড়ি দাদী আর বাড়ির সবার মন পাল্টালে?"
মা মুচকি হেসে রহস্য করে বলল, "কিছু কারিশমা আছে তোর মায়ের, বলা যাবেনা!"
আমি জোরাজুরি করলাম, "মা বলোনা বলোনা।"
মা বলল, "এখন বললে বুঝবি না, বড় হ তখন বলব।
কোনভাবেই মায়ের কাছ থেকে ব্যাপারটা জানতে পারলাম না। বাবার কাছে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছেও করলনা, কেন যেন মনে হলো এসব বিষয় মায়ের কাছেই জানতে হয়। তখনকার মতো আমার কাছে রহস্যই থেকে গেল।
বিদেশে যাবার পুরো বিষয়টাতে খুশি হবার মতো কিছুই আমার ছিলনা। অন্যবার দাদার বাড়িতে গিয়ে আমার ঠোঁট থেকে হাসি সরত না আর এখন মনমরা হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি। ঢাকায় যাবার কদিন পরে এক ছুটির দুপুরে সবাই ধোঁয়া ওঠা সাদা ভাত দিয়ে লাল টকটকে মুরগীর মাংস খেয়ে আরামে ঘুমাচ্ছে। আর আমি শুয়ে আছি ঘুরতে থাকা সিলিং ফ্যানের দিকে তাকিয়ে। বাইরে তীব্র রোদ এবং তীক্ষ্ণ মেঘের আনাগোনার খেলা চলছে। জানালা দিয়ে একবার মুখে রোদ এসে পড়ছে আবার ভ্যানিশ হয়ে যাচ্ছে - তাতেই বাইরে না তাকিয়েও রোদ/মেঘ এর স্কোরকার্ডটা ভালোমতোই বুঝতে পারছি।
দুপুর শেষ হতে চলেছে, তখন মা আমার কাছে এসে সোজাসুজি বলল, "মন খারাপ করে থাকিস কেন এতো? স্কুল নিয়ে ভয় হচ্ছে?"
সাথে সাথে আমার কি হলো কে জানে! কেঁদে দিলাম আর মনে জমে থাকা কথাগুলো এক নিঃশ্বাসে বলে গেলাম, "মা ওরা সবাই আমাকে নিয়ে হাসবে। আমি তো সিএনএন এর খবরও বুঝিনা - ওরা তো ওভাবেই কথা বলবে। আমি বছর বছর ফেল করব মা, তারপরে আমাকে স্কুল থেকে বের করে দেবে, আমি অশিক্ষিত থেকে যাব। আমাকে কেউ পিওনের চাকরিও দেবে না। লটারি না জেতা পর্যন্ত আমাকে ঝালমুড়ি বেচে যেতে হবে!"
ফুঁপিয়ে কাঁদতে কাঁদতে ঠোঁটস্থ পড়ার মতো একনাগাড়ে কথাগুলো বলতে গিয়ে কখন আমার মাথা মায়ের কোলে গিয়েছে খেয়ালও হয়নি।
মা মাথায় হাত বোলাতে বোলাতে বলল, "গাধী মেয়েটা আমার। তোর চেয়ে বড় বয়সে চৈতি আপুরা গেল না? ও তো তোর মতো ভালো স্টুডেন্টও ছিলনা। কিন্তু কি সুন্দর মানিয়ে নিয়েছে।!"
আমার কান্নার গতি কিছুটা থেমে এসেছে কিন্তু চোখ দিয়ে পানি পড়ে যাচ্ছে। নি:শ্বব্দে কাঁদতে কাঁদতে বললাম - "আপু তো ইংলিশ মিডিয়ামের, ইংলিশ মিডিয়ামের ঘাস চিবানো গাধারাও ইংলিশ পারে, বাংলা মিডিয়ামের দুধ খাওয়া মেধাবীরা গ্র্যামার মুখস্থ পারলেও ইংলিশে কথা বলতে পারেনা।
মা আমার কথা শুনে হেসে ফেলল আর বলল, "তোর বয়স কম, এখন তোর জন্যে নতুন ভাষা শেখা সহজ হবে। ওখানকার সিস্টেমটাই এমন যে সবাই মানিয়ে যায়। তুই গেলে দেখবি দেশের স্কুলের কথা মনেই পড়বেনা। তুই নিজেই জানিস না তোর কত বুদ্ধি! আমি বলছি তো তুই মানিয়ে নিবি আর ভালো রেজাল্টও করবি! মিলিয়ে নিস আমার কথা!"
সেদিন মায়ের কথা শুনে কি ভীষন স্বর্গীয় একটা স্বস্তি যে পেলাম! সেই অনুভূতি কিছু কালো অক্ষরে বর্ণনা করা অসম্ভব। মায়ের কথাগুলো নিছক সাহস জোগানো কথা মনে হয়নি, ওর চোখেমুখে আমার ওপরে বিশ্বাস স্পষ্ট ছিল। যাকে পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি, আমাকে নিয়ে তার বিশ্বাসে নিজের প্রতি আস্থা বেড়ে গেল হুট করেই। সত্যিই - মায়ের কোল আর কথায় যে শক্তি আছে, সেটা এই পৃথিবীর অন্যকিছুতে নেই....
