নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৭৪

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ২:১২

বালিকা,
ভালোবাসার কথা আটকে রেখে লাভ কী?সারাটা জীবনই তো ভালোবাসাকে আটকে-আটকেই কাটিয়ে দিলাম। কী এমন লাভ হল ওতে,
বল? এখন আর আগের মতন নেই আমি। তার চেয়ে বলে ফেলি,"ভালোবাসি" ।বেশি হলে এই টুকুইতো বলতে পারবে-"যাও ভাগো!",, না?আমার ভালোবাসাটা তো আর কমিয়ে দিতে পারবে না!যার হৃদয়ে ভালোবাসা আছে, সে তো কখনোই রিক্ত নয়। আমি ভালোবেসে না হয় পূর্ণ হয়েই থাকব! হোক সেটা পূর্ণতার ব্যর্থ অহংকার! তবুও ভালোবাসি বালিকা...!
বালিকা তোমাকে ছোঁয়া যায় না,পূর্নিমার চাঁদের মত।গ্রামীণ গন্ধের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসে -স্বপ্নমাখা এক অপূর্ণ সন্ধ্যায় মুখোমুখি হয়েছিলেম তোমার ।শীতের রাতের মত,মাদকের মত সে তুমি এক বিপর্যস্ত নেশা ।
ইতিহাস থেমে গেছে তোমায় মায়াবী চাহুনী দেখে,বৃষ্টি ধোয়া শহরে হাল্কা শীতের রাতেও আমি খুব ঘেমেছি,বাষ্পকে আমি পুণর্জন্ম দিয়েছি।তোমার খুন করা চাহুনীতে আমি শত শত বার খুন হয়েছি।অনামিকা তুলে জাগিয়ে দিয়েছ আমার ঘুমন্ত ভালবাসাকে ।
প্রিয় একলাবতী,
এক সন্ধ্যায় জরাজীর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটিকে সাজিয়েছ আকাশগ্রন্থিতে, নির্বিকার হয়ে সোডিয়াম বাতিকে করেছ সন্ধ্যাপ্রদীপ ।আমার পূর্ণ পূর্ণ অপূর্ণতা পরিপূর্ণ হচ্ছে ,তুমি বেজে উঠছ পিয়ানোর রীডে ,পৃথিবীর ব্যাকগ্রাউন্ডে রবিশংকরের সেতারে ,চৌরাসিয়া ,লুদভিকো একে একে পেরিয়ে স্যট্রিয়ানি অথবা গিলমারের গিটারে।প্রিয়তমা তুমি অনিয়ন্ত্রিত অনবদ্য এক ইন্সট্রুমেন্টাল ।সান্ধ্যকালীন সূর্যকে গোলাপী আভা করে
তোমার কোমল ঠোঁটে আশ্রয় দিয়েছ।
ওড়নার নাম করে বন্ধনী তোমার বক্ষমাঝে জড়িয়ে থাকবে আজীবন;আমিও যৌথ হব তার সাথে ,হৃদয় তোমার রক্তপ্রবাহে মিশে গিয়ে ভুলিয়ে দেব সকল দুঃখগাঁথা ।
আমার প্রনয়িনী ,আমার কল্পনা , আমার যাবতীয় টেনসন।তোমার চারিপাশ মুখরিত অজস্র মিছিলের স্লোগানে,অগ্রগামী হয়ে আমি এসেছি
এসেছি কিছু ভালবাসার হাহাকার আর চিৎকার নিয়ে,নিখুঁতভাবে সমর্পণ করেছি নিজেকে তোমারই কাছে,যেমনটা যোদ্ধারা করেছিল ৭১'এ যেথায় কোন ভয় নাই কোন ক্ষয় নাই।আছে শুধু তোমাকে জয় করার অদম্য ইচ্ছে।আমার সমস্ত হৃদয় ফটোকপি করে রেখেছি ;যা প্রতিদিন এক একটি করে বিলি করছি তোমারই নামে।আমি যেন আটকে গেছি ঐ চোখেরই মায়াতে।আমি আটকে গেছি নিশ্চত সুখ মৃত্যুতে।বৃষ্টিমুখর এই সন্ধ্যার শরীরে,মুহূর্তের খেয়ালে ছিটিয়ে দিলে উন্মাদ ঘূর্ণিঝড় ,ঝড় শেষে আমি তবুও আমার সর্বনাশ ই চাই ,কোন ক্ষতিপূরণ চাই না নারী ।
