নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্ন

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী

কিছুই না

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাস্ট মৌমিতা

১২ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৫:৫৫


— সীমার সঙ্গে এখনও সম্পর্ক আছে?
ডাইনিং টেবিলে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। আমি আর রুমা। রুমা আমার স্ত্রী। প্রশ্নটা সে ই করেছে। একটু সন্দেহ বাতিক আছে, তবে ব্যাপারটা এঞ্জয়ই করি। কখনও কখনও তো নিজেই ক্লু দিই, ‘জানো, আজকে ঈশিতার সাথে দেখা।’ পরের প্রশ্নগুলো থাকত গৎবাঁধা। কে, কবে থেকে চেন, কি বলল এটসেট্রা। কখনও সত্যি কখনও বানিয়ে বানিয়ে গল্প শোনাতাম। এরপরের অনুরোধটাও থাকত গৎবাঁধা, ‘আমি চাই না ওর সাথে আর কোন সম্পর্ক রাখ’। এসব অনেকটাই গা সওয়া হয়ে গেছে। তবে আজকের ঘটনাটা এখনও বুঝে উঠতে পারিনি। মাথায় আসছে না। কোন সীমার কথা বলছে। সীমা নামে আর কাউকে কি চিনি?
— কোন সীমা?
রুমার চোখে সন্দেহ বেশি? না ক্রোধ? ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। আমার দিকেই তাকিয়ে ছিল। আমার উত্তর শোনার পরে কিছু না বলে আবার খাওয়া শুরু করল। উত্তর না পেয়ে আবার ট্রাই করলাম।
— আরে বাবা বলবে তো কোন সীমা?
বাঁকা চোখে একবার তাকিয়ে আবার খেতে শুরু করল। খেতে খেতেই, আমার দিকে না তাকিয়ে বলল
— ক'টা সীমাকে চেন?
ও, তাহলে এই ব্যাপার। সীমা বলতে আসলে আমি একজনকেই চিনি। আমার প্রথম এবং প্রাক্তন স্ত্রী। ডিভোর্সড বাই মি। আর সেটাও তেমন কোন কারণ ছাড়া। কাহিনী তেমন কিছু না। মধ্যবিত্ত আর ভীতু প্রেমিকদের যা হয়, প্রেমের কথা বাসায় বলতে পারিনি। না বোধহয় একটু ভুল বললাম। সেই সময়ে প্রেম ঠিক ছিল না। প্রাক প্রেম স্টেজ ছিল। চোখাচোখি, স্বপ্ন দেখাদেখি অবস্থা আর কি। একই অফিসে কাজ করতাম আমি আর রুমা। অপূর্ব সুন্দরী। আমি সহ বেশ কয়েকজন ছিলাম পাণি প্রত্যাশী। আমার কপালে শিকে ছিঁড়বে তা ভাবিনি। আর ঠিক সেই সময়ে ফ্যামিলি থেকে বিয়ে ঠিক করে ফেলে। রুমাকে পাওয়ার তেমন কোন উজ্জ্বল সম্ভাবনাও যেমন ছিল না তেমনি বাবাকে না বলবার মত সাহসও জোগাড় করতে পারিনি। সো, কবুল বলে ফেলি। বিয়েটা গ্রামে হয়েছিল, তাই অফিসে কেউ জানত না, সৎ বাংলায় বললে, আমি নিজেই ইচ্ছে করে জানায়নি। সবাই, ইনক্লুডিং রুমাও জানত আমি আনম্যারিড। এরপরে একসময় রুমা আমার প্রেমে পড়ল। ওকে একসময় আমার বিয়ের কাহিনী বেশ করুণভাবে শোনালাম। অবশেষে, ডিভোর্সের শর্তে ও আমাকে বিয়ে করতে রাজি হল।
— চিনি তো একজনকেই, বাট ওর কথা কেন?
— ওর সঙ্গে যোগাযোগ আছে?
নিশ্চিত কেউ কিছু লাগিয়েছে। মেয়েদের আর কোন কাজ নেই। সারাক্ষণ শুধু সন্দেহ আর উদ্ভট কল্পনা। আরে বাবা ওর সাথে যদি সম্পর্কই রাখব, তাহলে আর ডিভোর্স করে তোমাকে বিয়ে করলাম কেন? কিন্তু এসব কথা তো আর বলা সম্ভব না। আর নারী জাতির সাথে বিতর্কে যাওয়ার মত সুইসাইডাল আর কিছু হতে পারে না। তাই, নিজেকে কড়া নির্দেশ দিলাম, মাথা ঠাণ্ডা রাখবে।
— হঠাৎ এই প্রশ্ন?
— এটা তো আমার প্রশ্নের উত্তর হল না।
ওরে বাবা। টেম্পারেচার তো দেখি একশ সাত। যেকোন সময় প্রলাপ বকা শুরু হবে। আর নয়তো চোখের পানি। দ্রুত সিচুয়েশান হ্যান্ডেল করতে হবে। আর টপিকটাও বন্ধ করতে হবে। সোজাসুজি উত্তর দেয়া শুরু করলাম
— ওকে। কি জানতে চাও, বলো।
— প্রশ্নটা তো শুনেইছো।
— ওকে। না। ওর সঙ্গে কোন যোগাযোগ নেই।
— তাহলে ও তোমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠিয়েছিল কেন?


