![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয়তমা তোমাকে ছুঁতে পারিনা
মুষ্ঠিবদ্ধ বরফের মত
এই সাতশত বছর পেড়িয়ে দেখা হয়েছিল
কোন এক বিবর্ণ রাতে তোমার আমার
শেষ চায়ের চুমুকের মত,প্রথম চুম্বনের মত
তুমি এক ভয়াবহ নেশা।
ভালবাসা আমার চিরকাল থেমে আছে তোমার শাড়ীর ভাজেতে
সে তোমাকে আহবান করে আমার মত পুরো শহর ঘেমেছে।
তুমি বাচ্চামিকে নিয়ে গেছ শিল্পের পর্যায়ে
তুমি আমার সবচেয়ে প্রিয় নামের পূর্নজন্ম দিয়ে
ভালবাসাকে মারনাস্ত্রের ন্যায় জাগিয়ে তুলেছো।
কোন এক শুভ দিনে তুমি ধ্বংসপ্রাপ্ত এই আমাতে
সৃজিত করেছো ব্যাবিলন পুষ্পোদ্যান
বুকের জং ধরা হৃদয় খাঁচাকে
তুমি অপরিবর্তিত করেছো হ্যাজাক বাতিতে
আমার সকল অপূর্নতাকে তুমি ঢেকে দিয়েছো
শতবর্ষের কোন এক উদ্দিপনার চাদরে
পৃথিবীর সকল সুর সঙ্গীত রবি ঠাকুর থেকে অর্নব হয়ে
তুমি বেজে যাও আমার রক্তাক্ত হৃদয়ে
সুহাসিনী তোমার ছন্দময় হাসি মোজার্টের সুরলহরী।
দ্রুপদী ভালবাসাকে গোলাপী আভা করে
তোমার মায়ময় গালে আশ্রয় দিয়েছো ,
তোমার আঙুলে যে আংটি জড়িয়ে থাকে সারাক্ষণ
আমি এজনমেই তোমার সেই আংটির প্রতিদ্বন্দ্বী হবো
হৃদয়ের প্রতিটি রক্তপ্রবাহে মিশিয়ে দেব
আমার সাতশত বর্ষের সকল ভালবাসা।
আমার সুহাসিনী,আমার ঈশ্বরী,আমার বাচ্চাপরী
তোমার চারিপাশ আজানের সুরের মত বাজুক আমার আকুতি
প্রেমিক নয় আমি যোদ্ধা হয়ে আমি এসেছি
এসেছি একজীবনের সকল পরাজিত অভিজ্ঞতা নিয়ে
হয় জয় নয় তোমাতেই ক্ষয় হবো বলে ,
নিখুঁতভাবে সমর্পণ করেছি নিজেকে
তোমার শাড়ীর প্রতিটি ভাঁজে
আমার আত্মাকে তুমি তাবিজ করে রেখেছো
আমি আটকে গেছি এক অদ্ভুত তুমিময়তায়।
তোমার চায়ের কাপের প্রতিটি চুমুকের ন্যায়
তোমার ঠোঁট স্পর্শ করে সেই কাঙ্খিত কাপের ন্যায়
তোমাকে জড়িয়ে থাকা সেই শাড়ীর ন্যায়
হৃদয়ে স্পর্শ করে সেই লকেটের ন্যায়
আমিও সাতশত শতাব্দী অপেক্ষার প্রহর গুনি
তোমায় ভালবাসার চাদরে জরাবো বলে।
যে ভয়াবহ প্রলয় হয় প্রতিনিয়ত তোমায় দেখে
আমি চাই সে প্রলয়ে সংগঠিত হোক শতাব্দীর সবচেয়ে
ভয়াবহ প্রেমময় ক্ষতিই যার ক্ষতিপূরণ
তোমার ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই চাই না আমি।
আমার অপেক্ষার দিনগুলো
তুমি ভরিয়ে দাও তোমার শরীরের চিরচেনা গন্ধে
অফিসের অতি গুরুত্বপূর্ণ চিঠির বদলে-
আমি তোমায় লিখি ১০১ টা প্রেমপত্র
তোমায় ভবে খেয়ে নি অখাদ্য কোন খাবার
তোমাকে ভেবে নিশ্চিত ভাবে হেটে যাই
কোন জল্লাদ ট্রাকের সামনে দিয়ে
পিকেটারের যেমন টিয়ারগ্যাস খায় পিকেটিং এ
তেমনি তোমার চিরচেনা গন্ধ মিশে থাকে আমার শরীরে ।
ঐযে তুমি সহাস্য বসে থাকো চিরচেনা শাড়িতে
আমি এক মহাকাল হয়ে থামিয়ে দি সেই মোহনিয়া সময়কে
মোহনায় যেমন মিলিত হয় সকল স্রোত
তেমনি কিছু মিষ্ট বাতাস আমায় স্পর্শ করে তোমার শরীর ছুঁয়ে ,
আজকাল তোমায় দেখলেই নেশা লাগে চোখে
আদিম অসভ্যতায় ঝাঁপ দিতে মন চায় তোমাতে
আমার মনে পড়ে যায় -
একজনমে আমি তুমিহীনা আর কিছুই ভালভাবে বুঝতে পারিনি
আমি স্বর্গ,শান্তি,পরী,খাদ্য বা জীবন চাইনি কখনও
আমি শুধু তোমার কাছ থেকে একজনমে তোমাকেই চেয়েছি।
১১ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৪৭
সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: কৃতজ্ঞতা
২| ১০ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
স্বতু সাঁই বলেছেন: এক জনমে মানব হলে রে মন,
আর কি জনম লাগে?!
সুখের লাগি ছুটে সারাজগত,
জানি নে সে কোন সুখের লাগি ভাগে!!
কবিতা বড় করলে কবিতার সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। কোন বিষয় ভিত্তিক কাব্য রচনার ক্ষেত্রে আলাদা। বিন্দুতে সিন্ধু দেখার নামই কবিতা। আমি তো চাই এক পংক্তিতেই কবিতা শেষ করতে। ধন্যবাদ শুভকামনা রইলো।
১১ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৬:৪৭
সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: পরামর্শ টি মনে থাকবে
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ৩:৪০
Imtiaz Arnab বলেছেন: অনবদ্য।
১৪ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১৯
সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভাল হয়েছে খুব কবি