নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি সানোফি মহিন... বাংলাদেশী তরুন উঠতি প্রকৌশলী। চিকিৎসা বিজ্ঞানকে ভালোবাসতাম সেই ছোটবেলা থেকে, ভাগ্যের অদৃষ্টের কারনে চিকিৎসক হয়ে উঠা হয়নি। কিন্তু নিজের প্রচেষ্টা আর আন্তরিকতায় পড়েছি 'জনস্বাস্থ্য এবং পুষ্টি' নিয়ে। ভালোবাসি পড়তে, সে যাই হোক। লেখার ব্যপারে খুবই আগ্রহ আর প্রবল আগ্রহ মুখোরোচক নানান রকমের খাবার আর ঘুড়ে বেড়ানোর প্রতি। উপস্থাপনা করতে ভালোবাসি। মানুষের সাথে মিশতে, তাদের সমস্যা শুনতে আর সমস্যা সমাধানে আগ্রহ রয়েছে অনেক।
পরম করুনাময়ের করুনাধারার কল্যানে আমার জীবনে অনেক মানুষের ভালোবাসা আমি পেয়েছি। এক জীবনে আমি এমন একজনের ভালোবাসা পেয়েছি সে অমৃতা বকসী। যে কিনা আমার জীবনের চরম দুঃসময়ে এক রাতের মাঝেই খবর পেয়েই চলে এসেছিলো ইন্ডিয়া থেকে। সে আরেকদিন বলা যাবে...
আমি আপনাদের আজ আমার বন্ধু মায়া দেশ পান্ডে আর তার মাতা শান্তা মাসির কথা বলবো।
মায়ার সাথে আমার পরিচয় কবে আমি জানি না, কোন শপিং সেন্টার কিংবা অফিসে হবে। মায়ার প্রতি আমার অন্যরকম একটা আন্তরিকতা কাজ করত, কারন নামের পাশাপাশি তার চেহারায় একটা মায়া কাজ করতো। মায়া আমাকে ভালোবাসে কিনা জানিনা, কিন্তু পছন্দ করতো সেটা আমি জানি।
মায়া আমাকে তার বাসায় প্রায়ই ডাকে।
আমি তার ডাকে যাই সেটা ভুল, আমি আসলে যাই তার মা শান্তা মাসির হাতের চমৎকার প্রসাদের লোভে। মায়া আমার মঙ্গলের জন্য আমার নামে প্রায়ই প্রদীপ জ্বালাত, পুজা করতো মাসি বলেছে। বন্ধু বন্ধুর জন্য এমনটা করতেই পারে।
আজ বিকেলে মায়া আমাকে বলেছে "পুজো আছে, আসবি কিন্তু?"
আমি মায়ার বাসায় গিয়েছি। মায়া পা ভেঙ্গে বিছানায় শুয়ে আছে।
অন্য সময় মায়া নিজে দরজা খুলে প্রদীপ হাতে সামনে এসে মুখের সামনে নাড়িয়ে একটু চন্দন কপালে দিয়ে "সাবধানে যাস" বলে বিদায় দিতো। আজকে "কে কু... কে কু... ওমা, মরে গেলাম রে" বলে বিদায় দিলো।
মায়া আমার জন্য পুজা দিয়েছে কারন সে নাকি স্বপ্ন দেখেছে আমি নাকি মরে গিয়েছি।
মায়াকে বলেছি... লাভ নাই, ভুত হয়ে ফিরো আসবো তোর ঘাড়ে।
মায়া সুস্থ হলে ওকে রুপবতীর কথা বলবো ভেবেছিলাম।
কিন্তু আসার সময় আমার কথা শুনে মায়ার চোখে পানি আমাকে অন্য কিছু ভাবায়। মায়াদের মায়ার বাধন এই পৃথিবীতে অটুট থাকুক অনন্ত কাল ধরে।
©somewhere in net ltd.