একটা পিচ্চি পাচ্চি হাওয়া দরকার। না হওয়া পর্যন্ত ওর এই সন্দেহ বাতিক যাবে না। আসলে একজনকে ডিভোর্স করে যেহেতু ওকে বিয়ে করেছি, তাই হয়তো মাথায় আটকে গেছে, ওকেও না আবার ছেড়ে দিই। ওকে দোষ দিচ্ছি না, ওর জায়গায় আমি থাকলে, আমিও হয়তো এমনটা করতাম।
কিন্তু এই মুহূর্তের মিলিওন ডলার প্রশ্ন হচ্ছে, সীমা কেন ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাল? ও এখন আছে কোথায়? কি করছে? একি করছি আমি? নাহ, মাথায় এখন শুধু সীমা ঘুরছে। মনে হচ্ছে আজকে আর ঘুম আসবে না। পাশে রুমা শুয়ে আছে। উঠে যে পায়চারি করব, তার উপায় নেই। খেঁকিয়ে উঠবে। চোখ বন্ধ করে আর কতক্ষণ ঘুমের আক্টিং করা যায়? আচ্ছা, ও কই ঘুমিয়েছে? জানবার তেমন কোন ইচ্ছা নেই। ইচ্ছা নেই, বলা ভুল হবে, ইচ্ছা খানিকটা আছে। ঘুমালে একটু পায়চারি করতাম বা নিশ্চিন্ত মনে ভাবতাম, কেন সীমা যোগাযোগ করতে চাইল? এই মুহূর্তে যা জানবার জন্য সত্যিই মন ছটফট করছে। সীমার চরিত্রের সাথে ব্যাপারটা একেবারেই মেলে না। ও কি সত্যিই সীমা? নাকি অন্য কেউ? আর সীমা হয়ে থাকলে হঠাৎ এতোদিন পরে কেন যোগাযোগ করতে চেষ্টা করল?
হেল্প চাওয়ার মেয়ে সীমা না। আর আমার কাছে তো আরোই ছাবে না। নিজের বাবা মার কাছেই চায়নি। ইনফ্যাক্ট যখন ওকে রুমার ব্যাপারটা জানালাম, তখন ও বেশ শান্তভাবেই মেনে নিয়েছিল। সরি বলে ক্ষমা চেয়েছিলাম। ক্ষতিপূরণ টাইপের কিছু চাইলে, আমি সাধ্যমত চেষ্টা করব, এ ও বলেছিলাম। সব শুনে সীমা শুধু একবার আমার দিকে তাকিয়েছিল। আর মুখে বলেছিল, লাগবে না। একটা ব্যাবস্থা হয়ে যাবে। কোথায় যাচ্ছে, কি করবে এসব ব্যাপারে তেমন কিছু বলেনি। খারাপ লেগেছিল। অন্যায় যে করছি, তা নিয়ে কোন দ্বিধা ছিল না। আপ্রাণ চেষ্টা করছিলাম, কোনভাবে কম্পেনসেট করার। ওর জীবনটা হয়তো আগের মত করে দিতে পারব না, তবে কিছু প্রায়শ্চিত্ত করতে পারলে হয়তো অপরাধবোধ কিছু কমতো। বাট সুযোগ দিল না।
ওর সাথে সংসার বলতে সর্বসাকুল্যে কাটিয়েছি মাস ছয়েক। খুব খারাপ কাটেনি। টিপিক্যাল বাঙ্গালি বউয়ের মত ছিল। স্বামীর সুখেই নিজের সুখ টাইপ। ছেলে কিংবা মেয়ে হলে কি নাম রাখবে, সেটাও ভেবে রেখেছিল। বলেছিল, মেয়ে হলে নাম রাখবে মৌমিতা।
— ঘুমাও
