নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সপ্ন

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী

কিছুই না

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

অদিতি

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:৩১


চাকরীর ইন্টারভিউয়ে, সময়ের বেশ আগেই পৌঁছে গেল অদিতি। জ্যাম ভয় করে আগে বেরিয়েছিল, কিন্তু জ্যাম তেমন ছিল না আজকে। ওদিকে গতকাল রাতেই ওর সার্টিফিকেটগুলো একজন ছেলের হাতে পাঠিয়ে দিয়েছিল নীরব। সকাল সকাল উঠে তৈরি হয়ে গিয়েছিল অদিতি। লক্ষ্য করল, কেমন একটা রোমাঞ্চ অনুভব করছে সে। ঠিক পরীক্ষার হলে যাওয়ার অনুভূতি না, কেমন নতুন একটা অনুভূতি।
চাকরী সে আগে কখনো করেনি। পড়াশোনা শেষ করার পরে বই পত্র সব নিজেই গুটিয়ে রেখেছিল। আসলে চাকরী যে করা যায় এই ব্যাপারটাই মাথায় আসেনি। করার ইচ্ছাও জাগেনি। কিন্তু আজ যখন চাকরীর সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, ব্যাপারটাকে কেন এতো এঞ্জয় করছে, ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। কোথায় যেন নিজেকে প্রথমবারের মত অদিতি মনে হচ্ছে। নীরবের বউ না, কারো বোন না, কারো মেয়ে না। এই মুহূর্তে সে কেবল অদিতি।
ঠিক সময়ে ট্যাক্সি ক্যাব চলে এসেছিল। নীরবও একবার ফোন করে জানতে চেয়েছিল, সব ঠিক আছে কি না। বুঝিয়ে বলেছিল, ইন্টারভিউ কতো তলায়, কোন রুমে হবে। লিফটে উঠে কত চাপতে হবে, এরপরে ডানে না বামে। এনকোয়ারি কোথায়, সেখানে কি জিজ্ঞেস করতে হবে। ইন্টার্ভিউয়ের জায়গায় পৌঁছে বুক ধুকপুক শুরু করল অদিতির। পরীক্ষার দিনের সেই টেনশান ফিল করছে।
শিরিন কিছু টিপস দিয়েছে। কেন জব করতে চায়, কত স্যালারি এক্সপেক্ট করে, এমন সব প্রশ্নের জবাবে কি বলতে হবে টা শিখিয়ে দিয়েছে। মনে মনে একবার প্র্যাকটিস করে নিল।
সম্ভবতঃ বেশ আগেই পৌঁছে গিয়েছিল। এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখল, তেমন কেউ নেই। মিনিট পনের একাই বসে থাকল। এতে একটা সুবিধা হল, টেনশান কিছুটা কমে এল। দশটার পর থেকে ধীরে ধীরে লোকজন আসতে লাগল। পুরুষ আর মহিলা ক্যান্ডিডেট মিলিয়ে এসেছে প্রায় জনা ত্রিশেক। ইন্টারভিউ শুরু হল এগারোটার দিকে। একজন একজন করে ঢুকছে।
অদিতির ডাক পড়ল আট নম্বরে। শিরিন বেশ কয়েকবার হেঁটে এসে বসা প্র্যাকটিস করিয়েছিল। ব্যাপারটা কাজে দিল। বেশ কয়েকজন বয়স্ক ভদ্রলোক ছিলেন ইন্টারভিউ বোর্ডে। স্মার্টলি হেঁটে গিয়ে টেবিলের সামনে দাঁড়াল। একজন ভদ্রলোক সামনে রাখা চেয়ারের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন
— হ্যাভ ইয়োর সিট প্লিজ
অদিতি বসল। শুরু হল ইন্টারভিউ। কোন বিষয়ে পড়াশোনা করেছে, চাকরী কেন করতে চায়, এতদিন কি করেছে। প্রথম দিকে কিছুটা ভয় পেলেও ধীরে ধীরে সেটা কেটে গেল। পরের প্রশ্নগুলো অনেক কনফিডেন্টলি জবাব দিল। এরপরে তাঁরা জানালেন আসল কথা