-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
পূর্বের কুইজ: প্রশ্ন ছিল - দাদার বাড়িতে গিয়ে অবাক কেন হলাম? সবচেয়ে কাছাকাছি উত্তর দিয়েছেন সবার প্রিয় ব্লগার আনমোনা এবং আমার মনা আপু। তাকে অভিনন্দন এবং প্রাইজ হিসেবে কিছু ফুল রইল।
আনমোনা আপুর উত্তরটা ছিল - "আমার মনে হয় দাদা-দাদী হঠাৎ মত পাল্টে তোমাদের আসতে দিতে চায়নি। তাদেরও মন খারাপ হয়েছিলো। হয়তো ফোনে তোমাকে সান্তনা দিয়েছে, তুমি ভেবেছিলে সবাই খুব খুশী। পরে দেখলে তাদেরও মন খারাপ।"
ওনার জবাবে যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে সেটা হলো, আমি ইচ্ছে করে যে হিন্টটা ছেড়েছিলাম পোস্টে - উনি সেটাকেই ব্যবহার করে উত্তর দিয়েছেন। শুধু একটা ব্যাপার, প্রথমে ওনারা আসলেই খুশি হয়েছিলেন - সেটা স্বান্তনা ছিলনা। পরে অন্যদের নানা কথায় তারা ভীত ও দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
এ পর্বের কুইজ - বাড়ির সবাইকে মা এত কম সময়ে মানালো কি করে?
সঠিক উত্তর এবং উত্তরদাতার নাম পরের পোস্টে যোগ করে দেওয়া হবে।
ছবিসূত্র: অন্তর্জাল!
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই শায়মা আপু!
পোস্তে পাতে থাতার তন্যে তাংকু। তুইজে পাস না তেল পরে বলব।
২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪১
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
মেয়েটি চলল প্রবাসের পথে!! চলুক সমস্যা নাই
তবে ফিরে আসুক মাটির টানে বারে বারে। ভুলে
যেন না যায় প্রিয় স্বদেশ !!
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একটু অন্যরকম হয় আপনার মন্তব্যগুলো। বেশ মিষ্টি করে মন্তব্য করেন।
সেকি ভোলা যায়? চাইলেও ভোলা যায়না। দেশের প্রতি আকর্ষনটা অনেক বেশি স্ট্রং।
সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন।
৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪২
শায়মা বলেছেন: হা হা হা পাতে হাতে মাতে কি বলো পিচকু???
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আল্লাহ! তায়মা আপু তেমন তরে তথা তলে! তামার মতো তরে! কি তজা কি তজা!
৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৯
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: মেয়েটি সেই দিন প্রবাসে গিয়েছিল বলেই আজ এতো ভালো একজন লেখক হতে পেরেছে।
তা নাহলে দেশে রন্ধন শিল্পের বাহারে প্রতিযোগিতা দিয়ে একজন খ্যাতিমান ব্লগার হতো।
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫২
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মেয়েটি সেই দিন প্রবাসে গিয়েছিল বলেই আজ এতো ভালো একজন লেখক হতে পেরেছে।
আপনার কথায় কতটা অনুপ্রেরণা পেলাম সেটা বলে বোঝাতে পারবনা ভাই!
দোয়া করবেন আমার জন্যে। ভালোমানুষদের দোয়া কাজে লাগে।
৫| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩২
আকন বিডি বলেছেন: ১ম হওয়া মিছ। আমার চা মিস।
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: চা মিস কিন্তু কফি ঠিকই পাবেন।
৬| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৩৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: আসল কেউ শখ করে যায় না । মায়ের কথা সঠিক ছিল। শিক্ষার ক্ষেত্রে বয়স একটা বিষয়
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: খাঁটি কথা বলেছেন ভাই। বেড়াতে গেলে মানুষ শখ করে যেতে পারে কিন্তু একেবারে দেশ ছাড়াটা মানুষ শখ করে করেনা। কোন একটা কারণ/উদ্দেশ্য থাকে।
মায়েরা সবসময় ঠিকই হয়, আমার মা সব জানে।
সুন্দর মন্তব্যে ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।
৭| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪১
আকন বিডি বলেছেন: কফির কাপের নিচে পিরিচ কই? কফির উপরে এইটা কি ভাসে?
সেই ১৯৫৩ সালের সাদা পেইলাক রং?
এইভাবে অতিথি আপ্যায়ণ?
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৪৬
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যেই অতিথি লেট করে আসে সে এমন কফিই পায়।
পিরিচের শখ না? এই নিন পিরিচ! যেটা ইচ্ছে সেটা বেছে নিয়ে কফি পিরিচে ঢেলে ঢেলে পান করুন।
৮| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৩
আকন বিডি বলেছেন: আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায়?
পরিবার একান্নবর্তী ছিল কিনা?
কত বছর আগে দেশ ত্যাগ করে ছিলেন?
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১২
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাপরে কত প্রশ্ন! আমার সবকিছু ঢাকাতেই, ৭/৮ বছর হবে । বাবার চাকরির জন্যে আমরা অন্য শহরে থাকতাম।
একদিন আপনার ব্লগবাড়িতে দাওয়াত খেতে যেতে হবে, তখন আমি কমপ্লেইন করব। হাহাহা।
৯| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৯
আকন বিডি বলেছেন: নো প্রব। তবে বেশ হতাশ হবেন।আমাকে এর জন্য দোষী করতে পারবেন না। আগেই বলে রাখলাম।
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ! থ্যাংকস ফর ওয়েলকামিং মি টু ইওর হোম! আপ্যায়নে হতাশ হব কিনা জানিনা, তবে আপনাকে জ্বালিয়ে আসব সেটা শিওর। হাহা।
১০| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:২৬
আকন বিডি বলেছেন: মেয়েটি চলল প্রবাসের পথে - বিদেশ গমনে শ্বশুড়বাড়ির পারমিশন! এই শ্বশুর বাড়ি কি আপনার শ্বশুর বাড়ি? আবার লিখেছেন স্কুলে পরেন। বাল্য বিবাহ হয়েছিল কি?
