নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আঁচলের ঘ্রাণে বিমোহিত হতে মনে প্রেম থাকা লাগে। চুলের গন্ধ নিতে দুহাত বাড়িয়ে দেয়া লাগে। হাহাকার থাকা লাগে। দুনিয়া ছারখার হওয়া লাগে। সবাই আত্মা স্পর্শ করতে পারে না।আমার সমস্ত হাহাকার ছারখারে তুমি মিশে আছো।

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার

এক জন নিভৃতচারী

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের নেতারা কে কোথায় ছিলেন সেদিন ……………

১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:০৪


১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের নির্মমতম হত্যাযজ্ঞে স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু নিহত হবার পর মোশতাক আহমেদ নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এই পদে তিনি মাত্র ৮৩ দিন ছিলেন। রাষ্ট্রপতির দ্বায়িত্ব নেবার পর তিনি ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেন। তিনি "জয় বাংলা" স্লোগান পরিবর্তন করে এর স্থলে "পাকিস্তান জিন্দাবাদ " স্টাইলে "বাংলাদেশ জিন্দাবাদ" স্লোগান চালু করেন। এই সময় তিনি "বাংলাদেশ বেতার" এই নাম পরিবর্তন করে "রেডিও বাংলাদেশ" করেন "রেডিও পাকিস্তান" এর অনুকরণে !!!!

কিন্তু কোথায় ছিলেন সেদিন আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতারা? কি ভূমিকা ছিলো তাঁদের? তারই সামান্য সুলুকসন্ধানের চেস্টা করছি এই লেখাটিতে। স্রেফ দুই দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। একদলে মীরজাফর আরেক দলে মোহনলালেরা।

খন্দকার মোশতাকের ৮১ দিনের শাসনামলে সঙ্গী ছিলেন বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার ২১ সদস্য। মোশতাকের উপরাষ্ট্রপতি হলেন মোহাম্মদউল্লাহ। আর মন্ত্রিসভার সদস্যরা হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী, আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর, পরিকল্পনামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী, অর্থমন্ত্রী ড. আজিজুর রহমান মল্লিক, শিক্ষামন্ত্রী ড. মোজাফফর আহমদ চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী আবদুল মান্নান, কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী আবদুল মোমিন, এলজিআরডি মন্ত্রী ফণিভূষণ মজুমদার, নৌপরিবহনমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, গণপূর্ত ও গৃহায়নমন্ত্রী সোহরাব হোসেন। প্রতিমন্ত্রীরা হলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমান, ভূমি ও বিমান প্রতিমন্ত্রী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, রেল ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম মঞ্জুর, তথ্য প্রতিমন্ত্রী তাহেরউদ্দিন ঠাকুর, শিল্প প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম চৌধুরী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন প্রতিমন্ত্রী ডা. ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডল, পশু ও মৎস্য প্রতিমন্ত্রী রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়া, যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সৈয়দ আলতাফ হোসেন ও মোমিনউদ্দিন আহমদ (বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় ছিলেন না)।

মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গনি ওসমানী রাষ্ট্রপতি মোশতাকের প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা হয়েছিলেন মন্ত্রীর সমমর্যাদায়। খন্দকার মোশতাক সরকারের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ের পথ উন্মুক্ত করে দেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মহিউদ্দীন আহমদ বিশেষ দূত হয়ে। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী ১৫ আগস্ট সংঘটিত হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ আগে ৮ আগস্ট দেশে ফিরে মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের আরেক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদউল্লাহর স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে প্রবর্তন হয়েছিল বাকশালব্যবস্থা। বাকশালব্যবস্থার অধীনে বঙ্গবন্ধু রাষ্ট্রপতি হলে মোহাম্মদউল্লাহ মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে শপথ নেন। ১৫ আগস্টের পর মোশতাকের উপরাষ্ট্রপতি হন মোহাম্মদউল্লাহ। পরে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি।

