নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি বলা যায়! কিছু কথায় নিজেকে ব্যক্ত করা সম্ভব না আমার পক্ষে। তাই একটা সিরিজে কিছু কিছু করে সবই বলছি।

সামু পাগলা০০৭

আমি অতিআবেগী, আগে ব্যাপারটা লুকানোর চেষ্টা করতাম। এখন আর করিনা।

সামু পাগলা০০৭ › বিস্তারিত পোস্টঃ

৩ টি প্রাচীন হত্যা! ধুলো জমে যাওয়া বর্বর/ভয়ংকর/পাশবিক রহস্য! আধুনিক বিজ্ঞানে জট খোলার অনন্য কিছু গল্প!

২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১



চৌধুরী সাহেববব! আইনের থুক্কু বিজ্ঞানের হাত অনেক লম্বা! হাহা, ভীষন সিরিয়াস পোস্ট তাই একটু মজা করেই শুরু করলাম। এই পোস্টটি নানান ক্যাটাগরির - চাইলে রহস্য পোস্ট ভাবতে পারেন, আবার বিজ্ঞান/প্রযুক্তি অথবা ক্রাইম ভিত্তিক পোস্টও ভাবতে পারেন। যাই ভাবুন না কেন, আশা করি পোস্টের গল্পগুলো আপনার মন সেভাবেই ছুঁয়ে যাবে যেভাবে আমার গিয়েছে!

-----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১) একজন মা, একটি জানোয়ার ও আধখাওয়া সিগারেট!



দিনটি ছিল ১৯৮৫ সালের শুরুর দিন মানে জানুয়ারির এক তারিখ। অন্য যেকোন বছরের মতোই বিশ্ব আনন্দে আত্মহারা হয়ে সেলিব্রেট করে, সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছিল নতুন বছরকে। সেদিন রাতে টানিয়া ম্যাকেনলি নামের ২৩ বছরের মিষ্টি চেহারার এক নারী রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন বন্ধুদের সাথে। বাবা মায়ের আদরের মেয়ে এবং নিজেও একটি ১৮ মাস বয়সী শিশুর মমতাময়ী মা ছিল টানিয়া।

নতুন বছরকে সেলিব্রেট করে অন্য অনেকে বাড়ি ফিরলেও, ফিরতে পারেননি টানিয়া। তাকে সকালে রাস্তার ধারে অর্ধনগ্ন ও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। অপরাধী যৌন নিপীড়ন করে তাকে শ্বাস আটকে খুন করে।

ফ্লোরিডার পেনসাকোলা পোলিস ডিপার্টমেন্ট অপরাধীকে ধরতে উঠেপড়ে লাগলেন। টানিয়ার বন্ধু, স্বজন এবং সেদিন রাতে যার যার আশেপাশে সে ছিল সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু কোন কূলকিনারা করতে পারেন না তারা। কেসটি রয়ে যায় আনসলভড কেস ফাইলস এর তাকে।

এর মধ্যে অনেকগুলো বছর কেটে যায়। গাছের পাতাগুলো কখনো গ্রীষ্মের রোদে হেসে ওঠে তো আবার কখনো ভীষন শীতে জমে যায়। ছোট বাচ্চাটি যে মা ছাড়া কিছুই বুঝত না, সে মা ছাড়াই বড় হতে থাকে। মেয়েটির বাবা মার চোখের পানি শুকিয়ে যায় বিচারের আশায় আশায়। একদিকে নিরপরাধ মানুষদের গভীর ব্যাথায় কোনমতে বাঁচার চেষ্টা আর অন্যদিকে খুনী আনন্দে স্বাধীন ভাবে ঘুরে বেড়ায়। এভাবে কেটে যায় ৩৫ টি ভীষন লম্বা বছর!

রহস্যজট খোলার গল্প!

জেনেটিক জিনিওলজি এমন একটি সাবজেক্ট যা জেনেটিক এনালাইসিসকে পারিবারিক ইতিহাসের সাথে মার্জ করে। অর্থ্যাৎ, ব্যক্তির ডিএনএকে পরিবারের কারো সাথে ম্যাচ করে খুঁজে বের করে কোন মিসিং ব্যক্তিকে অথবা অপরাধীকে। এই কেসে এমনকিছুই করেন পুলিশেরা।

স্বাভাবিকভাবেই পুলিশ ক্রাইম লোকেশনের ডিএনএ স্যাম্পেল কালেক্ট করেছিলেন। বহু বছর পরে আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্য ঠিকপথে এগোতে থাকে তদন্ত। জিনিওলজি ডাটাবেজে ডিএনএ খুঁজতে খুঁজতে অপরাধীর কাজিনদেরকে খুঁজে পায় পুলিশ। তার সাহায্যে ধীরে ধীরে একটি ফ্যামিলি ট্রি তৈরি করেন তারা, যার মাধ্যমে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছান।