ও, রুমা তাহলে ঘুমায়নি। কিছু কি জিজ্ঞেস করব? ইচ্ছা করছে না। ডাইনিং টেবিলেও আর কথা এগোয়নি। আসলে ধাক্কাটা এতোটাই আনেক্সপেক্টেড ছিল যে কি করব বুঝে উঠতে পারছিলাম না। হতবিহ্বল বলতে যা বোঝায়। পুরোটা শুনতে ইচ্ছেও করছিল আবার অনিচ্ছাও ছিল। অনিচ্ছাটা রুমার মুখ থেকে শুনতে। এই প্রথম ওর সন্দেহ বাতিক ভালবাসাকে বিরক্তিকর লাগতে লাগল। রুমা যে আমার ফেসবুক মোবাইলে ফেসবুক চেক করে, এটা আমি জানি। যদিও ওর ধারণা আমি বুঝতে পারি না। বারণ করতে পারতাম, তবে করিনি, ভেবেছি, থাকুক একটা কিছু নিয়ে বিজি। গোয়েন্দাগিরি করে হঠাৎ হঠাৎ কিছু পেলে ব্যাপারটা নিয়ে খেলতাম। ‘কালকে নাজনিনকে আনফ্রেন্ড করবা।’ আমিও উত্তর দিতাম, ‘ তোমার যখন পছন্দ না, এখনই করে দিচ্ছি। বরং ব্লকই করে দিই। কই বল?’
— আচ্ছা তুমি শিওর হলে কি করে, যে এটাই সেই সীমা?
— তোমার মাথায় এখনও সীমা ঘুরছে?
বিরক্ত লাগলেও নিজেকে সামলালাম। একটা বেফাঁস কথা বলে ফেললে কাহিনী কোথায় যেয়ে থামবে বিধাতাও আঁচ করতে পারবেন না। যতটা সম্ভব ঔৎসুক্য এনে ঠাণ্ডা গলায় জানতে চাইলাম
— সীমা নামে অনেক মেয়েই তো আছে। এই সীমা যে সেই সীমা…
ঠাণ্ডা গলার জবাব এল।
— একই চেহারার অনেক সীমা তো আর নেই।
ও। আইডিতে তাহলে সীমার ছবি ছিল। ব্যাপারটা আমার মাথায় আসল না কেন? টেনশড? হয়তো। এবার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত করা দরকার। আসলে সীমার সাথে যোগাযোগ রাখবার কোন চেষ্টা কখনওই করিনি। তাই কখনও ফেসবুকে সার্চ দেয়া হওনি। কাজটা একবার করে দেখলে মন্দ হত না। কালকে দেখা যাবে। আপাততঃ ঘুমাবার চেষ্টা করা যাক। রুমার রাগ কি ভাঙ্গাবো? জরুরী না। এবং অবশ্যই ব্যর্থ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। অভিমানে এখন টইটুম্বুর। তবে কালকে থাকবে না। কাল নাগাদ বুঝে যাবে, আমার কোন দোষ নেই। কেউ যদি আমাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়, আমি কি করব? আর ওর সাথে যোগাযোগ থাকলে তো ও আমার ফ্রেন্ডই থাকত। আমার আসলটায় না হোক, ফেক আইডি তে থাকত। আর সেক্ষেত্রে নতুন করে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসবার কোন প্রশ্নই উঠত না।
— শোন, কাল যদি আবার যোগাযোগ করে, একদম কথা বলবে না।
মিনমিন করে বললাম
— যদি কোন সমস্যায় পড়ে থাকে। আই মিন, আমি কিছুটা হলেও তো দায়ী।
এতক্ষণ চোখ বন্ধ করে শুয়ে শুয়েই কথা বলছিল রুমা। এবার উঠে বসল।
— দায়ী কেন হতে যাবে? তুমি ওকে কম্পেনসেট করতে চাও নি? বল নি, ওর থাকা খাওয়া বাবদ কিছু হেল্প করতে চাও? চাকরিও তো জোগাড় করে দিতে চেয়েছিলে?
— সবই ঠিক আছে, বাট এটাও তো ঠিক, ওর জীবনটা আর আগের মত করে দেয়া সম্ভব না।
-- সেসব আমি কিছু জানি না। তুমি আর যোগাযোগ করবে না, ব্যাস। ফোন নাম্বার যদি আবার দেয়, রিং করবে না। খবরদার।