মোশতাক জাতীয় সংসদ বহাল রেখেছিলেন। স্পিকার ছিলেন আবদুল মালেক উকিল। স্পিকার হওয়ার আগে ছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি স্পিকার হিসেবে বিদেশে স্পিকারদের একটি সম্মেলনেও যোগ দেন। বঙ্গবন্ধু সরকারের আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর মোশতাকেরও আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। তিনি কুখ্যাত ইনডেমনিটি নামক বিলটির রচয়িতা। মোশতাকের পতনের পর ফণিভূষণ মজুমদার, আবদুল মান্নান, আবদুল মোমিন, সোহরাব হোসেন, অধ্যাপক ইউসুফ আলী, আবদুল মালেক উকিল, আসাদুজ্জামান খান আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মালেক উকিল আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আসার আগ পর্যন্ত। অধ্যাপক ইউসুফ আলী মোশতাকের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের (মিজান) সাধারণ সম্পাদক হন। পরে যোগ দেন জিয়ার মন্ত্রিসভায়। জিয়ার মৃত্যুর পর এরশাদেরও মন্ত্রী হন তিনি। আবু সাঈদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ফিরে না এলেও মহিউদ্দীন আহমদ ফিরে আসেন। ১৯৮৩ সালের ৮ আগস্ট তিনি বহিষ্কার হলে বাকশাল গঠন করে তার চেয়ারম্যান হন। ১৯৯৩ সালে বাকশাল আওয়ামী লীগে অন্তর্ভুক্ত হলে তাকে প্রেসিডিয়াম সদস্য করা হয়। বেঁচে নেই তিনিও। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জয়ী হলেও ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে পরাজিত হন। আবদুল মান্নান ও আবদুল মোমিনও বেঁচে নেই। ২০০২ সাল পর্যন্ত দুজনই আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। খন্দকার আসাদুজ্জামান আওয়ামী লীগে সক্রিয় ছিলেন।

মোশতাক মন্ত্রিসভার সদস্য দেওয়ান ফরিদ গাজী আওয়ামী লীগের এমপি ও উপদেষ্টা পরিষদেরও সদস্য ছিলেন। ১৯৯৬ সালেও এমপি ছিলেন। সৈয়দ আলতাফ হোসেন বাকশাল প্রবর্তনের পর (ন্যাপ মোজাফফর) থেকে প্রতিমন্ত্রী হন। পরে মোশতাকের প্রতিমন্ত্রী। মোশতাকের পতনের পর আবার ন্যাপের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মোমিনউদ্দিন আহমদ বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভায় না থাকলেও মোশতাক তাকে প্রতিমন্ত্রী করেন। পরে তিনি বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। রিয়াজউদ্দিন আহমদ ভোলা মিয়াও বিএনপি হয়ে জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন। ডা. ক্ষিতিশ চন্দ্র মন্ডলও জাতীয় পার্টিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী হন। মোশতাকের প্রতিমন্ত্রী নূরুল ইসলাম চৌধুরী ছিলেন বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তিনি সামরিক বাহিনীর সমর্থন আদায়ে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।

বঙ্গবন্ধু হত্যার পর খুনি মোশতাকের সরকারের প্রতি সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে আনুগত্য প্রকাশ করতে খুব একটা দেরি হয়নি কে এম শফিউল্লাহর। বিমানবাহিনী প্রধান এ কে খন্দকার ও নৌবাহিনী প্রধান এম এইচ খানকে নিয়ে প্রথম দিনেই মোশতাকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন তিনি। পরে অবশ্য কয়েক দিনের মধ্যেই কে এম শফিউল্লাহ ও এ কে খন্দকারকে যথাক্রমে জিয়াউর রহমান ও এম জি তায়েবের কাছে সেনা ও বিমানবাহিনী প্রধানের পদ ছেড়ে দিতে হয়। এর কয়েক দিন পরই কে এম শফিউল্লাহ রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব নিয়ে চলে যান বিদেশে। জিয়া ও এরশাদ সরকারের পুরোটা সময় তিনি বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। সেই কে এম শফিউল্লাহ পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ১৯৯৬ সালে এমপি নির্বাচিত হন। প্রায় একইভাবে এ কে খন্দকারও বিদেশে বাংলাদেশের মিশনে দায়িত্ব নেন। প্রথমে অস্ট্রেলিয়া ও পরে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের দায়িত্ব পালন করেন। ফিরে এসে এরশাদ সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কিছু দিন কাজ করে দায়িত্ব নেন পরিকল্পনামন্ত্রীর। পরে বঙ্গবন্ধুকন্যার প্রথম মেয়াদের সরকারে পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পান এ কে খন্দকার।