সেই ব্যক্তি ছিল ৫৭ বছর বয়সী ড্যানিয়েল ওয়েলস। সেই ব্যক্তিই অপরাধী এমন নিশ্চয়তা পুলিশের ছিলনা তাই তারা ওয়েলসকে অনুসরণ করতে থাকেন। যখন ওয়েলস একটি আধখাওয়া সিগারেট ফেলে দেয় চলন্ত গাড়ি থেকে, সাথে সাথে পুলিশ থেমে সেটি কালেক্ট করেন। সেই সিগারেটের ডিএনএ ম্যাচ হয়ে যায় টানিয়ার শরীরে পাওয়া ডিএনএর সাথে। দ্রুতই ড্যানিয়েল ওয়েলস এরেস্টেড হয়। এরেস্ট হবার ২ সপ্তাহের মধ্যে নিজের সেলে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যায় করে ওয়েলস!



অবশেষে একটি ভঙ্গ হৃদয়ের পরিবার ও একটি সন্তান নিতে পারে মুক্তির নি:শ্বাস। দিনরাত পরিশ্রম করতে থাকা পুলিশেরা পায় স্বস্তি! আর টানিয়ার কি হয়? পুলিশ চিফ চার্লস মালেটের ভাষায় বলতে গেলে, "ইউ মে নাও রেস্ট ইন পিস টানিয়া!"

২) সপ্তদশ শতাব্দী থেকে অপেক্ষায় সেই কিশোরটি!



ম্যারিল্যান্ডে একটি পুরোন গল্প হুট করে থেমে গিয়েছিল, কিন্তু পুনরায় সেদিন শুরু হয় যেদিন মাটির নিচের ভান্ডারে - ফায়ারপ্লেসের ছাই, বোতল, পশুপাখির হাড়ের নিচে একটি কংকাল পাওয়া যায়! কংকালের বুকের দিকটায় পড়ে ছিল একটি মিল্ক প্যান যা দিয়েই সেই কবর খোড়া হয়! সেটি দেখে বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন যে কোন এক নৃশংতার সাক্ষী এই কংকালটি! গবেষকরা উঠেপড়ে লাগেন সেই গল্পটিকে পুনরদ্ধার করতে যেটিকে বছরের পর বছর ধরে বুকে চেপে ছিল কংকাল হয়ে যাওয়া মানুষটি!

রহস্যজট খোলার গল্প!

ঐতিহাসিক এই রহস্যের কিনারা করতে ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীরা কংকালটির বোনস পরীক্ষা করতে শুরু করে দেন। তারা বের করেন যে ককেশীয় ১৫-১৬ বছরের কিশোর কংকালটি। ছেলেটির শিড়দাড়া ও দাঁত বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কঠোর পরিশ্রমের ও অসুখের কারণে। সপ্তদশ শতাব্দীর দিকে বাচ্চা বাচ্চা ইউরোপিয়ান নারী ও পুরুষকে চুক্তিভিত্তিক ভাবে দাস বানাত তখনকার বড়লোক ব্যাবসায়ী বণিকেরা। সাধারণত ৪ বছর পর্যন্ত কাজ করতে হতো দাস দাসীদেরকে ঋণ শোধ করতে। কিন্তু অনেকেই তার আগেই মারা যেত অত্যাচার ও অতিরিক্ত কাজের চাপে।



ছেলেটির দেহের চারিপাশে অনেক জিনিস পাওয়া যায় যার একটি ছিল কিছু কয়েনস যা ১৬৬৪ সালের এবং একটি জানালার অংশ যাতে ১৬৬৩ সাল লেখা। জেন কক্স নামক প্রত্নতত্ত্ববিদের মতে ১৬৬৫-১৬৭৫ এর মধ্যে ছেলেটি মারা যায়। সেই সময়েই আইন পাস করে ক্রীতদাসদের অপ্রকাশ্যে দাফন করাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কেননা এমন ঘটনা তখন প্রচুর ঘটত।

কংকালের ডান হাত এমনভাবে ভাঙ্গা ছিল যাতে এটা বোঝা যায় যে মৃত্যুর আগে সে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টায় হাতের ব্যবহার করেছে। মালিক নিজের বাড়িতে ছেলেটিকে কবর দেন হাজারো অত্যাচারের পরে।



হয়ত চুক্তিবদ্ধ দাস হবার পূর্বে এই ছেলেটিরও একটি স্বাভাবিক জীবন ছিল, পরিবার ছিল। হয়ত সে স্বপ্ন দেখেছিল চুক্তি শেষ হবার পরে ফিরে যাবে আপনজদের কাছে। সূর্য, নক্ষত্র ও আঙ্গুলের কড়ের হিসেবে দিন গুণত আর ভাবত আর কিছু দিন! হাজারটা পরিশ্রম, অত্যাচার, মারধোর সহ্য করেও বেঁচে ছিল, অর্ধমৃত শরীরেও নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছে প্রাণপণ। জীবনের কাছে হার মানেনি। মৃত্যুর পরে আরো লম্বা এক অপেক্ষা শুরু হয় তার। অপেক্ষা নিজের গল্পের স্বীকৃতির। ছেলেটির নাম অজানা হলেও তার গল্পটি সবাই জেনেছে, তার অপেক্ষা ফুরিয়েছে - শেষবেলার স্বস্তি হয়ে সেটুকুই নাহয় থাক!