অফিসে আসবার পরে প্রথম যে কাজটি করেছি, তা হচ্ছে ‘ অপারেশান সীমা উদ্ধার’। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত ঘটনা সামারাইজ করলে দাঁড়ায়, সীমা নামের একটি আইডি থেকে আমার ফেসবুক আকাউন্টে ম্যাসেজসহ একটি ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট আসে। যে ম্যাসেজে সেই আকাউন্ট ধারী বা ধারিণী একটি মোবাইল নম্বরও দেন। আর আমার প্রাণপ্রিয়া স্ত্রী সেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট দেখা মাত্র তা ব্লক মেরে দেয়। আর আমি এই মুহূর্তে যারপরনাই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা রোমাঞ্চিত এই তথ্য জানবার জন্য, যে অ্যাকাউন্টটি কার?
সীমার ভাবতে পারছি না, কারণ সেই রিকুয়েস্টে নাকি একটা ফোন নাম্বারও ছিল। নিজে থেকে রিকুয়েস্ট পাঠানো আর সাথে ফোন নম্বর দেয়া, কোনটাই সীমার সাথে মিলছে না। সাহায্য চাওয়ার মেয়ে সীমা না। অন্ততঃ নিজের জন্য তো অবশ্যই না। উল্টোটা হতে পারে। আমার কাজে দিবে এমন কিছুর জন্য ও হেল্প করতে চাইতে পারে।
এমন মেয়েকে কেন ডিভোর্স করলাম? নো ডাউট, রুমার প্রেমে হাবুডুবু না খেলে এমন মেয়েকে নিয়ে দারুণ সুখী একটা জীবন কাটত। এখন সেটা প্রশ্ন না, প্রশ্ন হচ্ছে সীমা কেন মোবাইল নাম্বার পাঠিয়ে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট ম্যাসেজ দিল। ব্লক লিস্ট খোঁজা শেষ। সীমার আই ডি ও পেয়ে গেছি। একজন মেয়ের ফেসবুক আই ডি যেমনটা হয়। যথারীতি তেমন কোন তথ্য নেই। কেবল বেমানানভাবে জ্বলজ্বল করছে, প্রোফাইল পিকচার। আর মজার ব্যাপার হচ্ছে, ফেসবুক প্রোফাইলটা তৈরি হয়েছে মাস খানেক আগে। ফেসবুকে যে কজন ফ্রেন্ড সবার নামই আমার নামে। মানে? আমার সাথে যোগাযোগের জন্যই আই ডি খোলা? ইন্টেরেস্টিং! বাট আমার আকাউন্টে তো ছবি দেয়া আছে। এনিওয়ে, সে পাজল পরে সলভ করলেও হবে। আপাতত জানা দরকার, কেন এই রিকুয়েস্ট।
ব্লক উইথড্র করে ম্যাসেজও দিলাম। ফোন নম্বরটা যেন আবার দেয়া হয়। এখন অপেক্ষার পালা। কখন উত্তর আসে। মোবাইল থেকে ফেসবুক ডিলিট করলাম। অফিসের কম্পিউটারে আছে, সেটাই আপাততঃ চলুক। আবার কখন ম্যাসেজ আসে, আর প্রিয়তমার খপ্পরে পড়ে। ঝুঁকি নেয়া যাবে না। সো, একদিন পরে হলেও চলবে, তা ও নম্বরটা চাই। এমন সময় ফোন আসল। মোবাইলে জ্বলজ্বল করছে রুমার ছবিটা। ওপরে লেখা প্রিয়তমা, এই নামেই সেভ করা। ফোনটা ধরব কি না, এক মুহূর্ত ভাবলাম। ধরাই ভাল
— বল
— রেগে আছ?
টিপিক্যাল রুমা। এখনই হয়তো সরি বলবে। আমিও হেসে উড়িয়ে দিব। এমন সময় মাথায় বুদ্ধিটা আসল। তাইতো, একটা ট্রাই করে দেখিই না। কাজে লাগতেও পারে। বললাম
— আরে না। ঠিকই করেছ। যে সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে, তা আর টানবার দরকার কি? বাট…
— বাট কি?
— বাট মানে হচ্ছে, ডিভোর্সের জন্য তো ওর ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য। সেটা চাইতেই ফোন করল কি না। আই মিন হয়তো কোন কারণে মত পাল্টেছে। দেখা যাবে আমার তরফ থেকে কোন উত্তর না পেয়ে একেবারে কেস করে দিয়েছে। তখন জেল জরিমানা হয়ে বিচ্ছিরি অবস্থা হবে।
— হায় হায়, আমি তো এটা ভাবিনি।
— ফোন নম্বরটা ওর উকিলের হয় যদি?
— একটু থাম।
গ্রেট। ব্যাঙ অন টার্গেট। সন্দেহ করবে, আর নম্বরটা টুকে রাখবে না? হতেই পারে না।
— শোন, নম্বরটা আমি লিখে রেখেছিলাম। আমি বলই কি, একবার না হয় ফোন করে দেখ, কি ব্যাপার।
— আমারও তাই মনে হয়। নম্বরটা কাছ আছে?
— আর হ্যাঁ। নম্বরটার আগে একটা ম্যাসেজও ছিল, আজকেই যোগাযোগ করুন। দেরি হয়ে গেল না তো?
— দেখি ফোন করে।
— আর শোন, কোন কম্পেনসেশন যদি চায়, তাহলে সবকিছুর রিটেন ডকুমেন্ট রাখবে কিন্তু।
— তা তো অবশ্যই। এখন রাখছি, দেখি দেরি করে ফেললাম কি না।
‘করুন?' আপনি করে কেন? সীমার মুখে আপনি ডাক? সামথিং রং। কিছু একটা ঘাপলা আছে। ওদিকে রুমা উদ্বিগ্ন কণ্ঠে মোবাইল নম্বরটা বলছে। আমি লিখছি আর ভাবছি, ‘করুন' কেন?


