নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেমপত্র-৯৫

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৪:৫১

মায়াবতী,
তোমার জন্য,আমার আরেকটিবার মানুষ হতে ইচ্ছে করে।ইচ্ছে করে খুব করে জড়িয়ে থাকি তোমার কোমর কোন এক বৃষ্টিভেজা বিকেল বেলা।অথবা বারান্দাতে দাড়িয়ে বর্ষা রাতে এক পেয়ালা কফিতে ছোঁয়াই যৌথ ঠোঁট!অথবা হাতে হাত রেখে হাঁটি কিমবা এক রিকশায় জড়োসড়ো বসি শীতের ভোরে ইচ্ছে করে মুঠোর মধ্যে তোমায় ধরি।
হোক কিছুু শয়তানী আমায় তোমার কানের দুল বিরক্ত করুক তোমার বেশী কাছে গেলে!
তোমার নুপুর এর শব্দে সচকিত হোক পাশের ঘরের প্রতিবেশী!ঘরময় ছড়িয়ে থাকুক
মালা থেকে ঝরে পড়া মুক্তা আর নুপুরের ঘন্টি।আমার তবু স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছে করে
ইচ্ছে করে প্রেমিক হতে, মানুষ হতে তোমার মানুষ।
খুব ইচ্ছে করে খেলি কোমল খেলনা নিয়ে পাগল করা খেলা যেন থমকে থাকে তোমার আমার ক্লান্ত দুপুরবেলা।তোমায় ডাকি আমার দেয়া নতুন নতুন নামে কত নাম যে আমি দিয়েছি বিনোদিনী,মায়াবতী,হৈমন্তী,চিত্রা হরিন।আমি নিরুদ্দেশে যাত্রা করি আবার আসি ফিরে নৌকা বাঁধি বারেবারে তোমার নদীর তীরে।উৎসুকজন শুধায় আমায় কোন ঠিকানায় লিখি?কেমন করে অবুঝ কবি তোমায় বুঝতে শিখি?তোমায় আমি পাই না যতো নিজের ভেতর খুঁজি তোমার মধ্যে অরণ্যবাস এতটুকুই বুঝি!
ক্যামেরায় তোলা তোমার স্থির কিছু ছবি হঠাৎ গতিশীল হয়ে ওঠে আমার বুনো মস্তিস্কে।।হাস্যকর সব ব্যাপার,তাই না?একবার দেখেছি শুধু তোমায়,একটিবার মাত্র।এমন সময় তোমাকে দেখেছি যখন আমার ভেতরটা একদম দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিলো ভালবাসা নামের এক বুলডোজার।সময়ও মনে আছে আমার।সেদিন ছিলো রবিবার।দরজার ওপাশে তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে,লাল রংয়ের শাড়ী পড়েছিলে।অপটু হাতে শাড়ি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলে আর আমার চোখ নিবদ্ধ ছিলো তোমার চোখে।।কি সুন্দর
টানা টানা চোখ,কাজল দিয়ে আঁকা,শুষ্ক আবার টলমলে।চোখ নিচু করে ছিলে।ইচ্ছে করছিলো তোমাকে কাঁদিয়ে দেই,কাজলে লেপটে যাক আমায় পাগল করা ঐ আঁখিপল্লব।কিন্তু হায় মনের সব ইচ্ছে যে পূরণ হয় না।কি?ভাবছো আমি খুব নিষ্ঠুর।আমি আসলে তোমার চোখের সৌন্দর্য টা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম,এই যা।
হতভাগা আমি ঐ চোখের নেশায় পাগল,কিন্তু তখনও যে বিধাতা মুচকি হেসে বসে আছে আমাকে তোমার কেশে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার জন্যে।ঠিক তোমার পেছনে কিছু দূরে বসে ছিলাম আমি।।তোমার ঐ চোখে চোখ পড়াতে চেয়েছিলাম কয়েকবার কিন্তু
পোড়া কপাল যে আমার।।হঠাৎ চোখ পড়লো তোমার কেশের দিকে,হতভম্ব হয়ে বসে রইলাম কিছুক্ষণ।পশ্চিমে ঢলতে থাকা সূর্য যেন নতুন করে তোমার কেশের মাঝে উদিতাবস্থায় আবিষ্কার করলাম।চোখ যেন আমার ঝলসে গেলো।কিন্তু তুমি যে বড় অহংকারী।কেশরাশি তুমি না ছড়িয়ে তাদের এক তীক্ষ কাঁটা বিঁধিয়ে সুবিন্যস্ত করে রেখেছিলে।।কি হতো ওই পাপী কাঁটাকে টেনে ছুড়ে ফেলে দিলে?কি হতো তোমার কেশরাশি ওই লাজহীন হাওয়ায় উড়িয়ে দিলে?আমি তো চেয়েছিলাম ই আমার চোখ ঝলসাতে,প্রস্তুত ছিলাম তোমার কেশের সাগরে ডুবে হারাতে।।কেন তুমি আমায়
ঝলসে যেতে দিলে না?কেন দিলেনা আমায় তোমার কেশে হতে অন্তর্লীন?তোমার কেশে আমার লয় হোক,হই আমি ধ্বংস।আমি তো তাই চাই।।বলো কবে আমার আশা পূরণ হবে?কবে আমি আমার লয়কে আমার নোংরা হাত দিয়ে ছুঁতে পারবো?মেঘ কুন্তল ছড়িয়ে দাও পাজি সূর্যকে দাও ঢেকে আলো-আঁধারীর মাঝে হাতে হাতখানি তব রেখে চলে যাবো কোন উপত্যকায় বা পাহাড়ের পাদদেশে হয় মরবো ভালবেসে নাহয় মরবো তোমার কেশে,কিন্তু বড় অভাগা আমি শুধু দূর থেকেই তোমর সৌন্দর্য উপভোগ করে গেলাম,আড়ালেই থেকে গেলাম।তুমি কি জানো তোমায় কত ভালবাসি আমি?
একটা কথা বলি ফিজিক্সের প্রাস,ক্যামিস্ট্রির দ্রাব্যতা, বোটানির ম্যালেরিয়া,ভাইরাস..জুলজির শ্রেণীবিন্যাস, উচ্চতর গণিতের ক্যালকুলাস আর আমার "তুমি" সবই মাথা ঘুরানো ব্যপার স্যাপার।
ইতি,
তোমার একলব্য

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.