৩) বাথটাবে মৃত ষোড়শীর ডুবন্ত স্বপ্ন, তারপরে ৩৯ বছরের অপেক্ষা!



শ্যারন শোলমায়ার! একজন ১৬ বছরের তরুণী - যে স্বপ্ন দেখতে পারত এবং স্বপ্নপূরণে পরিশ্রমও করত। ওয়েটরেস হিসেবে চাকরিরত মেয়েটি এপার্টমেন্টে থাকত। সে ভীষন রকম দায়িত্ববান ও নির্ভরযোগ্য ছিল - এতটাই যে যখন সে মাত্র একদিন কাজে আসে না, বস দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়! সাথে সাথে শ্যারনের মাকে ফোন করে, নিজেকে মেয়েকে ভালোভাবে জানা মাও চিন্তায় পড়ে যান। এপার্টমেন্টের দিকে ছুটে যান মেয়েকে দেখতে এবং তার সাথে থাকে এপার্টমেন্ট ম্যানেজার প্যাটরিক ম্যাকেভ।

১৯৭৭ সালের ৫ ডিসেম্বরের সেই অশুভ দিনটিতে একজন মা এমনকিছু দেখেন যা কোন মা নিজের শত্রুর মেয়ের জন্যেও চাইবে না! পানিপূর্ণ বাথটাবে নগ্ন শ্যারনের লাশ! দড়ি দিয়ে তার হাত বাঁধা, ওড়নায় চোখ ও নাক বাঁধা, মুখের মধ্যে শ্যারনেরই পোশাকের টুকরো - নিথর নিষ্প্রাণ একটি দেহ। বাথটাবের পাশে পড়ে ছিল চাকু!

মেয়ে হারা মা কি করবেন কি বলবেন বুঝতে পারছিলেন না। ম্যানেজার ম্যাকেভ তাকে সামলে সাথে সাথে সল্ট লেক পুলিশ সিটিকে ফোন করেন। তারা এসে এমনকোন সাইন পান না যাতে মনে হতে পারে কেউ জোড় করে বাড়িতে প্রবেশ করেছে! দ্রুত লাশের ময়নাতদন্ত হয় এবং শ্বাসরোধে মৃত্যু হয়েছে সেটা বের করতেও পারলেও হত্যাকারী কে সেটা বের করতে পারেন না। ডিটেকটিভ শ্যারনের মুখের পোশাকের টুকরো যা দিয়ে তার মুখ চেপে ধরা হয়েছিল, সেটিকে ডিএনএ টেস্টে পাঠায় এবং বছরের পর বছর সেটি ডিএনএ স্টোরেজে বসে থাকে।

রহস্যজট খোলার গল্প!

৩৯ টা বছর শ্যারনের আত্মা এবং আপনজনেরা অশান্তিতে থাকে। অপরাধী ঠিকই ঘুরে বেড়ায় শান্তিতে, স্বস্তিতে। কিন্তু বিজ্ঞানের হাত সময়ের সাথে সাথে আরো লম্বা হয়ে যায়। পুরোন যুগে পানির মধ্যে থেকে ডিএনএ কালেক্ট করার মতো প্রযুক্তি না থাকলেও ২০০৭ এ বিজ্ঞানী ব্রুস ব্যাডলি এম ভ্যাক নামের একটি পন্থা আবিষ্কার করেন যা পানিতে ভেজা বস্তুর মধ্য থেকে ডিএনএ টেনে বের করে আনতে পারে।



ব্যাস আর কি! সেই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ২০১৩ সালে ন্যাশনাল ডাটাবেজে থাকা একটি ডিনএর সাথে ম্যাচ পাওয়া যায় শ্যারনের সেই পোশাকে লেগে থাকা ডিএনএর। খুনীর নাম? এপার্টমেন্ট ম্যানেজার প্যাটরিক ম্যাকেভ যিনি নিজে পুলিশকে ফোন করেছিলেন শ্যারনের মৃত্যুর পরে! ২০১৭ সালের মার্চে তিনি অপরাধ স্বীকার করতে বাধ্য হন।
রাতের বেলা চাবি ব্যবহার করে এপার্টমেন্টে প্রবেশ করে ম্যাকেভ, তারপরে মেয়েটিকে চাকু দিয়ে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পরে নিয়ে যায় বাথরুমে, তার হাত পা বেঁধে মাথা পানির মধ্যে দিয়ে মেরে ফেলে।

৫৯ বছর বয়স হয়েছিল ম্যাকেভের যখন তাকে এরেস্ট করা হয়। শেষমেষ আসল অপরাধীকে পুলিশ খুঁজে পেলেও, তার প্রায় পুরো জীবনই স্বাধীনভাবে কেটে যায়। একে কি বলবেন? জাস্টিস ডিলেড জাস্টিস ডিনাইড নাকি পাপ বাপকেও ছাড়েনা?