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৩৭
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ ধুর আমার শ্বশুড়বাড়ি কিভাবে হয়? লেখাটি পড়েন নি - আমার মায়ের শ্বশুড়বাড়ি মানে আমার দাদার বাড়ি। সবকিছু ডিটেইলে লেখা আছে পোস্টে। টাইটেলে দাদার বাড়ির পারমিশন ঠিক হতোনা কেননা পারমিশনটা আমি নেইনি। এটা মা আর তার শ্বশুড়বাড়ির ইকুয়েশন ছিল - তাই সেভাবেই পোস্টটি সাজানো। এই পর্বে আমার মা ই মুখ্য চরিত্র। ওয়েল, আমার জীবনের প্রতিটি পর্বে আমার মাই প্রধান চরিত্র।
১১| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৩
আকন বিডি বলেছেন: ওকে ওকে বুঝতে পারছি।
"তবে আপনাকে জ্বালিয়ে আসব সেটা শিওর।"
জ্বালো আগুন আরো জ্বালো, ঢালো আরো ব্যথা ঢালো
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৫২
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: গানটা অনেকদিন পরে শুনলাম। সোনালী যুগের সোনালী গানগুলো কখনোই পুরোন হবেনা। এখনো শুনতে ভালো লাগে। আপনি কি পুরোন গানই বেশি শোনেন?
১২| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:০৫
আকন বিডি বলেছেন: মাঝে মাঝে।
আপনি যখন বললেন "তবে আপনাকে জ্বালিয়ে আসব সেটা শিওর।" তখন চাট করে দুইটা গান মনে পরে, উপরেরটা আর নিচের টা
জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওহ আচ্ছা এবারে বুঝলাম! হ্যাঁ এমনটা অনেকসময় হয় - একটা শব্দ শুনে হুট করে বিখ্যাত গানের লাইন মনের মধ্যে বেজে ওঠে। সিচুয়েশন আলাদা হলেও কমন শব্দটা ট্রিগার করে।
নাহ, একদিন আপনার চা কফির খুঁত ধরতে যেতেই হচ্ছে বেড়াতে।
১৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১১
লরুজন বলেছেন: আনফেরে সঠিক উত্তর দিয়া হেরা ফুরস্কার ফাইছে?
তে আফনে বিদেশ থাইক্কা কি লাভ মনডারে বড় করতাল্লাইন না
এই দেশ আর মানুষ বিদেশ যানি না এই দেশ আফনে একলা বিদেশ গেছুইন?
আফনে বিদেশ কিতা করছুইন
আফনের লেহা দেইক্কা মনে অনা আফনে কুস্তা করতা্রছুইন
বেহুদা বিদেশ ফইরা আছুইন বেকার
ফুরাডা লেহা দেইক্কা মনে অইতাছে ১৫ বছরের বাইচ্চা ফুলাফানের লেহা
ছলর বলর ছলর বলর কতাবারতা
জীবনে একটা বালা লেহা লেকছুইন?
যিতা লেহুইন বকবক বকবক ছলর বলর ছলর বলর
ইতা ডাব্বা লেহা
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পুরোপুরি বুঝতে পারিনি। তবে এটুকু বুঝেছি আমার লেখা আপনার ভালো লাগেনি। সমালোচনার জন্যে ধন্যবাদ, আশা করি ভবিষ্যতে ভালো লিখতে পারব।
শুভেচ্ছা।
১৪| ১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:১৩
লরুজন বলেছেন: আকন বিডিরে বিদেশ নিতারবাইন?
হেতে কমেন্ট কইরা ডাব্বাই লাইতাছে
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:৩৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বিদেশে যাবার জন্যে কারো ব্লগে গিয়ে মন্তব্য করতে হয়না। বিদেশে যাবার প্রসিডিউরের সাথে ব্লগিং এর কোন সম্পর্ক নেই।
কথায় কথা উঠে গেলে কিছু মন্তব্যের আদান প্রদান হয় - ব্যাস এই। মন্তব্য প্রতিমন্তব্যের অপশন ব্লগকে প্রাণবন্ত রাখতে করা হয়েছে।
শুভেচ্ছা আবারো।
১৫| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৭
রাজীব নুর বলেছেন: কুইজ পারবো না। এসব আমি পারি না।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৭:২৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আরেহ চেষ্টা করেই দেখুন না। পারেন না মানে এটা তো না যে কখনোই পারবেন না। আর নিজে না পারলে সুরভি ভাবীকে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি জানলেও জানতে পারেন।
১৬| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৪৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মা হয়তো বিষয়টা ভালভাবে জানতে ও বুঝতে পেরেছেন তাই সহজেই সবাইকে বুঝিয়ে রাজি করে ফেলেছেন।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫১
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ ভাই।
আরেকটু ডিটেইলে যদি উত্তরটা দিতেন ভালো হতো। মা কোন বিষয়টা বুঝতে পেরেছে? তারপরে সবাইকে কি বুঝিয়েছেন?
১৭| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৫৭
বিপ্লব06 বলেছেন: গ্যালারিতে বসলাম। তাত্তাড়ি করে বাকি পর্বগুলা পোস্ট করেন।
পোস্ট ভালো লাগছে!
কুইজের ব্যাপারটা ইন্টারেস্টিং!
ভালো থাকবেন!!