অন্যদিকে ,

১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে পরিবারসহ হত্যার পর ২৩ আগস্ট মোশতাক সরকার গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, শেখ আবদুল আজিজ, আবদুস সামাদ আজাদ, এম কোরবান আলী, আবদুল কুদ্দুস মাখন, হাশেম উদ্দিন পাহাড়ীসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে। ৩ নভেম্বর তৎকালীন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে গ্রেফতার অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন (অব.) এম মনসুর আলী, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর জিল্লুর রহমান, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ এবং কয়েক দিনের ব্যবধানে আমির হোসেন আমু, গাজী গোলাম মোস্তফা, এম এ জলিল, এম এ মান্নান, সরদার আমজাদ হোসেন, নুরুল হক, এম শামসুদ্দোহা, এম মতিউর রহমানসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার এড়াতে প্রতিবেশী ভারতে চলে যান আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, শেখ সেলিম, ওবায়দুল কাদের, ইসমত কাদির গামা, মো. নাসিম, মোস্তফা মহসিন মন্টু, শাহ মোহাম্মদ আবু জাফর, লতিফ সিদ্দিকী, পংকজ ভট্টাচার্য, ডা. এস এ মালেক, এস এম ইউসুফ, মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, খোকা রায়, রবিউল মুক্তাদিরসহ তৎকালীন বাকশাল ও বর্তমান আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী। তবে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বেশ কিছু অনুসারীসহ মেঘালয়ে আশ্রয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ ও খুনিদের বিতাড়িত করার জন্য প্রতিরোধের ডাক দেন।আর শুরু করেন প্রতিরোধ যুদ্ধ যা স্থায়ী হয়েছিলো ৪ বছর্। যাতে প্রাণ বিসর্জন দেন ১০৯ জন মুজিব সেনা। যা নিয়ে লিখেছি আগে।

আবারো সেই "হাইব্রীড " আর "বাই বর্ণদের" বিভেদ এখন তুঙ্গে। দলে দলে কট্টরপন্থী আওয়ামী বিদ্বেষীরাও এখন বহাল তবিয়তেই জায়গা করে নিচ্ছে দলে ও সরকারে। ত্যাগী নেতাকর্মীদের অধিকাংশই অনুযোগ করে চলেছেন উপেক্ষার্। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি যেন না হয় কায়মনোবাক্যে সেই প্রত্যাশাই করি।

মোশতাকরা কিন্তু রক্তবীজের মতোই বংশবৃদ্ধি করে চলেছে প্রতিনিয়ত ………………………

তথ্যসূত্রঃ

১/ "বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড: ফ্যাক্টস এণ্ড ডকুমেন্টস" অধ্যাপক আবু সাইদ

২/ মহাপুরুষ : এম আর আকতার মুকুল

৩/ সাংবাদিক এবি সিদ্দিক এর ব্লগ

৪/ জাসদের উত্থান ও পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি : মহিউদ্দীন আহমেদ!

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:১৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৫ অাগষ্ট ঘটানোর জন্য জিয়া বিএনপি'র উপর যতোটা ক্ষোভ,নিজ দলের বিশ্বাসঘাতকদের ব্যাপারে ততোটাই উদাসীনতা।

২| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনি বলেছেন, "রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেয়ার পর, তিনি (মোস্তাক ) ইনডেমনিটি বিল পাশ করেন!"

-আসলেই?
মৌলিক ধারণা না থাকলে, প্রাণ খুলে সব লেখা যায়; তবে, উহা গরুর রচনা হয়ে যায়।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ২:৩১

অধৃষ্য বলেছেন: মাঝে মাঝে বিশ্বাস হয় না, এমনও কী হতে পারে? দুর্ভাগা জাতি ।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যাক, একজনও বিএনপি'র নেতা পেলাম না। পাবো কীভাবে? তখন তো বিএনপি'র জন্মই হয়নি। তবুও তেনারা সব কিছুতে জিয়াউর রহমানের দোষ খুঁজে পান...

৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৫:১১

রাফা বলেছেন: সঠিক তথ্যই দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।কারন সবই সংগৃহিত, এখানে যোগ বিয়োগ করার কিছুই নেই।অনেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পদ পদবী গ্রহণ করেছিলেন ভীতু বলে।আবার অনেকেই স্বেচ্ছায় স্বপ্রনোদিত ভাবেই থাকতে চেয়েছিলেন ক্ষমতার কাছাকাছি।
মোশতাক ইনডেমিনিটি পাস করে নাই ,সে অর্ডিন্যান্স জারি করেছিলো ।সংবিধানে জিয়াউর রহমান সংযোজন করেছিলো তার রাবার স্ট্যাম্প সংসদের মাধ্যমে।

সত্যের সাথে মিথ্যার সংমিশ্রন পুরো মিথ্যার চাইতে ভয়ংকর।ঠিক যেমন ভয়ংকর আজকের বিএনপি।তারা যুদ্ধাপারাধীদের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে পুরো জাতিকেই বিভক্ত করতে স্বার্থক হয়েছে।তাদের পলেসি হোচ্ছে সত্যকে মিথ্যা প্রমাণ করতে না পারলে তা নিয়ে বি্ভ্রন্ত ছড়িয়ে দাও তাহলেই আর সত্যটাকে আর খুজে পাওয়া যাবেনা।

৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৬:০২

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বঙ্গবন্ধু হত্যার দায় তৎকালীন সেনাপ্রধান কিছুতেই এড়াতে পারেন না। অনেকেই জিয়ার দিকে আঙ্গুল তোলেন। তবে কয়েকটি বই, প্রবন্ধ, নিবন্ধ পড়ে আমার মনে হয়েছে জিয়া তৎকালীন রাজনৈতিক অস্থিরতার ফায়দা নিয়েছেন।