ছবি ও তথ্যসূত্র: অন্তর্জাল!

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮

আকন বিডি বলেছেন: ১ম

২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা, সুস্বাগতম পোস্টে। ১ম হবার জন্যে অভিনন্দন।

সন্ধ্যা করে আমার ব্লগবাড়িতে এলেন! চা বিস্কুট তো দিতেই হয়। :)

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

নতুন বলেছেন: আধুনিক বিজ্ঞান অনেক অজানাকে মানুষের হাতের নাগালে এনে দিয়েছে।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। প্রচুর পুরোন কেসেস সলভড হচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞানের কল্যাণে। অবশেষে বিচার পাচ্ছে অসহায় কিছু পরিবার। তারচেয়ে বড় কথা বর্তমান ও ভবিষ্যতের জন্যে এটা দারূন খবর। একসময়ে সমাজ থেকে ছোটখাট অপরাধ উঠেই যাবে। আজকালই যেমন নানা করম অপরাধ কঠিন হয়ে গিয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার জন্যে।
বিজ্ঞানের আলো জীবনকে শুধু সহজই নয় সিকিউরও করে।

ধন্যবাদ মন্তব্যে, ভালো থাকুন।


৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আকন বিডি বলেছেন: ১ম না হওয়াই ভালো ছিল। :(

২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: কেন কেন?

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

আকন বিডি বলেছেন: চায়ের জন্য ধন্যবাদ। কিন্তু দরকার নাই। :(
লেখা পইড়া খাওয়ার ইচ্ছা মইরা গেছে।
মনটা খারাপ হইয়া গেলো।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আই এম সো সরি! কারো মন খারাপ করা আমার উদ্দেশ্য ছিলনা। কিন্তু সব পোস্ট তো রম্য/হাসির হতে পারেনা। পোস্টের শুরুতেই লিখে দিয়েছি যে এটা সিরিয়াস পোস্ট। সাধারণ মানুষের সত্য গল্পগুলো যেন মানুষকে একটু ভাবতে শেখায় এটাই আমার চাওয়া!

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আকন বিডি বলেছেন: সরি হওয়ার কিছু নাই ম্যাডাম। উপরের ঘটনাগুলোর যারা ভিকটিম, তাদের কথা চিন্তা কইরা মন খারাপ। কাজের প্রয়োজনে আমাকে কোর্টে যেতে হয়, সেখানে দেখি বেশির ভাগ ভিকটিম গরিব, অসহায়। বিচার পেতে দিনের পর দিন কোর্ট এর বারান্দায় তাদের সময় কাটে। বিচার পায় না ঠিক মত, আসল অপরাধি ছাড়া পেয়ে যায়। এখনও তেমন আধুনিক হতে পারে নাই আমাদের কোর্ট ব্যবস্থা।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমাদের বলতে যদি দেশের কথা বলে থাকেন তো বলব কোন দেশই এ ব্যাপারে আধুনিক হতে পারেনি। আমি অন্য নানা দেশের ক্রাইমস এন্ড ল নিয়ে পড়েছি শখের বশে। বেশিরভাগ পশ্চিমি উন্নত দেশেও যে পক্ষ বড়লোক তারা সাধারণত বেটার লয়ার হায়ার করতে পারে এবং তার কারণে কেস জিতে যায় অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও। ক্ষমতাধর ব্যক্তি অথবা নামী সেলিব্রেটিরা আইনের আশপাশ দিয়ে ফাঁক বের করে ফেলে।
বিশ্বব্যাপী আইনি প্রক্রিয়ার যে বেসিক সিস্টেম তার মধ্যে অনেক ভুল আছে যার কারণে ব্ল্যাক এবং গরীবরা বিচার পায়না অথবা অপরাধ না করেও জেলে যায়। অন্যদিকে বড়লোকদের সাতখুন হয় মাফ।
তাছাড়া পুরো ব্যাপারটার মধ্যে অমানবিকতাও আছে। আইন ধর্ষিতা নারীকে ঘটনার ডিটেইলস জিজ্ঞেস করার অধিকার রাখে, ছেলে হারানো বাপের কাছে নৃশংসতার বর্ণনা চাইতে পারে সেটাও এক রুম ভর্তি মানুষের সামনে। একদিন নয়, বছরের পর বছর কোর্টে চক্কর কাটতে হয়। এই ভয়ে কত নীরিহ মানুষ বিচার চায়না পর্যন্ত। দুঃখজনক। আশা রাখি, বিচারের পুরো প্রসেসটা একদিন সহজ, সুন্দর ও সৎ হবে বিশ্বব্যাপী!