— দেখুন, আপনার ব্যাপারে যেহেতু রিকমেন্ডেশান আছে, চাকরীটা আপনার হবে। তবে আপনার সাবজেক্ট যেহেতু কমার্স না, তাই আপনাকে তিন মাসের একটা কোর্স করতে হবে। আমরাই পাঠাবো, তবে একটা কন্ডিশান আছে। আপনাকে বন্ড দিতে হবে যে, আগামী দুবছর আপনি এই জব লিভ করবেন না।
অদিতি সম্মতি জানাল। জানতে চাইল, কবে থেকে জয়েন করতে পারবে। উত্তরে উনারা জানালেন
— আপনি বাইরে অপেক্ষা করুন, ইন্টারভিউ শেষে আমরা রেজাল্ট জানাব। সিলেক্টেডদের সাথে আমরা আবার বসব।
অদিতি বেরিয়ে আসে। মুখে হাসি। মনে হচ্ছে নতুন এক জগতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে। বেশ উত্তেজনা লাগছে। বেরিয়ে এসে নিজের আসনে বসল। ইন্টারভিউয়ের জন্য মোবাইল ফোনটা অফ করে রেখেছিল, ওটা অন করল। সঙ্গে সঙ্গে ভেসে উঠল ম্যাসেজ। ফয়সাল পাঠিয়েছে।
‘মোবাইল ফোন বন্ধ করে রেখে লাভ হবে না। রাতে ফোন করব।’
মনটা বিষিয়ে গেল। একবার মনে হল ফোন করে ব্যাপারটার একটা ফয়সালা করে ফেলে। বলে দেয়, যা খুশি ও করতে পারে। করল না। এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরী, খবরটা সবাইকে জানানো। নওরিনকে ফোন করল। ধরল না। শিরিন ধরল। ওকে জানাল, ইন্টারভিউয়ের খবর। নীরবকে ফোন করবে কি না, একবার ভাবল। পরে সিদ্ধান্ত নিল, করবে না। একটু পরে হয়তো ও নিজেই করবে।
— এখানে একটু বসতে পারি?
অদিতি ছেলেটার দিকে তাকাল। বয়স বছর ত্রিশেক হবে। সুন্দর দেখতে। হালকা নীল রঙের একটা কমপ্লিট পড়ে আছে। এরপরে আশেপাশে দেখল। অনেকগুলো চেয়ারই ফাঁকা আছে। কমপ্লিট কিংবা চেহারা, কোন একটা হবে। বারণ করতে পারল না। সম্মতি দিল
— বসুন।
— যদি অনুমুতি দেন, আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতাম
অবাক হয় অদিতি। খানিকক্ষণের জন্য ভ্রু কুঁচকে যায়। দ্রুতই নিজেকে সামলে নেয়। কথাবার্তা সুবিধের মনে না হলেও ব্যাপারটা প্রকাশ করে না। উত্তর দেয়
— বলুন
— দেখুন, আই নো, ইট সাউন্ডস অকওয়ার্ড বাট…ব্যাপারটা খুলেই বলি। দেখুন, চাকরীটা আসলে আমার হওয়ার কথা ছিল। আই মিন ঠিক যোগ্যতার কারণে না, রিকমেন্ডেশানের কারণে। একজন ক্ষমতাধর লোককে ধরেছিলাম, উনি রিকমেন্ড করেও দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল, দুই লাখ উনাকে দিতে হবে। সেটা ছিল না বলে, ডিল করি আগামী এক বছর আমার বেতনের অর্ধেক উনাকে দিব। সবকিছু ঠিকঠাকই ছিল, বাট, ইউ হ্যাড মোর পাওয়ারফুল রিকমেন্ডেশান। সো, আমি আউট। ওটা এখন আপনি পাচ্ছেন।
এবার অদিতি অনেকটাই অবাক হয়। ও ভেবেছিল, ব্যাপারটা আর কেউ জানে না। এখন তো দেখা যাচ্ছে, ব্যাপারটা ওপেন সিক্রেট। ইন্টারভিউটা যে নাম কা ওয়াস্তে, তা তো জানতে কারো বাকী নেই। তারপরও নিজেকে সামলে নিয়ে জিজ্ঞেস করে
— মানে? আপনি কি বলছেন আমি কিছুই বুঝছই না।
— মে বি। হয়তো ভেতরের কারসাজিগুলো আপনার অজানা। দেখুন, আসলে এসব চাকরী দুভাবে হয়, কিছু নেয়া হয় যোগ্যতা দিয়ে, আর কিছু হয় সুপারিশে। এবার নেয়া হবে চারজন। সুপারিসের কোটায় একজন আর যোগ্যতায় তিনজন। আর সুপারিশের ফাইটে, ইউ ডিফিটেড মি। আপনার রিকমেন্ডেশান আমারটার চেয়ে অনেক বেশি পাওয়ারফুল ছিল।
