![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যা আমি তা। অনেক সময় আমি যা না তাও বটে ! সব মিলিয়ে আমি মনে হয় একেবারেই যা তা!
কিছুদিন আগে পড়ে শেষ করলাম বুদ্ধদেব বসু অনূদিত কালিদাসের “মেঘদূত”। বিদ্যাসগরের মতে এটা সংস্কৃতি ভাষায় রচিত শ্রেষ্ঠ খন্ড কাব্য। ক্লাসিক রচনা হিসেবে পড়ছিলাম বইটা।
কাব্যের মূল বিষয় হল- যক্ষকে কাজে অবহেলার জন্যে তার প্রভু কুবের রামগিরি পর্বতে এক বছরের জন্য নির্বাসনে পাঠায়। সেখানে বসে যক্ষ তার স্ত্রীর বিরহে কাতর। বিরহের এক পর্যায় সে মেঘের কাছে অনুরোধ করে তার স্ত্রীর কাছে বার্তা নিয়ে যাবার জন্য।
কাব্যটি দুই খন্ডে বিভক্ত। পূর্বমেঘ আর উত্তরমেঘ। পূর্বমেঘে ৬৪ টি শ্লোক আর উত্তরমেঘে আছে ৫৪ টি শ্লোক। পূর্বমেঘে আছে কিভাবে ও কোন পথে মেঘকে তার স্রী যে অলকায় আছে তার কাছে যেতে হবে । আর উত্তরমেঘে আছে বিরহে কাতর স্ত্রীর বর্ণনা আর স্ত্রীর প্রতি যক্ষের বার্তা।
প্রেম বিরহের প্রতি একধরনের বিরক্তির জন্য প্রথমে ভেবেছিলাম পড়ব না। কিন্তু যতই পড়তে শুরু করি ততোই মুগ্ধ হতে থাকি। প্রথমে মেঘকে কিভাবে যেতে হবে, সামনে কি কি পর্বত বা নদী পরবে তার বর্ণনা। কৈলাস, বিন্ধ্য পর্বত, বিদিসা, অবন্তীর পুরী প্রভৃতি জায়গা দিয়ে কিভাবে যেতে হবে, কোথায় বিশ্রাম নেবে সেসব দারুন উপমা দিয়ে লেখা। যেমনঃ ৬৪ নং শ্লোকে আছে,
“প্রণয়ী কৈলাস , এলিয়ে আছে কোলে বিমান অলকা,
গঙ্গা নামে তার স্রস্ত অঞ্চল, প্রসাদচূড়া তার বর্ষায়
ধারণ করে মেঘ- মুক্তাজালে গাঁথা যেমন কামিনীর কেশদাম;-
স্বৈরী, তুমি সেই পুরীকে পুনরায় চিনতে পারবে ভেব না। “
বুদ্ধদেবের অনুবাদের ভাষা যদিও কঠিন কিন্তু শেষে টীকা থাকার জন্য পড়ে উপভোগ করেছি বেশ।
এর পরে উত্তরমেঘ এ আছে যক্ষের বিরহী স্ত্রীর বর্ণনা। স্ত্রীর প্রতি তার ভালবাসা। যেমনঃ “মেনেছি, সে আমার দ্বিতীয় প্রাণ;......” (৮৬)
আবার স্ত্রীর বিরহের বর্ণনা দিচ্ছে,
“অঙ্কে নিয়ে বীণা , মলিন বেশবাসে হয়তো গান ধরে কখনো,
আমার নাম নিয়ে রচিত পদে এসে ব্যর্থ হয় সেই বাসনা;
চোখের জলে ভেজা বীণার তার যদি পারে বা কোনমতে পারে বা চালাতে,
অনেক অভ্যাসে স্বকৃত মূর্ছনা – তাও সে বার-বার ভুলে যায়।” (৮৯)
তার স্ত্রী এতই বিরহী যে স্বামীর নাম নিয়ে রচিত পদ গাইতে গিয়ে আবেগে কেঁদে ফেলে। স্ত্রীর বিরহী মুখকে সে তুলনা করেছে, “পুর্বাকাশে যেন কৃষ্ণপক্ষের চাঁদের শেষ কলা উদিত”। (৯২)
এত কান্না করছে তার স্ত্রী যে,
“অশেষ বেদনায় নয়ন ঢেকে যায় অশ্রুভারাতুর পক্ষ্মে-
মেঘলা দিনে যেন মলিন কমলিনী, জেগেও নেই, নেই ঘুমিয়ে।” (৯৩)
তার স্ত্রী আবার ঘুমাতে ও চায়। কারন,
“ঘুমের সাধে কত, যদি বা অন্তত স্বপ্নে বুকে পায় আমাকে
অথচ অশ্রুর উৎপীড়নে তার কোথায় তন্দ্রার অবকাশ। ” (৯৪)
এমন দারুন সব উপমা আর বুদ্ধদেব বসুর অসাধারণ কাব্যশৈলী দ্বারা অনুদিত কালিদাসের মেঘদুত পড়ে আমি সত্যি মুগ্ধ, আনন্দিত।
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২১
সন্দীপ হালদার বলেছেন: পড়ে ফেলুন। ভাল লাগবে ।
২| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:১৩
রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: ++++
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২২
সন্দীপ হালদার বলেছেন:
৩| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:২০
সজলমেহেদি বলেছেন: ভাই কি পিডিএফ এ পড়ছেন? যদি পড়েন তাহলে ডাউনলোড লিংকটা একটু দিয়েন পারলে।
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৩
সন্দীপ হালদার বলেছেন: নাহ, পিডিএফ পড়িনি। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র থেকে প্রকাশিত বইটা পড়েছি।
৪| ১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৩
সাদরিল বলেছেন: বইটি পড়ার ইচ্ছে আছে, রিভিউর জন্য ধন্যবাদ
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৪
সন্দীপ হালদার বলেছেন: পড়ার জন্যে আপনাকেও ধন্যবাদ।
৫| ২২ শে জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৫১
রাখাল রাাজু বলেছেন: +++
২৫ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:২৯
সন্দীপ হালদার বলেছেন:
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৩:০৯
স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
রিভিউ ভালো লাগলো। পড়ার ইচ্ছে আছে।