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ঘরহীন বলেছেন: আধুনিক বিজ্ঞান বহুদূর এগিয়ে গেছে। একটা পুলিশ প্রসিডিউরাল গল্প লিখবো, তাই চারশো পাতার 'অপরাধ তদন্ত নির্দেশিকা' পড়ছি বাংলাদেশ পুলিশ বিভাগের আর ভাবছি এরপরও অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে কিভাবে???

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: বাব্বাহ বেশ গবেষণা করে এগোচ্ছেন! দারূণ কিছু আসতে চলেছে মনে হয়। অপেক্ষায় রইলাম.......

এরপরও অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে কিভাবে???
আপনার ওপরের মন্তব্যে এটা নিয়ে কিছুটা বলেছি, পড়ে দেখতে পারেন।

ধন্যবাদ পোস্টে ঘুরে যাবার জন্যে।
ভালো থাকুন।

৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: পাপ বাপকেও ছাড়ে না এটাই মনে হয় অধিক উপযুক্ত কারণ তদন্তকারীরা আপ্রান চেষ্টা করেছে রহস্যের জট খুলতে। প্রযুক্তির সমস্যা ও অন্যান্য সমস্যার জন্য তাদের দেরি হয়েছে। এটা তাদের দিক থেকে দোষ না। তদন্ত ও বিচারে গাফলতি ও ইচ্ছাকৃত দীর্ঘসূত্রিতা হলে বলা যেত justice delayed is justice denied. এটা আমার মত। কারও ভিন্ন মত থাকতে পারে।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: পোস্টে ইচ্ছে করে যে প্রশ্ন রেখে দিয়েছিলাম, সেটি নিয়ে বিস্তারিত উত্তর দেবার জন্যে কৃতজ্ঞতা। এমন একটি মন্তব্য চাইছিলাম।

পুলিশ পুরো বাড়ি এবং জানালার হাইট চেক করে এই ব্যাপারে শিওর ছিল যে জোড় করে কেউ বাড়িতে ঢোকেনি। ওসব দেশে এপার্টমেন্ট ম্যানেজারদের কাছেই শুধু এক্সট্রা কি থাকে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে যদি সন্দেহ করে কঠিনভাবে জেরা করত তাহলে হয়ত অপরাধী স্বীকার করেই ফেলত। কেননা তখন অপরাধীও অনেক ইয়াং ছিল।
ওপরে যা লিখেছি সেটা ভাবনার আরেকটা ওয়ে। আপনারটাও ভীষন রকম লজিক্যাল এবং সেন্সিবল।

ধন্যবাদ দারূণ পোস্ট উপযোগী মন্তব্যে।
শুভকামনা।

৮| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:০৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পাপ বাপকেও ছাড়ে না, দেরিতে হলেও - ১ম এবং ৩য় গল্পে সেটা প্রমাণিত। ২য়টায় অপরাধীর কোনো সন্ধান মেলে নি, ছেলেটাকে কীভাবে মারা হয়েছিল, শুধু সেটা জানা গেছে।

সাগর-রুনির রহস্যও একদিন বেরিয়ে আসবে। হয়ত ততদিনে অপরাধীরা এমনিতেই মারা যাবে।

পোস্টটা ভালো ছিল।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: দ্বিতীয়টায় অপরাধীও নিশ্চই কোথাও কংকাল হয়ে পড়ে আছে! ওধরণের কেসে অপরাধীকে ধরা ঠিক নয়, রহস্যটা হয় মূলত কংকালের পরিচিতি। সেই রহস্যজটটা খুলেছে। এত প্রাচীন একটা কংকালের পরিচিতি, গল্প, ব্যাথা সবকিছু বেড়িয়ে এসেছে।

৩ নাম্বারটা নিয়ে ৭ নাম্বার মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য দেখতে পারেন।

ইনশাল্লাহ, সব নিরীহ মানুষেরা একদিন বিচার পাবে এবং অপরাধীদের জায়গা হবে জেল ও জাহান্নাম।