এই চাকরীটা সম্পর্কে এতোসব কাহিনী অদিতির জানা ছিল না। ও যে আরেকজনের চাকরী ছিনিয়ে নিচ্ছে এই ব্যাপারটা মাথায় আসেনি। কাজটা ভাল করছে, না খারাপ, তা জানে না, তবে এই মুহূর্তে ছেলেটার জন্য খারাপ লাগছে। চাকরীটা হয়তো ওর জন্য লাক্সারি, সময় কাটানোর জন্য দরকার, কিন্তু এই ছেলেটার জন্য? অদিতির ফ্যালফ্যালে দৃষ্টি দেখে বোধহয় ছেলেটার মায়া হয়। বলে
— আমি বলছি না আপনি অন্যায় করছেন, সুপারিশ নিয়ে আমিও হয়তো একজন যোগ্য ক্যান্ডিডেটের সুযোগ ছিনিয়ে নিচ্ছি, বাট, বিলিভ মি, এছাড়া আমার আর কোন উপায় নাই।
অদিতি নিজেকে অনেকটাই সামলে নেয়। জিজ্ঞেস করে
— আপনি কি বলছেন এসব?
— সত্যি কথা বলছি। রেজাল্ট এখনই দিবে। আমার যে লিঙ্ক ছিল, তিনি কিছুক্ষণ আগেই জানালেন, চাকরীটা আপনি পাচ্ছেন। উনার আর কিছুই করার নেই। তাই আপনার কাছে একটা অনুরোধ নিয়ে এসেছি। আপনি যদি অনুমতি দেন, আই হ্যাভ অ্যান অফার।
অদিতি আর উত্তর দিবে না ভেবেছিল। কিন্তু ছেলেটার কথা বলার ভেতরে কি যেন একটা ছিল। কিছুটা জানতেও ইচ্ছে করছিল, অফারটা কি। অদিতি এবার ছেলেটার দিকে সরাসরি তাকাল। স্মিত হেসে বলল
— কি অফার?
— দেখুন, চাকরীটা আমার খুব দরকার। এবার যতোটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, এতোটা সম্ভাবনা আর কোন চাকরীর ক্ষেত্রে হয়নি। এটা মিস হলে, আমি খুব সমস্যায় পড়ে যাব।
অদিতি কথাগুলো শোনে। এরপরে জানতে চায়
— আপনি কি একটা অফারের কথা বলছিলেন।
— ও, অফারটা… আই মিন, আমার লিঙ্ক আমাকে জানাল, দ্যা অনলি ওয়ে, মানে একটাই মাত্র রাস্তা আছে, যে রাস্তায় চলে আমার পক্ষে চাকরীটা পাওয়া সম্ভব। আর সেটা হচ্ছে, আপনি যদি এই চাকরীটা না নেন। আই মিন, ওদের শর্তে ডিসেগ্রি করেন। আর আমি যদি এটা পাই, সেক্ষেত্রে অফারটা হচ্ছে, আপনি যতদিন চাকরী না পাচ্ছেন, আমি আমার স্যালারির ফিফটি পারসেন্ট আপনাকে দিব।
চাকরী এভাবে বিক্রি করা যায়? ব্যাপারটা শুনে হেসে ফেলল অদিতি। ছেলেটার ব্যাবহার কোথায় যেন একটা সরলতা ছিল। ভাল লাগল অদিতির। জানতে চাইল
— হাফ দেবেন আপনার লিঙ্ককে আর হাফ আমাকে। তাহলে আপনার থাকবে কি?
— এই চাকরীর সুবিধা হচ্ছে, এরপরে জাম্প দেয়া সুবিধা। একবার ব্যাংকে জবের এক্সপেরিয়েন্স হয়ে গেলে, দেন অনেক অফার পাওয়া যায়। একেবারে নভিসকে কেউই নিতে চায় না।
অদিতি খানিকটা ভাবে। এখন বুঝতে পারে, দুই বছরের কথাটা কেন বলেছিল। অদিতি যেন ভাল কোন অফার পেয়ে চাকরী ছেড়ে না যায়। অন্ততঃ দুটো বছর এখানে সার্ভিস দেয়। সিচুয়েশানটা বেশ ইন্টেরেস্টিং লাগছে। ছেলেটা সম্পর্কে আরও জানতে ইচ্ছে করছে। ছেলেটার দিকে তাকাল অদিতি
— আপনি এখন কি করেন? আই মিন, কোন জবে আছেন?
— জ্বি, একটা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে আছি।