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৯
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: গ্যালরিতে যখন বসেই পরেছেন, পপকর্ন নিন। খেতে খেতে সিরিজটি এনজয় করুন।
সামুপাগলার ব্লগবাড়ি - ইন্টারেস্টিং না হয়ে যাবে কোথায়? লল।
আশা করি সামনের পর্বগুলোতেও পাশে পাব।
আপনিও ভালো এবং সুস্থ থাকুন।
১৮| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার বাবা মা বলেছিল যে দাদি খুশি আপনাদের বিদেশ যাবার খবরে। কিন্তু দাদির বাড়িতে এসে দেখেন শোকের পরিবেশ। তথ্যের এই বিভ্রাটের কারনেই দাদা বাড়িতে গিয়ে অবাক হয়েছেন। দাদা দাদি, নানা নানী, খালা, মামা, চাচা, ফুফু নিয়ে যে সুন্দর একটা বন্ধন এদেশে ছিল সেটা নিশ্চয়ই মিস করছেন বিদেশে। বাংলাদেশের মানুষের তো তেমন কিছু গর্ব করার নাই তবে এই বৃহৎ পরিবারের বন্ধনটা নিয়ে মনে হয় আমরা গর্ব করতে পারি। বিদেশ যেতে হলে দাদির অনুমতি লাগবে এ কথা পশ্চিমে কেউ শুনলে বিস্মিত হবে মনে হয়। আপনার মা আর দাদির ( বউ বনাম শাশুড়ি) মধ্যে যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে এটা বোঝা যাচ্ছে। এটা আমাদের দেশে মনে হয় বিরল। বিদেশ সম্পর্কে আপনার একটা ভীতি কাজ করছিল বোঝা যাচ্ছে আপনার লেখায়। অন্য কেউ হলে খুশিতে আগে নাচত।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: অবশ্যই সবাইকে অনেক মিস করি, বিশেষত উৎসবের দিনগুলোতে আত্মীয় স্বজনদের কথা ভেবে ভীষন কষ্ট লাগে। কোন জীবনই পারফেক্ট না। বাংলাদেশে যারা থাকেন তাদের একধরণের সমস্যা, যারা প্রবাসে থাকেন তাদের আরেক রকম শূন্যতা।
আপনাকে মজার তথ্য দেই, পশ্চিমি দেশগুলোতেও পারিবারিক বন্ধন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যেমন ভাবি, ওরা ১৮ বছর হলেই বাচ্চাকে বের করে দেয় আর বুড়ো বাবা মাকে সবসময় বৃদ্ধাশ্রমে ফেলে দিয়ে আসে - সেটা সবক্ষেত্রে প্রযোজ্য না।
যেমন পশ্চিমিরা ভাবে যে এশিয়ান/আফ্রিকান দেশগুলোতে সবাই অনেক গরীব, না খেয়ে মারা যাচ্ছে। এক কানাডিয়ান টিচার আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন আমাদের দেশে মিডলক্লাস/বড়লোক আছে কিনা। ওরা আমাদের দারিদ্রতাকে কয়েক গুণ বাড়িয়ে ভাবে কেননা মিডিয়া সবসময় দূর্যোগের সময়ে বাংলাদেশের ছবি দেখায় এবং সেসব এলাকায় সবাই অনেক গরীব।
তেমনি করে পশ্চিমিদের পারিবারিক মূল্যবোধকে আমরা অনেক বেশি নিচে নামিয়ে দেখি - এটা ভাবিনা যে মায়ের মন, সন্তানের ভালোবাসা সব তো ইউনিভার্সাল। ওদের সন্তান প্রেমের দুটো উদাহরণ দেই;
আমার এক কানাডিয়ান বান্ধবীর ভাই শরীর মুভ করতে পারেনা ছোট থেকে - তার বয়স এখন ৩৪। সেই ছেলেটির বাবা এখনো তাকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে দৌড়ে বেড়ায়, ৩৪ টা বছর সেবা করে গিয়েছেন, সামনেও করবেন।
আমার এক টিচারের অন্য স্টুডেন্ট মেডিক্যাল পড়তে চায় যার খরচ মারাত্মক। তাই ছেলেটির বাবা মা বাড়ি কেনার জন্যে জমিয়ে রাখা টাকা ওর হাতে তুলে দিয়েছেন। ছেলেটি ডাক্তার হয়ে বাবা মাকে আবারো টাকাটা ফেরত দিতে চায়।
সন্তান প্রেমের উদাহরণ দেই। আমাদের দেশে ডিভোর্সী/বিধবা মা যদি আবারো বিয়ে করতে চান, সন্তানেরা বাঁধা দেয়। লোকে কি বলবে লজ্জা পায়। নতুন কাউকে বাবা মানতে চায়না। কিন্তু এখানে সন্তানেরা উল্টো নতুনভাবে জীবনকে দেখতে মোটিভেট করে।
আবার কানাডায় এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে পারিবারিক মূল্যবোধ বলতে কিছুই নেই। আমরা যেমন ভাবি তেমনই। কিন্তু সেটাতো বাংলাদেশের ব্যাপারেও সত্য। কত স্বামী বউ পেটায়, কত শ্বাশুড়ি যৌতুকের দায় বউ পোড়ায়, কত বউ শীতের রাতে শ্বশুড়কে বাড়ি থেকে বের করে দেয়! মোরাল হচ্ছে - খারাপ ভালো সব জায়গায় আছে।
একটা ভীতি না, মারাত্মক রকম ভয় কাজ করছিল। যারা বছরের পর বছর বিদেশে যাবার চেষ্টা করে তারা পারেনা, আর আমার ক্ষেত্রে উল্টোটা হয়েছিল। সেই উল্টো যাত্রার কাহিনীটাই সবাইকে বলছি।
( বউ বনাম শাশুড়ি) মধ্যে যে সুন্দর একটা সম্পর্ক আছে এটা বোঝা যাচ্ছে। এটা আমাদের দেশে মনে হয় বিরল।
আপনার কি মনে হয়, এর কারণ কি? দয়া করে মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু টাইপের উত্তর দেবেন না। তেমন পক্ষপাতের উত্তরে কোথাও পৌঁছাব না আমরা। আপনার কি মনে আসল সমস্যাটা কোথায়? সিস্টেমে কোথায় গন্ডগোল?