— এখানে একটা সিগনেচার করুন।
ভদ্রমহিলা আরও কিছু জায়গা দেখিয়ে দিলেন। সব জায়গায় একে একে সই করলাম।
— উই আর ডান। এখন আপনি চাইলে নিয়ে যেতে পারেন।
আমি এখানে এসে পৌঁছেছি বেশ কিছুক্ষণ আগে। ভদ্রমহিলার নাম শান্তা। একটা এনজিও চালান। নো পাত্তা অফ সীমা। তবে আমার জন্য একরাশ সারপ্রাইজ অপেক্ষা করে ছিল। একটা একটা করে শুনছি, আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠাণ্ডা একটা অনুভূতি নেমে যাচ্ছে। মাথা এখনও ভোঁ ভোঁ করে ঘুরছে। সকালে ফোন নম্বরটা পাওয়ার পরে যে পুলক বোধ করছিলাম, সারা শরীরে টিপিক্যাল প্রেম প্রেম রোমাঞ্চের শিহরণ ছড়াচ্ছিল, তা উড়ে গেছে।
সীমার কথা এতোদিন মনে পড়েনি বলব না, তবে মনে পড়ার সাথে সাথে একরাশ অপরাধ বোধ ঘিরে ধরত। তাই প্রাণপণে চেষ্টা করতাম সব কিছু ভুলে থাকতে। প্রথম প্রথম সমস্যা হলেও, পরে আর বিশেষ অসিবুধে হয়নি। আর খোঁজ খবর নেয়ার সুযোগও ছিল না। কোথায় গেছে, কেউই জানি না। প্রথমটায় ওর বাবা মার কাছে উঠেছিল, পরে সেখান থেকেও একদিন চলে যায়। কোন এক গ্রামে, একটা এনজিওতে নাকি চাকরি পেয়েছে। এই বলে বেরিয়ে যায়। সেটাও আমি জানতে পারতাম না, আমার প্রাক্তন শাশুড়িই একদিন ফোন করে জানান। উনার উদ্দেশ্য, আমি আর নতুন কিছু জানি কি না, তা জানতে চাওয়া।
— কে হয় আপনার?
সম্বিত ফিরে পেলাম। ভদ্রমহিলা আমাকেই বলছেন।
— আমার প্রাক্তন স্ত্রী
—ডিভোর্স?
— জ্বি।
— আপনি জানতেন না?
— কি জানতাম না?
— এই যে, উনি কি করতেন?
— না। আই মিন, আমরা জানতাম ও একটা এনজিও তে চাকরি করে। মানে ওর মা আমাদেরকে, মানে আমাকে তেমনটাই বলেছিলেন।
— আই সি। এখানে অনেকেই তাই করে। প্রফেশানটা তো আর বলার মত কিছু না। ইউ নো…
সবকিছু এতো দ্রুত ঘটে যাচ্ছে, ঠিক বুঝতে পারছি না কি হচ্ছে। কেমন চাবি দেয়া পুতুলের মত একটার পর একটা কথার উত্তর দিয়ে যাচ্ছি। ভদ্রমহিলা একজন আয়া টাইপ কাউকে ডাকলেন। বললেন, নিয়ে আসতে। আমি তখনও বুঝে উঠতে পারছি না আমার কি করা উচিত। কিংবা আমার সাথে ওর সম্পর্ক কি? ইতস্ততঃ ভাবটা কাটিয়ে জিজ্ঞেস করেই ফেললাম
— আরেকটা কথা জানতে পারি?
আমার সাথে অফিশিয়াল কাজ শেষ। সম্ভবতঃ ভেবে নিয়েছিলেন আমার প্রশ্নও শেষ। তাই নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। আমার প্রশ্নে ধীরে ধীরে চোখ তুললেন
— বলুন।
— আমার নামটা কি ও..., মানে... সীমাই কি আপনাকে জানিয়েছে?
মহিলা এবার একটা স্মিত হাসি দিলেন। সম্ভবতঃ আশ্বাস দেয়ার চেষ্টা… উনি কোন ভুল করছেন না। ব্যাপারটা তো ভুল হওয়ার ব্যাপার না, ব্যাপার হচ্ছে, সীমা সত্যি কি চাইছিল?
— হ্যাঁ।
কেমন যেন মিলছে না। আমাদের ছাড়াছাড়ির সময় কি ও প্রেগন্যান্ট ছিল? তাহলে বলল না কেন? অ্যাট লিস্ট জানাতে তো পারত। নাকি পরে ঘটেছে ব্যাপারটা। বাচ্চাটার ডেট অফ বার্থ জানতে পারলে কাজে দিত। কিন্তু তেমন কিছু না হলে, শুধু শুধু সাহায্য নেয়ার মেয়ে সীমা না। আর ওর বাবা মা বেঁচে থাকতে, তাঁদের কাছে সাহায্য না চেয়ে আমার কাছে চাওয়া, কি প্রুভ করে? অনলি ইফ… বাট তেমন কিছু হলে আমাকে আগে কেন বলল না? কিছু মিলছে না। ব্যাপারটা পরিষ্কার হওয়ার জন্য জিজ্ঞেস করলাম
— আর কি বলেছে?
— আর কি মানে?
