নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শার্দুল নামাঃ পরিবর্তনের প্রতীক্ষায়

এম ছানাউল্লাহ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। প্রকৃত ইতিহাস সন্ধানী।

এম ছানাউল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি সাংস্কৃতিক বিপ্লব কেন দরকার ....?

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৪

আজকের এই ক্রান্তিকালে মনে হচ্ছে নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলাই ভাল ছিল! কারন তাহলে অনেক শ্রোতা পাওয়া যেত! নির্বাচন পদ্ধতি যাই হোক না কেন, হোক না তত্ত্বাবধায়কের অধীনে নির্বাচন, তাতে করে কি দেশের মানুষের, নেতাদের, রাষ্ট্রের কোন পরিবর্তন আসবে? আমি রাষ্ট্রের পরিবর্তন বলতে, বর্তমান ব্যাবস্থা থেকে সরে গিয়ে একটি সমাজতান্ত্রিক বা ইসলামী বা অন্য কোন আদর্শিক রাষ্ট্রে রূপ নেয়ার কথা বলছিনা! আজ যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি? তিনি উত্তরে কিছু না ভেবেই বলে দিবেন, নির্বাচন কেন্দ্রিক সঙ্কট ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট! আমরা এই সমস্যা কি এই প্রথম মোকাবেলা করছি? ৮৭ তে জেনারেল এরশাদের আমলে ও ৯৬ সালে একটি গনতান্ত্রিক পন্থায় ক্ষমতায় আসা দলের অধীনে এই একই সমস্যা মোকাবেলা করেছি! ৯৬ সালের সাথে ২০১৪ সালের সাধারন নির্বাচনের প্রচুর মিল দেখা যাবে যদি চোখ থাকে! তাহলে আসলেই কি?

 

যদি উপরের সমস্যাগুলোই প্রধান হয় তাহলে রাজনীতিবিদরা এক জায়গায় বসছিলেন আলোচনা করেছিলেন তারা আশাবাদীও হয়েছিলেন সকল দলকে নিয়ে একটা নির্বাচন করার ব্যাপারে,(আসলেই আশাবাদী হয়েছিলেন কিনা সেটা প্রশ্নসাপেক্ষ) এত কিছুর পরেও ক্বন তারা ব্যার্থ হলেন? কোন বিষয়টি তাদের ব্যার্থ করল? পারস্পারিক অবিশ্বাস, জেদ, একগুয়েমী, দুর্নীতির বিচারের ভয়, হত্যাকান্ডের বিচারের ভয়? সবাই হয়তো এক বাক্যে বলবেন হ্যা এগুলোই! কিন্তু সত্যি যদি আমরা এই সমস্যা গুলো চিহ্নিত করতে পারি তাহলে ওষুধ দিচ্ছিনা কেন? রোগ মহামারী আকার ধারন করলে তো এন্টিবায়োটিক দিতে হয়, কিন্ত আমরা সেটা কেন করছিনা? অথবা করলেও সেটা কাজে আসছে কি?

 