১৯| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৪১
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: মা হলো সন্তানের কাছে সবচেয়ে বেশি ভরসার জায়গা। আমি খুবই ভাগ্যবান যে দুইজন মা পেয়েছিলাম। এখন আর একজনও নেই। এই পোস্টে তোমাকে সাহস জোগাতে তোমার মায়ের ইন্টেলেকচুয়াল এফোর্টস পড়তে পড়তে চোখ দুটো ভিজে গেল।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৩
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমারো মনটাও কেমন যেন আবেগময় হয়ে গেল। মা সব ধরণের এফোর্ট দিয়ে সবসময় আমার পাশে থেকেছে। মা না থাকলে আমি কি করতাম, কি হতাম ভেবে পাইনা।
আপনি অনেক সৌভাগ্যবান ভাই - দুজন অসাধারণ মনের মা পেয়েছেন যারা আপনাকে ভীষন ভালো একজন মানুষ হিসেবে গড়ে দিয়ে গিয়েছেন। তারা যেখানেই আছেন অনেক ভালো আছেন, দুনিয়ার কষ্ট তাদেরকে স্পর্শ করতে পারছেনা। আর সেই দুনিয়া থেকে তারা আপনার সুখের সংসার প্রাণভরে দেখছেন....
২০| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:০৬
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরেহ চেষ্টা করেই দেখুন না। পারেন না মানে এটা তো না যে কখনোই পারবেন না। আর নিজে না পারলে সুরভি ভাবীকে জিজ্ঞাসা করুন, তিনি জানলেও জানতে পারেন।
সুরভিকে আমার ব্লগ কর্মকান্ড থেকে দূরে রাখি।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তাই? আপনি যেভাবে ভাবীর ছবি/কথা পোস্টে দেন ভেবেছিলাম তার সাথে ব্লগের সবই শেয়ার করেন। সেজন্যেই বলেছিলাম।
আচ্ছা ঠিক আছে, বুঝলাম।
২১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৫
মিরোরডডল বলেছেন:
লটারি না জেতা পর্যন্ত আমাকে ঝাল মুড়ি বেচে যেতে হবে ......
হা হা হা......পিচ্চু দা বেস্ট ডায়ালগ এভার
সত্যিই মায়ের কোল..............................অন্যকিছুতে নেই ।
শেষ লাইনটার পর আর কিছু বলার থাকেনা ।
খুব সুন্দর লেখা আপু ।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪৪
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: তোমার ভাষায় বেস্ট ডায়ালগটা তখন সম্ভবত বাংলা মুভির প্রভাবে মনে এসেছিল আপু।
মা মা মা! পৃথিবীর একমাত্র নিঃস্বার্থ বন্ধন। সত্যি, আমরা যতই বলি না কেন মা কে নিয়ে - কম হয়, শেষবেলায় মনে হয় কিছুই বলা হয়নি।
তোমার মন্তব্যে অনেক ইনস্পায়ারড হলাম আপু। থ্যাংকস এ লট।
ভালো থেকো।
২২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি পশ্চিমের নিউক্লিয়ার পরিবারের কথা বলি নি। বাবা মা ভাই বোনের বন্ধন সব জায়গাতেই একই রকম। আমি বলেছি extended পরিবারের কথা যেখানে দাদা, দাদি, নানা, নানী, চাচা, ফুফু , খালা, মামা এরাও পরিবারের অংশ হিসাবে গণ্য হয়। পশ্চিমে এগুলির অভাব আছে। ওদেরও extended পরিবার ছিল বহু আগে।
বউ- শাশুড়ির যে সমস্যা আমাদের সমাজে আছে এটার কারণ নিয়ে আমি কখনও গভীরভাবে ভাবিনি। আমার কাছে থেকে তাই এর উত্তর আশা করা ঠিক হবে না। তবে এটা একটা সামাজিক সমস্যা ( ব্যতিক্রম আছে বটে। সেটাই আমি বলতে চেয়েছি আপনার মা আর দাদীর সম্পর্ক বিশ্লেষণ করে)। বউ বা শাশুড়িদের জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন এ ব্যাপারে।
১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৫
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: নানা নানী দাদা দাদীর সাথেও ওদের ভালো সম্পর্ক থাকে। সামার ব্রেকে নানার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া, মজা করা সব আমাদের মতোই। এক ছাদের নিচে থাকা যদিও রেয়ার।
আসল কথাটা আপনিই বলে দিয়েছেন, একসময় ওদেরও যৌথ পরিবার ছিল। এখন নেই। আমরা যেভাবে দেখি যে একক পরিবার পশ্চিমি আর যৌথ পরিবার এদেশীয় - বিষয়টা আসলে তেমন না। বরং ইউনিভার্সালি যৌথ পরিবার ভাঙ্গছে - এটা আধুনিক ভার্সেস পুরোন দিনের একটা ব্যাপার। যেসব দেশে মানুষের অর্থনৈতিক সামর্থ্য আছে আলাদা থাকার তারা থাকছেন, যেখানে নেই থাকছেন না। যেমন আমাদের দেশে গ্রামে, বাপের জমিতে চাষাবাদ করে খেতে হচ্ছে তাই সেখানে যৌথ পরিবার বেশি। শহরে আদি ব্যাবসায়ী পরিবার ছাড়া তেমন কোন ডিপেনডেন্সি নেই, তাই যৌথ পরিবার কম।
যদিও মানুষজন বলে, গ্রামের মেয়েরা অনেক ভালো, সবাইকে মানিয়ে সংসার করে। শহুরে মেয়েদের মতো ঘর ভাঙ্গানি না। কিন্তু গ্রামের মেয়েরাও নিজের একটা সংসার চায়। রোজ সকালে উঠে রাত পর্যন্ত ৭-১০ জন মানুষের মন জুগিয়ে চলতে কার ভালো লাগতে পারে? পেটে শিক্ষা, হাতে টাকা থাকলে মুখ ফুটে শখ আল্লাদের কথা বলা যায়, নাহলে নিয়তি মেনে নিতে হয়। এর সাথে ভালো মেয়ে খারাপ মেয়ের কোন সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানবীদের কাছ থেকে দেবীত্ব আশা করা হয় সবসময়।
আমার কাছে আসলে এ বিষয়ে একটা উত্তর আছে অলরেডি, আমি শুধু আপনার সাথে আমারটা মেলে কিনা দেখতে চেয়েছিলাম। আর বউ শ্বাশুড়িদের কাছে জানতে চেয়ে হয়ত লাভ নেই - একে অন্যকে দোষী করবে। সিস্টেমের সমস্যার কথা বলবেনা। হাহাহা।
পুনরায় ফেরার জন্যে কৃতজ্ঞতা। ভালো লাগল আপনার কথাগুলো।
২৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:০৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেয়েদের শ্বশুর শাশুড়ি থেকে আলাদা থাকার ব্যাপারে আপনি আমার এই পোস্টটা পড়তে পারেন স্ত্রী কি শ্বশুর শাশুড়ি থেকে আলাদা থাকতে চাইতে পারে- ইসলাম কি বলে?
