নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাগলামির সীমানা থাকে কি? জানা নেই, যদি থেকেও থাকে আমার পাগলামিগুলো কোন সীমানায় বাঁধা নেই। উপভোগ করি পাগলামির আদি-অন্ত।

ম্যাড ফর সামু

আমি পাগল এটাই কি আমার পরিচয়ের জন্য যথেষ্ট নয়!

ম্যাড ফর সামু › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন সামুপাগলা০৭ এর হ য ব র ল প্রলাপ ২য় পর্ব

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৩:৩৭


১। তখন প্রাইমারী স্কুলে পড়ি, কিন্তু ঠিক মনে নেই কোন ক্লাসে। তো তখন একদিন প্রেসিডেন্ট হু. ম. এরশাদ সাহেব কি একটা প্রোগ্রামে যেন আমাদের এলাকায় এসেছিলেন। হেলিকপ্টার নেমেছিল আমাদের স্কুল মাঠেই। তো হেলিকপ্টার থেকে নেমে প্রথমে আমাদের স্কুলে এলেন, বিভিন্ন ক্লাসে গিয়ে ভিজিট করার এক পর্যায়ে আমাদের ক্লাসেও এলেন। কতক্ষণ ছিলেন ঠিক মনে নেই, আমাদের কয়েকটি প্রশ্ন করলেন, সবাই প্রায় চুপচাপ থাকলেও আমি চটপট দাঁড়িয়ে তার কয়েকটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিলাম। তিনি খুশি হয়ে আমার নামটি জিজ্ঞেস করলেন এবং তাঁর কাছে ডাকলেন, আমি তার কাছে গেলে তিনি আমার পিঠে হাত বুলিয়ে আদর করে আমাকে কি যেন একটা পুরষ্কার হিসেবে দিয়েছিলেন।

২। ৪র্থ অথবা ৫ম কোন এক ক্লাসে পড়ি তখন। এমনিতে আমি ছোটকালে খুবই হ্যাংলা পাতলা ছিলাম, কোন আউটডোর খেলায় অংশ নিতাম না। তখন প্রতিদিন টিফিন আওয়ারে মাঠে ছেলেরা ফুটবল খেলতো। তো এমন একদিন খেলা চলাকালীন সময়ে একজন খেলোয়াড় কম পড়ে যাওয়ায় আমাকে জোর করে মাঠে নামিয়ে দিল। আমি ফুটবল খেলার কিচ্ছু বুঝতাম না, তো সবার দেখাদেখি আমিও বল পেলে বল নিয়ে দৌড়াচ্ছি কোনদিকে না তাকিয়ে... এভাবে কয়েকবার অফসাইড, কয়েকবার আউট ইত্যাদি করে খেলায় বিঘ্ন ঘটাচ্ছিলাম আর সবার হাসির পাত্র হচ্ছিলাম। এক পর্যায়ে আমার অনেক রাগ চাপল মাথায়.... হাফ টাইমের পরে খেলতে খেলতে এতই মগ্ন হয়েগিয়েছিলাম যে... কোনটা আমাদের গোলপোষ্ট আর কোনটা প্রতিপক্ষের তা খেয়াল না করেই প্রতিপক্ষের গোলপোষ্টের কাছাকাছি থেকে বল নিয়ে সবাইকে কাটিয়ে নিজদলের গোলপোষ্টে বল মেরে গোল গোল বলে আনন্দে লাফাতে লাফাতে সারা মাঠ প্রদক্ষিণ করতে শুরু করেছিলাম। সবাই সে কি হাসাহাসি........ এমনকি বারান্দায় দাড়ানো স্যারেরা শুদ্ধু হা হা করে হেসে উঠেছিল। তাদের হাসি দেখে আমি লজ্জা পেয়ে খেলা.... স্কুল .... ত্যাগ করে বই নিয়ে সোজা বাড়িতে চলে এসেছিলাম।


ছবি: গুগল

৩। আমার চেহারাটা বরাবরই বেশ সুন্দর ছিল বলে সবাই আমার সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইত, কিন্তু আমি কারও সঙ্গে তেমনভাবে মিশতে পারতাম না। বাবা-মায়ের নিষেধ আর নিজের অর্ন্তমূখী স্বভাবের কারণে। কিন্তু তবুও আমার চারপাশে সর্বদাই একদল আমাকে ঘিরে থাকত.... চুপি চুপি বলি তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মেয়েরা ছিল। এমনকি আমার বড় আপুদের বান্ধবীরা পর্যন্ত আমাকে অনেক স্নেহ করত, অনেক আদর করত কোলে নিয়ে ঘুরে বেড়াতো, তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেতো, তাদের সঙ্গে খেলাধূলায় অংশ নিতে বাধ্য করত, খেলতে না চাইলে অনেক সময় জোর করেই খেলায় নামাত, আর একান্তই না নিতে পারলে কোথাও বসে গল্প শোনাতো বা তারা আড্ডা দিত কিন্তু আমাকে তাদের পাশে অথবা কোলে নিয়ে বসে থাকত। কেউ একটানা বেশিক্ষণ আমাকে কোলে বা পাশে রাখতে পারত না, পালাক্রমে সবারই পাশে বা কোলে বসতে হতো। এ নিয়ে কোন কোনদিন তাদের মাঝে মান-অভিমানও হতো।
(চলবে)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ ভোর ৪:০৬

