নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্ন

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী

কিছুই না

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাই সেকেন্ড ম্যারেজ

১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৪


— আমি রেডি
ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ওয়েট করছিলাম। সিগারেটও শেষের দিকে। এমন সময় নিবেদিতা তথ্যটা দিল। আমরা আজকে একটু একসাথে বেরোচ্ছি। আই ওয়াজ রাইট দ্যাট ডে। নিবেদিতা আপত্তি করেনি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা আর ও বাড়িতে উঠছি না। একদিন গিয়ে হয়তো আমার জিনিসগুলো নিয়ে আসব। আপাততঃ শিশিরের ওখানে থাকব। এরপরে নিবেদিতা আমেরিকা গেলে, নতুন বাসা খুঁজব।
ইশিতা সম্পর্কে আপডেট হচ্ছে, ও আগের জব ছেড়ে দিয়েছে। শিশির আরেকটা জব জোগাড় করে দিয়েছে। ও এখন অনেকটাই স্থির হয়ে এসেছে। বাড়িটা ওকে দিয়ে দিচ্ছি, তথ্যটা ওকে জানানো হয়েছে। ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। অ্যান্ড, কিসসা আপাততঃ খতম। অ্যাট লিস্ট আই থট সো।
এখন বেরোচ্ছি শপিংয়ে। নতুন বাসার জন্য টুকটাক কিছু কিনব। আমার কাজ হচ্ছে ওকে জানিয়ে দেয়া, কি কি ওখানে পাওয়া যায় আর কি কি এদেশ থেকে নিতে হবে। যদিও এই ঘটনা নিবেদিতার জন্য নতুন, আমার জন্য পুরনো। ইশিতার সাথে এই শপিং আমি আগে একবার করেছি। যদিও সেই নতুন সংসারের আবেগ এখন কাজ করছে না, তারপরও সঙ্গে যাওয়াটা জরুরী। ওজনের ব্যাপারটা মাথায় রেখে শপিং করতে হবে।
ভেবেছিলাম আমাদের কাহিনীতে যদি কোন টুইস্ট আসে, তা আসবে আমার তরফ থেকে। যদি ইশিতার ব্যাপারে নিজে কন্ট্রোলে না রাখতে পারি। আর যেহেতু নিবেদিতার প্রেমে অনেকটাই পড়ে গেছি, তাই ভেবেছিলাম, ইশিতাকে ভুলতে তেমন সমস্যা হবে না। একটা বন্ধুত্বপূর্ণ থাকবে, মাঝে মাঝে 'হাই হ্যালো’ হবে, অ্যান্ড দ্যাটস ইট। আর যদি একটা বিয়ে হয়ে যায়, তাহলে তো ভালোই।
গল্পের যেদিকটা নিয়ে একেবারেই ভাবিনি, তা হচ্ছে, দ্যা ট্যুইস্ট অফ মাই টেল ক্যান কাম ফ্রম নিবেদিতাস সাইড। ধরেই নিয়েছিলাম আমার মত একটা পাত্র পেয়ে ও আর হয়তো পুরনো প্রেম নিয়ে মাথা ঘামাবে না। অ্যান্ড দেয়ার আই ওয়াজ টেরিবলি রং। অ্যান্ড ইট হ্যাপেন্ড।
একসঙ্গে বেরচ্ছি, এমন সময় নিবেদিতার মোবাইলে একটা ফোন আসল। এক ঝলক তাকিয়ে দেখতে পেলাম লেখা আছে ‘সমিৎ কলিং’। এগিয়ে যেতে যেতেই ফোনটা রিসিভ করল নিবেদিতা। সাবলীল ভাবেই কথা বলল।
— শপিংয়ে যাচ্ছি।… হ্যাঁ ইশতিয়াক সাথেই আছে… নো প্রব্লেম, বলো।
এরপরে কিছু ‘হু হা’ টাইপ কথাবার্তা চলল। অ্যান্ড দেন, নিবেদিতা আমার দিকে তাকিয়ে সেই স্মিত হাসি দিয়ে জানাল
—সরি, সমিত ছিল।
নিজের অজান্তেই ভ্রু কুঁচকেই জিজ্ঞেস করে ফেললাম
—ফ্রেন্ড?
দুষ্টুমির হাসি ফিরে আসল। বুঝলাম, শি ইজ এঞ্জয়িং মাই ইনভেস্টিগেশান। এরপরের কথাটার জন্য আমি একেবারেই তৈরি ছিলাম না।
— না। দ্যা থার্ড রোমিও।