— আর কিছু মানে…আমার নাম আপনারা জানলেন কিভাবে?
— একটা নার্সিং হোমের সাথে আমাদের কন্ট্রাক্ট আছে। সেখানেই বাচ্চাটা হয়। তো, বাচ্চাটা হওয়ার সময় ওর খুব ব্লিডিং হয়। ওকে জানানো হল ব্লিডিং থামানো যাচ্ছে না এবং হয়তো ওকে বাঁচানো যাবে না, বাচ্চার ব্যাপারে কিছু বলার আছে কি না।
— তখন আমার নাম বলল?
— হ্যাঁ।
— বাট কেন? আমি আসলে যেটা জানতে চাইছি… আমি মিন, বাচ্চার বাবা হিসেবে কি আমার নাম বলেছিল?
— সেটা তো আমরা জানতে চাইনি। তবে সীমা বলত 'ও কেবল আমার’।
দিস ইজ টিপিক্যাল সীমা। ভদ্রমহিলাকে প্রথমবারের মত বিশ্বাস করতে শুরু করলাম। জিজ্ঞেস করলাম
— তাহলে… আই মিন... আমাকে ডাকলেন কেন?
— আসলে আমাদের এই এনজিওটা বেশ কিছু ব্রোথেল নিয়ে কাজ করে। স্পেশালি এখানে জন্ম নেয়া চাইল্ডরা যেন আবার এই পেশায় না আসে, সেটাই থাকে আমাদের চেষ্টা। আমরা উইজুয়ালি আমাদের হোম নিয়ে যাই। ছোট্ট হোম, বুঝতেই পারছেন, বেশি বাচ্চা অ্যাকোমোডেট করতে পারি না। তাই চেষ্টা থাকে, কেউ যদি অ্যাডপ্ট করে। তাই জিজ্ঞেস করেছিলাম, কোন নির্দিষ্ট কারো কাছে বাচ্চাটাকে দিতে চায় কি না?
— আই সি। বাট… স্টিল, হোয়াট ডিড শি সেড? আমি আসলে জানতে চাই, আমার ব্যাপারে ও কি বলেছে?
— ইজ দ্যাট ইম্পরট্যান্ট?
আমি বোধহয় বেশি এক্সাইটেড হয়ে যাচ্ছি। তাই তো, এটা কি সত্যিই এতো জরুরী? সীমা একটা শেষ অনুরোধ করেছে। আই সুড অনার দ্যাট। তারপরও মনে একটা খচখচ থেকেই যাচ্ছে। আমার মনের অবস্থা বোধহয় উনি বুঝতে পারলেন।— বাচ্চার বাবা কে, তা কি খুব জরুরী?
— অ্যাট লিস্ট ডেট অফ বার্থটা?
— একই তো কথা। এনিওয়ে, ডেট অফ বার্থটা বলব না। এটা উনার শর্ত। তবে আপনার ইচ্ছামত একটা ডেট অফ বার্থ দিয়ে বার্থ সার্টিফিকেট করে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারি। ইফ ইউ উইশ। বাই দ্যা ওয়ে, বাবার পরিচয় নিয়ে আপনি এতো উতলা হচ্ছেন কেন? আপনার সন্তান হলে অ্যাডপ্ট করবেন, আর না হলে করবেন না?
— ঠিক তা না। বাট… জাস্ট কিউরিওসিটি… ও আসলে কি বলেছে? মানে…
— এনিয়ে আমি আর কোন প্রশ্নের উত্তর দিব না। আপনি ঠিক করুন, আপনি বাচ্চাটাকে অ্যাডপ্ট করতে চান, কি না। নেহাত সীমা আপনার নাম বলে গেছে তাই বেশ কিছু নিয়ম ভেঙ্গে আপনাকে এই সুযোগ দিচ্ছি।
—আই নো।
— না। আপনি কিছুই জানেন না। নিয়ম হচ্ছে বাচ্চা হবে না এমন কাপলকেই শুধু বাচ্চা আডপ্টের সুযোগ দেয়া হয়। আর সেক্ষেত্রেও স্বামীস্ত্রী দুজনকে আসতে হয়। আপনার ক্ষেত্রে দুটো নিয়মই আমি ভেঙ্গেছি।
মহিলা বেশ রেগে গেছেন। আমি কি অন্যায় কোন প্রশ্ন করছি? আমি তো শুধু জানতে চাইছি…
— সো, বাচ্চাটাকে আডপ্ট করতে চান কি না ভালভাবে ভেবে দেখেন। চাইলে, দুটো ব্যাপার মেনে নিতে হবে। এক, ওর আসল ডেট অফ বার্থ জানতে পারবেন না। আমাদের এখানে ফর্মে বাবার নামের অপশান রাখিনি, তাই সেটা আমরা জানিও না।।
আমি হাল ছেড়ে দিলাম। মহিলার হঠাৎ রেগে যাওয়ার কারণটা এখনও বুঝতে পারছি না। সীমার সাথে অন্যায় আমি করেছি, বাট বাচ্চাটার ব্যাপারে জানতে চাইতে পারবো না? যদি আমার হয়? মহিলা একটু চুপ করেছিলেন, আবার শুরু করলেন
— ডেট অফ বার্থ বলতে পারব না কারণ এটা উনার লাস্ট রিকোয়েস্ট টু মি। অ্যাম আই ক্লিয়ার? ইউ ক্যান গেস এনিথিং।

