নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"রব হিসেবে আল্লাহকে, দীন হিসেবে ইসলামকে ও নবী হিসেবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পছন্দ করেছি।\"কোনো দল পছন্দ করি না, তবে সরকারের হিতাকাঙ্খী ও তার ভালো কাজের সহযোগী হওয়া পছন্দ করি।

মুনাজির

যা বলবো সত্য বলবো, তবে সব সত্য বলবো না।

মুনাজির › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেউ আমাদের নয়

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫

কেউ আমাদের নয়: জিন্নাহ, ইয়াহিয়া, ভুট্টু, মুজিব, জিয়া, ইরশাদ ও খালেদা-হাসিনা। না, তারা কেউ ইসলাম ও মুসলিমের পক্ষের নয়, যদিও তাদের পরিচয় মুসলিম। তারা সবাই এক সিলেবাসের ছাত্র, ক্ষমতার জন্যই তাদের সবার রাজনীতি। কেউ সংসদ, সংবিধান কিংবা রাষ্ট্রীয় নথিতে ইসলামের চিহ্নটুকুন বরদাস্ত করতে পারেননি, বরং তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন। কেউ সাদরে গ্রহণ করেছেন, বরং জায়গা দিয়েছেন। কেউ দুধ-কলা-ভাত দিয়ে আল্লাহ ও তার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালমন্দ করান; কেউ করাননি। কারো আমলে নাস্তিক-মুরতাদ-বৌদ্ধ-হিন্দু ও বামেরা আকাশের চাঁদ হাতে পায়, পক্ষান্তরে নবীর ওয়ারিশ আলেম সমাজ ও ডানেরা অগ্নি পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। তবুও তারা মুসলিম, যদিও তার পাঁচ পয়সা মূল্য নেই; তবে যারা ইসলামের পক্ষে কিছু না করতে পারলেও বিদ্রোহ করেনি, তাদের বিষয়টি আল্লাহর উপর সোপর্দ।



পাকিস্তানীরা পশ্চিম পাকিস্তানকে পূর্ব পাকিস্তানের উপর প্রাধান্য ছিল, একই কায়দায় গোপাল গঞ্জিরা গোপাল গঞ্জকে বাংলাদেশের অবশিষ্ট ৬৩-জেলার উপর প্রাধান্য দিচ্ছে চাকুরী, উন্নয়ন ও দলবাজিতে; এ ক্ষেত্রে ফেনি-বগুড়া ও রংপুরিরাও কম যায়নি। তারা সবাই মুদ্রার এপিট-ওপিট, পার্থক্য খুব সামান্যই।



বাংলাদেশের অধিকাংশ মাদ্রাসা দেওবন্দের সিলেবাসে পরিচালিত হয়, অধিকাংশ মানুষ এবং তারা নিজেরা মনে করে তারাই হক, বস্তুত তাদের সমস্যারও অন্ত নেই। সঠিকভাবে তাদের মাঝে কুরআন-হাদিসের চর্চা নেই, ফলে তারা কিচ্ছা-কাহিনী, বুজুর্গদের বাণী-মালফুজাত, কুসংস্কার ও জাল-দায়িফ হাদিসে আপাদমস্তক নিমজ্জিত। তারা ইসলামি আকিদা বুঝে না বললেই চলে, ফলে তাদের আকিদার ভ্রান্তিরও শেষ নেই। অজ্ঞতার বাহানায় কুরআন-হাদিস ত্যাগ করা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তারা হক্কানী পীর ও বাতিল পীর দু’ভাগে বিভক্ত, অথচ সব পীরই বাতিল।



কুরআন-সুন্নাহ ও সত্যের অতি নিকটবর্তী আহলে হাদিস, কিন্তু তারাও আহলে হাদিস নামে দলবাজিতে লিপ্ত। তারা দলবাজি বাদ দিয়ে যদি কুরআন, সুন্নাহ ও সহি আকিদা প্রচার করত, তাতেই উম্মতের মঙ্গল ছিল। অধিকন্তু তাদের ইলমও বর্তমান উচ্চস্বরে আমীন, বুকে হাত বাঁধা, পায়ে-পা মিলানো ও কাঁধে-কাঁধ মিলানোতে সীমাবদ্ধ, আকিদার ক্ষেত্রে তারাও দিনদিন মিসকিন হতে চলেছে, বরং কেউ পাক্কা মিসকিন বনে গেছে। তাদের বিপরীতে কতক সালাফী দলবাজি ও আহলে হাদিস নাম ত্যাগ করে, অনুরূপ কতক দেওন্দী দেওবন্দী নাম ত্যাগ করে নীরবচ্ছিন্নভাবে কুরআন ও সুন্নাহ বলে যাচ্ছেন, সঠিক আকিদা প্রচার করছেন ও বিশুদ্ধ আমলের দাওয়াত দিচ্ছেন, তারাই সঠিক কাজ করছেন।