৭| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশেরা মেয়েরা রানার্স আপ হয়েছে, আমি আনন্দিত। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা কোনো পৃষ্ঠপোশকতা ছাড়া এত দূর গিয়েছে তা এদেশের মানুষের চৌদ্দ গোষ্ঠীর কপাল! ছেলেদের জন্য যে পরিমাণ তেল-ঘি ব্যয় করা হয় তার এক শতাংশও মেয়েদের জন্য ব্যয় করা হয় না।
অভিনন্দন হে কিশোরীরা। তোমাদের জন্য বুক নিংড়ানো সবটুকু ভালোবাসা মিশিয়ে অভিনন্দন।

৮| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: যাক্! অনেক কিছু জানা হল... :)

৯| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


যেসব বিষয় বুঝেন না, সেগুলো নিয়ে লেখা বুদ্ধিমানের পরিচয় নয়; ব্লগার রাফা "ইনডেমনিটি" নিয়ে মন্তব্য করেছেন; উহা বুঝে কিজা দেখুন!

২০ শে আগস্ট, ২০১৮ রাত ৩:৫১

সানবীর খাঁন অরন্য রাইডার বলেছেন: বঙ্গবন্ধু সরকারের আইনমন্ত্রী ছিলেন মনোরঞ্জন ধর। বঙ্গবন্ধু তাকে সম্মান করে দাদা বাবু বলে ডাকতেন। মনোরঞ্জন ধরকে মন্ত্রী হতে অনুরোধ করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন-

‘দাদা আপনার কথার উপরে জীবনে কোন কথা বলিনি, আপনি যা বলবেন, যা করবেন সেটাতেই আমি রাজি।'

এই দাদা বাবু ১৫ই আগস্টের পর মোশতাকের আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। এই মনোরঞ্জন ধর ছিলেন কুখ্যাত ইনডেমনিটি নামক অধ্যাদেশের রচয়িতা। ‘দি বাংলাদেশ গেজেট, পাবলিশড বাই অথরিটি’ লেখা অধ্যাদেশটিতে দুটি ভাগ ছিল।

প্রথম অংশে বলা হয়েছিল-

'১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে বলবত্ আইনের পরিপন্থী যা কিছুই ঘটুক না কেন, এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টসহ কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।'

দ্বিতীয় অংশে বলা হয়েছিল-

'রাষ্ট্রপতি উল্লিখিত ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে যাদের প্রত্যয়ন করবেন তাদের দায়মুক্তি দেওয়া হলো। অর্থাত্ তাদের বিরুদ্ধে কোনো আদালতে মামলা, অভিযোগ দায়ের বা কোনো আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়া যাবে না।'

উল্লেখ্য বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রীসভার ২১ মন্ত্রীকে ১৫ই আগস্টের পর মোশতাকের মন্ত্রীসভায় দেখা যায়। আরও উল্লেখ্য যে সেই ২১জন বিশ্বাস ঘাতকের কয়েকজন পরবর্তীতে আবারও শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আজকাল বিভিন্ন সমাবেশে হাফপ্যান্ট পরা ছাত্রনেতাদের প্রায়শই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে সর্বহারা-জাসদ-কমিউনিস্ট পার্টি, ইনু-মতিয়া-মেনন ইত্যাদিদের সংযোগ নিয়ে গাল বড় করে লেকচার কপচাতে দেখা যায়।

অথচ নিজেদের হাতে লেগে থাকা থকথকে রক্তের দিকে তাদের কোন নজর নাই...

১০| ২০ শে আগস্ট, ২০১৮ ভোর ৪:৫২

অনল চৌধুরী বলেছেন:
জনাব চাদগাজী বলেছেন:
আপনি বলেছেন, "রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেয়ার পর, তিনি (মোস্তাক ) ইনডেমনিটি বিল পাশ করেন!"

-আসলেই?
মৌলিক ধারণা না থাকলে, প্রাণ খুলে সব লেখা যায়; তবে, উহা গরুর রচনা হয়ে যায়।
-মোশতাক ২০ অঅগষ্ট অধ্যাদেশ জারী করে,জিয়া ১৯৭৯ সালে সংসদে অাইন করে।

জনাব রাজীব নুর বলেছেন:

ছেলেদের জন্য যে পরিমাণ তেল-ঘি ব্যয় করা হয় তার এক শতাংশও মেয়েদের জন্য ব্যয় করা হয় না। -অতীতে হতো না।এখন শহরে হয়।গ্রামেও অাগের চেয়ে বেশী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.