নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৯৩

২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩০

বাচ্চা,

শোন পিচ্চি আমি ফুটপাত থেকে নেমে কয়েক পা পিছিয়ে আসবো তারপর রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে চিৎকার করে ডাকবো – “পিচ্চিইইইইইইইইইইইইইইইই” ।মুখ উঁচু করে আমি আবারো ডাকবো “পিচ্চি ইইইইইইইইইইইই”।তুমি সাড়া দেয়া না পর্য্যন্ত ।এভাবে কতভাবে কত বার ডাকি তোমায়।যদি তুমি ডাক না শোন তবুও ডাকবো। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে।
মাঝখানে ঈশ্বর এসে বলবে“একটু জোরে ডাক দাও বাছা, এতো আস্তে ডাকলে কি শুনতে পাবে?”আমি ঈশ্বর কে বললাম “চলুন একসাথে পিচ্চিটাকে ডাক দিই” আমি প্রস্তাব দিলাম ঈশ্বরকে।ঈশ্বর মাথা নেড়ে সম্মতি জানালো ।
এই দেখো“আমি এক,দুই ,তিন গুনবো, তিন বলার সাথে সাথেই ডাকবেন ‘পিচ্চিইইইইইই’।এক.. দুই .. তিন“পিচ্চিইইইইই...” আমরা দুজন ডেকে উঠবো একসাথে ।
তারপর দেখা গেলো কিছু লোক কাজ শেষে বাড়ি ফিরছে। তারা আমার কষ্ট দেখে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে আসবে।তারাও বলবে“চলুন আমরাও আপনার পিচ্চিকে ডাকি” ।আমি সানন্দে ওদের সঙ্গী করে নেবো ।আমি গুনবোএক... দুই...তিন।সব্বাই চিৎকার করে উঠবে—“ পিচ্চিইইইইইই ভাবিইইইইইইইই” ।
আরও অনেকেই এসে আমাদের সাথে যোগ দিবে।আমি অবাক হয়ে খেয়াল করব আধা ঘণ্টার ভেতর চল্লিশ জনের মত লোক জড় হয়ে যাবে । সবাই সুর করে কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে ডাকতে লাগলো “পিচ্চিইইই ভাবিইইইইইই.” ।
তবে এত লোক একসাথে একটা সমবেত চিৎকার দেয়া সহজ নয় । কিছু কিছু লোক হয় আগে ডেকে ফেলছে না হয় পরে ! ফাজিল টাইপের কেউ কেউ আবার অদ্ভুত শব্দ করে চিৎকারের সুরটাই কেটে দিবে।এদেরকে মুরুব্বি গোছের কিছু লোকজন ঘাড় ধরে বের করে দিবে ।
আমরা ঠিক করে নেবো আমি বলব –“ পিচ্চিইইইইইইইইইই” । আর সবাই বলবে –“ ভাবিইইইইইইইইইইই”। ‘পিচ্চি’ শব্দটি ক্রমাগত উচু থেকে নীচে নামবে আর ভাবি শব্দটি নিচু থেকে উঁচুতে উঠবে ।বেশ কিছুক্ষণ এমন করে চলবে । সমবেত চিৎকার চলবে দারুণ ভাবে ।
হঠাৎ বেরসিক একটা লোক আমাকে জিজ্ঞেস করল “ আচ্ছা পিচ্চি বাড়িতে আছে তো ?” আমি বললাম আছে তো শুনছেও সে।! আচ্ছা বাড়ির চাবি আপনার কাছে নেই ?” লোকটা আবারো জানতে চাইল ।“ চাবিতো আছেই” আমি নির্বিকার ভাবে উত্তর দিলাম ।“ তাহলে উপরে গিয়ে দেখছেন না কেন ?“ এইটা তো আমার বাড়ি না” ।“তাহলে এইটা কার বাড়ি ?আমি বললাম পিচ্চির।“তাহলে কেন আপনি এখানে দাঁড়িয়ে পিচ্চি পিচ্চি করে চিল্লাচ্ছেন ?” একজন কেমন বিব্রত ভাবে প্রশ্ন করলো ।
আমি বললাম আমার আকুতি দিয়ে ডাকছি আর সবাই স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েছেন চিৎকারে”আমার কণ্ঠে বোধহয় কিছুটা উত্তাপ থাকবে তখন।এক সৌম্যদর্শন বৃদ্ধ সামনে এগিয়ে আসবে আর বলবে“দেখুন, গণ্ডগোল করে লাভ কি ? তাঁর চেয়ে চলুন আমরা শেষবারের মত সবাই এই বালকের পিচ্চিকে ডাকি, তারপর বাড়ি চলে যাই”।