চমকে ওঠে অদিতি। শিরিনের মুখটা ভেসে ওঠে চোখের সামনে। কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, এমন সময় ফোনটা বেজে ওঠে। নীরব ফোন করেছে
— ওখানেই আছ তো?
— হ্যাঁ
— ওকে। শোন, এমডির সাথে আমার কথা হয়েছে। এখনই তোমাকে আপয়েন্টমেন্ট লেটার দিয়ে দিবে। বাট শর্ত হচ্ছে, তিন মাসের একটা কোর্স করতে হবে।
— উনি বলেছেন আমাকে
— আমারও মনে হয় করে ফেল কোর্সটা। তুমি যেহেতু কমার্স ব্যাকগ্রাউন্ডের না, ওটা না করলে তুমিই সমস্যায় পড়বে।
— ঠিক আছে।
— আর শোন, ট্যাক্সি ক্যাব নীচেই আছে, সব ফর্মালিটি শেষ হলে ওকে ডেকে নিও। তোমাকে হোস্টেলে পৌঁছে দিবে। ড্রাইভারের ফোন নম্বর আছে না?
— আছে।
— আর কোন সমস্যা হলে জানিও।
কথা শেষ করে অদিতি। ছেলেটা পাশে বসেছিল। কেমন মায়া লাগছে ছেলেটার জন্য। ছেড়ে দেবে চাকরীটা? অদিতির তাকিয়ে থাকা দেখে ছেলেটা সম্ভবত বুঝতে পারল, অদিতি দোটানায় পড়েছে। একটু চেষ্টা করলে হয়তো প্রস্তাবে রাজী হয়ে যাবে। কোন কাজ না করে, অর্ধেক বেতন, মন্দ কি? ছেলেটি আবার বলতে শুরু করল
— আই নো, প্রস্তাবটা বেশ বিচ্ছিরি। বাট আই অ্যাম রিয়েলি হেল্পলেস। একটা ভাল চাকরী না পেলে বিয়েটা করতে পারছি না।
চোখটা চকচক করে ওঠে অদিতির। সে যা ভাবছে, এই ছেলেই কি সেই ছেলে? সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে অদিতি। নীরব রাগারাগি করবে, তারপরও কাজটা করবে সে। নিজের অজান্তেই তুমি করে বলে ফেলল। জানতে চাইল
— তোমার নাম কি?
চলবে

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৩

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যা বাববা! এ আবার কি? ;)

দেখা যাক গল্পকার কোথাকার জর কোথায় গড়ান :)

++++

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫

রায়হান চৌঃ বলেছেন: আপনার লিখার এগেনিষ্টে কি মন্তব্য করব বুঝে উঠতে পারছিনা, তবে এ টুকু বলে রাখলাম..... লিখাটা কন্টিনিউ হোক :) ভালো থাকবেন

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩০

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সামু পাগলা০০৭ বলেছেন: হুমম বুঝতে পারছি কোনদিকে যাচ্ছে! আগের পর্বেই ধারণা হয়েছিল। যাক ভালো। এটাই চাচ্ছিলাম।
অপেক্ষায় পরের পর্বের........

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩১

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: সাথে থাকবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:২০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এবারতো এমন এক দাক্কা খেলাম, যাই হোক থাকি সাথে আরো দেখি সানি কোথায় নিয়ে দাড় করান। ভাল থাকবেন ভাই।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৩১

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১০:৪০

আনু মোল্লাহ বলেছেন: বেশ উপভোগ করেছি।
ধন্যবাদ নেবেন।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ১১:১৯

আহমাদ যায়নুদ্দিন সানী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.