নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৪৫

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১২:০৬

ক্লিওপেট্রা
তোমার জন্য,হ্যা শুধু তোর জন্য হৃদপিণ্ডের ঠিক মাঝখানে? কি নির্মম! যন্ত্রণা হচ্ছে তুমি জানলে না, জানতে চাইলে না,বুঝলে না ,বুঝতে চাইলে না।
শুধু একবার তোমাকে দেখার ফলে,তোমার ঐ ঘাতক চাহুনী বুকের পাঁজরে কত শত চিহ্ন দিয়ে আজ ভালোবাসার উপাখ্যান রচিত হচ্ছে,হৃদয় পুড়ে অঙ্গার হচছে প্রতিটি মুহূর্তে তোমাকে ভালোবাসার অপরাধে,কারণ একটাই তোমাকে ভালো বেসেছি। আমি না হয় তোমাকে ভালোবেসেই মরলাম।তবুও একজীবনে এটাই চাই ঐ জল পদ্মের ন্যায় আঁখিত আমার ছায়া একটু দেখতে চাই।আমি চাই তোমার তপ্ত নিশ্বাস আমার ওষ্ঠ পুড়িয়ে দিক ঠিক যেমন আগুন লাগা দুপুরে ছাদে হেঁটে গেলে অনুভূতি হয়।আমি চাই একবার শুধু হাতে হাত রেখে দেখো, শীতল হয়ে যাবে তোমার হৃদয়।
ঘরে আগুন লাগানো ঘোরতর পাপ, তার চেয়েও বড়-মনে আগুন লাগা,
অথচ তোমাকে দেখে মনে বইছে সাহারার লু হাওয়া।বেশি দূর যেওনা কোথাও,এক দিনের জন্যেও নয় কারণ।কারণ, কি করে বলব তোমায়, একটি দিন দীর্ঘ কতখানি,কী নিবিড় অপেক্ষায় থাকি তোমার, যেভাবে পড়ে থাকে একটি ফাঁকা ইস্টিশন, সব রেলগাড়ি এক কাতারে ঘুমুতে চলে গেলে এক প্রহরের জন্যেও যেওনা কোথাও।কারণ তীব্র যন্ত্রণার ঘর্মাক্ত ফোঁটাগুলি মুহূর্তেই গলগল করে নদী হয়ে যাবে।আর যে গৃহহীন ধোঁয়া, ঘর খোঁজে অবিরাম,তারা আমার নিখোঁজ হৃদয়ে ঢুকে প'ড়ে, শ্বাসরুদ্ধ করবে আমায়।বালিয়াড়ির ওপর হাঁটতে গিয়ে মিলিয়ে যেও না তুমি
তোমার চোখের কাঁপন যেন পথভ্রষ্ট না হয় শূন্যতায় এক লহমার জন্যেও যেও না কোথাও প্রিয়তমা কারণ সেই এক নিমিখে তুমি হয়ত যোজন দূরে হারিয়ে যাবে।আর সমস্ত পৃথিবী হাতড়ে, আমি বিভ্রান্তের মত,
প্রশ্ন করব, আর্তনাদ, তুমি কি আসবে? আমায় কি এইভাবে ফেলে রেখে মরতে দেবে তুমি?কি যে দিনকাল যাচ্ছে কবে যে কোপ খেয়ে মরে থাকি।আমি পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়ার আগে ঐ বিশুদ্ধ আঁখিতে এক বার মোর আঁখি রেখে বলতে চাই,জানো তুমি হীনা এক জীবন কত নিষ্ঠুরতার কষ্টে কেটেছে?কতটা অপেক্ষায় ছিলাম তপ্ত রাস্তার মত তুমি বৃষ্টি হয়ে নামবে বলে।হাতটা ধরো চল পাড়ি দি এক মহাকাল।তুমি ছাড়া যে আমার স্বর্গও রোচে না।বড্ড ভালবেসেছি যে তোমায়।
কেউ না জানুক তুমি ঠিকই জানো আমি তোমার অপেক্ষায় আছি ।ঘাড়ত্যাঁড়া ছেলেটা সারাজীবন তার ঘাড় ব্যাকা করেই রাখবে আর বেহায়া এই আমি তোমার শত বিরক্তি আর অবজ্ঞার চাহুনীর পরও কোনদিন হায়া হবে না।
দেখতে অসম্ভব লাগা একটা সম্পর্কে একজন এই আমি সারাজীবন তোমাকে ভালোবেসে যাবে ।আর আরেকজন কেউ তুমি ছাড়া আসবে না এই জনমে।
আসলে তোমাকে কিছু বলার মন করে আসি নি,তবু একবার বলে দেবো,
কয়লা হওয়ার আগে বজ্রপাতের ময়লা কুড়িয়ে স্বপ্ন বানিয়ে দেবো,
একবার বলে দেবো ''সব'' ... তোমাকে কোথায় কবে শুরু সেসব গুণে রাখিনি,গুণে রেখেছি ঐ চোখের গুণ,খুন হওয়ার পরে রক্ত প্রতিফলন দেখতে চাই সেখানে,চোখ বুজে থাকলেও আমি তোমার শিহরণে।।
অস্বীকার না থাকলে আর ভালবাসা কেন?স্বীকার্য তো ভেতরে, বাহির জানবে কেন?জীবনে ''একবার'' সব বলে দেবো তোমাকে,ঐ ''একবার'' সামলে নিও তাহলেই হবে।খুব কম ই চেয়েছি,কোথায় কবে শুরু সেটা মনে মনে থাকুক,মর্তে আগুন লাগলেও ভেতর বেঁচে থাকুক।
''একবার'' বলতে আসব,''একবার'' চাইতে আসব,
তারপর আর কখনও না.সেটা যতটা আমি বুঝি, তার চেয়েও বেশি তুমি।
পরিশেষে বলি এটাই,
ক্লিওপেট্রা তুমি কি জানো হেসে ওঠার আগে পৃথিবী ছিল বিষণ্ণ।
বাগান ছিল জঙ্গল,আর আমি ছিলাম সন্ন্যাসী!তুমি এলে তাই শতজন্মে ধরে জন্মেছি বলতে তোমায় ভালবাসি।
ইতি
জুলিয়াস সিজার

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ১:৫৮

অঘ্রান প্রান্তরে বলেছেন: ..................।

০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ৮:১৯

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: এটা কি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.