এবার আসলেই বড়সড় ধাক্কা খেলাম। দ্যাট গাই, যে পুলিশের ভয়ে সুড়সুড় করে প্রেমিকা সমেত ফেরত আসল, যার কারণে আজ নিবেদিতাকে একজন ডিভোর্সিকে বিয়ে করতে হলো, তার সাথে এখনও সম্পর্ক রেখেছে? অবাক হলেও দ্রুত নিজেকে সামলালাম। গলার আওয়াজে যতটা সম্ভব স্বাভাবিকতা এনে জানতে চাইলাম
--স্টিল ইন টাচ উইথ হিম?
বাঁকা চোখে আমার দিকে তাকিয়ে সম্মতি সূচক মাথা নাড়ল। বেশ অবাক লাগলেও কিছু বললাম না। আমার ধারণা নিবেদিতা বলবে। যেহেতু ফ্রেন্ড বলে চালিয়ে না দিয়ে আসল পরিচয় দিয়েছে, সব জানাবার উদ্দেশ্যেই দিয়েছে। আমার কাজ এখন শুধু অপেক্ষা করা।
এরপরে আর তেমন কিছু ঘটল না। শপিং যথারীতি হল। চিন্তিত ভাবটা দূরে সরিয়ে রাখবার আপ্রাণ চেষ্টা করলাম। পেরেছিলাম কি না জানি না। তবে নিবেদিতা স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু করল। আগেই জানিয়েছিলাম ওখানে কি কি কস্টলি, কি কি সহজেই পাওয়া যায়। খাবারের জিনিস যে নেয়া ঝামেলা সবই ওকে বোঝানো হয়েছে। সেসব মেনেই ও শপিং করে গেল। একবারও মনে হল না, আমার চেহারায় লটকে থাকা প্রশ্নবোধক চিহ্নগুলো অ্যাট অল ওকে ভোগাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পরে আমি নিজেও স্বাভাবিক হয়ে গেলাম। অযথা ভেবে লাভ নেই। যদি তেমন কিছু হয়, লেট ইট হ্যাপেন। একসময় শপিং শেষ হল। বাসায় ফিরলাম। স্বাভাবিকভাবেই ডিনার সারলাম। নিবেদিতার তেমন কোন বিকার নেই। কিছু হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে না। যথারীতি পোশাক পাল্টালো। এখন বিরক্ত লাগতে শুরু করেছে। মন ঘোরাবার জন্য ল্যাপটপ খুললাম। মাঝে মাঝে তাকাচ্ছি নিবেদিতার দিকে। ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসে তখন মুখে ক্রিম মাখছে। মনে হল আমার দিকে ইচ্ছে করেই তাকাচ্ছে না। চোখ নামিয়ে নিলাম।
ভেবেছিলাম আর তাকাব না। বাট পারলাম না। আবার তাকালাম আয়নায়। ও তাকিয়ে আছে। আয়নায় আমাকে দেখা যাচ্ছে। আর ওর নজর সেদিকেই। ধীরে ধীরে ঘুরে বসল। আমার মুখোমুখি। চোখে সেই শীতল চাহনি।
— কেমন লাগছে?
কি বলছে প্রথমে ধরতে পারিনি। বলে ফেললাম
— মানে?
— আমারও ঠিক এমনই লাগে যখন দেখি ইশিতা এখনও তোমার মনে জায়গা করে আছে।
প্রতিবাদ করলাম
— তুমি ভুল বুঝছ। শী ইজ নো মোর ইন মাই লাইফ।
— ইজ ইট?
— দেখো, আই ফিল গিল্টি আবাউট হার। আই জাস্ট ওয়ান্টেড টু কম্পেন্সেট।
— আই ডোন্ট থিঙ্ক সো।
— নাও ইউ আর ওভার রিয়াক্টিং। এই বাড়ি যখন কেনা হয়, লোণের কিস্তি সেও দিয়েছিল। ইভেন ও যখন ডিভোর্স নেয়, চাইলে অনেক কম্পেন্সেশান ডিমান্ড করতে পারত, বাট শী ডিডন্ট। এবাসা শুধু আমার না, ওরও। আর আমি তো তোমার সাথে ডিসকাস করেই…
ঠোঁটে আবার বাঁকা হাসি।
— ডু ইউ থিঙ্ক দ্যাটস মাই কনসার্ন?
— দেন?
— ইউ আর মাই কনসার্ন। তোমার বাড়ি, তোমার ব্যাংক ব্যালেন্স, সব তোমার। কাকে দিবে, আই ডোন্ট কেয়ার। বাট নট ইউ। ইফ ইউ ওয়ান্ট অ্যা বুয়া কাম বেড পার্টনার, ইউ উইল গেট দ্যাট, বাট ইউ উইল নট গেট মি। ইফ ইউ ওয়ান্ট মি, ইউ হ্যভ টু বি মাইন। অ্যান্ড টোটাল ইউ।