পোস্টটা ভালো ছিল।
ধন্যবাদ, অনুপ্রাণিত হলাম।

৯| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অপরাধ তদন্তের ব্যাপারে আমার একটা মত হলো- সব অপরাধের এত দীর্ঘমেয়াদী পরীক্ষাসাপেক্ষ তদন্ত সম্ভব না। এগুলোর জন্য একদিকে বিভিন্ন টেস্ট-এক্সপেরিমেন্টের জন্য প্রচুর অর্থকড়ি ও সময়ের প্রয়োজন, অন্যদিকে অধিক সংখ্যক তদন্তকারী অফিসারের প্রয়োজন, সবচাইতে বড়ো কথা হলো - অ্যাডভান্সড টেকনোলজির দরকার, যেটা সব দেশে সব কেইসের জন্য অ্যাপ্লাই করা সম্ভব না। কেইস-টু-কেইস বেসিসে গবেষণার জন্যও অনেক সময় কিছু স্পেশিয়াল কেইসের এরকম দীর্ঘমেয়াদী তদন্ত চালানো হয়ে থাকতে পারে।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৩৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আই এবসোলুটলি এগ্রি উইথ ইউ। দামী একটি মন্তব্য করেছেন। আসলেই বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যেভাবে আইন ও বিচার বিভাগ চলছে সেটা প্র্যাক্টিক্যাল নয়। বিচার পেতে গিয়ে মৃতের পরিবার, ধর্ষিতা, অথবা অন্য কোন ভিক্টিমকে যে কঠিন প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় সেটা আরো এক দফা শাস্তির মতো। বছরের পর বছর কেটে যায় এমন অপরাধীকেও শাস্তি দিতে যে নিজের মুখে স্বীকার করেছে অপরাধের কথা। যদিও আইনের প্রতি পূর্ণ সম্মান আছে আমার। আমি শুধু চাই সৎ, সরল প্রক্রিয়া। আপনার কি মনে হয় কিভাবে আইন ব্যবস্থাকে বেটার করা যায়?

১০| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:৪০

আনমোনা বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তরের সাথে একমত।
৩ং কেসে, ম্যানেজারকে তখন জেরা করা হয়েছিলো কিনা জানিনা। হয়তো হয়েছিলো। কিন্তু সেই যে অপরাধী, সে ব্যাপারে শক্ত প্রমান ছিলোনা। শ্যারনও তো কাউকে দরজা খুলে দিতে পারে!
৩০বছর পরে, যখন প্রযুক্তি প্রমান এনে দিলো, তখন ঠিকই অপরাধী ধরা পরলো।

২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২০

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ভেরী গুড পয়েন্ট আপু। পুলিশ সবকিছু জেনেও হয়ত প্রমাণের অভাবে কিছু করতে পারেনি।
অথবা ম্যানেজার যেহেতু নিজেই পুলিশকে ফোন করেছিল, পুলিশ ধোঁকা খেয়ে গিয়েছিল। ম্যানেজার একটি চাকু দেখিয়ে রেপ করেছিল শ্যারনকে যেটা এপার্টমেন্টেই পাওয়া গিয়েছিল। সেই চাকুতে ডিএনএ/ফিংগারপ্রিন্টস থাকতে পারত, ঠিকমতো টেস্টিং হয়নি, পুলিশের মাথায় আসেনি, অথবা অন্যকোন ব্যাপার। হু নোস! সো ম্যানি সাইডস টু ওয়ান স্টোরি!

১১| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: ১ নং টা তো ভয়াবহ!!!

এরকম পোষ্ট রাতের বেলা দিবেন না। আমার ঘুমের সমস্যা হয়।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৪

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: আমি তো পোস্ট রাতে দেইনি, সন্ধ্যায় দিয়েছি। আপনি লেট করে পড়েছেন সেটা কি আমার দোষ? ;)

১২| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: ১ম হতে পারি নি বলে কি চা বিস্কুট পাবো না?

২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৭

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: না পাবেন না, তবে স্বান্তনা পুরষ্কার হিসেবে শার্পনার, রাবার, পেন্সিল রইল। ;)

১৩| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১:৪৩

সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: পোস্টে ++

পড়ে যদিও মন খারাপ হয়ে যায়। মিস্ট্রি সলভড হয়েছে এটাই সান্ত্বনা।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৪:৩৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: মন্তব্য এবং প্লাসে অনেক ধন্যবাদ। অনুপ্রাণিত হলাম।

আসলেই, প্রতিটি গল্পের চরিত্রগুলো ভয়াবহ অত্যাচার সহ্য করে মৃত্যুবরণ করেছে। শেষ পর্যন্ত যে রহস্যজট খুলেছে, তাদের আপজনদের জন্যে এটুকুই শান্তি!

১৪| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পৃথিবীর যে কোনো দেশে সাক্ষী প্রমাণের অভাবে যেমন তেমন মামলাও ৫ - ৭ বছর সময় নিয়ে নেয়। সাক্ষী ম্যানিপুলেটেড হলেও মানা যায় কিন্তু “প্রমাণ” যখন ম্যানিপুলেটেড হয়ে যায় - - - - । আর এগুলোতো ঐতিহাসিক মামলা।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ ভোর ৫:২৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: প্রথমেই মন্তব্যে ধন্যবাদ।