বুঝলাম, মহিলা সীমাকে বেশ পছন্দ করতেন। আর সেকারণেই এতো ইমোশনালি রিয়াক্ট করছেন। আমার মুখটাও সম্ভবতঃ বেশ চুপসে গিয়েছিল। হয়তো মহিলার কিছুটা মায়াও লাগল। গলার আওয়াজ কিছুটা নরম হয়ে আসল।
— সরি, আমি বোধহয় একটি বেশিই রিয়াক্ট করছি। আসলে ওখানকার সব প্রেগন্যান্ট মহিলাদেরকেই আমরা ফলোআপ করতাম। আর তাই সীমাকে বেশ খানিকটা চেনার সুযোগ হয়েছিল। অনেকেই নিজের পুরনো গল্প বললেও সীমা কখন বলেনি। একেবারে চুপচাপ, দারুণ সেলফরেসপেক্ট। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি, সীমা আলাদা ধাঁচের মেয়ে। ইভেন ব্লিডিং যখন চলছিল, তখন কিছু টাকা হলেই আমরা বড় কোন হাসপাতালে যেতে পারতাম। বাট, নিজের জন্য সাহায্য চাইতে ও কারো নাম মুখে আনে নি। না আপনার না ওর বাবা মার। নিশ্চিত মৃত্যু জেনে কারো নাম সীমা উচ্চারণ করেনি।
— জানি, সীমা সাহায্য নেয়ার মেয়ে না। আমার কাছে নিজের জন্য কোনদিন কিছু চায়নি।
— অ্যান্ড আই থিংক কোনদিনই বলতোও না। শেষ মুহূর্তে যে বলেছে, তা ও বলেছে ঐ বাচ্চাটার জন্য। যখন ওকে বললাম, এমন কেউ কি আছে, যাকে অনুরোধ করলে এই মেয়েকে অ্যাডপ্ট করে এখান থেকে উদ্ধার করবে, তখন একবার শুধু আপনার নামটা শুধু বলল। তারপরেই আবার বারণ করল। সম্ভবতঃ ভেবেছিল, আপনি ভাববেন… মানে এই মুহূর্তে যেটা ভাবছেন, আরেকজনের পাপ আপনার ঘাড়ে চাপাচ্ছে কি না।
বড়সড় একটা ধাক্কা খেলাম। আমি এই কথা ভাবব, এটাও সীমা জানত। কি নিদারুণ পরীক্ষার মধ্যে পড়েছিল ও। একদিকে মেয়েকে বাঁচানো আর নয়তো মেয়ের পিতৃত্ব নিয়ে আমার ভ্রুকুটি। নিজের প্রতি একরাশ ঘৃণা নিয়ে মাথা নিচু করে চুপচাপ আমি কথাগুলো শুনতে লাগলাম।
— এদিকে আপনার ফোন নম্বর, অ্যাড্রেস কিছুই আমাদের কাছে ছিল না। জানতাম শুধু নাম। তাই উনার নাম আর ছবি দিয়ে একটা ফেসবুক আকাউন্ট খুললাম। আর আপনার নামে যত ফেসবুক আকাউন্ট আছে, স্পেশালি ঢাকা যাদের অ্যাড্রেস, তাঁদের সবার কাছেই ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠালাম। জাস্ট লাক ট্রাই করা। বেশ অনেকদিন থেকেই ট্রাই করছি। আর দুএকদিনের মধ্যে আপনাকে না পেলে হয়তো… যেমন ফুটফুটে সুন্দর হয়েছে মেয়েটা, অনেকেই অ্যাডপ্ট করতে চায়। আমরা কি করব ভাবছিলাম, আর সেই মুহূর্তেই, ইউ রেস্পন্ডেড।
কথাগুলো কিছু কানে ঢুকছে, কিছু ঢুকছে না। নিজের প্রতি ঘৃণা প্রতি মুহূর্তে বাড়ছে। প্রায়শ্চিত্ত করবার কোন সুযোগ সীমা দেয়নি। তবে আমার করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। বাচ্চাটাকে কোলে নিলাম। দারুণ ফুটফুটে হয়েছে। এখন ঘুমাচ্ছে। বিদায় জানাবার জন্য মহিলার দিকে শেষবারের মত তাকালাম।
— আর হ্যাঁ, দ্বিতীয় শর্ত। ওর নাম চেঞ্জ করবেন না। ওর নাম হবে মৌমিতা। জাস্ট মৌমিতা। আপনার নামের কোন অংশ যোগ করবেন না। প্লিজ। এটা উনার লাস্ট রিকোয়েস্ট অ্যান্ড শর্ত। সো, প্লিজ, জাস্ট মৌমিতা।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৭ সকাল ৯:১৬