আর কিছু বলল না। চুপচাপ বিছানায় এসে শুয়ে পড়ল। নিবেদিতার এই চেহারা আগে দেখিনি। আমার হতভম্ভ ভাব তখনও কাটেনি। ধীরে ধীরে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করলাম। হল না। বুঝলাম আজকে রাতে আর ঘুম হবে না। ধীরে ধীরে উঠে ব্যালকনিতে গেলাম। মাই ফেভারেট থিংকিং স্পট। সিগারেট ধরালাম
মন বলছে, নিবেদিতা উঠে আসবে। সিগারেট চাইবে। এরপরে হয়তো বলবে… নাহ। বেশি ভেবে ফেলছি। দুম করে কিছু বলা টাইপ মেয়ে নিবেদিতা না। ভেবে চিন্তে, ঠাণ্ডা মাথায় ও কথাগুলো বলেছে। কিছুটা অপমানে লাগছে, তবে এই মুহূর্তে যা আমাকে বেশি চিন্তিত করছে, তা হচ্ছে কেন ওর সন্দেহ হল? ইশিতার ব্যাপারে আমি কি সত্যিই ইন্ডিশিশানে ভুগছি? সত্যিই কি মনের কোনে এখনও ইশিতা থেকে গেছে? বাড়িটা দিয়ে দিতে চাওয়াটা কি সেজন্য?
সিগারেটটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ফেলে দিব ভাবছি এমন সময় নাকে পারফিউমের গন্ধ এসে লাগল। বুঝতে পারছি, নিবেদিতা আসছে। কিছুটা অভিমান হয়তো কাজ করছে। ইচ্ছে করেই ফিরে তাকালাম না। অপেক্ষা করে আছি, ও কি বলে।
ধীরে ধীরে নিবেদিতা এসে পাশে দাঁড়াল। সামনের রাস্তায় ছুটে চলা হেডলাইট গুলোর দিকে তাকাল। এরপরে বেশ শান্ত স্বরে বলল
— একটা কথা বলব?
-- বল
— তুমিও ইশিতাকে ভোলার চেষ্টা কর না।
ধীরে ধীরে নিবেদিতার দিকে ফিরে তাকালাম। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। চোখে শান্ত একটা ভাব।
— আর আমার জন্য ভেবো না।
— ডু ইউ লাভ শমিত?
সেই স্থির শীতল চোখ। শান্ত স্বরে বলল
— উইল দ্যাট হেল্প ইউ?
চলবে

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৩১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: উরে বাবা...

