নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

হৈমন্তীর কথা

১০ ই মে, ২০১৮ রাত ৩:২৩



আচ্ছা কারো কি মনে পড়ে,রবিবাবুর হৈমন্তির কথা? ঐ যে অপু যাকে ভালোবেসে 'হৈম' ডাকতো,আর বাবা ডাকতেন বুড়ি!
আজকাল বড্ড আমার স্বভাবে অভাব এসেছে!
আজকাল বড্ড ভিড়ের মাঝে হৈম কে খুঁজি!
কিভাবে বুঝাই, আমি তার অভাবে পুড়ি!

হৈমন্তীর মত আজকাল কারো কাঁজল কালো চোখ দেখলে, অপুর মতো আমারও মনে হুহু করে উঠে!
আজকাল রাস্তার পাশে বইয়ের দোকান বাদ দিয়ে,এ পাথুড়ে নগরীতে আমি বড্ড তাকে খুঁজি!

শ্বশুরবাড়ির বৈরি পরিবেশে, হৈম কে মরতে হয়েছিল।
আজকাল আমার ও বড্ড হাহাকার হয় এ কথা ভেবে, অথচও এমন কাউকে পেলে জনম জনম কেঁটে যায়! আমি তো তাই চেয়েছিলাম,যাকে সকাল সন্ধ্যা আরাধনা করা যায়।

আজকাল আমি সযতনে অথবা অচেতনে একজন
হৈমন্তী কে খুঁজি! আমার মনে হয় তাকে ছাড়া আমার শক্ত ব্যামো হতে পারে!
আজকাল ভুল করে হলেও, এমন কি ঘুমের মাঝে মনে হয় তুমি হৈমন্তীর রুপ ধরে আসছো!
কি এক বাজে অসুখ,দিন যায় রাত যায় তুমি হৈম সেজে এলেনা;
অথচও তোমাকে দেখার আগে আমার কোন অসুখ ছিলনা!

অতঃপর আমি একজন হৈমন্তীকে চাই,

যার কাছে সব পুন্য পাপ কিংবা সব পাপ পুন্য হয়ে যাবে নিমেশেই!
আমি স্বৈরাচারী হয়ে উঠব তাকে ভালোবেসে!
অথচও তোমার জন্যে আমার কত যে আত্মার অসুখ। শরীরে শত শত অসুখ হয়ে তুমি দানা বাঁধো, তারপর পুরো দেহটা একটু একটু পিষে মারো!
আজকাল তোমার মাঝে এত হৈমন্তীকে দেখি,
কত শত বার যে আমার মৃত্যু হয়!
পৃথিবীর সকল ডেথ সার্টিফিকেটে শুধু লেখা থাকে,স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হবার কারণে মৃত্যু হয়েছে।
অথচও আত্মার মৃত্যুটা কিভাবে হলো, মনটা কেন বারবার আত্মহত্যা করলো, তা কেনো কোথাও লেখা থাকে না? চারপাশে এত সব উন্নত হাসপাতাল,অথচও মরে যাওয়া আমার চিকিৎসা করার মত কোনো হাসপাতাল ই নেই!

আমি আজকাল ভয়ঙ্কর তোমার অসুখে শয্যাশায়ী!
এইযে এতটা তুমিময়তা,ওটা পুরো শরীরকে কচ্ছপের কামড়ের মত কামড়ে ধরেছে! এ কেমন অসুখ?
নাহ্ আমাকে দ্রুত তোমার ঠিকানায় পৌছতেই হবে!

অতঃপর আমি একজন হৈমন্তী চেয়েছিলাম,

যে লাল শাড়ি জড়িয়ে,গড়িয়ে পড়া আবেগ লুকিয়ে, ঝুপ করে ডুববে জলে, কোনো এক বৃষ্টিবিন্দুকে কেন্দ্র করে, তপস্যায় মগ্ন হয়ে ডুবে যাবে অতলে সিদ্ধিলাভের তীব্র লোভে, নাকি ক্ষোভে ?
কে জানে! কিন্তু তোমার লাল শাড়ির ভেজা কালো পাড়ের সুতোর কাজ বোধ হয় এই আমার নিশুতি নিদ্রা কেড়ে নেবে!
নিদ্রাহীন আমার চোখের দৃষ্টিদানে করুণ আর্তি ভেসে আসবে;আমি বলবো "তপস্বিনী,
বৃষ্টিবিন্দু আর সূর্যকিরণ মিলে তো কবেই রামধনু জ্বালিয়ে দিয়ে গেছো।আজ এসো তবে সেই রঙের তপস্যায় মরি! মরবে আমার সাথে??"

পরিশেষে, আমি একজন হৈমন্তীকে চেয়েছিলাম!
আমি তোমার মাঝে হৈমন্তীকে খুঁজেছিলাম!!


মিরপুর,ঢাকা
২.৫.১৮

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৮ ভোর ৪:০৬

উজ্জয়নী বলেছেন: ভালো লাগলো একাত্মতাটা

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ভালবাসা অপার

২| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৭:১১

সনেট কবি বলেছেন: সুন্দর কবিতা।

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: হৈমন্তী!!!!!!

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: প্রিয় হৈমন্তী

৪| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: হৈমন্তীকে খুজলেই হবে না জীবন ভার নিতে হবে। না হয় দুখী হৈমন্তীরা নিমেষেই হারিয়ে যাবে অগচরে। বুক বাক্য সাজানো কথামালাই সুন্দর কাব্য কথন।

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩২

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: আমি তারই অপেক্ষায় রয়েছি

৫| ১০ ই মে, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: আরেকটু গুছিয়ে লিখলে ভালো লাগতো বেশী।

১১ ই মে, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই আপনার মন্তব্যের জন্যে,এ বিষয়টা নিয়ে লিখতে গিয়ে যথেষ্ট সময় নিয়েছি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.