১৬ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:৪৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি আপনার এই পোস্টটি অথবা একই বিষয়ে অন্য কোন ব্লগারের পোস্ট আগে পড়েছিলাম। আমি বিষয়টা আগেই জানতাম। আজ গিয়ে মন্তব্য করে এলাম। অনেক ধন্যবাদ আমাদের আলোচনার সাথে মিলিয়ে এই পোস্টটি শেয়ার করে যাবার জন্যে।
২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার রেডি উত্তরটা আমার জানতে ইচ্ছে করছে।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১২
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: যদি প্রতি দশটায় দুটো বউ শ্বাশুড়ির সম্পর্ক খারাপ হতো তাহলে ভাবতাম মানুষগুলো খারাপ, কিন্তু তার উল্টোটা দেখা যায়। তাই ধরে নিচ্ছি সিস্টেমটাই খারাপ। আমাদের দেশে ছেলেরা চায়, বউ যেন তার বাবা মায়ের সেবা করে। এই ভাবনায় সমাজ খুশি হয় এবং শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল মেয়ে মেনেও নেয়। আপাতদৃষ্টিতে খুবই ইন্নোসেন্ট একটা চাওয়া। কিন্তু এই চাওয়ায় বিরাট একটা ফাঁক থেকে যায়।
১) প্রথমত চাওয়াটা প্র্যাক্টিক্যাল না। একটা মেয়ে ছোটবেলা থেকে যে আদর বাবা মায়ের কাছে পায় সেটা সে শ্বশুড় শ্বাশুড়ির কাছে পায়না (যদি শ্বশুড় শ্বাশুড়ি খুব ভালো হয় তবুও না)। নিজের সন্তান তো নিজের অংশ। একজন মা নিজের সন্তানের ভালোবাসা অন্যকাউকে দিতে পারেনা। এই চাওয়াটাই অন্যায় যে শ্বাশুড়ি বউকে মেয়ে বানিয়ে নেবেন। শ্বাশুড়ি মেয়ে বানাতে না পারলে মেয়েটি মা বানাবে কি করে?
২) প্রতিটা সম্পর্কের একটা রেখা থাকে। সেই রেখার ভেতরে থেকে অসম্মান করা যায়না, সেই রেখার বাইরে গিয়ে ন্যাকামিও করা উচিৎ না। শ্বশুড় শ্বাশুড়ি বাবা মা হয়ে গেলে স্বামী কি হবে? ভাই?
৩) ধর্মে সবাইকে নিজ নিজ মা এবং তারপরে বাবা কে সবচেয়ে ভালোবাসতে বলা হয়েছে। একজন নারী যদি নিজের বাবা মায়ের সেবা করতে ব্যর্থ হয় স্বামীর পরিবারকে দেখতে গিয়ে, তার পাপ হবার কথা।
৪) সবচেয়ে বড় প্রবলেম একটা মেয়েকে শ্বশুড়বাড়ির খেয়াল রাখতে বললেও ছেলেটিকে বলা হয়না। একটি নাটকে সুন্দর ডায়ালগ ছিল - বউকে শ্বাশুড়ির ঔষুধটা জানতে হয়, জামাইকে তার শ্বাশুড়ির অসুখের নামও জানতে হয়না। এজন্যে, যখন একটা মেয়ে তার স্বামীকে বলে, "তোমার বাবা মায়ের খেয়াল আমি রাখতে পারবনা, তুমি কখনো আমার বাবা মায়ের খোঁজ নাও?" ছেলেটি চুপসে যায় তর্কে হেরে এবং আলাদা হতে বাধ্য হয়। সেই আলাদা হওয়াটা মা ছেলের সম্পর্ককেও খারাপ করে দেয়।
৫) কিছু কিছু ছেলে বলে থাকেন ছেলেরা বাইরে পরিশ্রম করে টাকা কামায় তাই মেয়েদের বাড়ির দায়িত্ব নেওয়া উচিৎ। আচ্ছা ধরে নিলাম মেয়েটি গৃহিনী সে আপনার সংসারের দায়িত্ব অবশ্যই নেবে। কিন্তু সে আপনার পুরো পরিবারের খেয়াল রাখার দায়িত্ব কেন নেবে? আপনি শুধু তার ভরণপোষন দেন, তার পুরো পরিবারের ভরনপোষণ দেন?