তাই মুখে নয়, কার্যত কুরআন ও সুন্নার উপরে উঠে জানান দিতে হবে আমি মুসলিম। মুসলিম আমার ভাই, হোক সে পাকিস্তানী, ঈমান আমার ঐক্যের মাপকাঠি। কোনো কাফির আমার বন্ধু নয়, হোক সে হিন্দুস্থানী, তাকে আমি কোনোভাবে আমার দেশে কর্তৃত্ব করার সুযোগ দিতে পারি না, তবেই সত্যিকার মুসলিম। অন্যথায় নামাজ, রোজা, সদকা, যাকাত, হজ ও ইনশাআল্লাহ বলার কোনো মূল্য নেই, বাহ্যত মুসলিম হলেও প্রকৃত পক্ষে মুরতাদ-কাফির ও চিরজাহান্নামী। আল্লাহ আমাদেরকে মুসলিম হওয়ার তৌফিক দিন।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:২৯

হাতীর ডিম বলেছেন: তেতুল শফি আর গোলাম আযম নীজামিদের জামায়াত সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

মুনাজির বলেছেন: “নারীরা তেতুল তুল্য” মন্তব্য করা শফী সাহেবের পক্ষে সমীচীন হয়নি, তবে যারা তার তেতুল থিউরিকে মাথায় তুলে নাচছেন, তাদের অনেকেই নারীদেরকে তেতুলের মতই ব্যবহার করেন। একজন সুন্দরী নারী দেখে পুরুষের মন তার দিকে ধাবিত হওয়াই স্বাভাবিক, যেরূপ একজন নারী সুঠাম ও স্বচ্ছল পুরুষকে পেতে কৌতুহলী হয়। এ জন্য অনেক নারী নিজের স্বামী-সংসার ও সন্তান পর্যন্ত ছেড়ে অপর পুরুষের সাথে পারি জমায়, যেরূপ একজন পুরুষ স্ত্রী ও সন্তান থাকা সত্যেও অপর নারীকে ঘরে তুলে। তাই অনেক আগেই পশ্চাত্যের অনেক মনীষী নারীদের তেতুল তুল্য বলেছেন, তবে শফী সাহেবের এরূপ মন্তব্য করা ঠিক হয়নি।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩০

হাতীর ডিম বলেছেন: তেতুল শফি আর গোলাম আযম নীজামিদের জামায়াত সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

মুনাজির বলেছেন: ইসলাম জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা সমর্থন করে না, কিন্তু শফী সাহেব ও গোলাম আযম সাহেবগণ জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী না হলেও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, তাদের ভাষায় ইসলামী গণতন্ত্র, যদিও গণতন্ত্র কখনো ইসলামী হয় না, তবে জাতীয়তাবাদ ও গণতন্ত্র নাস্তিকতার দ্বিতীয় প্রকার ধর্মনিরপেক্ষতার ন্যায় সরাসরি আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে না, তাদের কুফরি ও ভ্রান্তি ধর্মনিরপেক্ষতার তুলনায় অনেক কম। ধর্মনিরপেক্ষতা যেভাবে আল্লাহ ও তার রাসূলের অনুসারীদের সাথে তথা ইসলাম ও মুসলিমের সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা করে, সেটা তারা করে না। ধর্মনিরপেক্ষতার অনুসারীরা স্থায়ীভাবে জাহান্নামী। তাদের নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত ও আল্লাহ আল্লাহর বলার কোনো মূল্য নেই। আমাদের দেশের অধিকাংশ আলেম ইসলামি আকিদার ক্ষেত্রে মিসকিন, এ জন্য তাদের অনেকে এসব বিষয় জানে না।

৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৮

হাতীর ডিম বলেছেন: ইস্লামের পক্ষের কে?

৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

হাতীর ডিম বলেছেন: "পশ্চাত্যের অনেক মনীষী নারীদের তেতুল তুল্য বলেছেন"

কোন কোন মনিষী বলেছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.