ঋতো আহমেদ বলেছেন: সুন্দর গল্প। খুব ভাল লাগল।

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৫

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৯

মন থেকে বলি বলেছেন: অসম্ভব ভাল লাগল।
দারুন প্লট। আপনি লেখেনও দারুন।

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৯

রায়হান চৌঃ বলেছেন: অসাধারণ লিখেছেন.......... শেষের রেষ টুকু এখনো কাটিয়ে উঠতে পারিনি :(

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৬

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ১২ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩০

করুণাধারা বলেছেন: Excellent !!!

আপনার গল্প বলার ভঙ্গি অসাধারন, গল্পও অসাধারণ। অনেকদিন পর গল্প পড়ে মন্ত্রমুগ্ধ হলাম।

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫২

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩০

তপোবণ বলেছেন: এক কথায় দারুণ! পড়ছিলাম নাকি সিনেমা দেখছিলাম! সত্যিই অসাধারণ! স্ক্রল করে দেখলাম অনেক বড় । পড়ব কিনা ভাবছিলাম। পড়তে শুরু করার পর এক লহমায় যেন শেষ হয়ে গেল। আসলে আপনার লেখার ধরণটা পাঠকদের মুগ্ধ করে রাখার মতো। গল্পের শেষটুকু কানে বাজছে এখনও আ লাস্ট রিকোয়েস্ট "জাস্ট মৌমিতা"

১৩ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: অসাধারণ। আর কোথাও লিখেন? নাকি এখানেই প্রথম?

২৬ শে জুন, ২০১৭ রাত ১২:১২

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ২৪ শে জুন, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

ইয়াশফিশামসইকবাল বলেছেন: মন থেকে ভালো লাগলো...চমতকার লেখা।

২৫ শে জুন, ২০১৭ রাত ১:০০

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.