নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপেক্ষা

২৮ শে মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৪২

কখনও কখনও মনের শক্তিটা কিভাবে যেন সবচাইতে বড় দূর্বলতা হয়ে ওঠে
একটা মেয়ে ছিল।যে একটা ছেলেকে পাগলের মতন ভালোবাসতো। ছেলেটার সাথে যেটুকু সময় সে অতিবাহিত করত, সেটুকু সময়ে সে নিজেকে পৃথিবীর সবচাইতে সুখী মানুষ মনে করত। তার মনে হত, একটা মানুষ আছে তার পাশে, তার আর ভয় কিসের? পৃথিবীর যেকোন বাধার মুখোমুখি সে হতে পারবে যদি সেই মানুষটা তার হাত ধরে থাকে। নিয়তির পরিহাস- একটা সময় ছেলেটা কোনকিছু না বলে তাকে ছেড়ে চলে গেল। সেই যে গেল, আর ফিরে এলো না... আর মেয়েটা? হারিয়ে গেলো। নিজেকে বেমালুম ভুলে গেলো।
একটা ছেলে ছিল,খুব সাধারন। সেও তার প্রেমিকাকে ভালোবাসতো নিজের সর্বস্ব দিয়ে। নিজেকে গুছিয়ে এনেছিল মেয়েটাকে বিয়ে করবার জন্য। আস্তে আস্তে স্বপ্ন সাজাচ্ছিল। একদিন মেয়েটার পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের চাপ এলো। মেয়েটা বলল- আমি আমার পরিবারের অমতে বিয়ে করতে পারব না। ছেলেটা খুব করে অনুরোধ করল মেয়েটা যেন তার পরিবারকে ছেলেটার কথা বলে। ছেলেটা তাকে বিয়ে করবে এখুনি। কোন এক অজানা কারণে মেয়েটা তার পরিবারকে ছেলেটার কথা বলতে পারে না। এদিকে ছেলেটাও মেয়েটার পরিবার পর্যন্ত যায় না, যদি আবার মেয়েটা প্রশ্নের সম্মুখীন হয়! ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় তাদের। ছেলেটা হারিয়ে যায়। নিজেকে হারিয়ে ফেলে। যে ভালোবাসা তার সবচাইতে বড় অবলম্বন ছিল, যাকে আঁকড়ে ধরে ছেলেটা নিজেকে গুছিয়ে এনেছে সেই ভালোবাসাই ছেলেটাকে ছুঁড়ে ফেলে দিল মহাকালের অতল গহ্বরে!
কখনও কখনও সামান্য তম একটু চাহুনী,একটু পাশে থাকা একটু আছিতো এইটুকু বলা সামান্যতম একটি ল্যাংড়া ছেলেকে যুদ্ধ জয় করার প্রেরনা দেয়,এক ছন্নছাড়া আঁধা শেষ হয়ে যাওয়া মেয়েটাকেও নতুন করে জীবন সাজানোর প্রেরনা দেয়।অনেক সময় ছোট্ট একটা চার অক্ষরের কথা যে মানুষকে কিভাবে যুদ্ধ জয় করতে শেখায় তা বলে বুঝাতে পারবো না।
তবুও সব গল্পে সবসময় হ্যাপী এন্ডিং হয়না,কিছু গল্প অধরাই থেকে যায়।এই পৃথিবীতে যত মানুষ হত্যার দায়ে শাস্তি পেয়েছে,তার থেকে বেশী শাস্তি পেয়েছে ভালবাসতে গিয়ে।হয়তো এই প্রথা চলবে আজীবন,তবুও কিছু চাহুনী কিছু কিছু ডাক আমাদের বাঁচতে শেখায়,পাগলের মত ঝাপ দিতে বলে আগুনে,সে আগুনও কত মায়াময়ী
এতো কিছুর পরও আমরা ন্যাড়াবাহিনী বারবারই বেলতলায় যাই। আমাদের কাছে ভালোবাসা, সম্মান, মানসিক টান, কথা-রাখা এসবই বড়! এসবের প্রতি লক্ষ্য রাখতে রাখতে একটা সময় নিজেদের সবচাইতে বড় অবলম্বন সবচাইতে বড় দূর্বলতা হয়ে ধরা দেয়।কখনও কখনও একটা নম্বর এ কল কখনও ধরবেনা জেনেও ১০০১ তম বারে,ইসস্ আরেক বার দি যদি ধরে।কখনও কখনও নিজে কাঁক ভেজা হয়ে কাউকে আগলে রাখতে ভাল লাগে,সময়কে থমকে দিয়ে দৈখার অপেক্ষায় ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ দিতে ভাল লাগে,হাজার নিশ্চুপতাও ও একটু হুমম শুনতেও ভাল লাগে কিন্তু কেন? কারণ, এসবের কোন সমাধান আমি জানিনা বা দেখি নাই সব সময়(a+b)^2 এর সহজ ফর্মূলা জীবনে চলে না,কখনও কখনও পীথাগোরাসের খটমটে উপপাদ্য ও জীবন,যুক্তিহীন ভাবে কারও জন্যে জীবন কাটিয়ে দেয়াও জীবন।সবসময় ভালবাসা টং টং ঘন্টা বাজিয়ে আসে না,গিটার ও বাজে না টুংটাং,কিছু প্রেম আসে অনল প্রবাহের মত আগুন জ্বালাতে চিতার আগুন,ভাঙ্গতে আসে বিদ্ধস্ত করতে আসে, আসুক তাতে ক্ষতি কি?
বহুকাল পরে কখনও যদি আমায় প্রশ্ন করা হয় জীবনে তুমি কি হতে চেয়েছে,আমি বলে দিতাম এক নিঃশ্বাসে
আমি সেই ভেঙ্গে চূড়ে যাওয়া নেশাখোড় ছেলেটার,কোন এক বাকশালী প্রেমিকার ধমক খেয়ে রাতের তারাতারি ঘুমিয়ে পরা ঘুম হতে চেয়েছি
আমি সবার আড়ালে কাজল লেপ্টানো দুফোঁটা চেখের জল ফেলা বালিকার,"আমি আর কাউকে বিশ্বাস করতে পারিনা বলে দেয়া অভিমানের কথামালার"কষ্টকে রাবার দিয়ে মুছে ফেলা বিশ্বাসের মানুষ হতে চেয়েছি"

এর এই শুদ্ধতম প্রেমের জন্যে অপেক্ষা করতে ক্ষতি নাই,কোন ক্ষতি নাই।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.