সাক্ষী প্রমাণ যেখানে নেই সেখানকার কথা নাহয় বাদই দিলাম। সাক্ষী প্রমাণ থাকলেও অনেকসময় বিপক্ষের উকিল ওকালতি মারপ্যাঁচে বছরের পর বছর বাঁচিয়ে রাখে অপরাধীকে। এমন কত মামলা আছে পাবলিকও জানে খুনী/অপরাধী কে, কিন্তু কোর্ট রায় দিতে পারেনা নানা কারণে। আইন এত বেশি ক্রিটিক্যাল যে সাধারণেরা বোঝেনা। যেই বই ও প্রক্রিয়া সাধারণের জন্যে লেখা ও বানানো হয়েছে, তা আরেকটু সরল হওয়া উচিৎ ছিল সাধারণকে নিরাপত্তা দিতে।

১৫| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৮:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: প্রথমেই বিজ্ঞানকে ধন্যবাদ দিতেই হয়!

লম্বা দীর্ঘ বছর শেষেও অপরাধী সনাক্তে সাহায্য করেছে। এবং অপরাধী সনাক্ত, গ্রেফতার বা শাস্তি হয়েছে
মজলুম আত্মা শান্তি পেয়েছে।

পাপ ছাড়েনা বাপেরে এটাই সত্যি!
যদিও আপাত বিজয়ে অপরাধীরা ভাবে সেই জয়ী! কিন্তু মহাকাল বসে থাকে তা আপন বিচার ব্যভস্থা লয়ে।
কখনো বিজ্ঞানে কখনো প্রকৃতি আর বিশ্বাসীর জন্য মরনোত্তর পরকালীন বিচার ব্যবস্থাতো রয়েছে।
সো- অপরাধীদের দিকে আঙুল তুলে সখি- বলতেই পারো - পালাবি কোথায়?

অনকে কষ্ট করে রহস্যময় আনলভড কেসে সলভ হিস্ট্রি তুলে ধরায় ধন্যবাদ্
অজানা জানা হলো।

অনেক অনেক শুভকামনা
ইহ পরে নিরাপদ থেকো এই প্রার্থনা।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:১৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সখা!

চমৎকার মন্তব্য এজ ইউজাল! :)

এটা ভালো বলেছেন। এ দুনিয়ায় যদি কেউ ছাড়া পেয়েও যায়, আল্লাহ তো রয়েছেন হিসাব বরাবর করতে! সেই দুনিয়ায় তো চুল পরিমাণ অন্যায়ও হয়না।

কষ্ট কি? এসব আমার প্রিয় সাবজেক্ট, এমন কন্টেন্টে কাজ করা অলওয়েজ মাই প্লেজার।

আপনিও সখা! নিরাপদে থাকুন সকল রোগ, শোক, অশুভ শক্তি থেকে।

১৬| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৫৬

সোহানী বলেছেন: বাংলাদেশে এরকম হাজার মৃত্যু হয় কিন্তু ধরা পরে কি? কানাডা আমেরিকা বলে পার পাই নাই.........................

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৬

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হেই সোহানী আপু!

আমি অন্য নানা দেশের ক্রাইমস এন্ড ল নিয়ে পড়েছি শখের বশে। বেশিরভাগ পশ্চিমি উন্নত দেশেও যে পক্ষ বড়লোক তারা সাধারণত বেটার লয়ার হায়ার করতে পারে এবং তার কারণে কেস জিতে যায় অপরাধী হওয়া সত্ত্বেও। ক্ষমতাধর ব্যক্তি অথবা নামী সেলিব্রেটিরা আইনের আশপাশ দিয়ে ফাঁক বের করে ফেলে।
আমেরিকায় একজন মেয়ে পুলিশে যেয়ে প্রমাণ সহ অভিযোগ করে যে একটি ছেলে অনেকদিন ধরে বিপদজনক ভাবে তার পিছু নিয়েছে এবং হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ কোন আমলেই নেয়না এবং মেয়েটিকে শেষমেষ নৃশংসভাবে ২৫-৩০ বার চাকুর আঘাতে হত্যা হয়।
আরেক আমেরিকান বউ খুন হয় কিন্তু হ্যাসব্যান্ড লয়ার এবং শ্বশুড় ব্যাবসায়ী হওয়ায় সিটি মেয়র নিজে বিচার আটকানোর চেষ্টা করে। সেই কেস বোধহয় এখনো সলভড হয়নি, আমি কারেন্ট আপডেট জানিনা।
ওপরে যা বললাম তা অস্ট্রেলিয়া, স্কটল্যান্ড, কানাডাতেও প্রচুর হয়। কানাডায় এক পরিচিতর ব্যাগ চুরি হয়ে যায় যাতে অনেক টাকা ছিল। সে পুলিশে অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ বলে, যদি রাস্তায় কারো চোখে পড়ে এবং আমাদের জানায় তাহলে খবর করব তোমাকে। তবে কেউ চুরি করলে এটা আর পাওয়া যাবেনা, সেক্ষেত্রে আমরা কিছু করতে পারবনা!!!!!!!!
জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকারী আগেও একবার অন্য কারো সাথে বেইআইনীভাবে অমানবিক আচরণ করেছিল, কিন্তু তখন সেই পুলিশের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার কারণে সে আবারো নৃশংসতার নজির রাখতে পেরেছে।