সবাই সম্মতি দিল ।
আমি বললাম, এক... দুই... তিন
সবাই একসাথে চিৎকার করে উঠল—“পিচ্চিইইইইইইইইইইই ভাবিইইইইইইইইইইইইইইইইই”এরপর সবাই যে যার বাড়ির পথ ধরল ।বেশ খানিকটা এগিয়ে যাবার পর সবাই পেছন থেকে শুনতে পেলো এই আমি ডেকে চলবো তখনও“ পিচ্চিইইইইইইই”।এই আমি এখনো রয়ে যাব চিৎকার করতে, একগুঁয়ে একরোখা একজন ডাকতে থাকবো তোমাকে ।লোকজনে পাগল বলবে অথচও এই আমি আর একজন তুমি জানবে শতাব্দীর পর শতাব্দী এই আমি একজন এই তোমাকে ডেকে যাব।কারন তুমিতো জনই এই একজন আমি বেঁচে থাকতে হলে একজন তুমি লাগবেই।তাই সবাই বলবে একসাথে"সাবালিকা হোক না সকল বাংলাদেশের ভাবি"।
বুঝলে মায়াবতী পৃথিবীর যতটুকু শুভ্র সৌন্দর্য আমি এক পাশে রাখলাম,অন্যপাশে তোমায়।আজ আমি তুলনা করব বাকি সব সৌন্দর্য আর তোমার মধ্যে।পৃথিবীর সব সুখ,সব হাসি এক পাশে রাখলাম আর অন্যপাশে তোমার ঠোঁটের এক চিলতে হাসি।
আজ আমি তোমার হাসির সাথে বিশ্বের সব খুশির তুলনা করব।আমি একপাশে নীল আকাশ রাখলাম,নীল সাগর রাখলামআর অন্যপাশে তোমার চোখ রাখলাম।আজ আমি হিসেব করব গভীরতা সাগরের বেশি না তোমার চোখের আজ বুঝে নেব আকাশের নীল বেশি টানে,না তোমার চোখের কালো?আমি একপাশে হাজার গোলাপ আর অন্যপাশে অন্যপাশে তোমার হাতের ছোঁয়া রাখলাম আজ আমি দেখব কোন ছোঁয়ায় বেশি শিহরণ হয়। তোমার কাছে আমি পরাজিত হই সমসময়।আমি চেয়েছি অন্তত এক মিনিট যদি ভুলতে পারতাম তোমাকে, এক মিনিট একটু স্বস্তি ভরে নিঃশ্বাস নিতে পারতাম তুমি ছাড়া।ক্ষমা করো চাইলেই কি সব কিছু ভুলা যায় চাইলেই কি আর নিজেকে ভুলে যাওয়া যায়?হৃদয়ের সর্বস্ব জুড়ে যে শুধু তুমি ।
শোন বালিকা,তোমার অস্ত্র লাগবে না, বুলেট লাগবে না।তোমার চোখ দুটোই ভয়ঙ্কর সুন্দর এক অস্ত্র।ওখানে টলমল করতে থাকা মায়াটুকুই লক্ষ বুলেট এর মত।তুমি শুধু একটিবারের জন্য তাকাও!!চোখের উপরে চলে আসা অবিন্যস্ত চুলগুলো যত্ন করে দুই আঙ্গুল দিয়ে সরিয়ে রেখে,একটিবার আমার দিকে তাকাও !তোমার চোখের কোণে লেপ্টে যাওয়া কাজল টুকুর কসম।তোমার কপাল থেকে একটুখানি সরে যাওয়া টিপের কসম।ঐ অসহ্য সুন্দর চোখের ইশারায় আমি রাখবো জীবন বাজি,ঐ মায়াবীমারণাস্ত্রের নিশানায় আমি ঝাঁঝরা হতেও রাজি !
শুধু শেষে এতটুকু বলি তুমি আগলে রাখো আমায় তোমার বাহুতে,আমি স্বর্গে যাব বারংবার।
ইতি
তোমার আস্ত পাগল

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৪৫

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: পাগলের পাগলামী অার কতরকমে হতে পারে ???

২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ৩:১৮

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: শেষ নেই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.