এ দেখি জটিল কাহিনী ;)


চলুক :)

+++

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৪

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: সেটাই। পড়ার জন্য ধন্যবাদ

২| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৫৯

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: ওয়াও! শুনুন, আমি আপনার ব্লগে আসলাম আরেকটি পর্ব দিয়েছেন কিনা দেখতে। এসে দেখি দুটো পর্ব দিয়েছেন যা আমি এখনো পড়িনি! ভীষনই খুশি মনে দুটোই পড়ে ফেললাম! এত সাবলীল গতিতে এগিয়েছে যে কখন শুরু হলো আর কখন শেষ বুঝতেই পারলাম না।

তোমার বাড়ি, তোমার ব্যাংক ব্যালেন্স, সব তোমার। কাকে দিবে, আই ডোন্ট কেয়ার। বাট নট ইউ। ইফ ইউ ওয়ান্ট অ্যা বুয়া কাম বেড পার্টনার, ইউ উইল গেট দ্যাট, বাট ইউ উইল নট গেট মি। ইফ ইউ ওয়ান্ট মি, ইউ হ্যভ টু বি মাইন। অ্যান্ড টোটাল ইউ।
জোশশশ! প্রত্যেকটি মেয়ের এমন কড়াভাবে নিজের হাসব্যান্ডকে বুঝিয়ে দেওয়া উচিৎ যে বাবা মা টাকা দেখে বিয়ে দিলেও, সেটা দেখে নিজে ভালোবাসা সম্ভব না।
উই উইমেন শুড অলওয়েজ মেইক ইট ক্লিয়ার দ্যাট উই ওয়ান্ট সোওও মাচ মোর দ্যান মানি, স্ট্যাটাস ব্লাহ ব্লাহ! মেয়েরা শুধু টাকার প্রেমে পরে এই ভাবনায় কিছু কিছু ছেলে অবহেলা ও অসম্মান করে। অবশ্য কিছু কিছু মেয়ে আসলেই তাই। তবে সবাই এক নয়। প্রতিটি মেয়ের সম্মানের দিকে খেয়াল রাখা উচিৎ। ভালোবাসা, বিশ্বাস আমাদের জন্যে কতটা জরুরি সেটা এমনই কড়া ভাষায় বলা উচিৎ।

এ পর্বটি নিয়ে এত কথার বলার কারণ, এই পর্বটি একটু বেশিই ভালো লাগল। খুব জমে উঠেছে সিক্থ এংগেল লাভ স্টোরিটি! ;) :) ও হ্যাঁ, নিবেদিতা আমার প্রিয় চরিত্র পুরো গল্পে! ওর হ্যাপি এন্ডিং চাই তাই। :)

শেষটা জমজমাট, বরাবরের মতো পরের পর্বের অপেক্ষায়.....
শুভেচ্ছা!

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১৪ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:৩২

কাউয়ার জাত বলেছেন: আমি জানতে চেয়েছিলাম, একজন মানুষ কি প্রথম প্রেম কখনোই ভুলতে পারে না? উত্তর কি কমেন্টে দিবেন না গল্পে দিবেন?
এ বিষয়টা নিয়ে আমি প্রচুর ভাবছি।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: দেখি কি করা যায়

৪| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪০

সোহানী বলেছেন: খুব সাধারন কিছু কাহিনী হলে দারুন কিছু টুইস্ট আছে যা ভালো লাগছে.. পরের পর্বের অপেক্ষায়।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:৪২

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: এসে গেছ

৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

খালিদ আহসান বলেছেন: ৪-৭ একবারে পড়লাম। একটু একটু পড়তে ভাল লাগেনা

দুষ্টুমির হাসি ফিরে আসল। বুঝলাম, হি ইজ এঞ্জয়িং মাই ইনভেস্টিগেশান।

মনে হয় এখানে সি ইজ এঞ্জয়িং মাই ইনভেস্টিগেশান- হবে।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ঠিক করলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.