আংশিক ভগ্নাংশ জামান বলেছেন: আপনার ৩ নাম্বার স্মৃতিতে যেনো নিজেকেই দেখলাম আমি।যদিও অতোটা সুদর্শন ছিলাম না।তবু কিভাবে যেনো সবার পছন্দ হয়েই যেতাম।প্রচন্ড অন্তর্মুখী ছিলামম।ছোট থেকেই বই এবং নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম।তবুও কিছু মানুষের সাথে বন্ধুত্ব হয়েই যেতো।যাদের প্রায় সবাই মেয়ে।অন্তর্মুখী হলেও খেলাধূলাই ভালোই ছিলাম।বিশেষ করে ক্রিকেট খেলাটা খুব ভালো পারতাম আমি।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৩

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: আংশিক ভগ্নাংশ! প্রীত হলাম জেনে যে আপনার জীবনের শিশুকালের অনেকটাই আমার অভিজ্ঞতার সঙ্গে মেলে। আসলে তখন এমন একটা সময়, যখন সৌন্দর্য কি বা আমি কতটা সুন্দর তা নিয়ে তেমন একটা বোধ তখনও তৈরি হয়ে উঠেনি, শুধু সবার মুখে শুনে শুনে বুঝতাম। আর হ্যাঁ বইয়ের পোকা ছিলাম একটা, সেই প্রাইমারী স্কুল থেকেই। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ফুটবল খুব ভালো খেলতাম।

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৪

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: বাহ্! কিন্তু আমার অবস্থতো বলেইছি। এখনও কি খেলেন?

৩| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪২

নজসু বলেছেন:



(১) একজন প্রেসিডেন্টের হাতে পুরস্কার পাওয়া মানে তো ভাই অনেক কিছু। মনে রাখা বা ওটা সংরক্ষণ করে রাখা উচিত ছিল। আমি হলে রেখে দিতাম। আমার নাতী-পুতিদের পর্যন্ত দেখাতাম। :-B

(২) খুব মজার অভিজ্ঞতা। :D

(৩) ছোটবেলার একটা ছবি পোষ্ট করবেন ভাই। আমরা সবাই একটু দেখতে চাই। B-)

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৯

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে মন্তব্য করায়।
১। ঘটনাটি যে বয়সের তখন প্রেসিডেন্ট কি বা কে এবং তিনি আমাকে কি দিলেন, সেটা বিবেচ্য বিষয় ছিল না। তবে পরে যখন একটু বুঝতে শিখেছিলাম তখন আমার বড়ই আফসোস হয়েছিল অনেক খুঁজেও তিনি কি দিয়েছিলেন আর সেটা কোথায় রেখেছিলাম তা মনে করতে পারিনি। :( :(
২। B-)
৩। ছোটবেলার ছবিতো মনে হয় নেই, তবে ১৫-১৬ বছর বয়সের একটা ছবি হয়তো রয়েছে কোথাও, পরে খুঁজে নিয়ে একদিন দেখাবো ইনশাআল্লাহ।

৪| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:১৮

ইসিয়াক বলেছেন: ভালো

১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৩

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: এক কথায় প্রকাশ-ধন্যবাদ। =p~

৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:২৫

হাবিব বলেছেন: পড়িনি এখনো

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৩৯

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: স্যারদের কি আর পড়া লাগে। সব পড়া শেষ করেই তো স্যার হয়েছেন। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৮

নয়া পাঠক বলেছেন: স্মৃতিমধুর শৈশব কি পার হয়েছে, নাকি এখনও ৩ নং এর পর্যায়ে রয়ে গেছেন? এই যাহ্ কি লিখলাম, এটার আবার অন্য মানে করবেন না যেন। মানে বোঝাতে চেয়েছি এখনও কি মেয়েরা আপনাকে দেখলে হুমড়ি খেয়ে পড়ে নাকি বুড়ো হয়ে গেছেন। ছবি দিলেন কিন্তু তাও ধার করে, কেন আমরা কি আপনার নিজের একটা পিক দেখতে পাওয়ার মত আপন নই? ;)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: ইশ্ কী যে বলেন, মানুষ কি চিরদিন শিশুই থাকবে। মনে হয় পোষ্টটি না পড়েই মন্তব্য করলেন। নইলে একজন পরিপূর্ণ যুবককে কেউ শিশু বানিয়ে রাখে। আপনার প্রশ্নের উত্তর ১ নং এ দেওয়া আছে। আমি ধার করা ছবি দিয়েছি কারণ এখন আমি সত্যিই বুড়ো হয়ে গেছি এই অল্প বয়সেই, আর নেই সেই হিরোইক এটিচ্যুড।

৭| ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৭

সুমন কর বলেছেন: মজা সব স্মৃতিচারণ......

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪০

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: যখন কোনকারণে খুব মন খারাপ হয় তখন এইসব দিনের স্মৃতি আমার মনে ভালোলাগা তৈরি করে বাঁচতে প্রেরণা দেয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.