বউমা গিয়ে সারাজীবন শ্বশুড় শ্বাশুড়ির সেবা করবে এটা শুনতে সুইট লাগলেও, অপরপ্রান্তে মেয়েটির পিতা মাতা তার সেবা পায়না। এতে করে সমাজে এখনো "পোলা হইলে সেবা করব, মাইয়া হইলে অন্যের বাড়িত যাইব যৌতুক লইয়া, যে কইরাই হোক পোলা পয়দা কর, নাইলে বাপের বাড়িত পাঠাইয়া দিমু" কথাটি আমাদের দেশের প্রেগন্যান্ট মহিলাদের শুনতে হয়। সো কলড সুইট কালচারটি সমাজে নারী পুরুষের মারাত্মক রকমের বৈষম্যের সৃষ্টি করে দেয়।
একজন মেয়ে তার শ্বশুড় শ্বাশুড়িকে অবশ্যই ভালোবাসবে ও সম্মান করবে। কিন্তু তিনটি শর্তে;
১) তার স্বামীও নিজের শ্বশুড় শ্বাশুড়ির সেবা করবে।
২) শ্বশুড়বাড়ির মানুষজন তার সাথে ভালো ব্যবহার করবে। জামাই আদরের মতো বউ আদর হবে।
৩) মেয়েটি নিজের বাবা মায়ের সেবা করতে পারবে, এতে শ্বশুড়বাড়ির মানুষ বাঁধা দেবে না।
এতে করে মেয়েটির মনে অভিমান জমবে না, এবং ছেলেটিও তর্কে হেরে বাবা মায়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হবেনা।
আমি যা যা বললাম সেগুলো আশেপাশের মানুষের অভিজ্ঞতা দেখে। আসল কারণ অন্যকিছুও হতে পারে। জাস্ট শেয়ারড মাই ওপিনিওন!
২৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৫৯
আনমোনা বলেছেন: কুইজ জেতায় খুশীর সাথে সাথে একটু চিন্তায় পরে গেলাম। পরের কুইজের উত্তর যে পারিনা।
তোমার মা নিশ্চয় তাদের বুঝাতে পেরেছিলো তাদের আশংকা অমূলক। কিন্তু কিভাবে? হয়তো তাদের বুঝিয়া বলতে পেরেছিলো যে শুধু তারা নয়, তোমরাও তাদের মিস করবে। বলেছিলো তারা যদি আপত্তি করে, তবে তাদের পাগল মেয়েটা একেবারেই ভেঙ্গে পড়বে। সুতরাং কানাডায় গেলে যোগাযোগ ঠিকই থাকবে।
এছাড়াও পড়াশুনা, নিরাপত্তা, এসব নিশ্চয়ই ছিলো।
বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা বলেই না এখনও বাংলায় বকর বকর করতে পারছো। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে এখন কি হতো? ভাগ্যিশ!
কানাডায় ঝালমুড়ি বেচা কিন্তু মুখের কথা নয়। শেষে কানাডিয়ানদের খাদ্যাভাসেও বদল এসে যাবে।
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দ্যা উইনার ইজ হেয়ার! এই পোস্টে তোমার জন্যে অপেক্ষা করছিলাম আপু! শেষমেষ আসলে! অভিনন্দন কুইজ জেতায়।
তোমার উত্তরটা ঠিক কিনা পরের পর্বে জানবে।
বাংলা মাধ্যমে পড়াশুনা বলেই না এখনও বাংলায় বকর বকর করতে পারছো। ইংলিশ মিডিয়ামে পড়লে এখন কি হতো? ভাগ্যিশ!
একদম ঠিক বলেছ আপু! উরে বাবারে, আমি ইংলিশ মিডিয়ামের নেকুদের মতো র কে ড় বলতাম আর ট কে ঠ? হাহাহা।
কানাডায় ঝালমুড়ি বেচা কিন্তু মুখের কথা নয়। শেষে কানাডিয়ানদের খাদ্যাভাসেও বদল এসে যাবে।
আরেহ তাইতো! যখন এমনটা ভেবেছিলাম, কল্পনায় দেখেছিলাম বাংলাদেশের রাস্তায় ঝালমুড়ি বেচছি, কিন্তু লজিক্যালি কানাডায় ফেল করার পরে কানাডাতেই ঝালমুড়ি বেচতে হতো। উরে বাবা সে তো আরেক ঝামেলা! এখানে কোনকিছু পারমিশন/পারমিটস ছাড়া হয়না। ঝালমুড়ি বেচার জন্যে হেলথ এন্ড সেফটি রিলেটেড ট্রেইনিংও নিতে হত। আমি আর ভাবতে পারছিনা। ভাগ্যিস ফেল করিনি।
চমৎকার সুন্দর ও মিষ্টি একটা মন্তব্যের জন্যে তোমাকে থ্যাংকস।
ভালো থাকবে সবসময়।
২৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪২
আনমোনা বলেছেন: ২৪ এর প্রতিমন্তব্য।
তুমি যা বলেছ একেবারেই আমার মনের কথা। আমি গুছিয়ে লিখতে পারিন. যা লিখতে চাই, তাই তুমি খুব সুন্দর করে বলেছ।
২০ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২০
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: থ্যাংকস আপু! তোমার কথায় অনেক সাহস পেলাম। প্রথমে ভাবছিলাম বেশি পাকামি হয়ে যাচ্ছে নাকি, ভুলভাল বকছি নাকি? হাহাহা।
২৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:৫৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: লেট লতিফের লেট আগমন
শুভেচ্ছা স্বাগতম
কি আর করা নিজেই নিজেরে স্বাগত জানাইলাম
এত্ত পরে কেমনে চোখে পড়লো!