আমি ওপরে যে উদাহরণগুলো দিলাম সবগুলো সত্য ঘটনা। কারপশন, রেসিজম, এবিউজ অফ পাওয়ার, ইরেসপনস্টিবিলিটি পশ্চিমি দেশেও হয়। হয়ত জনসংখ্যা ও দূর্নীতি বেশি বলে বাংলাদেশে বেশি হয়। কিন্তু পশ্চিমি দেশ এত উন্নত হবার পরেও এসব ঠেকাতে পারেনি।

আশা করি মানুষ ও আইন একদিন অনেক উন্নত হবে বিশ্বব্যাপী!
মন্তব্যে থ্যাংকস!
ভালো থেকো।

১৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: লাগবে না আমার পেন্সিল আর রাবার। আপনি কৃপণ।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হাহা আপনি বোধহয় জোকটা বুঝতে পারেননি। স্কুলে কোন প্রতিযোগিতায় যারা ১ম হতো তারা বই/পেন্সিল বক্স পেত এবং যারা ৪ বা পরের র‌্যাংকে থাকত তাদেরও যেন মন খারাপ না হয় সেজন্যে পেন্সিল/রাবার দেওয়া হতো স্বান্তনা পুরষ্কার হিসেবে। আপনি মজা করে জানতে চাইলেন প্রথম হননি বলে কি চা পাবেন না, তাই আমিও একটু জোক করলাম আরকি! :)

১৮| ২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪২

নীল আকাশ বলেছেন: হায়রে এত বছর পরেও এরা কেসগুলি নিয়ে চিন্তা করে আর দেশে সদ্য কেসগুলিও ধামাচাপা দিয়ে দেয়া হয়।
লেখা ভালো হয়েছে বিশেষ করে ডিএনএ নিয়ে অপরাধী ধরার অংশগুলি।
কেমন আছেন আপনি?

২৩ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: জ্বি আলহামদুলিল্লাহ ভালো! আপনি ও আপনার পরিবারের সবাই কেমন আছেন?

আপনার কথায় মনে হলো, বাংলাদেশেও কিন্তু কদিন আগে এক পুরনো কেস সলভড হয়েছিল। এক মহিলার শ্বশুড়বাড়ির আত্মীয়া মেরে ফেলেছিল, সেসব বেড়িয়ে আসে! সেই মহিলার স্বামীর মতে, পুলিশের বহু বছরের আন্তরিক চেষ্টা ও শ্রমেই এটা সম্ভব হয়েছিল। দেশ হোক বা বিদেশ, অপরাধীরা শাস্তি পাক সেটা চাওয়া। একজন অপরাধী যদি ফ্রিলি ঘুরে বেড়ায় তাহলে সে আবারো অপরাধ করবে এবং অন্য অনেকে দুঃসাহস পাবে সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করার।

ধন্যবাদ মন্তব্যে। প্রেরিত হলাম।
শুভকামনা!

১৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০

মূর্খ বন মানুষ বলেছেন: এই জনরার লেখা আমার ভাল লাগে। আমি এই টপিক নিয়ে অনেক গুলো টিভি শো দেখেছি আর আর্টিকেল ও পড়েছি। তাই ঘটনাগুলোর সাথে রিলেট করতে পারছি। একি ঘটনা না হলেও একি টাইপ অনেক ঘটনা এখনো মিস্ট্রি হয়ে আছে। আপনার লেখা পড়ে খুশি হলাম যে এই সব ঘটনা গুলো শেষ পর্যন্ত সলভ হয়েছে। এই মৃতের আত্মারা দেরীতে হলেও শান্তি পাবে। তবে প্রযুক্তিবিদ্যার উন্নতিকারি মানুষজন আর এই সব কেসে লেগে থাকা মানুষদের ধন্যবাদ না দিলেই না। তাদের জন্য আমরা কিছু কিছু আইনের ফাঁক গলে বেড়িয়ে যাওয়া অপরাধীদের দেরীতে হলেও শেষ পর্যন্ত চিহ্নিত করা গিয়েছে।

এই টাইপ লেখা অনেক কঠিন। কারণ হয়ত ডকুমেন্টারি দেখে নিজের মত করে সাজিয়ে লিখতে হয় নয়ত বা ইংলিশ আর্টিকেল পড়ে তা অনুবাদ করে নিজের মত করে গুছিয়ে লিখতে হয়। দুইটা কাজই বেশ সময় সাপেক্ষ আর কঠিন। আপনাকে ধন্যবাদ আমাদের জন্য কষ্ট করে এই জনরার লেখা লেখার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.