যদি এগুলোও প্রধান সমস্যা না হয়, তাহলে কি সমস্যা, আমরা যার সমাধান করতে দশকের পর দশক চেষ্টা করছি কিন্তু সমুদ্রের নোনা পানিতে ডুব দিয়ে জল খেয়ে শুধু কাশিই আসছে কিন্তু তরী খুজে পাচ্ছিনা! ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল পাকিস্তানীদের বর্বর শোষনের, অর্থনৈতিক বঞ্চনার প্রতিবাদে, কোন নির্দিষ্ট আদর্শ তখন জনগনের মাথায় গেড়ে বসতে পারেনি। যদিও বলা হয়ে থাকে, পুর্বাঞ্চলের দল আওয়ামীলীগ সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির নীতি, ও ধর্মনিরপেক্ষতা লালন করতো ফলে আমরা বলে থাকি সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। কিন্তু যে দেশের সাধারন মানুষ বা আম আদমিদের প্রতিদিন এক কেজী চাল জোগাড় করতে সংগ্রাম করতে হয় তারা আদর্শ বা চেতনা কি ডালের সাথে ধুয়ে খাবে না মাথায় পট্টি বেধে সম্মান করবে তার কি বুঝে? সাধারন মানুষ তখন চিনতনা মাও সেতুং বা কার্ল মার্ক্সকে তারা চিনত শেখ মুজীবকে, যেমনটি তার পূর্বে চিনত শেরে বাংলাকে, যিনি তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা বীরদর্পে সমাধানের জন্য দাবী জানাতে পিছপা হতেননা! অসমাপ্ত আত্মজীবনী তে তিনি একজায়গায় উল্লেখ করেছিলেন, শেরে বাংলার বিরোধীতা করতে গিয়ে তারা সাধারন মানুষের থেকে বিরূপ মন্তব্য শুনেছিলেন, তাদের মন্তব্য ছিল, আর যাই বল না কেন শেরে বাংলার বিরুদ্ধে বলবানা কারন তিনি কৃষকদের অধিকার আদায় করেছিলেন! বোধকরি শেখ মুজীবও তার এই চরিত্র থেকে শিক্ষা নিয়ে জনকল্যানে কাজ করেছিলেন বলেই আজকের এই বাংলাদেশ শেখ মুজীবের আঙ্গুলী হেলনে প্রতিষঠিত হয়েছে! সত্যিকার অর্থেই তিনি বাঙ্গালী জাতির পিতা কারন তিনি এই আধুনিক যুগে বাঙ্গালীদের একটি স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের পর আমরা সেই শেখ মুজীবের সেই বলিষ্ঠ ভূমিকা লক্ষ করিনি! আমরা তখন  যা দেখেছিলাম, তার সাথে বর্তমানের তুলনা চলে। ১৯৭২ এর পরে শেখ মুজীবের কি এমন হয়েছিল যে, আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তার অধিকারী একজন নেতা মাত্র ২ বছর শাসন করেই অজনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন? এর উত্তরও হয়তো আমরা বর্তমান শাসনামলের(১৯৯০-২০১৩) এর ইকে তাকালেই বুঝতে পারব! সে যাই হোক, তার জবাবে ১৯৭৫এর ১৫ আগস্ট গ্রহযোগ্য নয়। তবে তিনি এনিয়ে তাজউদ্দীন আহমেদের কাছ থেকে সতর্কবানীও পেয়েছিলেন, কিন্তু কারো পরামর্শ শোনা হয়তো তার স্টাইল ছিলনা, যেমনটি আমরা এখনো তার উত্তরসূরীদের মাঝে দেখতে পাই। সেই রক্তাক্ত ইতিহাসের জবাবে কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত করার সাহস পায়নি বা করেনি এই জাতি! এর পরে আরেক রক্তাক্ত ঘটনা ঘটেছিল মেজর জিয়ার উপর, তারও প্রতিবাদ পর্যন্ত করার সাহস পায়নি বাঙ্গালী!

 

এখন যদি বলা হয়, জনগনের মাঝে রাজনৈতিক সচেতনতার অভাব রয়েছে, সেটা কি কোন যুক্তিসঙ্গত উত্তর হবে? কোন চায়ের দোকানে গেলে দেখা যাবে, একজন চা বিক্রেতা অথবা একজন কৃষক একজন অধ্যাপক বা একজন অন্য পেশায় নিয়োজিত ব্যাক্তির চেয়ে রাজনীতির খবর অনেক বেশী জানে! অবাক করা বিষয় হলেও এটাই সত্য। তাহলে সচেতনতার অভাবের যুক্তি ধোপে টিকেনা। কিন্তু প্রশ্ন হল রাজনীতি নিয়ে খবর রাখা, কে কারে হারাতে পারছে, কাকে কে কথা দিয়ে, কর্মসূচী দিয়ে ঘায়েল করতে পারছে কার কেলেঙ্কারি ফাঁস হইছে এই নিয়ে চায়ের কাপে ঝড় তোলাই কি রাজনৈতিক সচনতা? বাঙ্গালীর কাছে তাইই। যই বাঙ্গালীর কাছে রাজনৈতিক সচেতনতার মানে হইতো, শক্তিমানের অন্যায়ের শক্ত প্রতিবাদ, শাসকের অনৈতিক নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো, ৫ বছরে একবার ভোট দিয়ে চুপটি করে ঘরে বসে না থেকে নিজেদের অধিকার আদায় করে নেয়া, নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করা তাহলে হয়তো এই পরিস্থিতি আমাদের দেখতে হইতোনা! সরকারী দল একের পর এক অনৈতিক কর্মকান্ড করে যাচ্ছে, বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিচ্ছে, একের পর এক কেলেঙ্কারি হচ্ছে, বিরোধী দল কর্মসুচী দিচ্ছে পালন করতে পারছেনা, জনগনকেও সেভাবে কাছে পাচ্ছেনা, বিরোধে দলও সহিংস কর্মসূচী দিচ্ছে কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছেনা! জনগন বলে দুই দল মারামারি কামড়াকামড়ি করতেছে আয় আমরা নখ টাকাই, আর মজা দেখি, এই হল বাঙ্গালীর রাজনৈতিক সচেতনতা। (চলবে)

 

আজ হাত ব্যাথা করতেছে, আরেকদিন শেষ করব! হাজার হোক বাঙ্গালী তো

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: ২০০৭ সালের বাজে নির্বাচন আর্মি থামিয়েছিল । আর কত এই বাজে পদ্ধতি ? সমাধান চাই, যদিও আমি জানি না, কিভাবে ।

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: চলুক

৩| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৫

মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: চলুক

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.