প্রতিটি সকালে উপস্থিত আমার প্রতি কাপ চায়ে তোমার চুমুক মিশে থাকে।যতটুক ছিল নিশ্চুপতা তোমার, হয়ে যায় অভিভূত,রাতঘুম শেষে আমার ভালবাসা পিপাসার্ত ট্রেনের মত ।তোমাকেই চাওয়ার অদম্য প্রার্থনা র হাহাকারে একাকার হয় নীলক্ষেত , ফুলার রোড , চানখাঁরপুল আর কমলাপুরের জসীমউদ্দিন রোডের বৃষ্টিমুখর রাতগুলো।তুমি ভরিয়ে দাও আমার হৃদয় তোমার শরীরের কিছু মৃষ্টি হাস্নাহেনার গন্ধে ।যান্ত্রিক এ শহরের কাছে পাঠানো খামে চিঠির বদলে,তুমি পুরে দিয়েছ তোমাকে চাওয়ার খেয়াল।প্রিয় খাবার ভেবে ঘড়ি খেয়ে নিচ্ছে সময় ,বিকেল খাচ্ছে দুপুর,বাক্যে খাচ্ছে অক্ষর ,উচ্চতার পিঠে প্রস্থ ,বৃত্তের কাছে ব্যাস,কল্পনার কিছু গ্যাস হয়ে ছিল আমার শরীরে ।ঐযে তুমি দাড়িয়ে আছ আমার অস্থির হার্টবিট নিয়ে ,বর্তমানকেই বিরতিহীন ইতিহাসে গেঁথে
অনির্বাণ করেছ সময়কে ।
কিছু শীতল বাতাস আমার হাহাকার নিয়ে সহজভাবে বঙ্গোপসাগর হতে
নেমে এসেছে তোমার শরীর ছুঁয়ে ,বাতাসের গায়ে সূর্যের বদলে তোমার মিষ্টি গন্ধ ছিল ।
টাটা ট্রাকগুলো দেখলেই নেশা লাগে চোখে,জংধরা অসভ্যতায় ঝাঁপ দিতে মন চায় তুমিহীনা একাকিত্বে,আমার মনে পড়ে যায়,রাস্তা জিনিসটা আমি কোনকালেই ভালভাবে বুঝতে পারিনি ।আমি মঙ্গাপীড়িত ,শীতার্ত বা বন্যার্ত কেউই না,ওসব হতেও চাই না নতুন করে ।আমি গভীর চুমুগ্রস্ত কেউ হতে চাই ,বালিকা শুনতে পাচ্ছ ?
সহযোগিতার হাত চাই না,পাজরভাঙ্গা আলিঙ্গনের জন্যে তোমার দুবাহুর হাতকড়া চাই।ফিরে তাকাও বালিকা !নির্বোধ আমিও এখন উন্মাদ চরমপন্থী ,আর কতদিন দেখব তোমার অসহ্য নৈঃশব্দের দিগ্বিদিক জলাঞ্জলী ?ভালবাসার উষ্ণতায় ছারখার হবে হৃদয়ে ফসলের ক্ষেত ,
বেপরোয়া প্রেমিকের মত আগুন চাই ।তাবৎ অসুস্থতা দিয়ে,আমাকে সুস্থ কর অথবা নিরুত্তাপ কণ্ঠে মৃত্যুর আদেশ দাও;এক্ষুণি এনে দাও বীভৎস চাপাতির মৃত্যু ,আমাকে ধ্বংস কর,আমার শেষ হোক তবে।টুকরো টুকরো করে আমাকে ছুঁড়ে ফেল কোন এক রাস্তায়।আমার মৃত্যু হবে,গুটিচারেক মানুষ হয়তো করবে প্রতিবাদ কিন্তু কেউ জানবে না আমার মৃত্যু হয়েছে তোমারই নিশ্চুপতায়।
এতটুকুই বলি শেষে "বালিকা তোমাকে ছোঁয়া যায় না ,নারী তোমাকে ছুঁতে পারি না ,প্রনয়িনী তোমাকে ছাড়া থাকা যায় না "
তবুও নিজের ভেতর লালন করা এই তোমাকে জয় করতে আমি প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি।হয় তুমি না হয় আমার নিশ্চিত মৃত্যু হোক।
তোমারই
সংশপ্তক

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৩:০৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: তবুও নিজের ভেতর লালন করা এই তোমাকে জয় করতে আমি প্রকৃতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি।হয় তুমি না হয় আমার নিশ্চিত মৃত্যু হোক

আমি চাই দুজনেই বেচে থাকুন ভাল করে ।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৫

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: শুভেচ্ছা

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১২:১৩

কানিজ রিনা বলেছেন: বেপরোয়া প্রেমীক উন্মাদ চরমপন্থি, হা হা হা
ধারুন। হে উন্মাদ প্রেমীক সুখে থাকুন প্রেমের
রাজ্য কায়েম হোক। ধন্যবাদ

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:০৭

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আপনি এতদিন পরে,ভালই লাগে আপনার ট্রলিং।হাহাহা

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ প্রতি উত্তরের জন্য ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.