না চশমিশের দোষ সব! থুরি, আমার চশমার দোষ
লেখার কথা আর কি বলব? মন্তব্য পড়তে পড়তে সব গুলিয়ে গেল!
আবার রিভিউ দিলাম
ছোট্ট মনের খুটিনাটি অনুভব গুলো দারুন পরিপক্কতায় ফুটিয়ে তুলেছো সখি,
শেকড় ছাড়ার যাতনা, আবেগ, কান্না, মায়ের কাছে সমপর্ণ, উজ্জীবিত হওয়া ....
সবই হৃদয় ছোঁয়া!
ঐ বয়সটাতে মেহমান এসে চলে গেলেই কি কষ্ট লাগে, আর এতো পুরা দেশ আপন জন
সব্বা্কে ফেলে চলে যাওয়া! কি যে যাতনা, অথচ প্রকাশও করা যায় না!
গুমোট ব্যাথায় চুপটি করে ঐ ফ্যানের দিকে চেয়ে থাকা! দৃষ্টিতে বিবশতা, চুপটি হয়ে যাওয়া . .
পরের পর্ব যেহেতু এসে গেছে এখন আর নো কুইজ
তবে শায়মাপুর প্রেডিকসনে উনার দারুন প্রজ্ঞারই পরিচায়ক বটে।
যাই পরের পর্বে
" গায়ের পুরোনো বট বৃক্ষতলে
আটপৌড়ে শাড়িটি পড়ে
প্রিয়তার বুকে ভরসার যে সূখ ...
ঐ স্কাই টাওযারের
সাজানো আলো আঁধারে
ঝলমলে পোষাকে কি মেলে? মন উন্মূখ।।
দেশ আর বৈদেশের তুল্যতায় ভাবনারা ঠক ঠক করছিল। তাই ছ'ছত্র।
অনেক অনেক শুভকামনা
জনম জনমের এইই প্রার্থনা।।
২৪ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১০:১৮
সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দেখুন তো কি কান্ড! লেট লতিফ লেটে মন্তব্য করে আর লেট লতিফা লেটে প্রতিমন্তব্য! আপনার কাছ থেকেই জানলাম এই পোস্টে মন্তব্য জমে গিয়েছে, নাহলে যে কবে রিপ্লাই পেতেন কে জানে!
আমি চশমিশ না।
আপনি কেন নিজেকে স্বাগত জানাচ্ছেন? আমিই জানাই, সুস্বাগতম লেট লতিফের স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল স্যার।
পরের পর্ব যেহেতু এসে গেছে এখন আর নো কুইজ তবে শায়মাপুর প্রেডিকসনে উনার দারুন প্রজ্ঞারই পরিচায়ক বটে।
এ পর্বের কুইজ শায়মা আপুই জিতেছেন। আপনার প্রজ্ঞাও কম কিছু নয়।
দেশ আর বৈদেশের তুল্যতায় ভাবনারা ঠক ঠক করছিল। তাই ছ'ছত্র।
ঠক ঠক আমারো করে, তবে আপনার মতো করে ভাবনা ছেঁকে শব্দকে গাঁথতে পারিনা। বারবার সুচ ফুটে আঙ্গুল রক্তাক্ত হয় আর মালাটা মাঝপথে ছিড়ে যায়!
যাই হোক, চমৎকার - দারূণ - অসাধারণ আপনার মন্তব্যের একেকটি লাইন। হাস্যরস, অনুপ্রেরণা, দর্শন কি নেই তাতে? এমেইজিং!
এমন মন্তব্য লেটে হলেও ক্ষতি কি? অনেক ধন্যবাদ!
ভালো থাকুন।
২৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৮
মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: বাহ! এত বছর আগে কি চাদর বিছানো ছিল তাও আপনার মনে আছে! আপনার স্মৃতিশক্তি কি সার্প! একজন পরিচালক তার শুটিং এর সেট কি রকম থাকবে, কি কি ডিটেইলস থাকবে তা নিজে থেকে সেট করে তারপর শুট করেন। আমরা যখন পর্দায় দেখি তখন সবকিছু এত সহজে চোখে পরে যে আলাদা করে সেসব নিয়ে ভাবতে হয় না, অবচেতন মনে এমনিতেই গেঁথে থাকে। তবে একজন লেখক এর জন্য ব্যাপারটা অনেক বেশি কঠিন। কিছু মাত্র শব্দ দিয়ে অনেক ডিটেইলস পাঠকের মনের মধ্যে এঁকে দিতে হয়। যাতে পাঠক পড়ার সময় শব্দ গুলোর মধ্যে দিয়ে সে সময়টা, সেই মুহূর্তটা শুধু পড়া না, পড়ার সাথে সাথে অনুভব ও করতে পারে আর তার নিজের কল্পনায় আঁকতে পারে। আপনি এই দিক থেকে দারুণ সফল। আপনার লেখা পড়ে সেই মুহূর্তটা কল্পনা করা অনেক সহজ।
আমি যখন দেশে আসছিলাম, তখন এমন হাজার হাজার চিন্তা চোখে পানি এনে দিচ্ছিল। যদিও আমার চিন্তা গুলো অন্য রকম ছিল যেহেতু আমি আর অনেক বেশি ছোট ছিলাম তখন। তবে শেষ পর্যন্ত পরিবারকে পাশে পাওয়া আর তাদের দেওয়া নির্ভরতা ছিল বলেই ব্যাপারটার সাথে মানিয়ে নিতে পেরে ছিলাম। আপনিও লাকি যে পরিবার আপনার পাশে আছে এই দূরদেশেও।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৯
শায়মা বলেছেন: নিশ্চয় তোমার পড়াশুনার দোহাই দিয়ে। সেখানে তুমি অনেক ভালো পড়ালেখা করতে পারবে।